রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোতে মৌলিক সংস্কার ছাড়া আগামী জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে দেশে আবারও ‘ফ্যাসিবাদের’ উত্থান হবে বলে মন্তব্য করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। দলটি সাত দফা দাবিতে আগামীকাল রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জাতীয় সমাবেশের ঘোষণা দিয়েছে।
বৃহস্পতিবার,(১৭ জুলাই ২০২৫) জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান দলটির সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার। আসন্ন সমাবেশ উপলক্ষে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘জামায়াত মনে করে, সংস্কার ছাড়া আগামী জাতীয় নির্বাচন হলে পুনরায় ফ্যাসিবাদের উত্থান হবে। তাই কোনো ষড়যন্ত্র যাতে সংস্কারকে বিঘ্নিত করতে না পারে, সেটা নিশ্চিত করা প্রয়োজন।’
সংবাদ সম্মেলনে জামায়াতের পক্ষ থেকে সাত দফা দাবি তুলে ধরা হয়। দাবিগুলো হলো নির্বাচনে ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড’ নিশ্চিত করা, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সংঘটিত গণহত্যার বিচার, রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মৌলিক সংস্কার, প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতির ক্ষমতার ভারসাম্য, জুলাই আন্দোলনে আহতদের চিকিৎসা, আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (পিআর) পদ্ধতিতে নির্বাচন, প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করা এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়ন।
সমাবেশের কারণে নগরবাসীর সম্ভাব্য দুর্ভোগের জন্য আগাম ক্ষমা প্রার্থনা করে দলটি। মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘এই সমাবেশ হয়তো নগরজীবনে কিছুটা দুর্ভোগ ও যানজট সৃষ্টি করতে পারে। আমরা জামায়াতের পক্ষ থেকে দেশবাসী ও নগরবাসীর কাছে অগ্রিম বিনয়ের সঙ্গে ক্ষমা প্রার্থনা করছি।’
মানুষের দুর্ভোগের কথা চিন্তা করেই ব্যয়বহুল হওয়া সত্ত্বেও কোনো সড়কে সমাবেশ না করে মাঠে করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানান মিয়া গোলাম পরওয়ার। সমাবেশের প্রস্তুতি সম্পর্কে জানানো হয়, সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার জন্য ছয় হাজার স্বেচ্ছাসেবক কাজ করবেন। এছাড়া সমাবেশস্থলে ১৫টি মেডিকেল বুথ এবং গাড়ি পার্কিংয়ের জন্য ১৫টি স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে।
আগামীকাল দুপুর দুইটায় মূল সমাবেশ শুরু হলেও সকাল দশটা থেকে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান চলবে। সমাবেশে বিভিন্ন ইসলামী ও রাজনৈতিক দলের নেতা, জুলাই আন্দোলনে শহীদ পরিবারের সদস্য এবং আহত ব্যক্তিরা উপস্থিত থাকবেন বলে জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদ, রফিকুল ইসলাম খান, এ কে এম মাসুম, আবদুল হালিম, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আমির নুরুল ইসলাম বুলবুল এবং উত্তরের আমির মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিনসহ অন্য নেতারা।
বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই ২০২৫
রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোতে মৌলিক সংস্কার ছাড়া আগামী জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে দেশে আবারও ‘ফ্যাসিবাদের’ উত্থান হবে বলে মন্তব্য করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। দলটি সাত দফা দাবিতে আগামীকাল রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জাতীয় সমাবেশের ঘোষণা দিয়েছে।
বৃহস্পতিবার,(১৭ জুলাই ২০২৫) জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান দলটির সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার। আসন্ন সমাবেশ উপলক্ষে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘জামায়াত মনে করে, সংস্কার ছাড়া আগামী জাতীয় নির্বাচন হলে পুনরায় ফ্যাসিবাদের উত্থান হবে। তাই কোনো ষড়যন্ত্র যাতে সংস্কারকে বিঘ্নিত করতে না পারে, সেটা নিশ্চিত করা প্রয়োজন।’
সংবাদ সম্মেলনে জামায়াতের পক্ষ থেকে সাত দফা দাবি তুলে ধরা হয়। দাবিগুলো হলো নির্বাচনে ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড’ নিশ্চিত করা, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সংঘটিত গণহত্যার বিচার, রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মৌলিক সংস্কার, প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতির ক্ষমতার ভারসাম্য, জুলাই আন্দোলনে আহতদের চিকিৎসা, আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (পিআর) পদ্ধতিতে নির্বাচন, প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করা এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়ন।
সমাবেশের কারণে নগরবাসীর সম্ভাব্য দুর্ভোগের জন্য আগাম ক্ষমা প্রার্থনা করে দলটি। মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘এই সমাবেশ হয়তো নগরজীবনে কিছুটা দুর্ভোগ ও যানজট সৃষ্টি করতে পারে। আমরা জামায়াতের পক্ষ থেকে দেশবাসী ও নগরবাসীর কাছে অগ্রিম বিনয়ের সঙ্গে ক্ষমা প্রার্থনা করছি।’
মানুষের দুর্ভোগের কথা চিন্তা করেই ব্যয়বহুল হওয়া সত্ত্বেও কোনো সড়কে সমাবেশ না করে মাঠে করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানান মিয়া গোলাম পরওয়ার। সমাবেশের প্রস্তুতি সম্পর্কে জানানো হয়, সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার জন্য ছয় হাজার স্বেচ্ছাসেবক কাজ করবেন। এছাড়া সমাবেশস্থলে ১৫টি মেডিকেল বুথ এবং গাড়ি পার্কিংয়ের জন্য ১৫টি স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে।
আগামীকাল দুপুর দুইটায় মূল সমাবেশ শুরু হলেও সকাল দশটা থেকে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান চলবে। সমাবেশে বিভিন্ন ইসলামী ও রাজনৈতিক দলের নেতা, জুলাই আন্দোলনে শহীদ পরিবারের সদস্য এবং আহত ব্যক্তিরা উপস্থিত থাকবেন বলে জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদ, রফিকুল ইসলাম খান, এ কে এম মাসুম, আবদুল হালিম, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আমির নুরুল ইসলাম বুলবুল এবং উত্তরের আমির মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিনসহ অন্য নেতারা।