গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) পূর্বঘোষিত ‘মার্চ টু গোপালগঞ্জ’ কর্মসূচিতে হামলার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ, নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল। এই হামলার প্রতিবাদে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সড়ক অবরোধ কর্মসূচি পালন করেছে এনসিপিসহ রাজনৈতিক দলগুলোর নেতাকর্মীরা।
বিএনপি:
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই হামলাকে ‘ন্যক্কারজনক’ উল্লেখ করে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন । তিনি হামলাকারী দুষ্কৃতিকারীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। মির্জা ফখরুল বলেন, আওয়ামী স্বৈরাচারী শাসকগোষ্ঠীর পতনের পর দুষ্কৃতিকারীরা দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি ও নৈরাজ্যের মাধ্যমে ফায়দা হাসিলের অপতৎপরতায় লিপ্ত হয়েছে। তিনি এই ঘটনাকে সেই অপতৎপরতারই বহিঃপ্রকাশ বলে উল্লেখ করেন, যেখানে ককটেল বিস্ফোরণ, ইউএনওসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর গাড়িতে অগ্নিসংযোগ এবং পুলিশ সদস্যদের আহত করার মতো বর্বর ঘটনা ঘটেছে। তিনি আহত পুলিশ সদস্যদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করেন।
জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমান ‘গোপালগঞ্জে কী হচ্ছে’ শিরোনামে ফেইসবুকে একটি পোস্ট দিয়েছেন। তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, এনসিপি প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করে কর্মসূচি পালন করতে চাইলেও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কোনো উপস্থিতি মাঠে লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। তিনি সরকারকে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন, অন্যথায় ইতিহাসের সম্পূর্ণ দায় সরকারের ওপরই বর্তাবে বলে মন্তব্য করেন। তিনি জনগণকে উচ্ছৃঙ্খলতা থেকে বিরত থেকে শান্তিপ্রিয় ও ফ্যাসিবাদবিরোধী জনগণকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ:
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম গোপালগঞ্জের ঘটনাকে ‘লজ্জাজনক’ এবং ‘প্রশাসনের ব্যর্থতা’ বলে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেছেন, ফ্যাসিবাদীরা বিশৃঙ্খলা তৈরি করতে পারে, এটা অনুধাবন করে কার্যকর ব্যবস্থা নেয়া উচিত ছিল, কিন্তু প্রশাসন ব্যর্থ হয়েছে। তিনি গোপালগঞ্জের পুলিশ সুপারসহ দায়িত্বে নিয়োজিতদের ব্যাপারে তদন্তের দাবি জানিয়েছেন এবং তারা ইচ্ছাকৃতভাবে সহিংসতার সুযোগ করে দিলো কিনা, তা খতিয়ে দেখতে বলেছেন। রেজাউল করীম হামলাকারীদের আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসী বাহিনী উল্লেখ করে তাদের দ্রুত শাস্তির আওতায় আনার দাবি জানান। তিনি সরকারের সামগ্রিক ব্যর্থতার অংশ হিসেবে এ ধরনের দুঃসাহসকে বিচারহীনতার ফল বলে মন্তব্য করেন এবং সারাদেশে স্বৈরতন্ত্রের সঙ্গে জড়িত সবাইকে দ্রুত বিচারের আওতায় আনার দাবি জানান।
বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস:
বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মাওলানা জালালুদ্দীন আহমদ এই হামলাকে ‘ন্যক্কারজনক, নিন্দনীয় ও গণতন্ত্রবিরোধী’ বলে তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, এ ঘটনা প্রমাণ করে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির মারাত্মক অবনতি ঘটছে এবং সরকার ও প্রশাসনের দায়িত্বশীল, নিরপেক্ষ ও শক্তিশালী পদক্ষেপ গ্রহণ এখন সময়ের দাবি।?তিনি এই হামলাকে ‘ভারতপন্থি গোষ্ঠী’র নতুন করে অস্থিতিশীলতা তৈরির অপচেষ্টার অংশ বলে উল্লেখ করেন। তিনি হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনার দাবি জানান। মাওলানা জালালুদ্দীন আহমদ আহত পুলিশ সদস্যদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করেন এবং সব অশুভ ও ষড়যন্ত্রমূলক শক্তিকে কঠোরহস্তে দমনের আহ্বান জানান।
শাহবাগে অবরোধ :
গোপালগঞ্জে হামলার প্রতিবাদে বিকেলে রাজধানীর শাহবাগ মোড় অবরোধ করে এনসিপির নেতাকর্মীরা। এতে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। শাহবাগ থানার ওসি খালেদ মনসুর জানান, ঘণ্টাখানেক পর নেতাকর্মীরা সড়ক ছেড়ে যান। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সভাপতি রশিদুল ইসলাম ওরফে রিফাত সারা বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে ‘ব্লকেড’ কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়েছিলেন। শাহবাগের পাশাপাশি সায়েন্স ল্যাব মোড়, শনির আখড়ায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক, মিরপুর-১০, উত্তরার ৮ নম্বর সেক্টরের আজমপুর ও হাউজ বিল্ডিং মোড় আটকে বিক্ষোভ করেন এনসিপির নেতাকর্মীরা। বিক্ষোভকারীরা ‘হইহই রইরই, আওয়ামী লীগ গেলি কই; গোপালগঞ্জে হামলা কেন, প্রশাসন জবাব চাই’ ইত্যাদি স্লোগান দেন। এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম পরে ফেইসবুকে পোস্ট দিয়ে ‘ব্লকেড’ সরিয়ে রাস্তার একপাশে অবস্থান নিতে নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান। সন্ধ্যা ছয়টার দিকে অবরোধকারীরা শাহবাগ ছেড়ে যান। গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক আবদুল কাদের বলেন, সরকার গণঅভ্যুত্থানের আকাক্সক্ষা বাস্তবায়ন করতে পারেনি এবং পুলিশ নির্বিকার ভূমিকা পালন করছে। তিনি আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে হামলাকারীদের গ্রেপ্তার করা না হলে পুনরায় ‘ব্লকেড’ কর্মসূচি দেয়ার হুঁশিয়ারি দেন।
ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ
গোপালগঞ্জে হামলার প্রতিবাদে ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) শিক্ষার্থীরা।
বুধবার(১৬-০৭-২০২৫) বিকেল সাড়ে ৪টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকসংলগ্ন ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। ৫০ মিনিট পরে বিকেল ৫টা ২০ মিনিটে অবরোধ তুলে নেন তারা। শিক্ষার্থীদের অবরোধে মহাসড়কে উভয় লেনে যানজটের সৃষ্টি হয়। তবে যানজটে আটকাপড়া কয়েকটি রোগী বহনকারী গাড়ি ছেড়ে দেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। এর আগে, বিশ্ববিদ্যালয়ের মুরাদ চত্বর থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করেন শিক্ষার্থীরা। মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকটি সড়ক প্রদক্ষিণ করে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে এসে শেষ হয়।
বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ জাবি শাখার আহ্বায়ক আরিফুজ্জামান উজ্জ্বল বলেন, গোপালগঞ্জে জুলাইয়ের যোদ্ধাদের ওপর হামলা করেছে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা। হামলাকারীদের দ্রুত বিচার নিশ্চিত করার দাবি জানাই আমরা।
বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫
গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) পূর্বঘোষিত ‘মার্চ টু গোপালগঞ্জ’ কর্মসূচিতে হামলার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ, নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল। এই হামলার প্রতিবাদে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সড়ক অবরোধ কর্মসূচি পালন করেছে এনসিপিসহ রাজনৈতিক দলগুলোর নেতাকর্মীরা।
বিএনপি:
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই হামলাকে ‘ন্যক্কারজনক’ উল্লেখ করে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন । তিনি হামলাকারী দুষ্কৃতিকারীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। মির্জা ফখরুল বলেন, আওয়ামী স্বৈরাচারী শাসকগোষ্ঠীর পতনের পর দুষ্কৃতিকারীরা দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি ও নৈরাজ্যের মাধ্যমে ফায়দা হাসিলের অপতৎপরতায় লিপ্ত হয়েছে। তিনি এই ঘটনাকে সেই অপতৎপরতারই বহিঃপ্রকাশ বলে উল্লেখ করেন, যেখানে ককটেল বিস্ফোরণ, ইউএনওসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর গাড়িতে অগ্নিসংযোগ এবং পুলিশ সদস্যদের আহত করার মতো বর্বর ঘটনা ঘটেছে। তিনি আহত পুলিশ সদস্যদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করেন।
জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমান ‘গোপালগঞ্জে কী হচ্ছে’ শিরোনামে ফেইসবুকে একটি পোস্ট দিয়েছেন। তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, এনসিপি প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করে কর্মসূচি পালন করতে চাইলেও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কোনো উপস্থিতি মাঠে লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। তিনি সরকারকে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন, অন্যথায় ইতিহাসের সম্পূর্ণ দায় সরকারের ওপরই বর্তাবে বলে মন্তব্য করেন। তিনি জনগণকে উচ্ছৃঙ্খলতা থেকে বিরত থেকে শান্তিপ্রিয় ও ফ্যাসিবাদবিরোধী জনগণকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ:
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম গোপালগঞ্জের ঘটনাকে ‘লজ্জাজনক’ এবং ‘প্রশাসনের ব্যর্থতা’ বলে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেছেন, ফ্যাসিবাদীরা বিশৃঙ্খলা তৈরি করতে পারে, এটা অনুধাবন করে কার্যকর ব্যবস্থা নেয়া উচিত ছিল, কিন্তু প্রশাসন ব্যর্থ হয়েছে। তিনি গোপালগঞ্জের পুলিশ সুপারসহ দায়িত্বে নিয়োজিতদের ব্যাপারে তদন্তের দাবি জানিয়েছেন এবং তারা ইচ্ছাকৃতভাবে সহিংসতার সুযোগ করে দিলো কিনা, তা খতিয়ে দেখতে বলেছেন। রেজাউল করীম হামলাকারীদের আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসী বাহিনী উল্লেখ করে তাদের দ্রুত শাস্তির আওতায় আনার দাবি জানান। তিনি সরকারের সামগ্রিক ব্যর্থতার অংশ হিসেবে এ ধরনের দুঃসাহসকে বিচারহীনতার ফল বলে মন্তব্য করেন এবং সারাদেশে স্বৈরতন্ত্রের সঙ্গে জড়িত সবাইকে দ্রুত বিচারের আওতায় আনার দাবি জানান।
বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস:
বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মাওলানা জালালুদ্দীন আহমদ এই হামলাকে ‘ন্যক্কারজনক, নিন্দনীয় ও গণতন্ত্রবিরোধী’ বলে তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, এ ঘটনা প্রমাণ করে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির মারাত্মক অবনতি ঘটছে এবং সরকার ও প্রশাসনের দায়িত্বশীল, নিরপেক্ষ ও শক্তিশালী পদক্ষেপ গ্রহণ এখন সময়ের দাবি।?তিনি এই হামলাকে ‘ভারতপন্থি গোষ্ঠী’র নতুন করে অস্থিতিশীলতা তৈরির অপচেষ্টার অংশ বলে উল্লেখ করেন। তিনি হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনার দাবি জানান। মাওলানা জালালুদ্দীন আহমদ আহত পুলিশ সদস্যদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করেন এবং সব অশুভ ও ষড়যন্ত্রমূলক শক্তিকে কঠোরহস্তে দমনের আহ্বান জানান।
শাহবাগে অবরোধ :
গোপালগঞ্জে হামলার প্রতিবাদে বিকেলে রাজধানীর শাহবাগ মোড় অবরোধ করে এনসিপির নেতাকর্মীরা। এতে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। শাহবাগ থানার ওসি খালেদ মনসুর জানান, ঘণ্টাখানেক পর নেতাকর্মীরা সড়ক ছেড়ে যান। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সভাপতি রশিদুল ইসলাম ওরফে রিফাত সারা বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে ‘ব্লকেড’ কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়েছিলেন। শাহবাগের পাশাপাশি সায়েন্স ল্যাব মোড়, শনির আখড়ায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক, মিরপুর-১০, উত্তরার ৮ নম্বর সেক্টরের আজমপুর ও হাউজ বিল্ডিং মোড় আটকে বিক্ষোভ করেন এনসিপির নেতাকর্মীরা। বিক্ষোভকারীরা ‘হইহই রইরই, আওয়ামী লীগ গেলি কই; গোপালগঞ্জে হামলা কেন, প্রশাসন জবাব চাই’ ইত্যাদি স্লোগান দেন। এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম পরে ফেইসবুকে পোস্ট দিয়ে ‘ব্লকেড’ সরিয়ে রাস্তার একপাশে অবস্থান নিতে নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান। সন্ধ্যা ছয়টার দিকে অবরোধকারীরা শাহবাগ ছেড়ে যান। গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক আবদুল কাদের বলেন, সরকার গণঅভ্যুত্থানের আকাক্সক্ষা বাস্তবায়ন করতে পারেনি এবং পুলিশ নির্বিকার ভূমিকা পালন করছে। তিনি আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে হামলাকারীদের গ্রেপ্তার করা না হলে পুনরায় ‘ব্লকেড’ কর্মসূচি দেয়ার হুঁশিয়ারি দেন।
ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ
গোপালগঞ্জে হামলার প্রতিবাদে ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) শিক্ষার্থীরা।
বুধবার(১৬-০৭-২০২৫) বিকেল সাড়ে ৪টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকসংলগ্ন ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। ৫০ মিনিট পরে বিকেল ৫টা ২০ মিনিটে অবরোধ তুলে নেন তারা। শিক্ষার্থীদের অবরোধে মহাসড়কে উভয় লেনে যানজটের সৃষ্টি হয়। তবে যানজটে আটকাপড়া কয়েকটি রোগী বহনকারী গাড়ি ছেড়ে দেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। এর আগে, বিশ্ববিদ্যালয়ের মুরাদ চত্বর থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করেন শিক্ষার্থীরা। মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকটি সড়ক প্রদক্ষিণ করে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে এসে শেষ হয়।
বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ জাবি শাখার আহ্বায়ক আরিফুজ্জামান উজ্জ্বল বলেন, গোপালগঞ্জে জুলাইয়ের যোদ্ধাদের ওপর হামলা করেছে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা। হামলাকারীদের দ্রুত বিচার নিশ্চিত করার দাবি জানাই আমরা।