মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে ভিড় নিয়ন্ত্রণের সময় কয়েকজন সেনাসদস্যের হাতে শিক্ষার্থীদের মারধরের অভিযোগ তদন্ত করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)।
ঘটনাটিকে ‘অনভিপ্রেত’ হিসেবে উল্লেখ করে আইএসপিআর জানিয়েছে, তদন্তে দোষী প্রমাণিত হলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মঙ্গলবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তারা বিমান বাহিনীর জঙ্গি বিমান বিধ্বস্তের পরের পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করেছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, উদ্ধার কাজ নির্বিঘ্ন রাখতে উৎসুক জনতাকে সরাতে গেলে সেনাসদস্য ও স্বেচ্ছাসেবকদের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝি ও বাদানুবাদ হয়, যা এক পর্যায়ে অনভিপ্রেত ঘটনার রূপ নেয়।
মাইলস্টোনে উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হয়ে এখন পর্যন্ত শিশুসহ ২৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত ৬৮ জনের অনেকেই গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
দুর্ঘটনার পর উদ্ধারকাজ চলাকালে সংবাদকর্মী, উৎসুক জনতা ও শিক্ষকদের সঙ্গেও বাদানুবাদ এবং শিক্ষার্থীদের মারধরের অভিযোগ ওঠে।
মঙ্গলবার সকাল থেকে শিক্ষার্থীরা এই ঘটনার প্রতিবাদসহ ছয় দফা দাবিতে ক্যাম্পাসের পাশে গোলচত্বরে বিক্ষোভ করেন। তারা সেনাসদস্যদের নিঃশর্ত ক্ষমা চাওয়ারও দাবি জানান।
অভিযোগ ও দাবির পর প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর দুঃখপ্রকাশ করে জানায়, বিষয়টি নিয়ে সেনা কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হবে এবং উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
প্রধান উপদেষ্টার দপ্তরের এক বিবৃতিতে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুলের বরাত দিয়ে বলা হয়, মাইলস্টোনের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনায় তিনি জানান, জনগণের ভিড় নিয়ন্ত্রণের সময় সেনাসদস্যদের হাতে শিক্ষার্থীদের ওপর মারধরের অভিযোগের প্রেক্ষিতে সরকারের পক্ষ থেকে দুঃখপ্রকাশ করা হয়েছে এবং যথাযথ ব্যবস্থা নিতে সেনা কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে।
আইএসপিআর জানায়, সোমবার দুপুর ১টা ১৮ মিনিটে দুর্ঘটনার পরপরই সেনাসদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার কাজ শুরু করেন। ফায়ার সার্ভিসসহ অন্যান্য সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় করে আহতদের দ্রুত হাসপাতালে নেওয়ার চেষ্টা করা হয়।
তবে উদ্ধার চলাকালে ব্যাপক ভিড়ের কারণে কাজ ব্যাহত হয়। বারবার অনুরোধ করলেও উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মানুষ সরে না যাওয়ায় আহতদের সরানো কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ে এবং প্রাণহানির ঝুঁকি বেড়ে যায়।
আইএসপিআর জানায়, সর্বোচ্চ পেশাদারিত্বের সঙ্গে কাজ করা সেনাসদস্যদের মধ্য থেকে ১৪ জন শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, বারবার অনুরোধ সত্ত্বেও কিছু মানুষ সরে না যাওয়ায় উদ্ধারকাজে মারাত্মক বাধা তৈরি হয় এবং এক পর্যায়ে ভুল বোঝাবুঝি ও বাদানুবাদের পর অনভিপ্রেত ঘটনা ঘটে।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ঘটনার গুরুত্ব বিবেচনা করে তদন্ত শুরু করেছে এবং দোষী প্রমাণিতদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।
মঙ্গলবার, ২২ জুলাই ২০২৫
মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে ভিড় নিয়ন্ত্রণের সময় কয়েকজন সেনাসদস্যের হাতে শিক্ষার্থীদের মারধরের অভিযোগ তদন্ত করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)।
ঘটনাটিকে ‘অনভিপ্রেত’ হিসেবে উল্লেখ করে আইএসপিআর জানিয়েছে, তদন্তে দোষী প্রমাণিত হলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মঙ্গলবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তারা বিমান বাহিনীর জঙ্গি বিমান বিধ্বস্তের পরের পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করেছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, উদ্ধার কাজ নির্বিঘ্ন রাখতে উৎসুক জনতাকে সরাতে গেলে সেনাসদস্য ও স্বেচ্ছাসেবকদের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝি ও বাদানুবাদ হয়, যা এক পর্যায়ে অনভিপ্রেত ঘটনার রূপ নেয়।
মাইলস্টোনে উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হয়ে এখন পর্যন্ত শিশুসহ ২৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত ৬৮ জনের অনেকেই গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
দুর্ঘটনার পর উদ্ধারকাজ চলাকালে সংবাদকর্মী, উৎসুক জনতা ও শিক্ষকদের সঙ্গেও বাদানুবাদ এবং শিক্ষার্থীদের মারধরের অভিযোগ ওঠে।
মঙ্গলবার সকাল থেকে শিক্ষার্থীরা এই ঘটনার প্রতিবাদসহ ছয় দফা দাবিতে ক্যাম্পাসের পাশে গোলচত্বরে বিক্ষোভ করেন। তারা সেনাসদস্যদের নিঃশর্ত ক্ষমা চাওয়ারও দাবি জানান।
অভিযোগ ও দাবির পর প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর দুঃখপ্রকাশ করে জানায়, বিষয়টি নিয়ে সেনা কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হবে এবং উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
প্রধান উপদেষ্টার দপ্তরের এক বিবৃতিতে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুলের বরাত দিয়ে বলা হয়, মাইলস্টোনের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনায় তিনি জানান, জনগণের ভিড় নিয়ন্ত্রণের সময় সেনাসদস্যদের হাতে শিক্ষার্থীদের ওপর মারধরের অভিযোগের প্রেক্ষিতে সরকারের পক্ষ থেকে দুঃখপ্রকাশ করা হয়েছে এবং যথাযথ ব্যবস্থা নিতে সেনা কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে।
আইএসপিআর জানায়, সোমবার দুপুর ১টা ১৮ মিনিটে দুর্ঘটনার পরপরই সেনাসদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার কাজ শুরু করেন। ফায়ার সার্ভিসসহ অন্যান্য সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় করে আহতদের দ্রুত হাসপাতালে নেওয়ার চেষ্টা করা হয়।
তবে উদ্ধার চলাকালে ব্যাপক ভিড়ের কারণে কাজ ব্যাহত হয়। বারবার অনুরোধ করলেও উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মানুষ সরে না যাওয়ায় আহতদের সরানো কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ে এবং প্রাণহানির ঝুঁকি বেড়ে যায়।
আইএসপিআর জানায়, সর্বোচ্চ পেশাদারিত্বের সঙ্গে কাজ করা সেনাসদস্যদের মধ্য থেকে ১৪ জন শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, বারবার অনুরোধ সত্ত্বেও কিছু মানুষ সরে না যাওয়ায় উদ্ধারকাজে মারাত্মক বাধা তৈরি হয় এবং এক পর্যায়ে ভুল বোঝাবুঝি ও বাদানুবাদের পর অনভিপ্রেত ঘটনা ঘটে।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ঘটনার গুরুত্ব বিবেচনা করে তদন্ত শুরু করেছে এবং দোষী প্রমাণিতদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।