পরিচালনা বিধিমালায় সংশোধনের আগেই নিবন্ধন স্থগিত হওয়া আওয়ামী লীগের দলীয় প্রতীক ‘নৌকা’ নির্বাচন কমিশনের (ইসি) ওয়েবসাইট থেকে সরিয়ে ফেলা হয়েছে। বুধবার(১৬-০৭-২০২৫) ইসির ওয়েবসাইটে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর তালিকার ৬ নম্বরে ‘আওয়ামী লীগ (নিবন্ধন স্থগিত)’ নামের পাশে নিবন্ধন তারিখ, প্রতীকের তারিখ ও প্রতীকের ঘর ফাঁকা দেখা গেছে। যদিও আগে এই তিন ঘর পূর্ণ ছিল।
ইসির সিস্টেম ম্যানেজার রফিকুল হক সাংবাদিকদের বলেন, ‘কর্তৃপক্ষের (ইসি সচিবালয়) নির্দেশনায় এটা (নৌকা প্রতীক) সরানো হয়েছে।’
এদিন জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন পুনর্বহাল হওয়ার পর দুপুরে ওয়েবসাইটে দাঁড়িপাল্লা প্রতীক যুক্ত হয়।
কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের প্রতীক নৌকাকে কেন আবার শিডিউলভুক্ত করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে, গতকাল মঙ্গলবার রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেইসবুক পেইজে দেয়া এক পোস্টে নির্বাচন কমিশনের কাছে সে প্রশ্ন করেন স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া।
পোস্টে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ লেখেন, “অভিশপ্ত ‘নৌকা’ মার্কাটাকে আপনারা কোন বিবেচনায় আবার শিডিউলভুক্ত করতে আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠালেন? সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে এই গণ-অভ্যুত্থানকে আপনারা জাস্ট বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখালেন। কাদের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে এবং কাদের দেওয়ার জন্য এই মার্কা রাখছেন আপনারা? পরাজিতদের স্বপ্নের রিফাইন্ড আওয়ামী লীগকে তাদের মার্কা ফিরিয়ে দিতে চান? বাংলাদেশের একজন নাগরিক হিসেবে নির্বাচন কমিশনের প্রতি প্রশ্ন রইল।”
এমন পরিস্থিতিতে নির্বাচন পরিচালনা বিধিমালায় সংশোধনের আগেই গত সোমবার নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে ‘নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের’ তালিকায় আওয়ামী লীগের নাম থাকলেও প্রতীকটি সরিয়ে ফেলা হলো।
নিবন্ধন স্থগিত থাকায়, আওয়ামী লীগ ভোটে যেমন অংশ নিতে পারত না, তেমন দলটির সংরক্ষিত নৌকা প্রতীকেও কেউ অংশ নিতে পারবে না- ওয়েবসাইট থেকে প্রতীক বাদ দেয়ার মাধ্যমে বিষয়টির আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হলো।
তবে ইসির প্রতীক তালিকার তফসিল থেকে নৌকা বাদ দেয়া হচ্ছে কিনা তা এখনও নিশ্চিত করেনি নির্বাচন কমিশন।
ইসির ওয়েবসাইটে নির্বাচনী প্রতীকের ঘরে ২ নম্বরে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রতীকসমূহতে ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ এর প্রকাশিত গেজেটটি এখনও রয়েছে। এতে ৩৭ নাম্বারে ‘নৌকা’ প্রতীক হিসেবে আছে।
শিক্ষার্থী-জনতার আন্দোলনে গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়। আন্দোলনে শরিক বিভিন্ন পক্ষের দাবিতে অন্তর্বর্তী সরকার গত ১২ মে আওয়ামী লীগ এবং এর সব অঙ্গসংগঠন, সহযোগী সংগঠন ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের যাবতীয় কার্যক্রম আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচারকাজ সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত নিষিদ্ধ করে। এরপর নির্বাচন কমিশনও রাজনৈতিক দল হিসেবে আওয়ামী লীগের নিবন্ধন স্থগিত করে।
এরপরই ইসির ওয়েবসাইট হালনাগাদ করে দলের পাশে ‘নিবন্ধন স্থগিত’ লেখা হয়েছিল। কিন্তু প্রতীক তালিকায় নৌকা বহাল থাকে।
নৌকা প্রতীক বহাল রাখার বিষয়ে গত ১৩ জুলাই নির্বাচন কমিশনার আব্দুর রহমানেল মাছউদ বলেছিলেন, ‘প্রতীক কখনও নিষিদ্ধ হয় না। পার্টি বিলোপ হলেও প্রতীক ইসির কাছে থাকবে; এটা আবার আরেকজনের নামে বরাদ্দ হবে। আমরা প্রতীক তালিকা থেকে বাদ দেব না।’
এছাড়া, ইসির ওয়েবসাইটে জাগপা, পিডিপি, ফ্রিডম পার্টিসহ নিবন্ধন বাতিল থাকা চারটি দলের নাম ও তাদের সংরক্ষিত প্রতীক তালিকায় নেই। নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলসমূহের তালিকায় ২৬, ২৯, ৩৬ ও ৩৯ নং কলাম পুরো ফাঁকা রয়েছে। কিন্তু প্রতীকগুলো ইসির দেয়া গেজেটের তালিকায় রয়েছে।
কোনো চাপে ‘নৌকা’ প্রতীক সরানো হয়নি: ইসি সচিব
বিভ্রান্তি এড়াতে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) ওয়েবসাইট থেকে নৌকা প্রতীক সরানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ। বুধবার ঢাকার আগারগাঁও নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) ও অন্য নির্বাচন কমিশনারদের এক অনানুষ্ঠানিক বৈঠকের পর ইসি সচিব সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
ইসি সচিব বলেন, ‘ওয়েবসাইট থেকে প্রতীকটি সরানো হলেও এটি নির্বাচন পরিচালনা বিধিমালার তফসিলে সংরক্ষিত থাকবে। তবে কেউ আর এটি ব্যবহার করতে পারবে না।’ তিনি বলেন, ‘নৌকা প্রতীক নিয়ে সম্প্রতি জনমনে কিছু বিভ্রান্তি দেখা দিয়েছে। এসব কনফিউশন দূর করতেই ওয়েবসাইট থেকে প্রতীকটি সরানো হয়েছে। এর বাইরে অন্য কোনো কারণ নেই।’
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘ইলেকশন কমিশন যদি চাপে থাকত, তাহলে আমি এখানে এসে কথা বলতাম না। কোনো চাপ বা গোপন কারণ নেই। সবই হয়েছে স্বচ্ছতা বজায় রাখার স্বার্থে।’
গতকাল মঙ্গলবার রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেইসবুক পেইজে একটি পোস্ট দেন স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। ইসির সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘অভিশপ্ত ‘নৌকা’ মার্কাটাকে আপনারা কোন বিবেচনায় আবার শিডিউলভুক্ত করতে আইন মন্ত্রণালয়ে
পাঠালেন?’ বুধবার সকালে ইসির ওয়েবসাইটে দেখা যায়, আওয়ামী লীগ (নিবন্ধন স্থগিত) নামের পাশে প্রতীক হিসেবে নৌকা নেই। ইসি সচিবালয়ের সিস্টেম ম্যানেজার মো. রফিকুল হক বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘কর্তৃপক্ষের (ইসি সচিবালয়) নির্দেশে প্রতীকটি (নৌকা) সরিয়ে ফেলা হয়েছে।’
বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫
পরিচালনা বিধিমালায় সংশোধনের আগেই নিবন্ধন স্থগিত হওয়া আওয়ামী লীগের দলীয় প্রতীক ‘নৌকা’ নির্বাচন কমিশনের (ইসি) ওয়েবসাইট থেকে সরিয়ে ফেলা হয়েছে। বুধবার(১৬-০৭-২০২৫) ইসির ওয়েবসাইটে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর তালিকার ৬ নম্বরে ‘আওয়ামী লীগ (নিবন্ধন স্থগিত)’ নামের পাশে নিবন্ধন তারিখ, প্রতীকের তারিখ ও প্রতীকের ঘর ফাঁকা দেখা গেছে। যদিও আগে এই তিন ঘর পূর্ণ ছিল।
ইসির সিস্টেম ম্যানেজার রফিকুল হক সাংবাদিকদের বলেন, ‘কর্তৃপক্ষের (ইসি সচিবালয়) নির্দেশনায় এটা (নৌকা প্রতীক) সরানো হয়েছে।’
এদিন জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন পুনর্বহাল হওয়ার পর দুপুরে ওয়েবসাইটে দাঁড়িপাল্লা প্রতীক যুক্ত হয়।
কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের প্রতীক নৌকাকে কেন আবার শিডিউলভুক্ত করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে, গতকাল মঙ্গলবার রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেইসবুক পেইজে দেয়া এক পোস্টে নির্বাচন কমিশনের কাছে সে প্রশ্ন করেন স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া।
পোস্টে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ লেখেন, “অভিশপ্ত ‘নৌকা’ মার্কাটাকে আপনারা কোন বিবেচনায় আবার শিডিউলভুক্ত করতে আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠালেন? সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে এই গণ-অভ্যুত্থানকে আপনারা জাস্ট বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখালেন। কাদের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে এবং কাদের দেওয়ার জন্য এই মার্কা রাখছেন আপনারা? পরাজিতদের স্বপ্নের রিফাইন্ড আওয়ামী লীগকে তাদের মার্কা ফিরিয়ে দিতে চান? বাংলাদেশের একজন নাগরিক হিসেবে নির্বাচন কমিশনের প্রতি প্রশ্ন রইল।”
এমন পরিস্থিতিতে নির্বাচন পরিচালনা বিধিমালায় সংশোধনের আগেই গত সোমবার নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে ‘নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের’ তালিকায় আওয়ামী লীগের নাম থাকলেও প্রতীকটি সরিয়ে ফেলা হলো।
নিবন্ধন স্থগিত থাকায়, আওয়ামী লীগ ভোটে যেমন অংশ নিতে পারত না, তেমন দলটির সংরক্ষিত নৌকা প্রতীকেও কেউ অংশ নিতে পারবে না- ওয়েবসাইট থেকে প্রতীক বাদ দেয়ার মাধ্যমে বিষয়টির আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হলো।
তবে ইসির প্রতীক তালিকার তফসিল থেকে নৌকা বাদ দেয়া হচ্ছে কিনা তা এখনও নিশ্চিত করেনি নির্বাচন কমিশন।
ইসির ওয়েবসাইটে নির্বাচনী প্রতীকের ঘরে ২ নম্বরে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রতীকসমূহতে ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ এর প্রকাশিত গেজেটটি এখনও রয়েছে। এতে ৩৭ নাম্বারে ‘নৌকা’ প্রতীক হিসেবে আছে।
শিক্ষার্থী-জনতার আন্দোলনে গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়। আন্দোলনে শরিক বিভিন্ন পক্ষের দাবিতে অন্তর্বর্তী সরকার গত ১২ মে আওয়ামী লীগ এবং এর সব অঙ্গসংগঠন, সহযোগী সংগঠন ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের যাবতীয় কার্যক্রম আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচারকাজ সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত নিষিদ্ধ করে। এরপর নির্বাচন কমিশনও রাজনৈতিক দল হিসেবে আওয়ামী লীগের নিবন্ধন স্থগিত করে।
এরপরই ইসির ওয়েবসাইট হালনাগাদ করে দলের পাশে ‘নিবন্ধন স্থগিত’ লেখা হয়েছিল। কিন্তু প্রতীক তালিকায় নৌকা বহাল থাকে।
নৌকা প্রতীক বহাল রাখার বিষয়ে গত ১৩ জুলাই নির্বাচন কমিশনার আব্দুর রহমানেল মাছউদ বলেছিলেন, ‘প্রতীক কখনও নিষিদ্ধ হয় না। পার্টি বিলোপ হলেও প্রতীক ইসির কাছে থাকবে; এটা আবার আরেকজনের নামে বরাদ্দ হবে। আমরা প্রতীক তালিকা থেকে বাদ দেব না।’
এছাড়া, ইসির ওয়েবসাইটে জাগপা, পিডিপি, ফ্রিডম পার্টিসহ নিবন্ধন বাতিল থাকা চারটি দলের নাম ও তাদের সংরক্ষিত প্রতীক তালিকায় নেই। নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলসমূহের তালিকায় ২৬, ২৯, ৩৬ ও ৩৯ নং কলাম পুরো ফাঁকা রয়েছে। কিন্তু প্রতীকগুলো ইসির দেয়া গেজেটের তালিকায় রয়েছে।
কোনো চাপে ‘নৌকা’ প্রতীক সরানো হয়নি: ইসি সচিব
বিভ্রান্তি এড়াতে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) ওয়েবসাইট থেকে নৌকা প্রতীক সরানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ। বুধবার ঢাকার আগারগাঁও নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) ও অন্য নির্বাচন কমিশনারদের এক অনানুষ্ঠানিক বৈঠকের পর ইসি সচিব সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
ইসি সচিব বলেন, ‘ওয়েবসাইট থেকে প্রতীকটি সরানো হলেও এটি নির্বাচন পরিচালনা বিধিমালার তফসিলে সংরক্ষিত থাকবে। তবে কেউ আর এটি ব্যবহার করতে পারবে না।’ তিনি বলেন, ‘নৌকা প্রতীক নিয়ে সম্প্রতি জনমনে কিছু বিভ্রান্তি দেখা দিয়েছে। এসব কনফিউশন দূর করতেই ওয়েবসাইট থেকে প্রতীকটি সরানো হয়েছে। এর বাইরে অন্য কোনো কারণ নেই।’
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘ইলেকশন কমিশন যদি চাপে থাকত, তাহলে আমি এখানে এসে কথা বলতাম না। কোনো চাপ বা গোপন কারণ নেই। সবই হয়েছে স্বচ্ছতা বজায় রাখার স্বার্থে।’
গতকাল মঙ্গলবার রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেইসবুক পেইজে একটি পোস্ট দেন স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। ইসির সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘অভিশপ্ত ‘নৌকা’ মার্কাটাকে আপনারা কোন বিবেচনায় আবার শিডিউলভুক্ত করতে আইন মন্ত্রণালয়ে
পাঠালেন?’ বুধবার সকালে ইসির ওয়েবসাইটে দেখা যায়, আওয়ামী লীগ (নিবন্ধন স্থগিত) নামের পাশে প্রতীক হিসেবে নৌকা নেই। ইসি সচিবালয়ের সিস্টেম ম্যানেজার মো. রফিকুল হক বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘কর্তৃপক্ষের (ইসি সচিবালয়) নির্দেশে প্রতীকটি (নৌকা) সরিয়ে ফেলা হয়েছে।’