জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের পর সাংস্কৃতিক অঙ্গন সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়েছে বলে অভিযোগ করেন সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক অঙ্গনের নেতারা। তাঁরা বলেন, সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে বাধা দেওয়া জুলাই চেতনার পরিপন্থী।
‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সাংস্কৃতিক কর্মীদের ভূমিকা: বর্তমান বাস্তবতা ও করণীয়’ শীর্ষক আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে বক্তারা এ কথা বলেন।শুক্রবার,(১৮ জুলাই ২০২৫) বিকেলে রাজধানীর সেগুনবাগিচার ভ্যানগার্ড মিলনায়তনে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে চারণ সাংস্কৃতিক কেন্দ্র।
এ আয়োজনে সভাপতিত্ব করেন চারণ সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের সভাপতি নিখিল দাস। সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেনের সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য দেন বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশীদ ফিরোজ, চারণের সহসভাপতি শাহজাহান কবির, কবি কামরুজ্জামান ভূঁইয়া, বিপুল কুমার দাস, জসিম উদ্দিন, প্রদীপ সরকার প্রমুখ।
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রশ্রয়ে সর্বত্র ‘মব সন্ত্রাস (উচ্ছৃঙ্খল জনতার সংঘবদ্ধ আক্রমণ)’ চলছে বলে অভিযোগ করেন বক্তারা। তাঁরা বলেন, মুক্তমনা মানুষদের ওপর আক্রমণ, বাংলা একাডেমিতে বইমেলার স্টল বন্ধ করে দেওয়া, শতাধিক মাজার ধ্বংস, সংখ্যালঘুদের ওপর আক্রমণ, ভিন্নমতাবলম্বীদের বাড়িঘরে আক্রমণ অব্যাহত রয়েছে।
বক্তারা অভিযোগ করেন, এসব ঘটনার সঙ্গে জড়িত অপরাধীদের আইনের আওতায় আনা হয়নি। এর ফলে কথিত তৌহিদী জনতার নামে অপরাধীরা দ্বিগুণ উৎসাহে ‘মব সন্ত্রাস’ চালিয়ে যাচ্ছে। এসব কর্মকাণ্ড জুলাই চেতনার পরিপন্থী।
প্রতিটি গণতান্ত্রিক আন্দোলনে রাজনৈতিক সংগ্রামের পাশাপাশি সাংস্কৃতিক আন্দোলন গুরুত্বপূর্ণ
ভূমিকা পালন করে থাকে বলে আলোচনা সভায় উল্লেখ করেন বাসদের সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশীদ ফিরোজ। তিনি বলেন, গণ-অভ্যুত্থানের সময় গত বছরের ২৬ জুলাই চারণসহ প্রগতিশীল সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলোর উদ্যোগে জাতীয় প্রেসক্লাবের সমানে কারফিউ ভঙ্গ করা হয়। পুলিশের বাধা উপেক্ষা করে গান, কবিতা, নাটকসহ বিভিন্ন মাধ্যমে গণ-অভ্যুত্থানের জমিন প্রস্তুত করা হয়েছিল।
গণ-অভ্যুত্থানের পরে সাংস্কৃতিক অঙ্গন সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয় মন্তব্য করে বজলুর রশীদ বলেন, শিল্পকলাতে নাটক দেখানো বন্ধ করা, দেশের বিভিন্ন স্থানে লালন উৎসব বন্ধ করা, নানা সাংস্কৃতিক আয়োজনে বাধা প্রদান, নাট্যকর্মীদের ওপর হামলা-মামলা করা হয়। শাহজালাল (রহ.)–এর মাজারসহ বিভিন্ন মাজারে বাউলগান বন্ধ করা হয়। অশ্লীলতার অজুহাত দিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয় বিভিন্ন ঐতিহ্যবাহী মেলা।
শুক্রবার, ১৮ জুলাই ২০২৫
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের পর সাংস্কৃতিক অঙ্গন সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়েছে বলে অভিযোগ করেন সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক অঙ্গনের নেতারা। তাঁরা বলেন, সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে বাধা দেওয়া জুলাই চেতনার পরিপন্থী।
‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সাংস্কৃতিক কর্মীদের ভূমিকা: বর্তমান বাস্তবতা ও করণীয়’ শীর্ষক আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে বক্তারা এ কথা বলেন।শুক্রবার,(১৮ জুলাই ২০২৫) বিকেলে রাজধানীর সেগুনবাগিচার ভ্যানগার্ড মিলনায়তনে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে চারণ সাংস্কৃতিক কেন্দ্র।
এ আয়োজনে সভাপতিত্ব করেন চারণ সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের সভাপতি নিখিল দাস। সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেনের সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য দেন বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশীদ ফিরোজ, চারণের সহসভাপতি শাহজাহান কবির, কবি কামরুজ্জামান ভূঁইয়া, বিপুল কুমার দাস, জসিম উদ্দিন, প্রদীপ সরকার প্রমুখ।
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রশ্রয়ে সর্বত্র ‘মব সন্ত্রাস (উচ্ছৃঙ্খল জনতার সংঘবদ্ধ আক্রমণ)’ চলছে বলে অভিযোগ করেন বক্তারা। তাঁরা বলেন, মুক্তমনা মানুষদের ওপর আক্রমণ, বাংলা একাডেমিতে বইমেলার স্টল বন্ধ করে দেওয়া, শতাধিক মাজার ধ্বংস, সংখ্যালঘুদের ওপর আক্রমণ, ভিন্নমতাবলম্বীদের বাড়িঘরে আক্রমণ অব্যাহত রয়েছে।
বক্তারা অভিযোগ করেন, এসব ঘটনার সঙ্গে জড়িত অপরাধীদের আইনের আওতায় আনা হয়নি। এর ফলে কথিত তৌহিদী জনতার নামে অপরাধীরা দ্বিগুণ উৎসাহে ‘মব সন্ত্রাস’ চালিয়ে যাচ্ছে। এসব কর্মকাণ্ড জুলাই চেতনার পরিপন্থী।
প্রতিটি গণতান্ত্রিক আন্দোলনে রাজনৈতিক সংগ্রামের পাশাপাশি সাংস্কৃতিক আন্দোলন গুরুত্বপূর্ণ
ভূমিকা পালন করে থাকে বলে আলোচনা সভায় উল্লেখ করেন বাসদের সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশীদ ফিরোজ। তিনি বলেন, গণ-অভ্যুত্থানের সময় গত বছরের ২৬ জুলাই চারণসহ প্রগতিশীল সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলোর উদ্যোগে জাতীয় প্রেসক্লাবের সমানে কারফিউ ভঙ্গ করা হয়। পুলিশের বাধা উপেক্ষা করে গান, কবিতা, নাটকসহ বিভিন্ন মাধ্যমে গণ-অভ্যুত্থানের জমিন প্রস্তুত করা হয়েছিল।
গণ-অভ্যুত্থানের পরে সাংস্কৃতিক অঙ্গন সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয় মন্তব্য করে বজলুর রশীদ বলেন, শিল্পকলাতে নাটক দেখানো বন্ধ করা, দেশের বিভিন্ন স্থানে লালন উৎসব বন্ধ করা, নানা সাংস্কৃতিক আয়োজনে বাধা প্রদান, নাট্যকর্মীদের ওপর হামলা-মামলা করা হয়। শাহজালাল (রহ.)–এর মাজারসহ বিভিন্ন মাজারে বাউলগান বন্ধ করা হয়। অশ্লীলতার অজুহাত দিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয় বিভিন্ন ঐতিহ্যবাহী মেলা।