রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ভবনে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর একটি যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩২ জনে। দগ্ধ ও আহত অন্তত ১৬৫ জনের মধ্যে অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক। নিহতদের মধ্যে শিশু শিক্ষার্থীর সংখ্যা উল্লেখযোগ্য।
ঘটনার পর থেকেই আহতদের রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বার্ন ইনস্টিটিউট, সিএমএইচ, কুয়েত মৈত্রী হাসপাতাল, লুবনা জেনারেলসহ অন্তত ১০টি হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে। অগ্নিদগ্ধ রোগীদের মধ্যে অনেকের শরীরের ৫০ শতাংশের বেশি পুড়ে গেছে। গুরুতর দগ্ধদের চিকিৎসায় সিঙ্গাপুর থেকে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দল আনার প্রক্রিয়া চলছে।
আইএসপিআর এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের প্রকাশিত তথ্যের মধ্যে পার্থক্য থাকায় হতাহতের সংখ্যা নিয়ে কিছুটা বিভ্রান্তি দেখা দিয়েছে। আইএসপিআরের হিসাবে মৃত ৩২ জন হলেও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সর্বশেষ তালিকায় মৃতের সংখ্যা ছিল ২৯। অনেক মরদেহ এতটাই পুড়ে গেছে যে পরিচয় শনাক্ত করাও কঠিন হয়ে পড়েছে।
প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী অধ্যাপক মো. সায়েদুর রহমানও বার্ন ইনস্টিটিউটে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, আইএসপিআরের তথ্যে লুবানা হাসপাতাল অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। ওই হাসপাতালের তথ্য সম্পর্কে যোগাযোগ করা হয়েছে। তাদের রেজিস্ট্রিতে কোথাও মৃত্যু নেই। কিন্তু তারা মুখে বলছে, দুজনকে মৃত অবস্থায় তাদের অভিভাবকেরা নিয়ে এসেছিলেন। ওই দুজনের নাম পরে কোনো হাসপাতালে আসেনি।
সায়েদুর রহমান আরও বলেন, ‘এ ছাড়া একটি পার্থক্য হয়েছে, উত্তরা আধুনিক মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে একজনের মরদেহ সিএমএইচে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ওই সংখ্যা নিয়ে আমাদের সঙ্গে তথ্যের পার্থক্য হয়েছে। আমরা বলেছি ১৫ জন। আমরা আসার আগে নিশ্চিত হয়েছি, সিএমএইচে ১৫ জনেরই মরদেহ আছে। যদিও আইএসপিআরের তথ্যে সেখানে ১৬ জন বলা আছে। তথ্যের পার্থক্যগুলো দূর হতে হয়তো একটু সময় লাগবে।’
বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় ক্ষোভে ফেটে পড়েন শিক্ষার্থীরা। নিহতদের নাম-পরিচয় প্রকাশ এবং আহতদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা দাবিতে তারা ছয় দফা দাবি পেশ করে। সরকারের পক্ষ থেকে এসব দাবি মেনে নেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি, নিহতদের দাফনের জন্য উত্তরা ১২ নম্বর সেক্টরের সিটি করপোরেশন কবরস্থানে জায়গা বরাদ্দ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। ঘটনাস্থলে স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণেরও ঘোষণা এসেছে।
এদিকে, এখনো কয়েকজন নিখোঁজ রয়েছেন বলে স্বজনরা জানিয়েছেন। উদ্ধারকাজ চলাকালীন কারও খোঁজ না পেয়ে হাসপাতাল থেকে হাসপাতাল ঘুরছেন অনেকে।
সোমবার দুপুর ১২টা ৩০ মিনিটের দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। বিমানটি প্রশিক্ষণ মিশনে ছিল বলে জানিয়েছে আইএসপিআর। নিহতদের মধ্যে পাইলট ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট তৌকির ইসলামের মরদেহ রাজশাহীতে দাফন করা হয়েছে।
বিমান দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে একটি উচ্চপর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
বুধবার, ২৩ জুলাই ২০২৫
রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ভবনে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর একটি যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩২ জনে। দগ্ধ ও আহত অন্তত ১৬৫ জনের মধ্যে অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক। নিহতদের মধ্যে শিশু শিক্ষার্থীর সংখ্যা উল্লেখযোগ্য।
ঘটনার পর থেকেই আহতদের রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বার্ন ইনস্টিটিউট, সিএমএইচ, কুয়েত মৈত্রী হাসপাতাল, লুবনা জেনারেলসহ অন্তত ১০টি হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে। অগ্নিদগ্ধ রোগীদের মধ্যে অনেকের শরীরের ৫০ শতাংশের বেশি পুড়ে গেছে। গুরুতর দগ্ধদের চিকিৎসায় সিঙ্গাপুর থেকে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দল আনার প্রক্রিয়া চলছে।
আইএসপিআর এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের প্রকাশিত তথ্যের মধ্যে পার্থক্য থাকায় হতাহতের সংখ্যা নিয়ে কিছুটা বিভ্রান্তি দেখা দিয়েছে। আইএসপিআরের হিসাবে মৃত ৩২ জন হলেও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সর্বশেষ তালিকায় মৃতের সংখ্যা ছিল ২৯। অনেক মরদেহ এতটাই পুড়ে গেছে যে পরিচয় শনাক্ত করাও কঠিন হয়ে পড়েছে।
প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী অধ্যাপক মো. সায়েদুর রহমানও বার্ন ইনস্টিটিউটে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, আইএসপিআরের তথ্যে লুবানা হাসপাতাল অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। ওই হাসপাতালের তথ্য সম্পর্কে যোগাযোগ করা হয়েছে। তাদের রেজিস্ট্রিতে কোথাও মৃত্যু নেই। কিন্তু তারা মুখে বলছে, দুজনকে মৃত অবস্থায় তাদের অভিভাবকেরা নিয়ে এসেছিলেন। ওই দুজনের নাম পরে কোনো হাসপাতালে আসেনি।
সায়েদুর রহমান আরও বলেন, ‘এ ছাড়া একটি পার্থক্য হয়েছে, উত্তরা আধুনিক মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে একজনের মরদেহ সিএমএইচে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ওই সংখ্যা নিয়ে আমাদের সঙ্গে তথ্যের পার্থক্য হয়েছে। আমরা বলেছি ১৫ জন। আমরা আসার আগে নিশ্চিত হয়েছি, সিএমএইচে ১৫ জনেরই মরদেহ আছে। যদিও আইএসপিআরের তথ্যে সেখানে ১৬ জন বলা আছে। তথ্যের পার্থক্যগুলো দূর হতে হয়তো একটু সময় লাগবে।’
বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় ক্ষোভে ফেটে পড়েন শিক্ষার্থীরা। নিহতদের নাম-পরিচয় প্রকাশ এবং আহতদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা দাবিতে তারা ছয় দফা দাবি পেশ করে। সরকারের পক্ষ থেকে এসব দাবি মেনে নেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি, নিহতদের দাফনের জন্য উত্তরা ১২ নম্বর সেক্টরের সিটি করপোরেশন কবরস্থানে জায়গা বরাদ্দ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। ঘটনাস্থলে স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণেরও ঘোষণা এসেছে।
এদিকে, এখনো কয়েকজন নিখোঁজ রয়েছেন বলে স্বজনরা জানিয়েছেন। উদ্ধারকাজ চলাকালীন কারও খোঁজ না পেয়ে হাসপাতাল থেকে হাসপাতাল ঘুরছেন অনেকে।
সোমবার দুপুর ১২টা ৩০ মিনিটের দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। বিমানটি প্রশিক্ষণ মিশনে ছিল বলে জানিয়েছে আইএসপিআর। নিহতদের মধ্যে পাইলট ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট তৌকির ইসলামের মরদেহ রাজশাহীতে দাফন করা হয়েছে।
বিমান দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে একটি উচ্চপর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।