জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশন বাংলাদেশে নতুন মিশন খোলার সব জটিলতা শেষ হয়েছে। জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাই কমিশনেরের কার্যালয়ের (ওএইচসিএইচআর) সঙ্গে সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই করেছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। এখন থেকে যে কোনো সময় ঢাকায় জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের নতুন মিশন চালু হবে।
তবে কূটনীতিকরা বলছেন, ঢাকায় জাতিসংঘের মানবাধিকার অফিস খোলার পর এখানে কোনো ধরনের মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটলে তা বিশ্বব্যাপী ব্যাপক প্রচার পাবে এবং বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে আরও বেশি প্রশ্ন উঠবে। এ ব্যাপারে সতর্কতা প্রয়োজন বলে তারা মনে করেন।
অন্যদিকে ঢাকায় মানবাধিকার অফিস খোলার বিষয়টি বাংলাদেশের ইসলাম ধর্মীয় আদর্শ নিয়ে রাজনীতি করে এমন দলগুলো নেতারাও চরম প্রতিবাদ তোলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানা গেছে।
গত বছর ৫ আগস্টে ব্যাপক গণআন্দোলনের মুখে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের মধ্য দিয়ে মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়। এর পরই গণআন্দোলনের সময় ব্যাপক মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা নিয়ে তীব্র প্রতিবাদ এবং বিচারের দাবি ওঠে। এ প্রেক্ষাপটে অন্তর্বর্তী সরকার জাতিসংঘের মাধ্যমে মানবাধিকার লঙ্ঘনের সেসব ঘটনার তথ্য সংগ্রহের জন্য অনুরোধ করা হয়। জাতিসংঘের একটি তথ্যানুসন্ধানী টিম ঢাকায় এসে ব্যাপক অনুসন্ধান চালিয়ে একটি প্রতিবেদন দেয়। এরপর ঢাকায় মানবাধিকার অফিস খোলার বিষয়টি সামনে আসে এবং নানাভাবে আলোচনার পর ঢাকায় মানবাধিকার অফিস খোলার ব্যাপারে একটি সিদ্ধান্তে এসেছে সরকার।
বাংলাদেশে নতুন মিশন খোলার বিষয়টি নিয়ে শুক্রবার,(১৮ জুলাই ২০২৫) ওএইচসিএইচআরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশে মানবাধিকারের ‘উন্নয়ন ও সুরক্ষার’ বিষয়কে সমর্থন দিতে খোলা হবে এই কার্যালয়। জাতিসংঘের মানবাধিকার হাইকমিশনার ফলকার টুর্ক এবং পররাষ্ট্র সচিব আসাদ আলম সিয়াম এ সমঝোতা চুক্তিতে সই করেন।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত বছরের আগস্টের পর থেকে বাংলাদেশের সঙ্গে জাতিসংঘ মানবাধিকার কার্যালয়ের সম্পৃক্ততা বেড়েছে। মানবাধিকারবিষয়ক সংস্কার এগিয়ে নিতে মানবাধিকার কার্যালয় বিভিন্ন অংশীজনের সঙ্গে কাজ করছে এবং গণবিক্ষোভে রক্তক্ষয়ী নির্যাতনের বিষয়ে বিস্তারিত তথ্যানুসন্ধান করেছে।
ফলকার টুর্ক বলেন, বাংলাদেশের পটপরিবর্তনের এই সময়ে মানবাধিকার সুরক্ষার প্রতিশ্রুতি যে ‘অন্যতম ভিত্তি’ হিসেবে রয়েছে, সেই গুরুত্বপূর্ণ বার্তা পাঠাচ্ছে এই সমঝোতা স্মারক।
তিনি বলেন, ‘তথ্যানুসন্ধানের সুপারিশ বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে সহায়তা যাতে আরও ভালোভাবে দেয়া যায়, সেক্ষেত্রে ভূমিকা রাখবে এই এমওইউ। পাশাপাশি মৌলিক সংস্কারের উদ্যোগগুলোর ক্ষেত্রে আমাদের অভিজ্ঞতা ও সহায়তা নিয়ে বাংলাদেশ সরকার, নাগরিক সমাজ এবং অন্য বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে সরাসরি আমাদের অভিজ্ঞতা বিনিময় করতে পারব।’
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নতুন এ মিশন বাংলাদেশের জাতীয় ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার প্রতিশ্রুতি পূরণের লক্ষ্যে বিভিন্ন ক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষকে প্রশিক্ষণ ও কারিগরি সহায়তা দেবে। পাশাপাশি সরকারি প্রতিষ্ঠান ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য কাজ করবে।
ঢাকায় তিন বছরের জন্য এই মিশন স্থাপনের জন্য গত ১০ জুলাই সমঝোতা স্মারকের খসড়া অনুমোদন করে উপদেষ্টা পরিষদ।
সরকারের এই উদ্যোগে ‘গভীর উদ্বেগ ও আশঙ্কা’ প্রকাশ করে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ সে সময় ঘোষণা দেয়, বাংলাদেশে তারা জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশনের কার্যালয় খুলতে দেবে না। এ সংগঠনের আমির শাহ মুহিবুল্লাহ বাবুনগরী গত ৫ জুলাই ঢাকায় এক অনুষ্ঠানে বলেন, অতীতে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা ‘মানবাধিকারের’ নামে ইসলামি শরিয়াহ, পারিবারিক আইন ও ধর্মীয় মূল্যবোধে ‘হস্তক্ষেপের অপচেষ্টা’ করেছে। হেফাজতের নেতাদের মতে, ‘এসব হস্তক্ষেপ একদিকে যেমন জাতীয় সার্বভৌমত্বের ওপর আঘাত, অন্যদিকে মুসলিম সমাজের ধর্মীয় অনুভূতিরও পরিপন্থী। তাই বাংলাদেশে জাতিসংঘ মানবাধিকার কার্যালয় খুলতে দেয়া হবে না।’
দুই কূটনীতিক
যা ভাবছেন
বাংলাদেশের সাবেক কূটনীতিক মুন্সি ফয়েজ আহমদ এবং মাহফুজুর রহমান ঢাকায় জাতিসংঘের মানবাধিকার অফিস খোলা নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে শুক্রবার সন্ধ্যায় সংবাদকে বলেন, ঢাকায় জাতিসংঘের মানবাধিকার অফিস খোলাটা বাংলাদেশের জন্য সম্মানজনক হবে না। কারণ জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের অফিস সেসব দেশেই খোলা হয় সেখানে মানবাধিকার পরিস্থিতি অত্যন্ত খারাপ। বিশ্বে এখন ১৮/১৯টি দেশে জাতিংঘের মানবাধিকার কমিশনের অফিস আছে। এখন আমরা মানবাধিকার অফিস খুলতে দিয়ে স্বীকার করে নিলাম যে, আমাদের দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি মোটেই ভালো নয়। এটা আমাদের দেশের জন্য যেমন অসম্মানজনক তেমনি উদ্বেগেরও। এ
অফিস খোলার অনুমতি দেয়ার কোনো প্রয়োজন ছিল বলে মনে করি না। দুই কূটনীতিক অনেকটা একরকম যুক্তি দিয়ে বলেন, আমরা জানি যে, আমাদের দেশে মানবাধিকারসংক্রান্ত সমস্যা আছে। সে সমস্যার সমাধান আমরা নিজেরাই করলে ভালো হতো। এখানে জাতিসংঘকে ডেকে আনার কোনো প্রয়োজন ছিল না। এরপর থেকে এখানে কোনো ঘটনা ঘটলেই সঙ্গে জাতিসংঘ তার বিরুদ্ধে বক্তব্য দেবে এবং বিচার করার জন্য চাপও দেবে এবং সে চাপ এড়িয়ে যাওয়া আমাদের পক্ষে হয়তো সম্ভব হবে না। এটাও আমাদের অনেক ঝামেলায় ফেলবে। তবে আমাদের মানবাধিকার লঙ্ঘনের কোনো ঘটনা ঘটলে তার সমাধান হওয়া উচিত।
দুই কূটনীতিক বলেন, আমরা সাধারণভাবে জানি যে, যে দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি খারাপ সে দেশে কেউ, কোনো পর্যটক বেড়াতে যেতে চায় না। এমন প্রেক্ষাপটে আমাদের অবস্থা কী দাঁড়াবে এমন প্রশ্ন রেখে তারা বলেন, এর ফলে সারাবিশ্বে আমাদের দেশের জাতীয় ভাবমূর্তি কী অবস্থায় দাঁড়ালো। আমরা নিজেদের বিপদ নিজেরাই ডেকে আনলাম কিনা, সে প্রশ্ন এসে যায়।
শুক্রবার, ১৮ জুলাই ২০২৫
জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশন বাংলাদেশে নতুন মিশন খোলার সব জটিলতা শেষ হয়েছে। জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাই কমিশনেরের কার্যালয়ের (ওএইচসিএইচআর) সঙ্গে সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই করেছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। এখন থেকে যে কোনো সময় ঢাকায় জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের নতুন মিশন চালু হবে।
তবে কূটনীতিকরা বলছেন, ঢাকায় জাতিসংঘের মানবাধিকার অফিস খোলার পর এখানে কোনো ধরনের মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটলে তা বিশ্বব্যাপী ব্যাপক প্রচার পাবে এবং বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে আরও বেশি প্রশ্ন উঠবে। এ ব্যাপারে সতর্কতা প্রয়োজন বলে তারা মনে করেন।
অন্যদিকে ঢাকায় মানবাধিকার অফিস খোলার বিষয়টি বাংলাদেশের ইসলাম ধর্মীয় আদর্শ নিয়ে রাজনীতি করে এমন দলগুলো নেতারাও চরম প্রতিবাদ তোলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানা গেছে।
গত বছর ৫ আগস্টে ব্যাপক গণআন্দোলনের মুখে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের মধ্য দিয়ে মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়। এর পরই গণআন্দোলনের সময় ব্যাপক মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা নিয়ে তীব্র প্রতিবাদ এবং বিচারের দাবি ওঠে। এ প্রেক্ষাপটে অন্তর্বর্তী সরকার জাতিসংঘের মাধ্যমে মানবাধিকার লঙ্ঘনের সেসব ঘটনার তথ্য সংগ্রহের জন্য অনুরোধ করা হয়। জাতিসংঘের একটি তথ্যানুসন্ধানী টিম ঢাকায় এসে ব্যাপক অনুসন্ধান চালিয়ে একটি প্রতিবেদন দেয়। এরপর ঢাকায় মানবাধিকার অফিস খোলার বিষয়টি সামনে আসে এবং নানাভাবে আলোচনার পর ঢাকায় মানবাধিকার অফিস খোলার ব্যাপারে একটি সিদ্ধান্তে এসেছে সরকার।
বাংলাদেশে নতুন মিশন খোলার বিষয়টি নিয়ে শুক্রবার,(১৮ জুলাই ২০২৫) ওএইচসিএইচআরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশে মানবাধিকারের ‘উন্নয়ন ও সুরক্ষার’ বিষয়কে সমর্থন দিতে খোলা হবে এই কার্যালয়। জাতিসংঘের মানবাধিকার হাইকমিশনার ফলকার টুর্ক এবং পররাষ্ট্র সচিব আসাদ আলম সিয়াম এ সমঝোতা চুক্তিতে সই করেন।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত বছরের আগস্টের পর থেকে বাংলাদেশের সঙ্গে জাতিসংঘ মানবাধিকার কার্যালয়ের সম্পৃক্ততা বেড়েছে। মানবাধিকারবিষয়ক সংস্কার এগিয়ে নিতে মানবাধিকার কার্যালয় বিভিন্ন অংশীজনের সঙ্গে কাজ করছে এবং গণবিক্ষোভে রক্তক্ষয়ী নির্যাতনের বিষয়ে বিস্তারিত তথ্যানুসন্ধান করেছে।
ফলকার টুর্ক বলেন, বাংলাদেশের পটপরিবর্তনের এই সময়ে মানবাধিকার সুরক্ষার প্রতিশ্রুতি যে ‘অন্যতম ভিত্তি’ হিসেবে রয়েছে, সেই গুরুত্বপূর্ণ বার্তা পাঠাচ্ছে এই সমঝোতা স্মারক।
তিনি বলেন, ‘তথ্যানুসন্ধানের সুপারিশ বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে সহায়তা যাতে আরও ভালোভাবে দেয়া যায়, সেক্ষেত্রে ভূমিকা রাখবে এই এমওইউ। পাশাপাশি মৌলিক সংস্কারের উদ্যোগগুলোর ক্ষেত্রে আমাদের অভিজ্ঞতা ও সহায়তা নিয়ে বাংলাদেশ সরকার, নাগরিক সমাজ এবং অন্য বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে সরাসরি আমাদের অভিজ্ঞতা বিনিময় করতে পারব।’
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নতুন এ মিশন বাংলাদেশের জাতীয় ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার প্রতিশ্রুতি পূরণের লক্ষ্যে বিভিন্ন ক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষকে প্রশিক্ষণ ও কারিগরি সহায়তা দেবে। পাশাপাশি সরকারি প্রতিষ্ঠান ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য কাজ করবে।
ঢাকায় তিন বছরের জন্য এই মিশন স্থাপনের জন্য গত ১০ জুলাই সমঝোতা স্মারকের খসড়া অনুমোদন করে উপদেষ্টা পরিষদ।
সরকারের এই উদ্যোগে ‘গভীর উদ্বেগ ও আশঙ্কা’ প্রকাশ করে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ সে সময় ঘোষণা দেয়, বাংলাদেশে তারা জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশনের কার্যালয় খুলতে দেবে না। এ সংগঠনের আমির শাহ মুহিবুল্লাহ বাবুনগরী গত ৫ জুলাই ঢাকায় এক অনুষ্ঠানে বলেন, অতীতে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা ‘মানবাধিকারের’ নামে ইসলামি শরিয়াহ, পারিবারিক আইন ও ধর্মীয় মূল্যবোধে ‘হস্তক্ষেপের অপচেষ্টা’ করেছে। হেফাজতের নেতাদের মতে, ‘এসব হস্তক্ষেপ একদিকে যেমন জাতীয় সার্বভৌমত্বের ওপর আঘাত, অন্যদিকে মুসলিম সমাজের ধর্মীয় অনুভূতিরও পরিপন্থী। তাই বাংলাদেশে জাতিসংঘ মানবাধিকার কার্যালয় খুলতে দেয়া হবে না।’
দুই কূটনীতিক
যা ভাবছেন
বাংলাদেশের সাবেক কূটনীতিক মুন্সি ফয়েজ আহমদ এবং মাহফুজুর রহমান ঢাকায় জাতিসংঘের মানবাধিকার অফিস খোলা নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে শুক্রবার সন্ধ্যায় সংবাদকে বলেন, ঢাকায় জাতিসংঘের মানবাধিকার অফিস খোলাটা বাংলাদেশের জন্য সম্মানজনক হবে না। কারণ জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের অফিস সেসব দেশেই খোলা হয় সেখানে মানবাধিকার পরিস্থিতি অত্যন্ত খারাপ। বিশ্বে এখন ১৮/১৯টি দেশে জাতিংঘের মানবাধিকার কমিশনের অফিস আছে। এখন আমরা মানবাধিকার অফিস খুলতে দিয়ে স্বীকার করে নিলাম যে, আমাদের দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি মোটেই ভালো নয়। এটা আমাদের দেশের জন্য যেমন অসম্মানজনক তেমনি উদ্বেগেরও। এ
অফিস খোলার অনুমতি দেয়ার কোনো প্রয়োজন ছিল বলে মনে করি না। দুই কূটনীতিক অনেকটা একরকম যুক্তি দিয়ে বলেন, আমরা জানি যে, আমাদের দেশে মানবাধিকারসংক্রান্ত সমস্যা আছে। সে সমস্যার সমাধান আমরা নিজেরাই করলে ভালো হতো। এখানে জাতিসংঘকে ডেকে আনার কোনো প্রয়োজন ছিল না। এরপর থেকে এখানে কোনো ঘটনা ঘটলেই সঙ্গে জাতিসংঘ তার বিরুদ্ধে বক্তব্য দেবে এবং বিচার করার জন্য চাপও দেবে এবং সে চাপ এড়িয়ে যাওয়া আমাদের পক্ষে হয়তো সম্ভব হবে না। এটাও আমাদের অনেক ঝামেলায় ফেলবে। তবে আমাদের মানবাধিকার লঙ্ঘনের কোনো ঘটনা ঘটলে তার সমাধান হওয়া উচিত।
দুই কূটনীতিক বলেন, আমরা সাধারণভাবে জানি যে, যে দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি খারাপ সে দেশে কেউ, কোনো পর্যটক বেড়াতে যেতে চায় না। এমন প্রেক্ষাপটে আমাদের অবস্থা কী দাঁড়াবে এমন প্রশ্ন রেখে তারা বলেন, এর ফলে সারাবিশ্বে আমাদের দেশের জাতীয় ভাবমূর্তি কী অবস্থায় দাঁড়ালো। আমরা নিজেদের বিপদ নিজেরাই ডেকে আনলাম কিনা, সে প্রশ্ন এসে যায়।