ইসির ওয়েবসাইট থেকে সরানো হলো ‘নৌকা’ প্রতীক
নিবন্ধন স্থগিত হওয়ায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দলীয় প্রতীক ‘নৌকা’ নির্বাচন কমিশনের (ইসি) ওয়েবসাইট থেকে সরিয়ে ফেলা হয়েছে। বুধবার (১৬ জুলাই) সকাল থেকে ইসির ওয়েবসাইটে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর তালিকায় ৬ নম্বরে থাকা ‘আওয়ামী লীগ (নিবন্ধন স্থগিত)’ নামের পাশে প্রতীকের ঘরসহ নিবন্ধন ও প্রতীকের তারিখ ফাঁকা দেখা যায়। যদিও মঙ্গলবার পর্যন্ত সেখানেই ‘নৌকা’ প্রতীকসহ পূর্ণ তথ্য ছিল।
এ বিষয়ে ইসি সচিবালয়ের আইটি শাখার কর্মকর্তা সাংবাদিকদের জানান, “উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনায় প্রতীক সরানো হয়েছে।”
গত ১২ মে অন্তর্বর্তী সরকারের এক নির্দেশনায় আওয়ামী লীগসহ তাদের অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের যাবতীয় কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা হয়। এরপরই নির্বাচন কমিশন দলটির রাজনৈতিক নিবন্ধন স্থগিত করে। তবে ওয়েবসাইটে তখনো ‘নৌকা’ প্রতীকটি বহাল ছিল।
এই প্রতীক সরানো নিয়ে মঙ্গলবার রাতেই ক্ষোভ প্রকাশ করেন অন্তর্বর্তী সরকারের স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া। এক ফেইসবুক পোস্টে তিনি লিখেন, “অভিশপ্ত ‘নৌকা’ মার্কাটাকে আপনারা কোন বিবেচনায় আবার শিডিউলভুক্ত করতে আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠালেন?” পাশাপাশি তিনি প্রশ্ন তোলেন, “পরাজিতদের স্বপ্নের রিফাইন্ড আওয়ামী লীগকে তাদের মার্কা ফিরিয়ে দিতে চান?”
তবে নির্বাচন কমিশনার আব্দুর রহমানেল মাছউদ ভিন্নমত পোষণ করে বলেন, “প্রতীক কখনও নিষিদ্ধ হয় না। দল বিলুপ্ত হলেও প্রতীক ইসির সম্পদ হিসেবে থেকে যায় এবং ভবিষ্যতে অন্য কারো নামে বরাদ্দ হতে পারে।”
এদিকে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ইতোমধ্যে ‘নৌকা’ প্রতীকটি ইসির তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার দাবি জানিয়েছে। তাদের মতে, নিষিদ্ধ দলটির প্রতীক সংরক্ষণ রাখা গণ-অভ্যুত্থানের চেতনার বিরুদ্ধে যায়।
প্রতীক বাতিল নিয়ে নির্বাচন পরিচালনা বিধিমালায় সংশোধন আনয়ন হয়নি এখনো। তবে এর আগেই ওয়েবসাইট থেকে প্রতীক সরিয়ে দেওয়ায় বিষয়টি ঘিরে শুরু হয়েছে নতুন বিতর্ক।
অন্যদিকে জামায়াতে ইসলামী নিবন্ধন পুনর্বহাল হলেও তার পুরোনো প্রতীক ‘দাঁড়িপাল্লা’ এখনও ওয়েবসাইটে যুক্ত হয়নি। একইভাবে আরও চারটি বাতিল দল ও তাদের প্রতীকও ওয়েবসাইটে অনুপস্থিত থাকলেও কমিশনের প্রতীক তালিকায় সংরক্ষিত রয়েছে।
বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫
ইসির ওয়েবসাইট থেকে সরানো হলো ‘নৌকা’ প্রতীক
নিবন্ধন স্থগিত হওয়ায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দলীয় প্রতীক ‘নৌকা’ নির্বাচন কমিশনের (ইসি) ওয়েবসাইট থেকে সরিয়ে ফেলা হয়েছে। বুধবার (১৬ জুলাই) সকাল থেকে ইসির ওয়েবসাইটে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর তালিকায় ৬ নম্বরে থাকা ‘আওয়ামী লীগ (নিবন্ধন স্থগিত)’ নামের পাশে প্রতীকের ঘরসহ নিবন্ধন ও প্রতীকের তারিখ ফাঁকা দেখা যায়। যদিও মঙ্গলবার পর্যন্ত সেখানেই ‘নৌকা’ প্রতীকসহ পূর্ণ তথ্য ছিল।
এ বিষয়ে ইসি সচিবালয়ের আইটি শাখার কর্মকর্তা সাংবাদিকদের জানান, “উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনায় প্রতীক সরানো হয়েছে।”
গত ১২ মে অন্তর্বর্তী সরকারের এক নির্দেশনায় আওয়ামী লীগসহ তাদের অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের যাবতীয় কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা হয়। এরপরই নির্বাচন কমিশন দলটির রাজনৈতিক নিবন্ধন স্থগিত করে। তবে ওয়েবসাইটে তখনো ‘নৌকা’ প্রতীকটি বহাল ছিল।
এই প্রতীক সরানো নিয়ে মঙ্গলবার রাতেই ক্ষোভ প্রকাশ করেন অন্তর্বর্তী সরকারের স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া। এক ফেইসবুক পোস্টে তিনি লিখেন, “অভিশপ্ত ‘নৌকা’ মার্কাটাকে আপনারা কোন বিবেচনায় আবার শিডিউলভুক্ত করতে আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠালেন?” পাশাপাশি তিনি প্রশ্ন তোলেন, “পরাজিতদের স্বপ্নের রিফাইন্ড আওয়ামী লীগকে তাদের মার্কা ফিরিয়ে দিতে চান?”
তবে নির্বাচন কমিশনার আব্দুর রহমানেল মাছউদ ভিন্নমত পোষণ করে বলেন, “প্রতীক কখনও নিষিদ্ধ হয় না। দল বিলুপ্ত হলেও প্রতীক ইসির সম্পদ হিসেবে থেকে যায় এবং ভবিষ্যতে অন্য কারো নামে বরাদ্দ হতে পারে।”
এদিকে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ইতোমধ্যে ‘নৌকা’ প্রতীকটি ইসির তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার দাবি জানিয়েছে। তাদের মতে, নিষিদ্ধ দলটির প্রতীক সংরক্ষণ রাখা গণ-অভ্যুত্থানের চেতনার বিরুদ্ধে যায়।
প্রতীক বাতিল নিয়ে নির্বাচন পরিচালনা বিধিমালায় সংশোধন আনয়ন হয়নি এখনো। তবে এর আগেই ওয়েবসাইট থেকে প্রতীক সরিয়ে দেওয়ায় বিষয়টি ঘিরে শুরু হয়েছে নতুন বিতর্ক।
অন্যদিকে জামায়াতে ইসলামী নিবন্ধন পুনর্বহাল হলেও তার পুরোনো প্রতীক ‘দাঁড়িপাল্লা’ এখনও ওয়েবসাইটে যুক্ত হয়নি। একইভাবে আরও চারটি বাতিল দল ও তাদের প্রতীকও ওয়েবসাইটে অনুপস্থিত থাকলেও কমিশনের প্রতীক তালিকায় সংরক্ষিত রয়েছে।