রংপুরের পীরগাছা উপজেলায় ছাগলের জন্য ঘাস কাটতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন এক গৃহবধূ। ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে থানায় একটি মামলা হয়েছে। মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ওসি তদন্ত আমিরুল ইসলাম।
গতকাল রোববার রাতে এ ঘটনায় ভিক্টিম থানায় একটি এজাহার দাখিল করেন। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার তাম্বুলপুর ইউনিয়নের প্রতিপাল গ্রামে।
অভিযুক্ত ব্যক্তি একই গ্রামের সৈয়দ আলীর ছেলে মজনু মিয়া (৩৫)।
ভুক্তভোগীর দাখিলকৃত এজাহার সূত্রে জানা যায়, তার স্বামী ও ভাশুর অটো ভ্যানচালক হওয়ায় দিনের অধিকাংশ সময় বাইরে থাকেন। ফলে তিনি ও তার বড় জা মিলে সংসার পরিচালনা করেন। প্রায় এক মাস আগে অভিযুক্ত মজনু মিয়া তাকে একা পেয়ে বাড়িতে গিয়ে কুপ্রস্তাব দেয়। তিনি সেটি প্রত্যাখ্যান করে স্বামীকে জানালে তার স্বামী মজনুকে সতর্ক করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে অভিযুক্ত পরে প্রতিশোধের পরিকল্পনা করতে থাকেন।
গত ১৩ জুলাই বিকেলে তিনি বাড়ির পাশে বুড়াল নদীর তীরে ঘাস কাটতে গেলে মজনু মিয়া আবারও কুপ্রস্তাব দেয়। প্রত্যাখ্যান করায়
অভিযুক্ত তাকে টানাহেঁচড়া করে ঘাস ক্ষেতের ভেতরে নিয়ে গিয়ে মুখে গামছা বেঁধে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে।
এ ঘটনার পর বিষয়টি জানাজানি হলে প্রভাবশালীরা স্থানীয়ভাবে মীমাংসার চেষ্টা করেন। তবে স্থানীয় প্রভাবশালী আব্দুল করিম মাস্টার, মোক্তার মাস্টার ও আমিনুল ইসলামসহ কয়েকজন প্রথমে বিষয়টি সালিশি বৈঠকের মাধ্যমে সমাধানের আশ্বাস দেন।
তবে সময়ক্ষেপণ ও টালবাহানার পর একপর্যায়ে তারা জানান, তারা এ বিষয়ে কিছু করতে অপারগ। অভিযোগ রয়েছে, এ সময় ওই প্রভাবশালীরা ভুক্তভোগীর সঙ্গে ‘চুপ থাকার শর্তে আপসের চাপ প্রয়োগ করেন। এমনকি সময়ক্ষেপণ করে ধর্ষণের আলামত নষ্ট করার মতো অপরাধেও জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে তাদের বিরুদ্ধে।
ভুক্তভোগী গৃহবধূ বলেন, ‘আমি ন্যায় বিচারের আশায় প্রথমে গ্রামের বড়দের কাছে গিয়েছিলাম, কিন্তু তারাই উল্টো সময় নষ্ট করলো। এখন আমি আইনের আশ্রয় নিয়েছি। আমি বিচার চাই।’
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত মজনু মিয়া তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
এ বিষয়ে পীরগাছা থানার ওসি (তদন্ত) আমিরুল ইসলাম জানান, ভিক্টিম গৃহবধূ বাদী হয়ে পীরগাছা থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলা নম্বর-২৯। তারিখ-২১-০৭-২০২৫ইং। ধর্ষণ এবং আলামত নষ্টের বিষয়টি গুরুত্বসহকারে খতিয়ে দেখার দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী ।
সোমবার, ২১ জুলাই ২০২৫
রংপুরের পীরগাছা উপজেলায় ছাগলের জন্য ঘাস কাটতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন এক গৃহবধূ। ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে থানায় একটি মামলা হয়েছে। মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ওসি তদন্ত আমিরুল ইসলাম।
গতকাল রোববার রাতে এ ঘটনায় ভিক্টিম থানায় একটি এজাহার দাখিল করেন। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার তাম্বুলপুর ইউনিয়নের প্রতিপাল গ্রামে।
অভিযুক্ত ব্যক্তি একই গ্রামের সৈয়দ আলীর ছেলে মজনু মিয়া (৩৫)।
ভুক্তভোগীর দাখিলকৃত এজাহার সূত্রে জানা যায়, তার স্বামী ও ভাশুর অটো ভ্যানচালক হওয়ায় দিনের অধিকাংশ সময় বাইরে থাকেন। ফলে তিনি ও তার বড় জা মিলে সংসার পরিচালনা করেন। প্রায় এক মাস আগে অভিযুক্ত মজনু মিয়া তাকে একা পেয়ে বাড়িতে গিয়ে কুপ্রস্তাব দেয়। তিনি সেটি প্রত্যাখ্যান করে স্বামীকে জানালে তার স্বামী মজনুকে সতর্ক করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে অভিযুক্ত পরে প্রতিশোধের পরিকল্পনা করতে থাকেন।
গত ১৩ জুলাই বিকেলে তিনি বাড়ির পাশে বুড়াল নদীর তীরে ঘাস কাটতে গেলে মজনু মিয়া আবারও কুপ্রস্তাব দেয়। প্রত্যাখ্যান করায়
অভিযুক্ত তাকে টানাহেঁচড়া করে ঘাস ক্ষেতের ভেতরে নিয়ে গিয়ে মুখে গামছা বেঁধে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে।
এ ঘটনার পর বিষয়টি জানাজানি হলে প্রভাবশালীরা স্থানীয়ভাবে মীমাংসার চেষ্টা করেন। তবে স্থানীয় প্রভাবশালী আব্দুল করিম মাস্টার, মোক্তার মাস্টার ও আমিনুল ইসলামসহ কয়েকজন প্রথমে বিষয়টি সালিশি বৈঠকের মাধ্যমে সমাধানের আশ্বাস দেন।
তবে সময়ক্ষেপণ ও টালবাহানার পর একপর্যায়ে তারা জানান, তারা এ বিষয়ে কিছু করতে অপারগ। অভিযোগ রয়েছে, এ সময় ওই প্রভাবশালীরা ভুক্তভোগীর সঙ্গে ‘চুপ থাকার শর্তে আপসের চাপ প্রয়োগ করেন। এমনকি সময়ক্ষেপণ করে ধর্ষণের আলামত নষ্ট করার মতো অপরাধেও জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে তাদের বিরুদ্ধে।
ভুক্তভোগী গৃহবধূ বলেন, ‘আমি ন্যায় বিচারের আশায় প্রথমে গ্রামের বড়দের কাছে গিয়েছিলাম, কিন্তু তারাই উল্টো সময় নষ্ট করলো। এখন আমি আইনের আশ্রয় নিয়েছি। আমি বিচার চাই।’
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত মজনু মিয়া তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
এ বিষয়ে পীরগাছা থানার ওসি (তদন্ত) আমিরুল ইসলাম জানান, ভিক্টিম গৃহবধূ বাদী হয়ে পীরগাছা থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলা নম্বর-২৯। তারিখ-২১-০৭-২০২৫ইং। ধর্ষণ এবং আলামত নষ্টের বিষয়টি গুরুত্বসহকারে খতিয়ে দেখার দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী ।