alt

জাতীয়

স্বজনদের অশ্রু, হাজারও মানুষের শোক, সমাহিত বিমান বিধ্বস্তে নিহতরা

রাজশাহীতে চিরনিদ্রায় পাইলট তৌকির, জানাজায় হাজারও মানুষের ঢল

জেলা বার্তা পরিবেশক, রাজশাহী : মঙ্গলবার, ২২ জুলাই ২০২৫

ঢাকায় প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হয়ে নিহত স্কোয়াড্রন লিডার তৌকির ইসলাম সাগরের দাফন সম্পন্ন করা হয়েছে। মঙ্গলবার,( ২২ জুলাই ২০২৫) বিকেল ৪টা ২০ মিনিটের দিকে রাজশাহী মুক্তিযুদ্ধ স্টেডিয়ামে জানাজা শেষে পাশেই সপুরা কবরস্থানে দাফন করা হয়। জানাজায় অংশ নেন প্রশাসনের বিভিন্ন কর্মকর্তা থেকে শুরু করে হাজারও মানুষ।

জানাজায় উপস্থিত ছিলেন, রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার খোন্দকার আজিম আহমেদ, রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার মোহাম্মদ আবু সুফিয়ান, সাবেক সিটি মেয়র মোহাম্মদ মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল, রাজশাহী মহানগর জামায়াতে আমির মাওলানা কেরামত আলী, নায়েবে আমির ডাক্তার জাহাঙ্গীর আলমসহ সেনা ও বিমানবাহিনীর উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, তৌকিরের বাবা তহুরুল ইসলাম, চাচা মতিউর রহমানসহ আত্মীয়স্বজন এবং সাধারণ মুসল্লিরা। কয়েক হাজার মানুষ এতে অংশ নেন।

এ সময় ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট তৌকিরের জীবনী পড়ে শোনানো হয়। পরে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেন তৌকিরের বাবা তহুরুল ইসলাম ও মামা মতিউর রহমান।

কান্নাজড়িত কণ্ঠে তহুরুল ইসলাম বলেন, ‘আমি সেই হতভাগ্য পিতা, যে নিজের সন্তানের লাশ কাঁধে নিয়েছি।’ তিনি সন্তানের জন্য সবার কাছে দোয়া চান। পাশাপাশি মাইলস্টোন স্কুলের এ বিমান দুর্ঘটনায় শিশুসহ আরও যারা প্রাণ হারিয়েছেন তাদের সবার জন্যই দোয়া চান তহুরুল ইসলাম।

এদিকে নিহত পাইলট তৌকিরকে এক নজর দেখতে তাদের ভাড়া বাড়ি, কবরস্থান এবং জেলা স্টেডিয়ামে শত শত নারীও ভিড় করেন।

এর আগে মঙ্গলবার, দুপুর ২টা ৫৫ মিনিটে বিমান বাহিনীর হেলিকপ্টারে তার মরদেহ রাজশাহী ক্যান্টনমেন্টে আনা হয়। সেখানে আনুষ্ঠানিকতা শেষে ৩টা ২০ মিনিটে ক্যান্টনমেন্টের পাশেই নগরের উপশহরের তিন নম্বর সেক্টরে একটি অ্যাম্বুলেন্সে ভাড়া বাসায় তার মরদেহ নিয়ে যান সেনা ও বিমানবাহিনীর কর্মকর্তারা।

এ সময় শত শত উৎসুক মানুষ বাড়ির সামনে ভিড় করেন। কান্নায় ভেঙে পড়েন স্বজনরা। বাড়ি থেকে তার মরদেহ জেলা মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি স্টেডিয়ামে নেয়া হয়। সেখানে জানাজা শেষে তাকে দাফন করা হয় সপুরা গোরস্তানে।

গতকাল সোমবার দুপুরে রাজধানী ঢাকার মাইলস্টোন স্কুলের ওপর প্রশিক্ষণ বিমান আছে পড়লে নিহত হন স্কোয়াড্রন লিডার তৌকিক ইসলাম সাগর।

রাজশাহী নগরের উপশহরের ৩ নম্বর সেক্টরের ২২৩ নম্বর বাড়িটিতে ভাড়া থাকেন তৌকিরের বাবা, মা এবং ছোট বোন সৃষ্টি খাতুন। আশপাশের মানুষ জানান, এই পরিবার অত্যন্ত মিশুক। তৌকির ছিলেন ভদ্র ও মেধাবী তরুণ। তৌকিরের পরিবার ২৫ বছর ধরে রাজশাহীতে ভাড়া থাকেন। সবশেষ তারা ‘আশ্রয়’ নামের এই বাড়িটির তিনতলায় উঠেছেন। তৌকির ছিলেন দুই ভাই-বোনের বড়। তার ছোট বোন সৃষ্টি খাতুন রাজশাহীর ইসলামী ব্যাংক মেডিকেল কলেজে এমবিবিএসের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী।

এর আগে গতকাল সোমবার বিকেলে বাসার সামনে উপস্থিত ছিলেন নিহত পাইলটের মামা রফিকুল ইসলাম। তিনি জানান, বিকেলে ৫টার দিকে র‌্যাবের একটি গাড়িতে করে তৌকিরের বাবা-মা, বোন সৃষ্টি খাতুন, বড় বোন বৃষ্টি খাতুন ও তার স্বামী ডা. তুহিন ইসলাম এবং আরেক মামা মোহাম্মদ আলীকে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে রাজশাহীর হযরত শাহ মখদুম (রহ.) বিমানবন্দর থকে তাদের বিমানবাহিনীর একটি বিশেষ ফ্লাইটে ঢাকায় নেয়া হয়।

নিহত তৌকির ইসলাম সাগরের স্ত্রী ঢাকায় সরকারি কোয়ার্টারে বসবাস করেন। তিনি ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন লেকচারার। বছরখানেক আগে বিয়ে করেছিলেন তৌকির।

তৌকিরের মামা রফিকুল ইসলাম চোখ মুছতে মুছতে বলেন, ‘এ রকম ভালো ছেলে আমি আর দেখিনি। তার মতো পরিশ্রমী, ভদ্র, মেধাবী ছেলেকে এভাবে হারিয়ে ফেলব- ভাবতেই পারিনি।’

স্বজনরা জানান, তৌকিরের বাবা তহুরুল ইসলাম চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার বাসিন্দা হলেও গত ২৫ বছর ধরে পরিবার নিয়ে রাজশাহীতেই বসবাস করছেন। পেশায় তিনি আমদানি-রপ্তানির ব্যবসায়ী।

তৌকির রাজশাহীর নিউ গভ. ল্যাবরেটরি স্কুলে ষষ্ঠ শ্রেণী পর্যন্ত পড়াশোনা করে পাবনা ক্যাডেট কলেজে সপ্তম শ্রেণীতে ভর্তি হন। তিনি ওই কলেজের ৩৪তম ব্যাচের ছাত্র ছিলেন। ২০১৬ সালে উচ্চমাধ্যমিক পাস করে তৌকির যোগ দেন বাংলাদেশ বিমানবাহিনীতে।

তৌকিরের মৃত্যুর খবর শুনে বাড়ির সামনে এসেছেন পাবনা ক্যাডেট কলেজে তার সাবেক প্রশিক্ষক মোস্তাক আহমেদ। তিনি বলেন, ‘তৌকির খুবই মেধাবী, ভীষণ ভদ্র এবং শান্ত স্বভাবের ছেলে ছিল। সে ছোটদের স্নেহ করত, বড়দের সম্মান দিত। ওর সঙ্গে আমার অনেক স্মৃতি জড়িয়ে আছে।’

গত বছর থেকে রাজশাহীর সপুরায় নিজস্ব জমিতে তিনতলা একটি বাড়ি নির্মাণের কাজ শুরু করেছিলেন স্কোয়াড্রন লিডার তৌকির ইসলাম সাগর। কাজ এখনও শেষ হয়নি। সেই বাড়িটিতে আর ওঠা হলো না তার।

চিকিৎসক হওয়ার স্বপ্ন ছাই হলো সায়মার

ছবি

বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন দিয়ে এক বছরে যাত্রী কমেছে অর্ধেক

‘আমার মেয়েসহ শিক্ষক-শিক্ষার্থী-অভিভাবক হত্যার দায় কে নেবে’

শিক্ষার্থী রাইসার নিথর দেহ সিএমএইচ-এ শনাক্ত

পাচারকৃত মোট অর্থের ৭৫ শতাংশই হয় বাণিজ্যের মাধ্যমে: গবেষণা

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের রূপরেখা, দলগুলোর মতামতের অপেক্ষায় ঐকমত্য কমিশন

ছবি

‘এই বিমান পুরনো না, প্রযুক্তিগতভাবে পুরনো’

প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন না দলীয় প্রধান, ঐকমত্য কমিশনের সিদ্ধান্ত

আর্থিক সহায়তার পোস্ট সরিয়ে নেয়া হলো প্রধান উপদেষ্টার পেইজ থেকে

বোন চিরনিদ্রায়, বার্ন ইউনিটে ভাই লড়ছে মৃত্যুর সঙ্গে

মৃত্যুর সংখ্যা বাড়লো

ছবি

শিক্ষা উপদেষ্টা ও সচিবের পদত্যাগ দাবি: সচিবালয় ও আশপাশের এলাকা রণক্ষেত্র

ছবি

৯ ঘণ্টা অবরোধের পর সন্ধ্যায় মুক্তি পেলেন উপদেষ্টারা

ছবি

বাংলাদেশকে ১৫ হাজার কোভিড টেস্টিং কিট উপহার দিলো চীন

ছবি

সেনাসদস্যদের হাতে শিক্ষার্থী ‘মারধরের’ অভিযোগ তদন্ত হচ্ছে: আইএসপিআর

ছবি

প্রযুক্তি পুরনো হলেও রক্ষণাবেক্ষণে কোনো ছাড় নেই:বিমান বাহিনীর প্রধান

ছবি

মাইলস্টোনে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভে আটকা পড়া উপদেষ্টারা পুলিশের পাহারায় ফিরলেন

ছবি

মৃত্যুদণ্ড থেকে খালাস চেয়ে মোবারক হোসেনের করা আপিলের শুনানি শেষ

ছবি

সচিবালয়ে ঢুকে পড়া শিক্ষার্থীদের উপর লাঠিচার্জ কাদানে গ্যাস,সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ

ছবি

স্থগিত ২৪ জুলাইয়ের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষাও

ছবি

বিক্ষোভের মুখে শিক্ষা সচিবকে প্রত্যাহার

ছবি

শিক্ষা উপদেষ্টা ও সচিবের পদত্যাগ দাবি, সচিবালয়ের সামনে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

ছবি

উপদেষ্টাদের আটকে রেখে মাইলস্টোনের গেটে তালা, অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন

ছবি

শিক্ষার্থীদের ছয়টি দাবিই ‘যৌক্তিক’ বলে স্বীকার করল প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর

ছবি

জনবহুল এলাকায় ত্রুটিপূর্ণ উড়োজাহাজ চলাচলে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে হাইকোর্টে রিট

ছবি

বিধ্বস্ত এফটি-৭ বিজিআই বিমানটি প্রশিক্ষণ নয়, ছিল যুদ্ধবিমান: আইএসপিআর

ছবি

সব দাবি পূরণের আশ্বাস আইন উপদেষ্টার, শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ অব্যাহত

ছবি

আবু সাঈদ হত্যা মামলার অভিযোগ গঠনের শুনানি ২৮ জুলাই

ছবি

মাইলস্টোন কলেজে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ, উপদেষ্টাদের সঙ্গে চলছে আলোচনা

ছবি

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মঙ্গলবারের পরীক্ষা স্থগিত

ছবি

হতাহতের তথ্য গোপনের দাবিকে ‘অপপ্রচার’ বলছে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়

ছবি

মাইলস্টোন স্কুলে বিমান বিধ্বস্ত: নিহত বেড়ে ২৭, চিকিৎসাধীন ৭৮ জন

ছবি

মঙ্গলবারের এইচএসসি পরীক্ষা স্থগিত, গভীর রাতে ফেইসবুকে উপদেষ্টা, কর্মকর্তাদের ঘোষণা

উত্তরায় বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় মঙ্গলবার রাষ্ট্রীয় শোক, রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টার শোক প্রকাশ

চিকিৎসা ও ডায়াগনস্টিক পরীক্ষায় এআই চালুর উদ্যোগ

পীরগাছায় গৃহবধূকে ধর্ষণ, মামলা দায়ের

tab

জাতীয়

স্বজনদের অশ্রু, হাজারও মানুষের শোক, সমাহিত বিমান বিধ্বস্তে নিহতরা

রাজশাহীতে চিরনিদ্রায় পাইলট তৌকির, জানাজায় হাজারও মানুষের ঢল

জেলা বার্তা পরিবেশক, রাজশাহী

মঙ্গলবার, ২২ জুলাই ২০২৫

ঢাকায় প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হয়ে নিহত স্কোয়াড্রন লিডার তৌকির ইসলাম সাগরের দাফন সম্পন্ন করা হয়েছে। মঙ্গলবার,( ২২ জুলাই ২০২৫) বিকেল ৪টা ২০ মিনিটের দিকে রাজশাহী মুক্তিযুদ্ধ স্টেডিয়ামে জানাজা শেষে পাশেই সপুরা কবরস্থানে দাফন করা হয়। জানাজায় অংশ নেন প্রশাসনের বিভিন্ন কর্মকর্তা থেকে শুরু করে হাজারও মানুষ।

জানাজায় উপস্থিত ছিলেন, রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার খোন্দকার আজিম আহমেদ, রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার মোহাম্মদ আবু সুফিয়ান, সাবেক সিটি মেয়র মোহাম্মদ মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল, রাজশাহী মহানগর জামায়াতে আমির মাওলানা কেরামত আলী, নায়েবে আমির ডাক্তার জাহাঙ্গীর আলমসহ সেনা ও বিমানবাহিনীর উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, তৌকিরের বাবা তহুরুল ইসলাম, চাচা মতিউর রহমানসহ আত্মীয়স্বজন এবং সাধারণ মুসল্লিরা। কয়েক হাজার মানুষ এতে অংশ নেন।

এ সময় ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট তৌকিরের জীবনী পড়ে শোনানো হয়। পরে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেন তৌকিরের বাবা তহুরুল ইসলাম ও মামা মতিউর রহমান।

কান্নাজড়িত কণ্ঠে তহুরুল ইসলাম বলেন, ‘আমি সেই হতভাগ্য পিতা, যে নিজের সন্তানের লাশ কাঁধে নিয়েছি।’ তিনি সন্তানের জন্য সবার কাছে দোয়া চান। পাশাপাশি মাইলস্টোন স্কুলের এ বিমান দুর্ঘটনায় শিশুসহ আরও যারা প্রাণ হারিয়েছেন তাদের সবার জন্যই দোয়া চান তহুরুল ইসলাম।

এদিকে নিহত পাইলট তৌকিরকে এক নজর দেখতে তাদের ভাড়া বাড়ি, কবরস্থান এবং জেলা স্টেডিয়ামে শত শত নারীও ভিড় করেন।

এর আগে মঙ্গলবার, দুপুর ২টা ৫৫ মিনিটে বিমান বাহিনীর হেলিকপ্টারে তার মরদেহ রাজশাহী ক্যান্টনমেন্টে আনা হয়। সেখানে আনুষ্ঠানিকতা শেষে ৩টা ২০ মিনিটে ক্যান্টনমেন্টের পাশেই নগরের উপশহরের তিন নম্বর সেক্টরে একটি অ্যাম্বুলেন্সে ভাড়া বাসায় তার মরদেহ নিয়ে যান সেনা ও বিমানবাহিনীর কর্মকর্তারা।

এ সময় শত শত উৎসুক মানুষ বাড়ির সামনে ভিড় করেন। কান্নায় ভেঙে পড়েন স্বজনরা। বাড়ি থেকে তার মরদেহ জেলা মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি স্টেডিয়ামে নেয়া হয়। সেখানে জানাজা শেষে তাকে দাফন করা হয় সপুরা গোরস্তানে।

গতকাল সোমবার দুপুরে রাজধানী ঢাকার মাইলস্টোন স্কুলের ওপর প্রশিক্ষণ বিমান আছে পড়লে নিহত হন স্কোয়াড্রন লিডার তৌকিক ইসলাম সাগর।

রাজশাহী নগরের উপশহরের ৩ নম্বর সেক্টরের ২২৩ নম্বর বাড়িটিতে ভাড়া থাকেন তৌকিরের বাবা, মা এবং ছোট বোন সৃষ্টি খাতুন। আশপাশের মানুষ জানান, এই পরিবার অত্যন্ত মিশুক। তৌকির ছিলেন ভদ্র ও মেধাবী তরুণ। তৌকিরের পরিবার ২৫ বছর ধরে রাজশাহীতে ভাড়া থাকেন। সবশেষ তারা ‘আশ্রয়’ নামের এই বাড়িটির তিনতলায় উঠেছেন। তৌকির ছিলেন দুই ভাই-বোনের বড়। তার ছোট বোন সৃষ্টি খাতুন রাজশাহীর ইসলামী ব্যাংক মেডিকেল কলেজে এমবিবিএসের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী।

এর আগে গতকাল সোমবার বিকেলে বাসার সামনে উপস্থিত ছিলেন নিহত পাইলটের মামা রফিকুল ইসলাম। তিনি জানান, বিকেলে ৫টার দিকে র‌্যাবের একটি গাড়িতে করে তৌকিরের বাবা-মা, বোন সৃষ্টি খাতুন, বড় বোন বৃষ্টি খাতুন ও তার স্বামী ডা. তুহিন ইসলাম এবং আরেক মামা মোহাম্মদ আলীকে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে রাজশাহীর হযরত শাহ মখদুম (রহ.) বিমানবন্দর থকে তাদের বিমানবাহিনীর একটি বিশেষ ফ্লাইটে ঢাকায় নেয়া হয়।

নিহত তৌকির ইসলাম সাগরের স্ত্রী ঢাকায় সরকারি কোয়ার্টারে বসবাস করেন। তিনি ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন লেকচারার। বছরখানেক আগে বিয়ে করেছিলেন তৌকির।

তৌকিরের মামা রফিকুল ইসলাম চোখ মুছতে মুছতে বলেন, ‘এ রকম ভালো ছেলে আমি আর দেখিনি। তার মতো পরিশ্রমী, ভদ্র, মেধাবী ছেলেকে এভাবে হারিয়ে ফেলব- ভাবতেই পারিনি।’

স্বজনরা জানান, তৌকিরের বাবা তহুরুল ইসলাম চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার বাসিন্দা হলেও গত ২৫ বছর ধরে পরিবার নিয়ে রাজশাহীতেই বসবাস করছেন। পেশায় তিনি আমদানি-রপ্তানির ব্যবসায়ী।

তৌকির রাজশাহীর নিউ গভ. ল্যাবরেটরি স্কুলে ষষ্ঠ শ্রেণী পর্যন্ত পড়াশোনা করে পাবনা ক্যাডেট কলেজে সপ্তম শ্রেণীতে ভর্তি হন। তিনি ওই কলেজের ৩৪তম ব্যাচের ছাত্র ছিলেন। ২০১৬ সালে উচ্চমাধ্যমিক পাস করে তৌকির যোগ দেন বাংলাদেশ বিমানবাহিনীতে।

তৌকিরের মৃত্যুর খবর শুনে বাড়ির সামনে এসেছেন পাবনা ক্যাডেট কলেজে তার সাবেক প্রশিক্ষক মোস্তাক আহমেদ। তিনি বলেন, ‘তৌকির খুবই মেধাবী, ভীষণ ভদ্র এবং শান্ত স্বভাবের ছেলে ছিল। সে ছোটদের স্নেহ করত, বড়দের সম্মান দিত। ওর সঙ্গে আমার অনেক স্মৃতি জড়িয়ে আছে।’

গত বছর থেকে রাজশাহীর সপুরায় নিজস্ব জমিতে তিনতলা একটি বাড়ি নির্মাণের কাজ শুরু করেছিলেন স্কোয়াড্রন লিডার তৌকির ইসলাম সাগর। কাজ এখনও শেষ হয়নি। সেই বাড়িটিতে আর ওঠা হলো না তার।

back to top