পানির নিচে ৫০০ একর জমি
টানা বর্ষণ এবং ভারতের ইছামতী নদীর উজানের পানি ঢুকে এ বছরও যশোরের শার্শা উপজেলার রুদ্রপুর গ্রামের ঠেঙামারী ও আওয়ালী বিল প্লাবিত হয়েছে। এতে প্রায় ৫০০ একর ফসলি জমি পানির নিচে তলিয়ে গেছে।
ক্ষতির মুখে পড়েছেন উপজেলার গোগা, শান্তিপুর, বাইকোলা, গাজীর কায়বা, পাঁড়ের কায়বা, পাঁচকায়বা, ভবানীপুর ও রুদ্রপুরসহ আশপাশের অন্তত ৮ গ্রামের কৃষক। বিশেষ করে উজানের পানি ঢোকার কারণে আউশ ধান, পাট এবং আমন ধানের বীজতলার ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
কয়েকজন কৃষক জানান, ভারতীয় ইছামতী নদীরসংলগ্ন খালমুখের বাঁধ কেটে রাখার ফলে বৃষ্টির পানি ও উজানের পানি একত্রে প্রবেশ করে ঠেঙামারী ও আওয়ালী বিলে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি করেছে। ফলে ডাঙ্গার জমির পাট ও আউশ ধান সম্পূর্ণভাবে ডুবে গেছে।
কৃষক জাকির হোসেন বলেন, ‘আমার এক বিঘা জমির পাট পুরোপুরি পানিতে ডুবে গেছে। এতে প্রায় ৩০ হাজার টাকার ক্ষতি হয়েছে।’ আরও অনেক কৃষক আছেন যাদের জমিতে ৫ থেকে ৬ ফুট পর্যন্ত পানি জমে আছে বলে জানা গেছে।
কায়বা ইউনিয়নের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আল-আমিন জানান, আগাম বর্ষণের কারণে আমন ধানের মূলত ক্ষতি হয়নি। তবে প্রায় ৫ হেক্টর আমনের বীজতলা, ৩৫ হেক্টর
আউশ ধান এবং ২০ হেক্টর পাটের জমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ‘যদিও আমন ধানের বড় কোনো ক্ষতি হয়নি, তবে জলাবদ্ধতার কারণে ঠেঙামারী বিলে প্রায় ৫০০ একর জমিতে আমন চাষ না হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।’
একটি সূত্র জানায়, কৃষকদের ইরি-বোরো চাষের সুবিধার্থে খালমুখের বাঁধ কেটে দেয়া হয়েছিল, তবে পরে তা আর পুনঃনির্মাণ করা হয়নি।
এখন সেই বাঁধ না থাকায় এ জলাবদ্ধতা, আর তা চাষিদের জন্য চরম বিপদের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে, এমনটাই বলছেন ভুক্তভোগীরা।
পানির নিচে ৫০০ একর জমি
সোমবার, ২১ জুলাই ২০২৫
টানা বর্ষণ এবং ভারতের ইছামতী নদীর উজানের পানি ঢুকে এ বছরও যশোরের শার্শা উপজেলার রুদ্রপুর গ্রামের ঠেঙামারী ও আওয়ালী বিল প্লাবিত হয়েছে। এতে প্রায় ৫০০ একর ফসলি জমি পানির নিচে তলিয়ে গেছে।
ক্ষতির মুখে পড়েছেন উপজেলার গোগা, শান্তিপুর, বাইকোলা, গাজীর কায়বা, পাঁড়ের কায়বা, পাঁচকায়বা, ভবানীপুর ও রুদ্রপুরসহ আশপাশের অন্তত ৮ গ্রামের কৃষক। বিশেষ করে উজানের পানি ঢোকার কারণে আউশ ধান, পাট এবং আমন ধানের বীজতলার ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
কয়েকজন কৃষক জানান, ভারতীয় ইছামতী নদীরসংলগ্ন খালমুখের বাঁধ কেটে রাখার ফলে বৃষ্টির পানি ও উজানের পানি একত্রে প্রবেশ করে ঠেঙামারী ও আওয়ালী বিলে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি করেছে। ফলে ডাঙ্গার জমির পাট ও আউশ ধান সম্পূর্ণভাবে ডুবে গেছে।
কৃষক জাকির হোসেন বলেন, ‘আমার এক বিঘা জমির পাট পুরোপুরি পানিতে ডুবে গেছে। এতে প্রায় ৩০ হাজার টাকার ক্ষতি হয়েছে।’ আরও অনেক কৃষক আছেন যাদের জমিতে ৫ থেকে ৬ ফুট পর্যন্ত পানি জমে আছে বলে জানা গেছে।
কায়বা ইউনিয়নের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আল-আমিন জানান, আগাম বর্ষণের কারণে আমন ধানের মূলত ক্ষতি হয়নি। তবে প্রায় ৫ হেক্টর আমনের বীজতলা, ৩৫ হেক্টর
আউশ ধান এবং ২০ হেক্টর পাটের জমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ‘যদিও আমন ধানের বড় কোনো ক্ষতি হয়নি, তবে জলাবদ্ধতার কারণে ঠেঙামারী বিলে প্রায় ৫০০ একর জমিতে আমন চাষ না হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।’
একটি সূত্র জানায়, কৃষকদের ইরি-বোরো চাষের সুবিধার্থে খালমুখের বাঁধ কেটে দেয়া হয়েছিল, তবে পরে তা আর পুনঃনির্মাণ করা হয়নি।
এখন সেই বাঁধ না থাকায় এ জলাবদ্ধতা, আর তা চাষিদের জন্য চরম বিপদের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে, এমনটাই বলছেন ভুক্তভোগীরা।