ঢাকার দিয়াবাড়িতে বিমান বাহিনীর যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়ে ২৭ জন নিহত ও ৭৮ জন আহত হওয়ার ঘটনার পর উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে উত্তরা মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ। মঙ্গলবার সকাল থেকে শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে অবস্থান নিয়ে ছয় দফা দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করেন। সকাল পৌনে ১০টায় ঘটনাস্থলে গেলে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল ও শিক্ষা উপদেষ্টা সি আর আবরারকে তোপের মুখে পড়তে হয়। বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা ‘ভুয়া ভুয়া’, ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’ এবং ‘আমার ভাই মরল কেন, জবাব চাই’ স্লোগানে উত্তাল করে তোলে ক্যাম্পাস।
উপদেষ্টারা শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও শিক্ষকদের সঙ্গে বৈঠক করেন। আলোচনা শেষে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে আসিফ নজরুল শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো ‘যৌক্তিক’ উল্লেখ করে তা মেনে নেওয়ার আশ্বাস দেন।
তিনি বলেন, “আপনারা যে ছয়টি দাবি তুলেছেন, তার সঙ্গে আমরা সম্পূর্ণ একমত। প্রতিটি দাবি পূরণে সরকার উদ্যোগ নেবে।” একই সঙ্গে যারা শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সঙ্গে ‘খারাপ ব্যবহার’ করেছে, তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন তিনি।
তবে উপদেষ্টার এই আশ্বাসে সন্তুষ্ট না হয়ে শিক্ষার্থীরা ফের বিক্ষোভে ফেটে পড়েন। উপদেষ্টারা ক্যাম্পাসের সম্মেলনকক্ষে অবস্থান নিলে শিক্ষার্থীরা প্রধান ফটকে তালা লাগিয়ে দেন। দুপুর সোয়া দুইটার দিকে উপদেষ্টারা বের হবেন—এমন খবরে উত্তেজনা চরমে পৌঁছায়। শিক্ষার্থীরা মূল ফটকে তালা ঝুলিয়ে দেয় এবং পুলিশ বাহিনীর একটি ডাবল কেবিন গাড়িতে ভাঙচুর চালায়।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বিকেল ৩টার দিকে এক প্লাটুন এপিবিএন, কয়েক প্লাটুন ডিএমপির রিজার্ভ পুলিশ এবং একটি এটিইউ ইউনিট ক্যাম্পাসে পৌঁছায়। শিক্ষকদের মধ্যস্থতায় শিক্ষার্থীরা ধীরে ধীরে ছত্রভঙ্গ হয় এবং বেশিরভাগই ক্যাম্পাস ত্যাগ করে।
শিক্ষার্থীদের ছয় দফা দাবিগুলো হলো: ১. নিহতদের সঠিক নাম ও তথ্য প্রকাশ ২. আহতদের নির্ভুল তালিকা প্রকাশ ৩. শিক্ষক লাঞ্ছনার ঘটনায় সেনা সদস্যদের জনসম্মুখে নিঃশর্ত ক্ষমা ৪. নিহত শিক্ষার্থীদের পরিবারকে বিমান বাহিনীর পক্ষ থেকে ক্ষতিপূরণ ৫. পুরনো ও ঝুঁকিপূর্ণ উড়োজাহাজ বাতিল করে আধুনিক উড়োজাহাজ চালু ৬. বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ পদ্ধতি ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্রকে মানবিক ও নিরাপদভাবে সংস্কার
গতকাল সোমবার দুপুরে বিমান বাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান দিয়াবাড়িতে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ভবনে বিধ্বস্ত হয়। প্রাণ হারান ২৭ জন, আহত হন অন্তত ৭৮ জন। দুর্ঘটনার পর সরকার মঙ্গলবার রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করে।
মঙ্গলবার, ২২ জুলাই ২০২৫
ঢাকার দিয়াবাড়িতে বিমান বাহিনীর যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়ে ২৭ জন নিহত ও ৭৮ জন আহত হওয়ার ঘটনার পর উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে উত্তরা মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ। মঙ্গলবার সকাল থেকে শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে অবস্থান নিয়ে ছয় দফা দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করেন। সকাল পৌনে ১০টায় ঘটনাস্থলে গেলে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল ও শিক্ষা উপদেষ্টা সি আর আবরারকে তোপের মুখে পড়তে হয়। বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা ‘ভুয়া ভুয়া’, ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’ এবং ‘আমার ভাই মরল কেন, জবাব চাই’ স্লোগানে উত্তাল করে তোলে ক্যাম্পাস।
উপদেষ্টারা শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও শিক্ষকদের সঙ্গে বৈঠক করেন। আলোচনা শেষে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে আসিফ নজরুল শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো ‘যৌক্তিক’ উল্লেখ করে তা মেনে নেওয়ার আশ্বাস দেন।
তিনি বলেন, “আপনারা যে ছয়টি দাবি তুলেছেন, তার সঙ্গে আমরা সম্পূর্ণ একমত। প্রতিটি দাবি পূরণে সরকার উদ্যোগ নেবে।” একই সঙ্গে যারা শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সঙ্গে ‘খারাপ ব্যবহার’ করেছে, তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন তিনি।
তবে উপদেষ্টার এই আশ্বাসে সন্তুষ্ট না হয়ে শিক্ষার্থীরা ফের বিক্ষোভে ফেটে পড়েন। উপদেষ্টারা ক্যাম্পাসের সম্মেলনকক্ষে অবস্থান নিলে শিক্ষার্থীরা প্রধান ফটকে তালা লাগিয়ে দেন। দুপুর সোয়া দুইটার দিকে উপদেষ্টারা বের হবেন—এমন খবরে উত্তেজনা চরমে পৌঁছায়। শিক্ষার্থীরা মূল ফটকে তালা ঝুলিয়ে দেয় এবং পুলিশ বাহিনীর একটি ডাবল কেবিন গাড়িতে ভাঙচুর চালায়।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বিকেল ৩টার দিকে এক প্লাটুন এপিবিএন, কয়েক প্লাটুন ডিএমপির রিজার্ভ পুলিশ এবং একটি এটিইউ ইউনিট ক্যাম্পাসে পৌঁছায়। শিক্ষকদের মধ্যস্থতায় শিক্ষার্থীরা ধীরে ধীরে ছত্রভঙ্গ হয় এবং বেশিরভাগই ক্যাম্পাস ত্যাগ করে।
শিক্ষার্থীদের ছয় দফা দাবিগুলো হলো: ১. নিহতদের সঠিক নাম ও তথ্য প্রকাশ ২. আহতদের নির্ভুল তালিকা প্রকাশ ৩. শিক্ষক লাঞ্ছনার ঘটনায় সেনা সদস্যদের জনসম্মুখে নিঃশর্ত ক্ষমা ৪. নিহত শিক্ষার্থীদের পরিবারকে বিমান বাহিনীর পক্ষ থেকে ক্ষতিপূরণ ৫. পুরনো ও ঝুঁকিপূর্ণ উড়োজাহাজ বাতিল করে আধুনিক উড়োজাহাজ চালু ৬. বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ পদ্ধতি ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্রকে মানবিক ও নিরাপদভাবে সংস্কার
গতকাল সোমবার দুপুরে বিমান বাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান দিয়াবাড়িতে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ভবনে বিধ্বস্ত হয়। প্রাণ হারান ২৭ জন, আহত হন অন্তত ৭৮ জন। দুর্ঘটনার পর সরকার মঙ্গলবার রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করে।