ময়মনসিংহ শহরের একটি পুরোনো ভবন ভাঙা নিয়ে সম্প্রতি বিতর্ক তৈরি হলেও সেটির সঙ্গে কিংবদন্তি চলচ্চিত্র নির্মাতা সত্যজিৎ রায়ের পূর্বপুরুষদের কোনো সম্পর্ক নেই বলে জানিয়েছে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, এটি সত্যজিৎ রায়ের পিতামহ উপেন্দ্রকিশোর রায় চৌধুরীর বাড়ি—এমন খবর বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রচার হলেও, আর্কাইভের রেকর্ড পর্যালোচনায় জানা গেছে, বাড়িটির সঙ্গে রায় পরিবারের কোনো যোগসূত্র নেই।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জমিদার শশীকান্ত আচার্য চৌধুরী এই ভবনটি নির্মাণ করেছিলেন তার কর্মচারীদের থাকার জন্য। পরবর্তীতে জমিদারি প্রথা বিলুপ্ত হলে এটি সরকারের হাতে চলে আসে এবং বাংলাদেশ শিশু একাডেমির জেলা কার্যালয় হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। তবে ২০১০ সালের পর থেকে ভবনটি ব্যবহার করা হয়নি এবং তা পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে ছিল।
স্থানীয় সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ও গবেষকদের বক্তব্যও বিজ্ঞপ্তিতে তুলে ধরা হয়। লেখক কাঙাল শাহীন, অধ্যাপক বিমল কান্তি দে ও কবি ফরিদ আহমেদ দুলালসহ একাধিক ব্যক্তি একে রায় পরিবারের বাড়ি নয় বলে নিশ্চিত করেছেন। প্রত্নতাত্ত্বিক গবেষক স্বপন ধরও একই কথা বলেছেন।
ভবনটি ভাঙার পক্ষে স্থানীয় নাগরিক ও বিশিষ্টজনেরা মত দিয়েছেন বলেও জানানো হয় সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে। তারা শিশুদের উপকারে সেখানে দ্রুত নতুন ভবন নির্মাণের আহ্বান জানান।
এদিকে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্প্রতি ওই বাড়ি সংরক্ষণের প্রস্তাব দিলেও বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, যেহেতু এটি কোনো ঐতিহাসিক ভবন নয় এবং রায় পরিবারের সঙ্গে এর সম্পর্কও প্রমাণিত নয়, তাই বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানো থেকে বিরত থাকার জন্য সবাইকে আহ্বান জানানো হচ্ছে।
উল্লেখ্য, ময়মনসিংহ শহরের হরিকিশোর রায় সড়কে অবস্থিত একতলা ভবনটি ভাঙা শুরুর পর তা নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে সমালোচনার ঝড় ওঠে। তবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, হরিকিশোর রায় সড়কে রায় পরিবারের একটি বাড়ি ছিল, যা বহু আগে বিক্রি হয়ে যায় এবং সেখানে বর্তমানে বহুতল ভবন নির্মিত হয়েছে।
শুক্রবার, ১৮ জুলাই ২০২৫
ময়মনসিংহ শহরের একটি পুরোনো ভবন ভাঙা নিয়ে সম্প্রতি বিতর্ক তৈরি হলেও সেটির সঙ্গে কিংবদন্তি চলচ্চিত্র নির্মাতা সত্যজিৎ রায়ের পূর্বপুরুষদের কোনো সম্পর্ক নেই বলে জানিয়েছে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, এটি সত্যজিৎ রায়ের পিতামহ উপেন্দ্রকিশোর রায় চৌধুরীর বাড়ি—এমন খবর বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রচার হলেও, আর্কাইভের রেকর্ড পর্যালোচনায় জানা গেছে, বাড়িটির সঙ্গে রায় পরিবারের কোনো যোগসূত্র নেই।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জমিদার শশীকান্ত আচার্য চৌধুরী এই ভবনটি নির্মাণ করেছিলেন তার কর্মচারীদের থাকার জন্য। পরবর্তীতে জমিদারি প্রথা বিলুপ্ত হলে এটি সরকারের হাতে চলে আসে এবং বাংলাদেশ শিশু একাডেমির জেলা কার্যালয় হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। তবে ২০১০ সালের পর থেকে ভবনটি ব্যবহার করা হয়নি এবং তা পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে ছিল।
স্থানীয় সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ও গবেষকদের বক্তব্যও বিজ্ঞপ্তিতে তুলে ধরা হয়। লেখক কাঙাল শাহীন, অধ্যাপক বিমল কান্তি দে ও কবি ফরিদ আহমেদ দুলালসহ একাধিক ব্যক্তি একে রায় পরিবারের বাড়ি নয় বলে নিশ্চিত করেছেন। প্রত্নতাত্ত্বিক গবেষক স্বপন ধরও একই কথা বলেছেন।
ভবনটি ভাঙার পক্ষে স্থানীয় নাগরিক ও বিশিষ্টজনেরা মত দিয়েছেন বলেও জানানো হয় সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে। তারা শিশুদের উপকারে সেখানে দ্রুত নতুন ভবন নির্মাণের আহ্বান জানান।
এদিকে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্প্রতি ওই বাড়ি সংরক্ষণের প্রস্তাব দিলেও বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, যেহেতু এটি কোনো ঐতিহাসিক ভবন নয় এবং রায় পরিবারের সঙ্গে এর সম্পর্কও প্রমাণিত নয়, তাই বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানো থেকে বিরত থাকার জন্য সবাইকে আহ্বান জানানো হচ্ছে।
উল্লেখ্য, ময়মনসিংহ শহরের হরিকিশোর রায় সড়কে অবস্থিত একতলা ভবনটি ভাঙা শুরুর পর তা নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে সমালোচনার ঝড় ওঠে। তবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, হরিকিশোর রায় সড়কে রায় পরিবারের একটি বাড়ি ছিল, যা বহু আগে বিক্রি হয়ে যায় এবং সেখানে বর্তমানে বহুতল ভবন নির্মিত হয়েছে।