বিগত তিনটি জাতীয় সংসদ নির্বাচন—দশম, একাদশ ও দ্বাদশ—যা আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে অনুষ্ঠিত হয়েছে এবং ব্যাপক বিতর্কের জন্ম দিয়েছে, সেই নির্বাচনে দায়িত্ব পালনকারী রিটার্নিং অফিসার, প্রিজাইডিং অফিসার, সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার ও পোলিং অফিসারদের তথ্য সংগ্রহ করছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
এই লক্ষ্যে নির্বাচন কমিশন ইতোমধ্যে দেশের সব বিভাগীয় কমিশনার এবং জেলা প্রশাসকদের কাছে চিঠি পাঠিয়েছে। চিঠিতে কর্মকর্তাদের নাম, ঠিকানা, জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর, পাসপোর্ট নম্বর, মোবাইল নম্বরসহ বিস্তারিত তথ্য চাওয়া হয়েছে।
গত ২২ জুন বিএনপি ঢাকার শেরেবাংলা নগর থানায় মামলা দায়ের করে, যাতে অভিযোগ আনা হয়, এসব কর্মকর্তারা ভোট গ্রহণে সাংবিধানিক দায়িত্ব পালন না করে জনগণের ভোটাধিকার হরণ করেছেন এবং ভয়ভীতি প্রদর্শনের মাধ্যমে নির্বাচন সম্পন্ন করেছেন। মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ মোট ১৯ জনের নাম রয়েছে। এছাড়া তিনটি নির্বাচনের সময় দায়িত্ব পালনকারী নির্বাচন কমিশনার এবং প্রধান নির্বাচন কমিশনারদের নামও আসামি তালিকায় অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এরই মধ্যে সাবেক দুই সিইসি—নূরুল হুদা ও কাজী হাবিবুল আউয়ালকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
মামলার তদন্তের অংশ হিসেবে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) নির্বাচন কমিশনের কাছে তথ্য চায়। এরপর নির্বাচন কমিশনের উপসচিব মনির হোসেন স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে সংশ্লিষ্ট তথ্য সরবরাহে তৎপরতা শুরু হয়।
চিঠিতে বলা হয়, ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের নির্বাচনে দায়িত্ব পালনকারীদের তথ্য প্রয়োজন—যেমন পিতার নাম, মাতার নাম, স্থায়ী ও বর্তমান ঠিকানা, জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর, পাসপোর্ট নম্বর ও মোবাইল নম্বর। এই তথ্য জরুরি ভিত্তিতে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে পাঠানোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, জাতীয় নির্বাচনে দেশের ৬৪ জেলার ডিসিরা সাধারণত রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করেন, বিভাগীয় কমিশনাররা দায়িত্বে থাকেন ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগে। এছাড়া ইউএনওরা সহকারী রিটার্নিং অফিসার এবং প্রায় ২ লাখ কর্মকর্তা প্রিজাইডিং, সহকারী প্রিজাইডিং ও পোলিং অফিসার হিসেবে নিয়োজিত ছিলেন।
সোমবার, ২১ জুলাই ২০২৫
বিগত তিনটি জাতীয় সংসদ নির্বাচন—দশম, একাদশ ও দ্বাদশ—যা আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে অনুষ্ঠিত হয়েছে এবং ব্যাপক বিতর্কের জন্ম দিয়েছে, সেই নির্বাচনে দায়িত্ব পালনকারী রিটার্নিং অফিসার, প্রিজাইডিং অফিসার, সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার ও পোলিং অফিসারদের তথ্য সংগ্রহ করছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
এই লক্ষ্যে নির্বাচন কমিশন ইতোমধ্যে দেশের সব বিভাগীয় কমিশনার এবং জেলা প্রশাসকদের কাছে চিঠি পাঠিয়েছে। চিঠিতে কর্মকর্তাদের নাম, ঠিকানা, জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর, পাসপোর্ট নম্বর, মোবাইল নম্বরসহ বিস্তারিত তথ্য চাওয়া হয়েছে।
গত ২২ জুন বিএনপি ঢাকার শেরেবাংলা নগর থানায় মামলা দায়ের করে, যাতে অভিযোগ আনা হয়, এসব কর্মকর্তারা ভোট গ্রহণে সাংবিধানিক দায়িত্ব পালন না করে জনগণের ভোটাধিকার হরণ করেছেন এবং ভয়ভীতি প্রদর্শনের মাধ্যমে নির্বাচন সম্পন্ন করেছেন। মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ মোট ১৯ জনের নাম রয়েছে। এছাড়া তিনটি নির্বাচনের সময় দায়িত্ব পালনকারী নির্বাচন কমিশনার এবং প্রধান নির্বাচন কমিশনারদের নামও আসামি তালিকায় অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এরই মধ্যে সাবেক দুই সিইসি—নূরুল হুদা ও কাজী হাবিবুল আউয়ালকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
মামলার তদন্তের অংশ হিসেবে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) নির্বাচন কমিশনের কাছে তথ্য চায়। এরপর নির্বাচন কমিশনের উপসচিব মনির হোসেন স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে সংশ্লিষ্ট তথ্য সরবরাহে তৎপরতা শুরু হয়।
চিঠিতে বলা হয়, ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের নির্বাচনে দায়িত্ব পালনকারীদের তথ্য প্রয়োজন—যেমন পিতার নাম, মাতার নাম, স্থায়ী ও বর্তমান ঠিকানা, জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর, পাসপোর্ট নম্বর ও মোবাইল নম্বর। এই তথ্য জরুরি ভিত্তিতে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে পাঠানোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, জাতীয় নির্বাচনে দেশের ৬৪ জেলার ডিসিরা সাধারণত রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করেন, বিভাগীয় কমিশনাররা দায়িত্বে থাকেন ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগে। এছাড়া ইউএনওরা সহকারী রিটার্নিং অফিসার এবং প্রায় ২ লাখ কর্মকর্তা প্রিজাইডিং, সহকারী প্রিজাইডিং ও পোলিং অফিসার হিসেবে নিয়োজিত ছিলেন।