রাজধানীর উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হয়ে প্রাণহানির ঘটনায় ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা ছয় দফা দাবিতে মঙ্গলবার সকাল থেকে বিক্ষোভ করছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল এবং শিক্ষা উপদেষ্টা সি আর আবরার ঘটনাস্থলে এসে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনা করেছেন। আলোচনায় সব দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস দিলেও শিক্ষার্থীদের আন্দোলন চলমান রয়েছে।
মঙ্গলবার বেলা পৌনে একটার দিকে শিক্ষার্থীদের একটি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে আলোচনার পর কনফারেন্স কক্ষ থেকে বেরিয়ে এসে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেন, “শিক্ষার্থীদের দাবি অত্যন্ত যৌক্তিক। সরকারের পক্ষ থেকে প্রতিটি দাবি পূরণ করা হবে। আপনারা আমাদের ওপর বিশ্বাস রাখতে পারেন।” তিনি বলেন, “আমরা অভিভাবক হিসেবে এসেছি। কোমলমতি শিশুরা যারা প্রাণ হারিয়েছে, তাদের বিষয়ে তথ্য হালনাগাদ করতে কন্ট্রোল রুম গঠন করা হবে।”
তিনি আরও জানান, “যে বাহিনী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে খারাপ ব্যবহার করেছে, সরকারের পক্ষ থেকে তার জন্য নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করছি। উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
উপদেষ্টারা এ সময় নিহতদের প্রতি গভীর শোক প্রকাশ করেন এবং আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করেন।
তবে এই আশ্বাসের পরও বিক্ষোভ থামেনি। শিক্ষার্থীরা কলেজ ক্যাম্পাসের ৫ নম্বর ভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে স্লোগান দিতে থাকেন। এর আগে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপদেষ্টারা কলেজ পরিদর্শনে গেলে শিক্ষার্থীরা তাঁদের ঘিরে ধরে এবং বিভিন্ন দাবি তুলে ধরে বিক্ষোভ দেখান। পরে উপদেষ্টারা কলেজ ভবনের নিচতলার কনফারেন্স কক্ষে শিক্ষকদের সঙ্গে নিয়ে পাঁচ থেকে সাতজন শিক্ষার্থীর প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠকে বসেন।
শিক্ষার্থীরা তাদের ছয় দফা দাবির মধ্যে উল্লেখ করেছেন—নিহতদের সঠিক নাম ও পরিচয় প্রকাশ, আহতদের নির্ভুল তালিকা, প্রত্যেক ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ, বিমানবাহিনীর ব্যবহৃত পুরোনো ও ঝুঁকিপূর্ণ প্রশিক্ষণ বিমান বাতিল, প্রশিক্ষণ পদ্ধতি ও কেন্দ্র আধুনিকায়ন এবং শিক্ষকদের সঙ্গে দুর্ব্যবহারের জন্য সেনাবাহিনীর জনসমক্ষে ক্ষমা প্রার্থনা।
উল্লেখ্য, গতকাল সোমবার দুপুরে বিমানবাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের একটি ভবনে বিধ্বস্ত হয়। আজ সকাল পর্যন্ত এতে ২৭ জন শিক্ষার্থী প্রাণ হারিয়েছেন বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী চিকিৎসক মো. সায়েদুর রহমান। তিনি জানান, চারটি হাসপাতালে এখনো চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৭৮ জন।
মঙ্গলবার, ২২ জুলাই ২০২৫
রাজধানীর উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হয়ে প্রাণহানির ঘটনায় ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা ছয় দফা দাবিতে মঙ্গলবার সকাল থেকে বিক্ষোভ করছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল এবং শিক্ষা উপদেষ্টা সি আর আবরার ঘটনাস্থলে এসে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনা করেছেন। আলোচনায় সব দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস দিলেও শিক্ষার্থীদের আন্দোলন চলমান রয়েছে।
মঙ্গলবার বেলা পৌনে একটার দিকে শিক্ষার্থীদের একটি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে আলোচনার পর কনফারেন্স কক্ষ থেকে বেরিয়ে এসে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেন, “শিক্ষার্থীদের দাবি অত্যন্ত যৌক্তিক। সরকারের পক্ষ থেকে প্রতিটি দাবি পূরণ করা হবে। আপনারা আমাদের ওপর বিশ্বাস রাখতে পারেন।” তিনি বলেন, “আমরা অভিভাবক হিসেবে এসেছি। কোমলমতি শিশুরা যারা প্রাণ হারিয়েছে, তাদের বিষয়ে তথ্য হালনাগাদ করতে কন্ট্রোল রুম গঠন করা হবে।”
তিনি আরও জানান, “যে বাহিনী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে খারাপ ব্যবহার করেছে, সরকারের পক্ষ থেকে তার জন্য নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করছি। উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
উপদেষ্টারা এ সময় নিহতদের প্রতি গভীর শোক প্রকাশ করেন এবং আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করেন।
তবে এই আশ্বাসের পরও বিক্ষোভ থামেনি। শিক্ষার্থীরা কলেজ ক্যাম্পাসের ৫ নম্বর ভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে স্লোগান দিতে থাকেন। এর আগে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপদেষ্টারা কলেজ পরিদর্শনে গেলে শিক্ষার্থীরা তাঁদের ঘিরে ধরে এবং বিভিন্ন দাবি তুলে ধরে বিক্ষোভ দেখান। পরে উপদেষ্টারা কলেজ ভবনের নিচতলার কনফারেন্স কক্ষে শিক্ষকদের সঙ্গে নিয়ে পাঁচ থেকে সাতজন শিক্ষার্থীর প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠকে বসেন।
শিক্ষার্থীরা তাদের ছয় দফা দাবির মধ্যে উল্লেখ করেছেন—নিহতদের সঠিক নাম ও পরিচয় প্রকাশ, আহতদের নির্ভুল তালিকা, প্রত্যেক ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ, বিমানবাহিনীর ব্যবহৃত পুরোনো ও ঝুঁকিপূর্ণ প্রশিক্ষণ বিমান বাতিল, প্রশিক্ষণ পদ্ধতি ও কেন্দ্র আধুনিকায়ন এবং শিক্ষকদের সঙ্গে দুর্ব্যবহারের জন্য সেনাবাহিনীর জনসমক্ষে ক্ষমা প্রার্থনা।
উল্লেখ্য, গতকাল সোমবার দুপুরে বিমানবাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের একটি ভবনে বিধ্বস্ত হয়। আজ সকাল পর্যন্ত এতে ২৭ জন শিক্ষার্থী প্রাণ হারিয়েছেন বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী চিকিৎসক মো. সায়েদুর রহমান। তিনি জানান, চারটি হাসপাতালে এখনো চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৭৮ জন।