চিত্রশিল্পী ও খ্যাতিমান ভাস্কর হামিদুজ্জামান খান শারীরিক জটিলতা নিয়ে ঢাকার ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। তিন দিন ধরে তিনি ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন বলে জানিয়েছেন তার স্ত্রী আইভি জামান।
তিনি জানান, হামিদুজ্জামান খান ডেঙ্গু ও নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন। তবে হার্ট ও কিডনি ভালো রয়েছে। নিউমোনিয়া কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এলেই আইসিইউ থেকে তাকে সাধারণ বেডে স্থানান্তরের সম্ভাবনা রয়েছে। চিকিৎসকদের পরামর্শে আইসিইউর বাইরে থেকেই পরিবারের সদস্যরা অপেক্ষা করছেন।
বৃহস্পতিবার একটি মেডিকেল বোর্ড তার শারীরিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ করেছে বলে জানিয়েছেন আইভি জামান।
ভাস্কর্যের পাশাপাশি জলরঙ, তেলরঙ, অ্যাক্রিলিক ও স্কেচে সমান দক্ষতা দেখিয়েছেন হামিদুজ্জামান খান। ১৯৪৬ সালের ১৬ মার্চ কিশোরগঞ্জের সহশ্রাম গ্রামে জন্ম নেওয়া এই শিল্পী ১৯৬৭ সালে তৎকালীন বাংলাদেশ কলেজ অব আর্টস অ্যান্ড ক্রাফটস (বর্তমানে চারুকলা অনুষদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়) থেকে চারুকলায় স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন। ১৯৭০ সালে শিক্ষকতা শুরু করেন এই প্রতিষ্ঠানেই।
তার অধিকাংশ ভাস্কর্যই মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক। উল্লেখযোগ্য ভাস্কর্যগুলোর মধ্যে রয়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ সার কারখানায় ‘জাগ্রত বাংলা’, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘সংশপ্তক’, ঢাকা সেনানিবাসে ‘বিজয় কেতন’, মতিঝিলে বাংলাদেশ ব্যাংক ভবনে ‘ইউনিটি’, কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে ‘ফ্রিডম’, উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘স্বাধীনতা চিরন্তন’, সরকারি কর্মকমিশন প্রাঙ্গণে ‘মৃত্যুঞ্জয়ী’, এবং মাদারীপুরে ‘এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম’।
এ পর্যন্ত তার ৪৭টি একক প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২০০৬ সালে হামিদুজ্জামান খান একুশে পদকে ভূষিত হন। ২০২২ সালে তিনি বাংলা একাডেমির ফেলো নির্বাচিত হন।
বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই ২০২৫
চিত্রশিল্পী ও খ্যাতিমান ভাস্কর হামিদুজ্জামান খান শারীরিক জটিলতা নিয়ে ঢাকার ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। তিন দিন ধরে তিনি ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন বলে জানিয়েছেন তার স্ত্রী আইভি জামান।
তিনি জানান, হামিদুজ্জামান খান ডেঙ্গু ও নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন। তবে হার্ট ও কিডনি ভালো রয়েছে। নিউমোনিয়া কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এলেই আইসিইউ থেকে তাকে সাধারণ বেডে স্থানান্তরের সম্ভাবনা রয়েছে। চিকিৎসকদের পরামর্শে আইসিইউর বাইরে থেকেই পরিবারের সদস্যরা অপেক্ষা করছেন।
বৃহস্পতিবার একটি মেডিকেল বোর্ড তার শারীরিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ করেছে বলে জানিয়েছেন আইভি জামান।
ভাস্কর্যের পাশাপাশি জলরঙ, তেলরঙ, অ্যাক্রিলিক ও স্কেচে সমান দক্ষতা দেখিয়েছেন হামিদুজ্জামান খান। ১৯৪৬ সালের ১৬ মার্চ কিশোরগঞ্জের সহশ্রাম গ্রামে জন্ম নেওয়া এই শিল্পী ১৯৬৭ সালে তৎকালীন বাংলাদেশ কলেজ অব আর্টস অ্যান্ড ক্রাফটস (বর্তমানে চারুকলা অনুষদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়) থেকে চারুকলায় স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন। ১৯৭০ সালে শিক্ষকতা শুরু করেন এই প্রতিষ্ঠানেই।
তার অধিকাংশ ভাস্কর্যই মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক। উল্লেখযোগ্য ভাস্কর্যগুলোর মধ্যে রয়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ সার কারখানায় ‘জাগ্রত বাংলা’, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘সংশপ্তক’, ঢাকা সেনানিবাসে ‘বিজয় কেতন’, মতিঝিলে বাংলাদেশ ব্যাংক ভবনে ‘ইউনিটি’, কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে ‘ফ্রিডম’, উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘স্বাধীনতা চিরন্তন’, সরকারি কর্মকমিশন প্রাঙ্গণে ‘মৃত্যুঞ্জয়ী’, এবং মাদারীপুরে ‘এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম’।
এ পর্যন্ত তার ৪৭টি একক প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২০০৬ সালে হামিদুজ্জামান খান একুশে পদকে ভূষিত হন। ২০২২ সালে তিনি বাংলা একাডেমির ফেলো নির্বাচিত হন।