গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার ফুলবাড়িয়া-মাওনা আঞ্চলিক সড়কের বড়চালা এলাকায় কাভার্ড ভ্যান ও সিএনজি অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে পাঁচজন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে একই পরিবারের তিনজন রয়েছে। এ দুর্ঘটনায় এলাকায় বইছে শোকাবহ পরিবেশ। ঘটনাস্থলে ভিড় জমান নিহতদের স্বজন ও এলাকাবাসী।
শুক্রবার,(১৮ জুলাই ২০২৫) দুপুরে এ দুর্ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন কালিয়াকৈর থানার ওসি মো. আবদুল মান্নান।
নিহতরা হলেন বগুড়া জেলার ধুনট উপজেলার ঈশ্বরঘাট এলাকার বাসিন্দা জাহিদ হোসেন, তার স্ত্রী নাসরিন আক্তার, ছেলে আবু হুমারা, সিএনজি যাত্রী শ্রীপুর উপজেলার মাওনা এলাকার বাসিন্দা সফিকুল ইসলাম ও চালক মেহেদী।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার দুপুরে মাওনা এলাকা থেকে ভাড়ায়চালিত সিএনজি যোগে চারজন যাত্রী কালিয়াকৈরের উদ্দেশে রওনা দেন। তাদের বহনকারী সিএনজিটি ফুলবাড়িয়া ইউনিয়নের বড়চালা এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা দ্রুতগামী একটি কাভার্ড ভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে সিএনজির সামনের অংশ দুমড়ে-মুচড়ে যায়। ঘটনাস্থলেই সিএনজি যাত্রী জাহিদ ও তার ছেলে নিহত হন। এ সময় জাহিদের স্ত্রী, যাত্রী শফিকুল ইসলাম ও চালক গুরুতর আহত হন। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে কালিয়াকৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ আশপাশের হাসপাতালে নিয়ে যান। পরে কুমুদিনী হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা জাহিদের স্ত্রী নাসরিনকে মৃত ঘোষণা করেন। আহত সফিকুল ইসলামকে শ্রীপুর আল হেরা হাসপাতালে নেয়া হলে সেখানে মারা যান তিনি। বিকেলে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান সিএনজি অটোরিকশাচালক।
ঘটনার পর খবর পেয়ে হাসপাতালে ভিড় করেন নিহতদের স্বজনরা। এ সময় তারা মরদেহ শনাক্ত করেন।
স্বজনরা বলছেন, মাওনা থেকে কালিয়াকৈর আসার পথে মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় এতগুলো প্রাণহানি ঘটেছে। এতে দায়ী কাভার্ড ভ্যান চালকের শাস্তি দাবি করেন তারা।
কালিয়াকৈর থানার ফুলবাড়িয়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সুরুজ্জামান বলেন, কাভার্ড ভ্যান ও সিএনজি সংঘর্ষে ঘটনাস্থলে দুইজন ও হাসপাতালে নেয়ার পর আরও তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। নিহতদের মধ্যে একই পরিবারের তিনজন রয়েছেন। মরদেহ উদ্ধার করে সুরতহাল প্রতিবেদনসহ প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
কাভার্ড ভ্যানটি জব্দ করা হয়েছে। তবে চালক পালিয়ে গেছে।
চকরিয়া প্রতিনিধি জানান, কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার বদরখালী-মহেশখালী সড়কে সিএনজি অটোরিকশা ও টমটম (ইজিবাইক) মুখোমুখি সংঘর্ষে আসমা বেগম (১৭) নামে এক তরুণী নিহত হয়েছেন।
এ সময় সিএনজি অটোরিকশায় থাকা এক নারীসহ আরও তিনজন গুরুতর আহত হন। আহতদের উদ্ধার করে স্থানীয় বদরখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে নয়টার দিকে চকরিয়া উপজেলার বদরখালী ইউনিয়নের কুতুবনগরপাড়ার সাবেক চেয়ারম্যান ইকবাল বদরীর বাড়িঘাটা এলাকায় দুর্ঘটনাটি ঘটে।
চকরিয়া থানার অপারেশন অফিসার এসআই ফরহাদ রাব্বি ঈশান সড়ক দুর্ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
নিহত আসমা বেগম মহেশখালী উপজেলার শাপলাপুর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বারাইয়াকাটা এলাকার মোক্তার আহমদের মেয়ে।
নিহতের ভাই সাকের উল্লাহ জানান, গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে চকরিয়া পৌরশহরের বিপণিবিতান থেকে বড় ভাইয়ের
বিয়ের বাজার করে পরিবারের সদস্যরা দুটি সিএনজি অটোরিকশায় করে মহেশখালীর নিজ বাড়িতে ফিরছিলেন। রাত সাড়ে ৯টার দিকে বদরখালী ইউনিয়নের কুতুবনগরপাড়ার ইকবাল বদরীর বাড়িঘাটা এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি টমটম ইজিবাইক সিএনজির সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
তিনি আরও জানান, আহত তিনজনকে তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে বদরখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
চকরিয়া থানার ওসি মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থলে পুলিশের একটি দল পাঠানো হয়। হাসপাতালে গিয়ে নিহতের মরদেহের প্রাথমিক সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করা হয় এবং পরে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এ বিষয়ে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
শুক্রবার, ১৮ জুলাই ২০২৫
গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার ফুলবাড়িয়া-মাওনা আঞ্চলিক সড়কের বড়চালা এলাকায় কাভার্ড ভ্যান ও সিএনজি অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে পাঁচজন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে একই পরিবারের তিনজন রয়েছে। এ দুর্ঘটনায় এলাকায় বইছে শোকাবহ পরিবেশ। ঘটনাস্থলে ভিড় জমান নিহতদের স্বজন ও এলাকাবাসী।
শুক্রবার,(১৮ জুলাই ২০২৫) দুপুরে এ দুর্ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন কালিয়াকৈর থানার ওসি মো. আবদুল মান্নান।
নিহতরা হলেন বগুড়া জেলার ধুনট উপজেলার ঈশ্বরঘাট এলাকার বাসিন্দা জাহিদ হোসেন, তার স্ত্রী নাসরিন আক্তার, ছেলে আবু হুমারা, সিএনজি যাত্রী শ্রীপুর উপজেলার মাওনা এলাকার বাসিন্দা সফিকুল ইসলাম ও চালক মেহেদী।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার দুপুরে মাওনা এলাকা থেকে ভাড়ায়চালিত সিএনজি যোগে চারজন যাত্রী কালিয়াকৈরের উদ্দেশে রওনা দেন। তাদের বহনকারী সিএনজিটি ফুলবাড়িয়া ইউনিয়নের বড়চালা এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা দ্রুতগামী একটি কাভার্ড ভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে সিএনজির সামনের অংশ দুমড়ে-মুচড়ে যায়। ঘটনাস্থলেই সিএনজি যাত্রী জাহিদ ও তার ছেলে নিহত হন। এ সময় জাহিদের স্ত্রী, যাত্রী শফিকুল ইসলাম ও চালক গুরুতর আহত হন। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে কালিয়াকৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ আশপাশের হাসপাতালে নিয়ে যান। পরে কুমুদিনী হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা জাহিদের স্ত্রী নাসরিনকে মৃত ঘোষণা করেন। আহত সফিকুল ইসলামকে শ্রীপুর আল হেরা হাসপাতালে নেয়া হলে সেখানে মারা যান তিনি। বিকেলে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান সিএনজি অটোরিকশাচালক।
ঘটনার পর খবর পেয়ে হাসপাতালে ভিড় করেন নিহতদের স্বজনরা। এ সময় তারা মরদেহ শনাক্ত করেন।
স্বজনরা বলছেন, মাওনা থেকে কালিয়াকৈর আসার পথে মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় এতগুলো প্রাণহানি ঘটেছে। এতে দায়ী কাভার্ড ভ্যান চালকের শাস্তি দাবি করেন তারা।
কালিয়াকৈর থানার ফুলবাড়িয়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সুরুজ্জামান বলেন, কাভার্ড ভ্যান ও সিএনজি সংঘর্ষে ঘটনাস্থলে দুইজন ও হাসপাতালে নেয়ার পর আরও তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। নিহতদের মধ্যে একই পরিবারের তিনজন রয়েছেন। মরদেহ উদ্ধার করে সুরতহাল প্রতিবেদনসহ প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
কাভার্ড ভ্যানটি জব্দ করা হয়েছে। তবে চালক পালিয়ে গেছে।
চকরিয়া প্রতিনিধি জানান, কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার বদরখালী-মহেশখালী সড়কে সিএনজি অটোরিকশা ও টমটম (ইজিবাইক) মুখোমুখি সংঘর্ষে আসমা বেগম (১৭) নামে এক তরুণী নিহত হয়েছেন।
এ সময় সিএনজি অটোরিকশায় থাকা এক নারীসহ আরও তিনজন গুরুতর আহত হন। আহতদের উদ্ধার করে স্থানীয় বদরখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে নয়টার দিকে চকরিয়া উপজেলার বদরখালী ইউনিয়নের কুতুবনগরপাড়ার সাবেক চেয়ারম্যান ইকবাল বদরীর বাড়িঘাটা এলাকায় দুর্ঘটনাটি ঘটে।
চকরিয়া থানার অপারেশন অফিসার এসআই ফরহাদ রাব্বি ঈশান সড়ক দুর্ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
নিহত আসমা বেগম মহেশখালী উপজেলার শাপলাপুর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বারাইয়াকাটা এলাকার মোক্তার আহমদের মেয়ে।
নিহতের ভাই সাকের উল্লাহ জানান, গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে চকরিয়া পৌরশহরের বিপণিবিতান থেকে বড় ভাইয়ের
বিয়ের বাজার করে পরিবারের সদস্যরা দুটি সিএনজি অটোরিকশায় করে মহেশখালীর নিজ বাড়িতে ফিরছিলেন। রাত সাড়ে ৯টার দিকে বদরখালী ইউনিয়নের কুতুবনগরপাড়ার ইকবাল বদরীর বাড়িঘাটা এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি টমটম ইজিবাইক সিএনজির সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
তিনি আরও জানান, আহত তিনজনকে তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে বদরখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
চকরিয়া থানার ওসি মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থলে পুলিশের একটি দল পাঠানো হয়। হাসপাতালে গিয়ে নিহতের মরদেহের প্রাথমিক সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করা হয় এবং পরে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এ বিষয়ে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।