দুই সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও চার বছরের এক শিশুকে ধর্ষণচেষ্টার মামলার প্রধান আসামি মো. হাসান (১৮) কে গ্রেপ্তার না করায় বিক্ষোভ মিছিল, মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা করেছে এলাকাবাসী।
‘ভূমিহীন সংগঠন’-এর ব্যানারে সোমবার,(২১ জুলাই ২০২৫) বেলা ১১টায় কুমিল্লার দেবীদ্বার উপজেলার ৪নং সুবিল ইউনিয়নের বুড়িরপাড় বাজারে এ কর্মসূচি হয়। বুড়িরপাড় গ্রামের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে একটি বিশাল বিক্ষোভ মিছিল বাজারে গিয়ে মানববন্ধন করে। ধর্ষক হাসানকে দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে এলাকাবাসী এই কর্মসূচিতে অংশ নেয়।
ভূমিহীন সংগঠনের নেত্রী সেফালী বেগমের সভাপতিত্বে এবং প্রবীণ রাজনীতিক ও কবি হান্নান মুনসীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য দেন- বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি কুমিল্লা জেলা কমিটির সাবেক সভাপতি এবিএম আতিকুর রহমান বাশার, ‘নিজেরা করি’ চট্টগ্রাম বিভাগীয় সংগঠক গোলশান আরা, ভূমিহীন নেতা আব্দুল আজিজ, ‘নিজেরা করি’ অঞ্চল সমন্বয়ক আব্দুল জব্বার, ভিকটিম শিশুর নানা রেণু মিয়া, মামা জমির হোসেন, রসুলপুর ভূমিহীন সংগঠনের সভাপতি আবু মিয়া, সংগঠনের নেতা আবুল বাশার ও লিল মিয়া প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, ‘দেবীদ্বারে ৪ বছরের শিশু ধর্ষণচেষ্টা মামলার প্রধান আসামি হাসানকে ১৪ দিনেও গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। উল্টো অভিযুক্ত পরিবারের সদস্যরা মামলা তুলে নিতে ভিকটিম পরিবারের ওপর নানাভাবে হুমকি দিচ্ছে।’
বক্তারা আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অভিযুক্ত হাসান এবং তার বাবা সাইফুল ইসলাম বাবুল ও মা হালিমা আক্তারকে গ্রেপ্তারপূর্বক দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান। অন্যথায় আন্দোলনকারীরা উপজেলা সদরে বিক্ষোভ ও থানা ঘেরাও কর্মসূচির হুমকি দেন।
গত ৬ জুলাই বিকেলে ভিকটিম শিশু তার মায়ের সঙ্গে রাঘবপুর গ্রামে মামার বাড়িতে বেড়াতে আসে। ওই দিন বেলা ২টায় পাশের ঘরের চাচাতো মামা হাসান (১৮) তাকে চিপস খাওয়ানোর কথা বলে নিজের ঘরে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করে। শিশুটির চিৎকারে বাড়ির লোকজন তাকে উদ্ধার করে এবং হাসানকে আটক করে বেঁধে রাখে।
পরে স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তিরা ঘটনাটি গোপন রেখে রাতে সালিশ বসান। সমঝোতা না হওয়ায় সালিশ ভেঙে যায় এবং হাসানকে ছেড়ে দেয়া হয়।
পরদিন ৭ জুলাই দুপুরে ভিকটিমের মা বাদী হয়ে দেবীদ্বার থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯(৪)(খ) ধারায় হাসানসহ তার পিতা সাইফুল ইসলাম বাবুল (৪৫) ও মাতা হালিমা আক্তার (৩৮)-এর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
পুলিশ হাসানের বাবা-মাকে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করলেও তারা জামিনে মুক্ত হয়ে ভিকটিম পরিবারের ওপর মামলা তুলে নিতে হুমকি দিচ্ছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
এ বিষয়ে দেবীদ্বার থানার ওসি শামসুদ্দীন মোহাম্মদ ইলিয়াছকে একাধিকবার ফোন করেও পাওয়া যায়নি। তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মাজহারুল ইসলাম জানান, ‘কেন অভিযুক্ত হাসানকে এখনও গ্রেপ্তার করা যাচ্ছে না, সে বিষয়ে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বলতে পারবেন।’
সোমবার, ২১ জুলাই ২০২৫
দুই সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও চার বছরের এক শিশুকে ধর্ষণচেষ্টার মামলার প্রধান আসামি মো. হাসান (১৮) কে গ্রেপ্তার না করায় বিক্ষোভ মিছিল, মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা করেছে এলাকাবাসী।
‘ভূমিহীন সংগঠন’-এর ব্যানারে সোমবার,(২১ জুলাই ২০২৫) বেলা ১১টায় কুমিল্লার দেবীদ্বার উপজেলার ৪নং সুবিল ইউনিয়নের বুড়িরপাড় বাজারে এ কর্মসূচি হয়। বুড়িরপাড় গ্রামের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে একটি বিশাল বিক্ষোভ মিছিল বাজারে গিয়ে মানববন্ধন করে। ধর্ষক হাসানকে দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে এলাকাবাসী এই কর্মসূচিতে অংশ নেয়।
ভূমিহীন সংগঠনের নেত্রী সেফালী বেগমের সভাপতিত্বে এবং প্রবীণ রাজনীতিক ও কবি হান্নান মুনসীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য দেন- বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি কুমিল্লা জেলা কমিটির সাবেক সভাপতি এবিএম আতিকুর রহমান বাশার, ‘নিজেরা করি’ চট্টগ্রাম বিভাগীয় সংগঠক গোলশান আরা, ভূমিহীন নেতা আব্দুল আজিজ, ‘নিজেরা করি’ অঞ্চল সমন্বয়ক আব্দুল জব্বার, ভিকটিম শিশুর নানা রেণু মিয়া, মামা জমির হোসেন, রসুলপুর ভূমিহীন সংগঠনের সভাপতি আবু মিয়া, সংগঠনের নেতা আবুল বাশার ও লিল মিয়া প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, ‘দেবীদ্বারে ৪ বছরের শিশু ধর্ষণচেষ্টা মামলার প্রধান আসামি হাসানকে ১৪ দিনেও গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। উল্টো অভিযুক্ত পরিবারের সদস্যরা মামলা তুলে নিতে ভিকটিম পরিবারের ওপর নানাভাবে হুমকি দিচ্ছে।’
বক্তারা আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অভিযুক্ত হাসান এবং তার বাবা সাইফুল ইসলাম বাবুল ও মা হালিমা আক্তারকে গ্রেপ্তারপূর্বক দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান। অন্যথায় আন্দোলনকারীরা উপজেলা সদরে বিক্ষোভ ও থানা ঘেরাও কর্মসূচির হুমকি দেন।
গত ৬ জুলাই বিকেলে ভিকটিম শিশু তার মায়ের সঙ্গে রাঘবপুর গ্রামে মামার বাড়িতে বেড়াতে আসে। ওই দিন বেলা ২টায় পাশের ঘরের চাচাতো মামা হাসান (১৮) তাকে চিপস খাওয়ানোর কথা বলে নিজের ঘরে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করে। শিশুটির চিৎকারে বাড়ির লোকজন তাকে উদ্ধার করে এবং হাসানকে আটক করে বেঁধে রাখে।
পরে স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তিরা ঘটনাটি গোপন রেখে রাতে সালিশ বসান। সমঝোতা না হওয়ায় সালিশ ভেঙে যায় এবং হাসানকে ছেড়ে দেয়া হয়।
পরদিন ৭ জুলাই দুপুরে ভিকটিমের মা বাদী হয়ে দেবীদ্বার থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯(৪)(খ) ধারায় হাসানসহ তার পিতা সাইফুল ইসলাম বাবুল (৪৫) ও মাতা হালিমা আক্তার (৩৮)-এর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
পুলিশ হাসানের বাবা-মাকে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করলেও তারা জামিনে মুক্ত হয়ে ভিকটিম পরিবারের ওপর মামলা তুলে নিতে হুমকি দিচ্ছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
এ বিষয়ে দেবীদ্বার থানার ওসি শামসুদ্দীন মোহাম্মদ ইলিয়াছকে একাধিকবার ফোন করেও পাওয়া যায়নি। তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মাজহারুল ইসলাম জানান, ‘কেন অভিযুক্ত হাসানকে এখনও গ্রেপ্তার করা যাচ্ছে না, সে বিষয়ে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বলতে পারবেন।’