রাজনৈতিক দলের প্রধান থাকা অবস্থায় কোনো ব্যক্তি সরকারের প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন না বলে সিদ্ধান্ত দিয়েছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। বিএনপি ও সমমনাদের আপত্তি থাকলেও জামায়াতে ইসলামী, এনসিপিসহ কয়েকটি দল এর পক্ষে ছিল। সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের মতামতের ভিত্তিতে ঐকমত্য কমিশন এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে কমিশনের সহ সভাপতি আলী রীয়াজের বক্তব্যে উঠে এসেছে।
তিনি বলেছেন, ‘এই সিদ্ধান্তের সঙ্গে যারা একমত নন তারা ‘জাতীয় সনদে’ নোট অব ডিসেন্ট দিতে পারবেন।
পক্ষে জামায়াত-এনসিপি; বিএনপি ও সমমনাদের আপত্তি
কোনো দলের আপত্তি থাকলে ‘জাতীয় সনদে’ উল্লেখ থাকবে: আলী রীয়াজ
একই ব্যক্তি রাজনৈতিক দলের প্রধান এবং প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন কিনা, এই বিষয়ে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর আলোচনা কয়েকদিন যাবৎ চলছিল। বিএনপি, এলডিপি, লেবার পার্টি, এনডিএম, ১২ দলীয় জোট, জাতীয়তাবাদী ঐক্যজোট এবং আম-জনতার দল জানিয়েছে, তারা মনে করে, একজন ব্যক্তি একসঙ্গে দলীয়প্রধান, প্রধানমন্ত্রী এবং সংসদ নেতা হতে পারেন।
তবে জামায়াতে ইসলামী, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-সহ অনেক দল বলেছে, দলীয়প্রধানকে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সুযোগ রাখা যাবে না।
মঙ্গলবার,( ২২ জুলাই ২০২৫) ঢাকার ফরেন সার্ভিস অ্যাকাডেমিতে ঐকমত্য কমিশন এবং রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে দ্বিতীয় পর্যায়ের সংলাপের ১৭তম দিনে কমিশনের সহ সভাপতি আলী রীয়াজ জানান, তিন-চতুর্থাংশ দল একমত হয়েছে যে, প্রধানমন্ত্রী একাধিক পদে থাকতে পারবেন না। তিনি বলেন, ‘বেশিরভাগ দল একমত যে, প্রধানমন্ত্রীর কোনো রাজনৈতিক দলের প্রধান হওয়া উচিত নয়। কয়েকটি দল এই বিষয়ে ভিন্নমত ব্যক্ত করেছে। সেই দল এবং জোট জাতীয় সনদে নোট অব ডিসেন্ট দিতে পারবে।’
আলী রিয়াজ বলেন, ‘জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের অনুরোধ- যারা নোট অব ডিসেন্ট দিতে উৎসাহী, যদি আপনারা প্রয়োজন মনে করেন সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করতে পারেন। এটাই আমাদের সিদ্ধান্ত এবং আমরা আপনাদের জানাচ্ছি।’
মঙ্গলবার সংলাপের আলোচনার শুরুতে উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্তে হতাহতের ঘটনায় শোক প্রস্তাব পাঠ করেন কমিশনের সদস্য বদিউল আলম মজুমদার।
শোক প্রস্তাবে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত এবং নিহত ব্যক্তিদের ক্ষতিপূরণ ও আহত ব্যক্তিদের বিনামূল্যে চিকিৎসা দেয়ার অনুরোধ জানানো হয়। পরে প্রস্তাবটি সই করার জন্য উপস্থিত রাজনৈতিক দলগুলোর নেতাদের কাছে পাঠানো হয়।
সংলাপের বিরতিতে গণসংহতি আন্দোলনের নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান রুবেল সাংবাদিকদের বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের গঠন ও কারা এই সরকারের প্রধান হবেন- সেই ইস্যুতে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী একমত হয়ে যাওয়ার কারণে অন্য দলের নতুন প্রস্তাব চাপা পড়ে গেছে। তিনি বলেন, ‘বিগত কিছুদিন তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সেখানে একটা প্রস্তাব এসেছিল বিচার বিভাগকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান আকারে না রাখা। এখানে যুক্তি ছিল, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা বিচার বিভাগ থেকে রাখা হলে তখন বিচার বিভাগ দলীয়করণের ঘটনা ঘটতে পারে। আরেকটি বিষয় হচ্ছে, তত্ত্বাবধায়কে রাষ্ট্রপতিকে রাখা হলে কী হয় সেটা আমরা অতীতে দেখেছি, এক-এগারোর সরকারের আবির্ভাব ঘটেছে। ফলে বিগত দিনে এখানে একটা ঐকমত্যের জায়গা এসেছিল যে, বিএনপি বিচার বিভাগ না রাখার বিষয়ে ঐকমত্য করেছিল এবং জামায়াত রাষ্ট্রপতিকে না রাখার কথা বলেছিল।’
তিনি বলেন, ‘এরপর এসব আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে যখন নতুন প্রস্তাব এলো তখন আমরা দেখলাম বিএনপি একটা নতুন প্রস্তাব নিয়ে এসেছে, সেখানে বিচার বিভাগকে রাখার যে ত্রয়োদশ সংশোধনী ছিল সেটাতে ফিরে যাওয়ার প্রস্তাবটা বিবেচনায় রাখা হয়েছে। যার ফলে এখন দেখা যাচ্ছে বিএনপি-জামায়াত একমত হয়ে গেছে।’
গণসংহতির এ নেতা বলেন, ‘ফলে আমরা যারা নতুন একটা ব্যবস্থা চাইছি, তাদের প্রস্তাবগুলো চাপা পড়ে যাচ্ছে।’
মঙ্গলবার, ২২ জুলাই ২০২৫
রাজনৈতিক দলের প্রধান থাকা অবস্থায় কোনো ব্যক্তি সরকারের প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন না বলে সিদ্ধান্ত দিয়েছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। বিএনপি ও সমমনাদের আপত্তি থাকলেও জামায়াতে ইসলামী, এনসিপিসহ কয়েকটি দল এর পক্ষে ছিল। সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের মতামতের ভিত্তিতে ঐকমত্য কমিশন এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে কমিশনের সহ সভাপতি আলী রীয়াজের বক্তব্যে উঠে এসেছে।
তিনি বলেছেন, ‘এই সিদ্ধান্তের সঙ্গে যারা একমত নন তারা ‘জাতীয় সনদে’ নোট অব ডিসেন্ট দিতে পারবেন।
পক্ষে জামায়াত-এনসিপি; বিএনপি ও সমমনাদের আপত্তি
কোনো দলের আপত্তি থাকলে ‘জাতীয় সনদে’ উল্লেখ থাকবে: আলী রীয়াজ
একই ব্যক্তি রাজনৈতিক দলের প্রধান এবং প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন কিনা, এই বিষয়ে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর আলোচনা কয়েকদিন যাবৎ চলছিল। বিএনপি, এলডিপি, লেবার পার্টি, এনডিএম, ১২ দলীয় জোট, জাতীয়তাবাদী ঐক্যজোট এবং আম-জনতার দল জানিয়েছে, তারা মনে করে, একজন ব্যক্তি একসঙ্গে দলীয়প্রধান, প্রধানমন্ত্রী এবং সংসদ নেতা হতে পারেন।
তবে জামায়াতে ইসলামী, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-সহ অনেক দল বলেছে, দলীয়প্রধানকে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সুযোগ রাখা যাবে না।
মঙ্গলবার,( ২২ জুলাই ২০২৫) ঢাকার ফরেন সার্ভিস অ্যাকাডেমিতে ঐকমত্য কমিশন এবং রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে দ্বিতীয় পর্যায়ের সংলাপের ১৭তম দিনে কমিশনের সহ সভাপতি আলী রীয়াজ জানান, তিন-চতুর্থাংশ দল একমত হয়েছে যে, প্রধানমন্ত্রী একাধিক পদে থাকতে পারবেন না। তিনি বলেন, ‘বেশিরভাগ দল একমত যে, প্রধানমন্ত্রীর কোনো রাজনৈতিক দলের প্রধান হওয়া উচিত নয়। কয়েকটি দল এই বিষয়ে ভিন্নমত ব্যক্ত করেছে। সেই দল এবং জোট জাতীয় সনদে নোট অব ডিসেন্ট দিতে পারবে।’
আলী রিয়াজ বলেন, ‘জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের অনুরোধ- যারা নোট অব ডিসেন্ট দিতে উৎসাহী, যদি আপনারা প্রয়োজন মনে করেন সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করতে পারেন। এটাই আমাদের সিদ্ধান্ত এবং আমরা আপনাদের জানাচ্ছি।’
মঙ্গলবার সংলাপের আলোচনার শুরুতে উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্তে হতাহতের ঘটনায় শোক প্রস্তাব পাঠ করেন কমিশনের সদস্য বদিউল আলম মজুমদার।
শোক প্রস্তাবে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত এবং নিহত ব্যক্তিদের ক্ষতিপূরণ ও আহত ব্যক্তিদের বিনামূল্যে চিকিৎসা দেয়ার অনুরোধ জানানো হয়। পরে প্রস্তাবটি সই করার জন্য উপস্থিত রাজনৈতিক দলগুলোর নেতাদের কাছে পাঠানো হয়।
সংলাপের বিরতিতে গণসংহতি আন্দোলনের নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান রুবেল সাংবাদিকদের বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের গঠন ও কারা এই সরকারের প্রধান হবেন- সেই ইস্যুতে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী একমত হয়ে যাওয়ার কারণে অন্য দলের নতুন প্রস্তাব চাপা পড়ে গেছে। তিনি বলেন, ‘বিগত কিছুদিন তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সেখানে একটা প্রস্তাব এসেছিল বিচার বিভাগকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান আকারে না রাখা। এখানে যুক্তি ছিল, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা বিচার বিভাগ থেকে রাখা হলে তখন বিচার বিভাগ দলীয়করণের ঘটনা ঘটতে পারে। আরেকটি বিষয় হচ্ছে, তত্ত্বাবধায়কে রাষ্ট্রপতিকে রাখা হলে কী হয় সেটা আমরা অতীতে দেখেছি, এক-এগারোর সরকারের আবির্ভাব ঘটেছে। ফলে বিগত দিনে এখানে একটা ঐকমত্যের জায়গা এসেছিল যে, বিএনপি বিচার বিভাগ না রাখার বিষয়ে ঐকমত্য করেছিল এবং জামায়াত রাষ্ট্রপতিকে না রাখার কথা বলেছিল।’
তিনি বলেন, ‘এরপর এসব আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে যখন নতুন প্রস্তাব এলো তখন আমরা দেখলাম বিএনপি একটা নতুন প্রস্তাব নিয়ে এসেছে, সেখানে বিচার বিভাগকে রাখার যে ত্রয়োদশ সংশোধনী ছিল সেটাতে ফিরে যাওয়ার প্রস্তাবটা বিবেচনায় রাখা হয়েছে। যার ফলে এখন দেখা যাচ্ছে বিএনপি-জামায়াত একমত হয়ে গেছে।’
গণসংহতির এ নেতা বলেন, ‘ফলে আমরা যারা নতুন একটা ব্যবস্থা চাইছি, তাদের প্রস্তাবগুলো চাপা পড়ে যাচ্ছে।’