alt

জাতীয়

বুধবার বেরোবি শিক্ষার্থী আবু সাইদ দিবস

লিয়াকত আলী বাদল, রংপুর : মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫

বুধবার ১৬ জুলাই, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের প্রথম শহীদ, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাইদ দিবস।

২০২৪ সালের এই দিনে আবু সাইদ পুলিশের অব্যাহত গুলির সামনে দুই হাত প্রসারিত করে বুক পেতে দাঁড়িয়েছিলেন। তখন পুলিশ তাকে গুলি করে হত্যা করে। এই হত্যাকাণ্ডের পর সারাদেশে ছাত্র ও জনতার আন্দোলন অগ্নিগর্ভে রূপ নেয়। যার সফল পরিণতি ঘটে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেশত্যাগের মধ্য দিয়ে।

শহীদ আবু সাইদের বুক চিতিয়ে গুলির সামনে দাঁড়ানোর দৃশ্য বর্ণনা করতে গিয়ে সহযোদ্ধারা বলেন, “তার বুক পেতে দেয়ার কারণেই আমরা দ্বিতীয় স্বাধীনতা পেয়েছি।”

এ উপলক্ষে রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে দিনব্যাপী কবর জিয়ারত, শোক র‌্যালি, আলোচনা সভাসহ নানা কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। শহীদ আবু সাইদের পরিবারও মিলাদ, দোয়া মাহফিল এবং দুস্থদের মাঝে খাবার বিতরণসহ দিনব্যাপী কর্মসূচি পালন করছে।

কোটা সংস্কার আন্দোলন যখন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে রূপ নেয়, তখন জুলাই মাসের শুরু থেকেই রংপুরে তা গণআন্দোলনে রূপান্তরিত হয়। আন্দোলনের কেন্দ্রবিন্দু ছিল বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়। নেতৃত্বে ছিলেন ইংরেজি বিভাগের মেধাবী শিক্ষার্থী আবু সাইদ। প্রথমদিকে ছোট ছোট মিছিল হলেও ধীরে ধীরে তা হাজারো শিক্ষার্থীর আন্দোলনে রূপ নেয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের ক্যাডাররা, আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের সহযোগিতায়, শিক্ষার্থীদের ওপর একাধিকবার হামলা চালায়। পুলিশ ছাত্রলীগের পক্ষ নিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর গুলি, রাবার বুলেট ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে।

১৬ জুলাই সকালে রংপুর জিলা স্কুল থেকে একটি মিছিল বের হয়ে রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের দিকে গেলে প্রধান ফটকে পুলিশ ও আওয়ামী লীগের ক্যাডাররা মিছিলে হামলা চালায়। এ সময় আবু সাইদ পুলিশের সামনে দাঁড়িয়ে বলেন, “গুলি করতে

চাইলে করো, আমি বুক পেতে দিয়েছি।” এরপর পুলিশ তাকে লক্ষ্য করে গুলি করলে তিনি গুরুতর আহত হন এবং হাসপাতালে নেয়ার পর মারা যান।

ছাত্রনেতা শাহরিয়ার সোহাগ বলেন, “আমি সেদিন আবু সাইদের সঙ্গে ছিলাম। ওর পাশে থেকেও বেঁচে গেছি, কিন্তু ও গুলিবিদ্ধ হয়ে শহীদ হয়।”

ছাত্রী জেবিন বলেন, “আবু সাইদের সাহস আমাকে আন্দোলনে অনুপ্রাণিত করেছে। আমি তার সামনেই ছিলাম। সে বারবার বলছিল, গুলি করো, আমি বুক পেতে দিয়েছি। এ সাহস ইতিহাসে বিরল।”

শহীদের মা মনোয়ারা বেগম বলেন, “আমার ছেলেকে এক বছর আগে গুলি করে মেরে ফেলেছে, কিন্তু খুনিরা এখনো ধরা পড়েনি। দাফন করতে বাধা দিয়েছে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা ও প্রশাসন।”

বাবা মকবুল হোসেন বলেন, “আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মামলা গৃহীত হয়েছে শুনেছি, কিন্তু এখনও কোনো অগ্রগতি নেই।”

বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক তুহিন ওয়াদুদ বলেন, “আবু সাইদকে ঠাণ্ডা মাথায় হত্যা করা হয়েছে, এটি ছিল একেবারে পরিকল্পিত হত্যা।”

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা বলছেন, দোষীদের ইন্ধনদাতা, অর্থদাতা, এবং সরাসরি জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। ন্যায়বিচারই শহীদ আবু সাইদের আত্মত্যাগের যথাযথ সম্মান।

প্রাথমিকে প্রধান শিক্ষক নিয়োগে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার

শামীম ওসমান ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুদকের দুই মামলা

৯৬ বাংলাদেশিকে বিমানবন্দর থেকে ফেরত পাঠিয়েছে মালয়েশিয়া

বাংলা একাডেমি সংস্কার কমিটি থেকে সরে দাঁড়ালেন ব্রাত্য রাইসু

গুলিস্তানে দুই ট্রাকের মাঝখানে চাপা পড়ে চালকের সহকারী নিহত

আগস্ট থেকে ১৫ টাকা কেজিতে চাল পাবে ৫৫ লাখ পরিবার: খাদ্য উপদেষ্টা

ছবি

সব ঘটনা সাম্প্রদায়িক নয়’—সংখ্যালঘু সহিংসতা নিয়ে পুলিশের ব্যাখ্যা

ভাঙ্গুড়ায় তিন বছরের শিশুকে ধর্ষণের চেষ্টা

ছবি

শ্রীমঙ্গলে ডিনস্টন সিমেট্রি যেন এক টুকরা স্কটল্যান্ড

বিএসবির বাশারকে আদালত চত্বরে ঘুষি, লাথি, ডিম নিক্ষেপ

দুই বিভাগে অতিভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস

গ্রেনেড হামলা মামলায় আসামিদের খালাসের বিরুদ্ধে আপিল শুনানি কাল

চিকুনগুনিয়া, ইনফ্লুয়েঞ্জাও ছড়াচ্ছে ডেঙ্গুর পাশাপাশি

ছবি

ফেনীর বন্যায় ১৪৬ কোটি টাকার ক্ষতি, এখনও পানিবন্দী সাত হাজার পরিবার

বড়পুকুরিয়ার ‘উচ্চ মানের’ কয়লা ‘কম দামে’ নিচ্ছে পিডিবি

বাণিজ্যের নামে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে গোপন চুক্তি চলবে না: সিপিবি

রিভিউ হবে ইন্ডিপেন্ডেন্ট পাওয়ার প্লান্টের চুক্তি

মিটফোর্ডে সোহাগ হত্যা: ফের ৫ দিনের রিমান্ডে মহিন

ছবি

‘জাতীয় সংস্কারক’ উপাধি পেতে ইচ্ছুক নন অধ্যাপক ইউনূস

নিবন্ধনের শর্ত পূরণে ব্যর্থ এনসিপিসহ ১৪৪ দল: ইসি

তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনঃপ্রতিষ্ঠায় ঐকমত্য, পরিবর্তনে লাগবে গণভোট

ছবি

নতুন নীতিমালায় পিস্তল-রাইফেলের লাইসেন্স ও নবায়নে বাড়ল শর্ত ও ফি

ছবি

শহীদদের স্মরণে সরকারি-বেসরকারি ভবনে অর্ধনমিত থাকবে জাতীয় পতাকা

ছবি

দলগুলোর মতবিরোধে উচ্চকক্ষ নিয়ে রোববার সিদ্ধান্ত ঘোষণা

ছবি

বদলির আদেশ অমান্য ও ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণে বরখাস্ত ৮ কর্মকর্তা

ছবি

তিস্তা রক্ষায় জনগণের দাবি পরিকল্পনায় যুক্ত করা হয়েছে: পরিবেশ উপদেষ্টা

ছবি

যুক্তরাষ্ট্রসহ পাঁচ দেশে প্রবাসী ভোটার তালিকাভুক্তির উদ্যোগ

ছবি

খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিতে আরও ৫ লাখ পরিবার যুক্ত, শুরু অগাস্টে

ছবি

বাংলা একাডেমি সংস্কার কমিটি থেকে সরে দাঁড়ালেন ব্রাত্য রাইসু

ছবি

শর্ত পূরণের ব্যর্থতায় মালয়েশিয়া থেকে ৯৬ বাংলাদেশি ফেরত

ছবি

জাতীয় ঐকমত্যে ব্যর্থতা হলে দায় সবার: আলী রীয়াজ

ছবি

প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক নিয়োগে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার

ছবি

‘সংস্কার উদ্যোগের প্রশংসা’ করলেন বিশ্ব ব্যাংক ভাইস প্রেসিডেন্ট

ছবি

ভারী বৃষ্টির সম্ভবনা, নদী ও সমুদ্র বন্দরে সতর্ক সংকেত জারি

ছবি

মধ্যরাতের আকাশে ‘ড্রোন শো’তে ‘জুলাই স্মৃতি’

ছবি

গণঅভ্যুত্থানের ঐক্য সমুন্নত রাখার তাগিদ শোকসভায়

tab

জাতীয়

বুধবার বেরোবি শিক্ষার্থী আবু সাইদ দিবস

লিয়াকত আলী বাদল, রংপুর

মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫

বুধবার ১৬ জুলাই, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের প্রথম শহীদ, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাইদ দিবস।

২০২৪ সালের এই দিনে আবু সাইদ পুলিশের অব্যাহত গুলির সামনে দুই হাত প্রসারিত করে বুক পেতে দাঁড়িয়েছিলেন। তখন পুলিশ তাকে গুলি করে হত্যা করে। এই হত্যাকাণ্ডের পর সারাদেশে ছাত্র ও জনতার আন্দোলন অগ্নিগর্ভে রূপ নেয়। যার সফল পরিণতি ঘটে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেশত্যাগের মধ্য দিয়ে।

শহীদ আবু সাইদের বুক চিতিয়ে গুলির সামনে দাঁড়ানোর দৃশ্য বর্ণনা করতে গিয়ে সহযোদ্ধারা বলেন, “তার বুক পেতে দেয়ার কারণেই আমরা দ্বিতীয় স্বাধীনতা পেয়েছি।”

এ উপলক্ষে রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে দিনব্যাপী কবর জিয়ারত, শোক র‌্যালি, আলোচনা সভাসহ নানা কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। শহীদ আবু সাইদের পরিবারও মিলাদ, দোয়া মাহফিল এবং দুস্থদের মাঝে খাবার বিতরণসহ দিনব্যাপী কর্মসূচি পালন করছে।

কোটা সংস্কার আন্দোলন যখন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে রূপ নেয়, তখন জুলাই মাসের শুরু থেকেই রংপুরে তা গণআন্দোলনে রূপান্তরিত হয়। আন্দোলনের কেন্দ্রবিন্দু ছিল বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়। নেতৃত্বে ছিলেন ইংরেজি বিভাগের মেধাবী শিক্ষার্থী আবু সাইদ। প্রথমদিকে ছোট ছোট মিছিল হলেও ধীরে ধীরে তা হাজারো শিক্ষার্থীর আন্দোলনে রূপ নেয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের ক্যাডাররা, আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের সহযোগিতায়, শিক্ষার্থীদের ওপর একাধিকবার হামলা চালায়। পুলিশ ছাত্রলীগের পক্ষ নিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর গুলি, রাবার বুলেট ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে।

১৬ জুলাই সকালে রংপুর জিলা স্কুল থেকে একটি মিছিল বের হয়ে রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের দিকে গেলে প্রধান ফটকে পুলিশ ও আওয়ামী লীগের ক্যাডাররা মিছিলে হামলা চালায়। এ সময় আবু সাইদ পুলিশের সামনে দাঁড়িয়ে বলেন, “গুলি করতে

চাইলে করো, আমি বুক পেতে দিয়েছি।” এরপর পুলিশ তাকে লক্ষ্য করে গুলি করলে তিনি গুরুতর আহত হন এবং হাসপাতালে নেয়ার পর মারা যান।

ছাত্রনেতা শাহরিয়ার সোহাগ বলেন, “আমি সেদিন আবু সাইদের সঙ্গে ছিলাম। ওর পাশে থেকেও বেঁচে গেছি, কিন্তু ও গুলিবিদ্ধ হয়ে শহীদ হয়।”

ছাত্রী জেবিন বলেন, “আবু সাইদের সাহস আমাকে আন্দোলনে অনুপ্রাণিত করেছে। আমি তার সামনেই ছিলাম। সে বারবার বলছিল, গুলি করো, আমি বুক পেতে দিয়েছি। এ সাহস ইতিহাসে বিরল।”

শহীদের মা মনোয়ারা বেগম বলেন, “আমার ছেলেকে এক বছর আগে গুলি করে মেরে ফেলেছে, কিন্তু খুনিরা এখনো ধরা পড়েনি। দাফন করতে বাধা দিয়েছে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা ও প্রশাসন।”

বাবা মকবুল হোসেন বলেন, “আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মামলা গৃহীত হয়েছে শুনেছি, কিন্তু এখনও কোনো অগ্রগতি নেই।”

বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক তুহিন ওয়াদুদ বলেন, “আবু সাইদকে ঠাণ্ডা মাথায় হত্যা করা হয়েছে, এটি ছিল একেবারে পরিকল্পিত হত্যা।”

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা বলছেন, দোষীদের ইন্ধনদাতা, অর্থদাতা, এবং সরাসরি জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। ন্যায়বিচারই শহীদ আবু সাইদের আত্মত্যাগের যথাযথ সম্মান।

back to top