ঢাকার সূত্রাপুরের কাগজিটোলার এক বাসায় ‘গ্যাসের আগুনে’ দগ্ধ পাঁচজনের মধ্যে ছোট বোনটির পর দুই ভাইও মারা গেল। জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগের আবাসিক চিকিৎসক শাওন বিন রহমান বলেন, গতকাল মঙ্গলবার রাত পৌনে ৩টায় মারা যায় ১২ বছরের তরুণ রোকন। তার শরীরের ৬০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল, পাশাপাশি শ্বাসনালিও পুড়ে গিয়েছিল। এরপর বুধবার(১৬-০৭-২০২৫) সকাল সোয়া ৮টার দিকে মারা যায় রোকনের ভাই তামিম (১৬)। তার শরীরের ৪২ শতাংশ পুড়েছিল আগুনে।
তাদের দেড় বছর বয়সী বোন আয়েশা আক্তার গত সোমবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে মারা যায়। তার শরীরের পোড়ার মাত্রা ছিল ৬৩ শতাংশ। এই তিন ভাই-বোনের বাবা রিপন (৩৫) এবং মা মোছা. চাঁদনী (৩২) এখনও বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন। শাওন বলেন, রিপনের শরীরের ৬০ শতাংশ, চাঁদনীর ৪৫ শতাংশ পুড়ে গেছে। তাদের অবস্থাও আশঙ্কাজনক।
পেশায় ভ্যানচালক রিপনের গ্রামের বাড়ি পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালি থানাধীন জুগির হাওলা এলাকায়। পরিবার নিয়ে তিনি ঢাকার কাগজিটোলা দেবেন্দ্র দাস লেনের ৩২/১ নম্বর ৫ তলা ভবনের নিচ তলার বাসায় ভাড়া থাকতেন। গত ১০ জুলাই রাত ২টার দিকে ওই বাসায় হঠাৎ বিস্ফোরণের পর আগুন ধরে যায়। পরে পাঁচজনকে দগ্ধ অবস্থায় জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নিয়ে যাওয়া হয়।
রিপনের মামা জাকির হোসেন জানিয়েছেন, রাতে যখন সবাই ঘুমিয়ে ছিল, সে সময় হঠাৎ করেই বাসায় বিস্ফোরণ হয়। আগুনে বাসার আসবাবপত্রও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পরে আশপাশের ভাড়াটিয়ারা রিপনদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। তার ধারণা, ‘লিকেজ’ থেকে গ্যাস জমে রিপনের বাসায় ওই বিস্ফোরণ ঘটে থাকতে পারে। সূত্রাপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মাহমুদ হাসান নাঈম বলেন, ‘জমে থাকা গ্যাসের সঙ্গে মশার কয়েল অথবা সিগারেটের আগুন থেকে এই ঘটনা ঘটতে পারে।’
বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫
ঢাকার সূত্রাপুরের কাগজিটোলার এক বাসায় ‘গ্যাসের আগুনে’ দগ্ধ পাঁচজনের মধ্যে ছোট বোনটির পর দুই ভাইও মারা গেল। জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগের আবাসিক চিকিৎসক শাওন বিন রহমান বলেন, গতকাল মঙ্গলবার রাত পৌনে ৩টায় মারা যায় ১২ বছরের তরুণ রোকন। তার শরীরের ৬০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল, পাশাপাশি শ্বাসনালিও পুড়ে গিয়েছিল। এরপর বুধবার(১৬-০৭-২০২৫) সকাল সোয়া ৮টার দিকে মারা যায় রোকনের ভাই তামিম (১৬)। তার শরীরের ৪২ শতাংশ পুড়েছিল আগুনে।
তাদের দেড় বছর বয়সী বোন আয়েশা আক্তার গত সোমবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে মারা যায়। তার শরীরের পোড়ার মাত্রা ছিল ৬৩ শতাংশ। এই তিন ভাই-বোনের বাবা রিপন (৩৫) এবং মা মোছা. চাঁদনী (৩২) এখনও বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন। শাওন বলেন, রিপনের শরীরের ৬০ শতাংশ, চাঁদনীর ৪৫ শতাংশ পুড়ে গেছে। তাদের অবস্থাও আশঙ্কাজনক।
পেশায় ভ্যানচালক রিপনের গ্রামের বাড়ি পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালি থানাধীন জুগির হাওলা এলাকায়। পরিবার নিয়ে তিনি ঢাকার কাগজিটোলা দেবেন্দ্র দাস লেনের ৩২/১ নম্বর ৫ তলা ভবনের নিচ তলার বাসায় ভাড়া থাকতেন। গত ১০ জুলাই রাত ২টার দিকে ওই বাসায় হঠাৎ বিস্ফোরণের পর আগুন ধরে যায়। পরে পাঁচজনকে দগ্ধ অবস্থায় জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নিয়ে যাওয়া হয়।
রিপনের মামা জাকির হোসেন জানিয়েছেন, রাতে যখন সবাই ঘুমিয়ে ছিল, সে সময় হঠাৎ করেই বাসায় বিস্ফোরণ হয়। আগুনে বাসার আসবাবপত্রও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পরে আশপাশের ভাড়াটিয়ারা রিপনদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। তার ধারণা, ‘লিকেজ’ থেকে গ্যাস জমে রিপনের বাসায় ওই বিস্ফোরণ ঘটে থাকতে পারে। সূত্রাপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মাহমুদ হাসান নাঈম বলেন, ‘জমে থাকা গ্যাসের সঙ্গে মশার কয়েল অথবা সিগারেটের আগুন থেকে এই ঘটনা ঘটতে পারে।’