মধ্যরাতে সালিশি বৈঠকে অভিযুক্তকে চড়-থাপ্পড়ে ‘রফা’
পাবনার ভাঙ্গুড়ায় তিন বছর বয়সী এক শিশুকন্যাকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে আব্দুল বারেক মৃধা (৫০) নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় মধ্যরাতে সালিশি বৈঠকে অভিযুক্তকে চড়-থাপ্পড়ে ‘রফা’ করা হয়েছে।
শিশুটির পরিবার জানায়, ১ বা ২ জুনের সকালে শিশুটির মা বাড়ির বাইরে ছিলেন। সেই সুযোগে বারেক শিশুটিকে নিজের ঘরে ডেকে নেয়। কিছুক্ষণ পর কাঁদতে কাঁদতে ঘরে ফিরে শিশুটি মাকে জানায় তার সঙ্গে কী ঘটেছে। ঘটনার পর শিশুটির মা বিষয়টি বারেকের পরিবারের সদস্যদের জানালে তারা ‘এক সপ্তাহের মধ্যে বিচার হবে’ বলে আশ্বাস দেন।
জানা গেছে, শিশুটির বাবা কর্মসূত্রে ঢাকায় ছিলেন। তিনি গত বুধবার বাড়ি ফিরে এলে শিশুটি কাঁপা গলায় বাবার কাছে পুরো ঘটনাটি জানায়। এতে শিশুটির বাবা ক্ষোভ প্রকাশ করলে এলাকাজুড়ে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এরপর গত শনিবার রাত আনুমানিক ২টার দিকে স্থানীয় দলিল লেখক আব্দুস সালামের বাড়িতে গোপনে একটি সালিশ বৈঠক বসে। সালিশে উপস্থিত কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তি অভিযুক্ত বারেককে চড়-থাপ্পড় মেরে ঘটনাটি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করা হয়।
এ ঘটনায় এলাকাবাসীর মাঝে ব্যাপক ক্ষোভ বিরাজ করছে। স্থানীয়রা বলছেন, একটি শিশুর সঙ্গে এমন ঘৃণ্য ঘটনার বিচার গোপন সালিশে করার মানে হচ্ছে অপরাধকে প্রশ্রয় দেয়া। তারা অভিযুক্তের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়ে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
এ বিষয়ে সালিশে উপস্থিত থাকা আব্দুল লতিফ বলেন, অভিযুক্ত ব্যক্তি অপরাধ স্বীকার করলে তাকে সামান্য শাস্তি দিয়ে বিষয়টি শেষ করার চেষ্টা করা হয়।
তবে অভিযুক্ত বারেক দাবি করেন, ঘটনা যেমনটা প্রচার হচ্ছে, বাস্তবে তা সঠিক নয়।
ভাঙ্গুড়া থানার ওসি মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, ঘটনার বিষয়ে এখনও কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মধ্যরাতে সালিশি বৈঠকে অভিযুক্তকে চড়-থাপ্পড়ে ‘রফা’
মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫
পাবনার ভাঙ্গুড়ায় তিন বছর বয়সী এক শিশুকন্যাকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে আব্দুল বারেক মৃধা (৫০) নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় মধ্যরাতে সালিশি বৈঠকে অভিযুক্তকে চড়-থাপ্পড়ে ‘রফা’ করা হয়েছে।
শিশুটির পরিবার জানায়, ১ বা ২ জুনের সকালে শিশুটির মা বাড়ির বাইরে ছিলেন। সেই সুযোগে বারেক শিশুটিকে নিজের ঘরে ডেকে নেয়। কিছুক্ষণ পর কাঁদতে কাঁদতে ঘরে ফিরে শিশুটি মাকে জানায় তার সঙ্গে কী ঘটেছে। ঘটনার পর শিশুটির মা বিষয়টি বারেকের পরিবারের সদস্যদের জানালে তারা ‘এক সপ্তাহের মধ্যে বিচার হবে’ বলে আশ্বাস দেন।
জানা গেছে, শিশুটির বাবা কর্মসূত্রে ঢাকায় ছিলেন। তিনি গত বুধবার বাড়ি ফিরে এলে শিশুটি কাঁপা গলায় বাবার কাছে পুরো ঘটনাটি জানায়। এতে শিশুটির বাবা ক্ষোভ প্রকাশ করলে এলাকাজুড়ে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এরপর গত শনিবার রাত আনুমানিক ২টার দিকে স্থানীয় দলিল লেখক আব্দুস সালামের বাড়িতে গোপনে একটি সালিশ বৈঠক বসে। সালিশে উপস্থিত কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তি অভিযুক্ত বারেককে চড়-থাপ্পড় মেরে ঘটনাটি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করা হয়।
এ ঘটনায় এলাকাবাসীর মাঝে ব্যাপক ক্ষোভ বিরাজ করছে। স্থানীয়রা বলছেন, একটি শিশুর সঙ্গে এমন ঘৃণ্য ঘটনার বিচার গোপন সালিশে করার মানে হচ্ছে অপরাধকে প্রশ্রয় দেয়া। তারা অভিযুক্তের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়ে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
এ বিষয়ে সালিশে উপস্থিত থাকা আব্দুল লতিফ বলেন, অভিযুক্ত ব্যক্তি অপরাধ স্বীকার করলে তাকে সামান্য শাস্তি দিয়ে বিষয়টি শেষ করার চেষ্টা করা হয়।
তবে অভিযুক্ত বারেক দাবি করেন, ঘটনা যেমনটা প্রচার হচ্ছে, বাস্তবে তা সঠিক নয়।
ভাঙ্গুড়া থানার ওসি মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, ঘটনার বিষয়ে এখনও কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।