আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ব্যাহত করার উদ্দেশে একটি মহল পরিকল্পিতভাবে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। দলটি সম্প্রতি গোপালগঞ্জে রাজনৈতিক সমাবেশে হামলা এবং মিটফোর্ডের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে এবং এসব ঘটনাকে গণতন্ত্রে উত্তরণের পথ বাধাগ্রস্ত করার ষড়যন্ত্র হিসেবে দেখছে।
গতকাল বুধবার রাত সাড়ে আটটার দিকে রাজধানী ঢাকার গুলশানে বিএনপির কার্যালয়ে দলের স্থায়ী কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভা শেষে বৃহস্পতিবার,(১৭ জুলাই ২০২৫) গণমাধ্যমে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে এসব বিষয়ে সভায় আলোচনা হয়েছে বলে জানায় বিএনপি। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ স্থায়ী কমিটির অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় গৃহীত সিদ্ধান্তে বলা হয়, ‘গণতন্ত্রে উত্তরণের পথকে বাধাগ্রস্ত করতে এবং আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে প্রতিশ্রুত জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ব্যাহত করতে একটি মহল পরিকল্পিতভাবে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটাচ্ছে। ফলে মবক্রেসি, হত্যা, ছিনতাই, ডাকাতি, চাঁদাবাজি ইত্যাদি অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড বৃদ্ধি পাচ্ছে।’ এ ব্যাপারে সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলোর যোগ্যতা ও নির্লিপ্ততা পরিস্থিতিকে আরও খারাপের দিকে নিয়ে যাচ্ছে বলে দলটি মনে করে। বিবৃতিতে দায়িত্বপ্রাপ্ত উপদেষ্টাদের ভূমিকার সমালোচনা করে বলা হয়, তারা গণমাধ্যমে শুধু কথাই বলছেন কিন্তু কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হচ্ছেন।
গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সভায় হামলার ঘটনায় চারজন নিহত হওয়ার ঘটনায় গভীর নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করে বিএনপি। দলটি অভিযোগ করে বলেছে, ‘পতিত ফ্যাসিস্ট হাসিনা সমর্থকেরা পরিকল্পিতভাবে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে নস্যাৎ করার জন্য ফ্যাসিস্ট বিরোধী আন্দোলনে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালনকারী জাতীয় নাগরিক পার্টির সমাবেশে আক্রমণের ঘটনা ঘটায়।’
পাশাপাশি সম্প্রতি সংঘটিত মিটফোর্ডের হত্যাকাণ্ডে বিএনপিকে জড়ানোর চেষ্টার তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান, বীর উত্তম, বিএনপি চেয়ারপারসন, গণতন্ত্রের আপোষহীন নেত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া এবং ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলনের তরুণ জনপ্রিয় নেতা জনাব তারেক রহমান সম্পর্কে রাজনৈতিক শিষ্টাচার বিবর্জিত যে সব অশ্লীল বক্তব্য ও শ্লোগান দেয়া হয়েছে তা গোটা জাতিকে বিক্ষুব্ধ করেছে।’ বিএনপি মনে করে, এ ধরনের কর্মকাণ্ড রাজনৈতিক পরিবেশ বিনষ্ট করার পাশাপাশি গণতন্ত্র ও নির্বাচনের প্রক্রিয়াকে ব্যাহত করবে।
সভা থেকে সব রাজনৈতিক দলকে পারস্পরিক মর্যাদা ও সৌহার্দ্যের বিষয়টিকে প্রাধান্য দেয়ার আহ্বান জানানো হয় এবং মিটফোর্ডসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সংঘটিত হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত অপরাধীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার জন্য সরকারের প্রতি জোর দাবি জানানো হয়।
সভায় দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, সালাহউদ্দিন আহমদ, নজরুল ইসলাম খান, সেলিমা রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই ২০২৫
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ব্যাহত করার উদ্দেশে একটি মহল পরিকল্পিতভাবে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। দলটি সম্প্রতি গোপালগঞ্জে রাজনৈতিক সমাবেশে হামলা এবং মিটফোর্ডের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে এবং এসব ঘটনাকে গণতন্ত্রে উত্তরণের পথ বাধাগ্রস্ত করার ষড়যন্ত্র হিসেবে দেখছে।
গতকাল বুধবার রাত সাড়ে আটটার দিকে রাজধানী ঢাকার গুলশানে বিএনপির কার্যালয়ে দলের স্থায়ী কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভা শেষে বৃহস্পতিবার,(১৭ জুলাই ২০২৫) গণমাধ্যমে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে এসব বিষয়ে সভায় আলোচনা হয়েছে বলে জানায় বিএনপি। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ স্থায়ী কমিটির অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় গৃহীত সিদ্ধান্তে বলা হয়, ‘গণতন্ত্রে উত্তরণের পথকে বাধাগ্রস্ত করতে এবং আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে প্রতিশ্রুত জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ব্যাহত করতে একটি মহল পরিকল্পিতভাবে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটাচ্ছে। ফলে মবক্রেসি, হত্যা, ছিনতাই, ডাকাতি, চাঁদাবাজি ইত্যাদি অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড বৃদ্ধি পাচ্ছে।’ এ ব্যাপারে সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলোর যোগ্যতা ও নির্লিপ্ততা পরিস্থিতিকে আরও খারাপের দিকে নিয়ে যাচ্ছে বলে দলটি মনে করে। বিবৃতিতে দায়িত্বপ্রাপ্ত উপদেষ্টাদের ভূমিকার সমালোচনা করে বলা হয়, তারা গণমাধ্যমে শুধু কথাই বলছেন কিন্তু কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হচ্ছেন।
গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সভায় হামলার ঘটনায় চারজন নিহত হওয়ার ঘটনায় গভীর নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করে বিএনপি। দলটি অভিযোগ করে বলেছে, ‘পতিত ফ্যাসিস্ট হাসিনা সমর্থকেরা পরিকল্পিতভাবে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে নস্যাৎ করার জন্য ফ্যাসিস্ট বিরোধী আন্দোলনে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালনকারী জাতীয় নাগরিক পার্টির সমাবেশে আক্রমণের ঘটনা ঘটায়।’
পাশাপাশি সম্প্রতি সংঘটিত মিটফোর্ডের হত্যাকাণ্ডে বিএনপিকে জড়ানোর চেষ্টার তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান, বীর উত্তম, বিএনপি চেয়ারপারসন, গণতন্ত্রের আপোষহীন নেত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া এবং ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলনের তরুণ জনপ্রিয় নেতা জনাব তারেক রহমান সম্পর্কে রাজনৈতিক শিষ্টাচার বিবর্জিত যে সব অশ্লীল বক্তব্য ও শ্লোগান দেয়া হয়েছে তা গোটা জাতিকে বিক্ষুব্ধ করেছে।’ বিএনপি মনে করে, এ ধরনের কর্মকাণ্ড রাজনৈতিক পরিবেশ বিনষ্ট করার পাশাপাশি গণতন্ত্র ও নির্বাচনের প্রক্রিয়াকে ব্যাহত করবে।
সভা থেকে সব রাজনৈতিক দলকে পারস্পরিক মর্যাদা ও সৌহার্দ্যের বিষয়টিকে প্রাধান্য দেয়ার আহ্বান জানানো হয় এবং মিটফোর্ডসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সংঘটিত হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত অপরাধীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার জন্য সরকারের প্রতি জোর দাবি জানানো হয়।
সভায় দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, সালাহউদ্দিন আহমদ, নজরুল ইসলাম খান, সেলিমা রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।