উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়ে হতাহতের ঘটনায় দেশের রাজনীতি যখন উত্তপ্ত, তখন প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস চারটি রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। মঙ্গলবার রাতের ওই বৈঠকে তিনি বলেন, “রাজনীতিতে মতভেদ থাকতেই পারে, কিন্তু জাতীয় সংকটে রাজনৈতিক ঐক্য জনগণের জন্য আশার আলো।”
বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এবং এনসিপির জ্যেষ্ঠ নেতারা অংশ নেন বৈঠকে। বৈঠকে মূলত তিনটি বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়—উত্তরার বিমান দুর্ঘটনার পর উদ্ভূত পরিস্থিতি, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি এবং আগামী নির্বাচনকে ঘিরে রাজনৈতিক ঐক্য।
বৈঠক শেষে ইসলামী আন্দোলনের যুগ্ম-মহাসচিব গাজী আতাউর রহমান বলেন, “চারটি রাজনৈতিক দলই সরকারের পাশে থাকার কথা জানিয়েছে। ফ্যাসিবাদবিরোধী ঐক্য অটুট থাকবে। আমরা প্রধান উপদেষ্টাকে বলেছি, প্রয়োজনে আরও দৃশ্যমান ঐক্যের চিত্র তুলে ধরা হোক।”
জামায়াতের নায়েবে আমির সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেন, “আমরা বিশ্বাস করি, নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে হলে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা আসবে। জামায়াত সরকারকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে।”
জামায়াত ও ইসলামী আন্দোলনের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, মঙ্গলবার উত্তরায় শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের পেছনে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের হাত রয়েছে। সচিবালয়ে ঢুকে পড়া ও ভাঙচুরের ঘটনাকে কেন্দ্র করে তারা প্রশাসনের প্রস্তুতি ও গোয়েন্দা ব্যর্থতার সমালোচনা করে।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের যুগ্ম-মহাসচিব গাজী আতাউর রহমান বলেন, “সচিবালয় বারবার আক্রান্ত হচ্ছে, এটা কেন? এখানে গোয়েন্দা বা প্রশাসনিক ব্যর্থতা আছে কি না—তদন্ত প্রয়োজন।”
তিনি বলেন, “আমরা সরকারকে বলেছি, যেকোনো অপচেষ্টা দমন করতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে আরও সক্রিয় ও কঠোর হতে হবে। রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যকার ভিন্নমত থাকলেও জাতীয় নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতার প্রশ্নে সবাই ঐক্যবদ্ধ।”
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এবং স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। দলের পক্ষ থেকে বলা হয়, “নির্বাচনের সুষ্ঠু প্রক্রিয়ার দিকে সরকার যেন কার্যকরভাবে এগোয়—আমরা সেটিই চাই।”
বৈঠকে জামায়াতের নেতা তাহের বলেন, “পুরোনো ফ্যাসিবাদ নির্মূল হয়েছে। নতুন কোনো ফ্যাসিবাদ মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে দেওয়া যাবে না।” তিনি শোকাহত পরিবারগুলোকে সহযোগিতার আহ্বান জানান।
বৈঠক শেষে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেন, “প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন—আপনাদের মধ্যে যে ঐক্য আছে, তা দৃশ্যমান হলে মানুষের মনেও স্বস্তি আসবে। দলগুলোও বলেছে, রাজনৈতিক মতভেদ থাকলেও ফ্যাসিবাদবিরোধী সংগ্রামে ঐক্য থাকবে।”
বুধবার, ২৩ জুলাই ২০২৫
উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়ে হতাহতের ঘটনায় দেশের রাজনীতি যখন উত্তপ্ত, তখন প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস চারটি রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। মঙ্গলবার রাতের ওই বৈঠকে তিনি বলেন, “রাজনীতিতে মতভেদ থাকতেই পারে, কিন্তু জাতীয় সংকটে রাজনৈতিক ঐক্য জনগণের জন্য আশার আলো।”
বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এবং এনসিপির জ্যেষ্ঠ নেতারা অংশ নেন বৈঠকে। বৈঠকে মূলত তিনটি বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়—উত্তরার বিমান দুর্ঘটনার পর উদ্ভূত পরিস্থিতি, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি এবং আগামী নির্বাচনকে ঘিরে রাজনৈতিক ঐক্য।
বৈঠক শেষে ইসলামী আন্দোলনের যুগ্ম-মহাসচিব গাজী আতাউর রহমান বলেন, “চারটি রাজনৈতিক দলই সরকারের পাশে থাকার কথা জানিয়েছে। ফ্যাসিবাদবিরোধী ঐক্য অটুট থাকবে। আমরা প্রধান উপদেষ্টাকে বলেছি, প্রয়োজনে আরও দৃশ্যমান ঐক্যের চিত্র তুলে ধরা হোক।”
জামায়াতের নায়েবে আমির সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেন, “আমরা বিশ্বাস করি, নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে হলে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা আসবে। জামায়াত সরকারকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে।”
জামায়াত ও ইসলামী আন্দোলনের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, মঙ্গলবার উত্তরায় শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের পেছনে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের হাত রয়েছে। সচিবালয়ে ঢুকে পড়া ও ভাঙচুরের ঘটনাকে কেন্দ্র করে তারা প্রশাসনের প্রস্তুতি ও গোয়েন্দা ব্যর্থতার সমালোচনা করে।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের যুগ্ম-মহাসচিব গাজী আতাউর রহমান বলেন, “সচিবালয় বারবার আক্রান্ত হচ্ছে, এটা কেন? এখানে গোয়েন্দা বা প্রশাসনিক ব্যর্থতা আছে কি না—তদন্ত প্রয়োজন।”
তিনি বলেন, “আমরা সরকারকে বলেছি, যেকোনো অপচেষ্টা দমন করতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে আরও সক্রিয় ও কঠোর হতে হবে। রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যকার ভিন্নমত থাকলেও জাতীয় নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতার প্রশ্নে সবাই ঐক্যবদ্ধ।”
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এবং স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। দলের পক্ষ থেকে বলা হয়, “নির্বাচনের সুষ্ঠু প্রক্রিয়ার দিকে সরকার যেন কার্যকরভাবে এগোয়—আমরা সেটিই চাই।”
বৈঠকে জামায়াতের নেতা তাহের বলেন, “পুরোনো ফ্যাসিবাদ নির্মূল হয়েছে। নতুন কোনো ফ্যাসিবাদ মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে দেওয়া যাবে না।” তিনি শোকাহত পরিবারগুলোকে সহযোগিতার আহ্বান জানান।
বৈঠক শেষে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেন, “প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন—আপনাদের মধ্যে যে ঐক্য আছে, তা দৃশ্যমান হলে মানুষের মনেও স্বস্তি আসবে। দলগুলোও বলেছে, রাজনৈতিক মতভেদ থাকলেও ফ্যাসিবাদবিরোধী সংগ্রামে ঐক্য থাকবে।”