গোপালগঞ্জে এনসিপির সমাবেশ ঘিরে হামলা-সংঘর্ষের ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত ৩ জনের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কবর থেকে তোলা হয়েছে। এর মধ্যে শহরের পৌর কবরস্থান থেকে ইমন তালুকদার ও রমজান কাজী এবং টুঙ্গিপাড়া উপজেলার পাটগাতী কবরস্থান থেকে সোহেল রানা মোল্লার লাশ তোলা হয়।

এর আগে গত বুধবারের সংঘর্ষে নিহত দীপ্ত সাহাসহ চারজনের লাশ ময়নাতদন্ত ছাড়াই দাফন ও সৎকার করা হয়। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান রমজান মুন্সি। পরদিন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে তার মরদেহের ময়নাতদন্ত হয়।

গোপালগঞ্জ পৌর কবরস্থান থেকে সোমবার,(২১ জুলাই ২০২৫) পৌনে একটার দিকে লাশ তোলার কাজ শুরু হয়। জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রাসেল মুন্সি ইমন তালুকদরের লাশ উত্তোলনের সময় উপস্থিত ছিলেন। আর রমজান কাজীর লাশ তোলার সময় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রন্টি পোদ্দার উপস্থিত ছিলেন।

লাশ দু’টি সুরতহাল রিপোর্ট শেষে ময়নাতদন্তের জন্য গোপালগঞ্জ আড়াইশ’ বেড জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়।

রমজান কাজী হত্যা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা গোপালগঞ্জ সদর থানার এসআই মো. মুরাদ হোসেন সুরতহাল রিপোর্টে লাশের ডান কাঁধে গুলির চিহ্ন রয়েছে বলে উল্লেখ করেছেন।

ইমন তালুকদার হত্যা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা গোপালগঞ্জ সদর থানার এসআই শহিদুল ইসলাম সুরতহাল রিপোর্টে মরদেহের বাম ঊরুতে গুলির চিহ্ন রয়েছে বলে উল্লেখ করেছেন।

গোপালগঞ্জ সদর থানার ওসি মির সাজেদুর রহমান জানিয়েছেন, কবরস্থান থেকে ৩টি লাশ উত্তোলন করে ময়নাতদন্ত করার জন্য গত রোববার গোপালগঞ্জের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে অবেদন করা হয়। বিজ্ঞ চিফ জুডিশয়াল ম্যাজিস্ট্রেট করব থেকে লাশ তুলে ময়নাতদন্তের নির্দেশ দেন। তাই সোমবার দুপুরে লাশ উত্তোলন করে সুরতহাল রিপোর্ট শেষে ময়নাতদন্তের জন্য গোপালগঞ্জ আড়াইশ’ বেড জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

এছাড়া টুঙ্গিপাড়া উপজেলার পাটগাতী মোল্লাবাড়ি কবরস্থান থেকে টুঙ্গিপাড়া উপজেলা সহকারী কমিশনার মারুফ দস্তেগীরের (ভূমি) উপস্থিতিতে সোহেল রানা মোল্লার লাশ উত্তোলন করা হয়। পরে পুলিশ সুরতহাল রিপোর্ট শেষে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য গোপালগঞ্জ আড়াইশ’ বেড জেনারেল মর্গে পাঠায়।

এর আগে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় গত শনিবার রাতে গোপালগঞ্জ থানায় পৃথক ৪টি মামলা দায়ের করা হয়। এতে ৫ হাজার ৪শ’ অজ্ঞাত দুষ্কৃতিকারীকে আসামি করা হয়েছে।