মতপার্থক্য ও প্রতিদ্বন্দ্বিতা থাকলেও ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক দলগুলোর ঐক্যকে আরও দৃশ্যমান করা দরকার বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি দাবি করেছেন, পরাজিত শক্তির নানা ষড়যন্ত্রের লক্ষণ দেখা যাচ্ছে।
মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান দুর্ঘটনার পর ক্ষোভ-বিক্ষোভের মধ্যে চার দলের সঙ্গে বৈঠকের পরদিন বুধবার আরও ১২টি রাজনৈতিক দল এবং একটি জোটের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন প্রধান উপদেষ্টা। সরকারি বাসভবন যমুনায় বিকাল সোয়া ৪টায় শুরু হওয়া এ বৈঠকের তথ্য জানায় প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর।
বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “মতপার্থক্য, প্রতিদ্বন্দ্বিতা থাকলেও ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক দলগুলোর ঐক্যকে আরও দৃশ্যমান করা দরকার। তা না হলে তারা এটাকে সুযোগ মনে করছে।”
তিনি আরও বলেন, “জুলাই অভ্যুত্থানের এক বছরে আমাদের আয়োজন ছিল সব রাজনৈতিক দলকে একসঙ্গে নিয়ে অতীতকে স্মরণ করা। সেজন্য কর্মসূচি গ্রহণ করেছিলাম। এতে করে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে নিজেদের মধ্যে ঐক্যটা দৃশ্যমান হত। কিন্তু এক বছর যেতে না যেতেই পরাজিত শক্তির নানা ষড়যন্ত্রের লক্ষণ দেখা যাচ্ছে।”
বৈঠকে অংশ নেওয়া দলগুলোও ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক ও গণঐক্য বজায় রাখার বিষয়ে একমত প্রকাশ করে। দলগুলোর নেতারা আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় আরও কঠোর হওয়ার আহ্বান জানান এবং সংস্কার, বিচার ও নির্বাচন প্রক্রিয়ায় পূর্ণ সমর্থন জানিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আরও নিয়মিত সর্বদলীয় বৈঠক আয়োজনের অনুরোধ জানান।
বৈঠক বিকাল ৩টায় শুরু হয়েছিল বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আজাদ মজুমদার।
বৈঠকে অংশ নেন রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সৈয়দ হাসিবউদ্দিন হোসেন, গণসংহতি আন্দোলনের জোনায়েদ সাকি, এবি পার্টির মজিবুর রহমান মঞ্জু, নাগরিক ঐক্যের শহীদুল্লাহ কায়সার, গণ অধিকার পরিষদের নুরুল হক নুর, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) রেদোয়ান আহমেদ, খেলাফত মজলিসের আহমদ আবদুল কাদের, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাইফুল হক, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডির তানিয়া রব, ১২–দলীয় জোটের শাহাদাত হোসেন সেলিম, বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদের বজলুর রশীদ ফিরোজ, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি-সিপিবির রুহিন হোসেন প্রিন্স এবং গণফোরামের মিজানুর রহমান।
এর আগের দিন রাতে বিএনপি, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামি, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এবং জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধান উপদেষ্টা।
বৈঠক শেষে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেন, “দেশের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করতে প্রধান উপদেষ্টা চারটি রাজনৈতিক দলকে ডেকেছিলেন। বৈঠকে রাজনৈতিক দলগুলো বলেছে, ফ্যাসিবাদবিরোধী ঐক্যের প্রশ্নে তাদের মধ্যে কোনো মতভিন্নতা নেই।”
তিনি আরও বলেন, “প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, আপনাদের মধ্যে যে ঐক্য আছে, সেটা আরও দৃশ্যমান হলে ভালো হয়। গঠনমূলক কর্মসূচি বা যেকোনোভাবে যদি একসাথে থাকেন, তাহলে মানুষের মনে স্বস্তি আসবে।”
ঐক্যের প্রমাণ হিসেবে রাজনৈতিক দলগুলো জানিয়েছে, প্রধান উপদেষ্টা ডাকলে সবাই একসঙ্গে হাজির হন এবং জাতীয় ঐক্যমত কমিশনের মিটিংয়েও নিয়মিত অংশ নেন।
উল্লেখ্য, সোমবার দুপুরে বিমান বাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান ঢাকার দিয়াবাড়িতে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ক্যাম্পাসে বিধ্বস্ত হয়। এতে ২৮ জন নিহত হন এবং হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৬৮ জন।
হতাহতের ঘটনায় ক্ষতিপূরণসহ ছয় দাবিতে মঙ্গলবার শিক্ষার্থীরা দিনভর বিক্ষোভ করেন। তারা আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল ও শিক্ষা উপদেষ্টা সি আর আবরারকে অবরুদ্ধ করে রাখেন। এদিন দুপুরে পরীক্ষা পেছানোর ঘোষণা দিতে দেরি হওয়ায় শিক্ষার্থীরা সচিবালয়ে ঢুকে ভাঙচুর ও বিক্ষোভ চালান। পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে পুরো এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়।
এ নিয়ে জামায়াতে ইসলামী ও এনসিপি দাবি করেছে, এই আন্দোলনের পেছনে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের হাত রয়েছে। ইসলামী আন্দোলনও একই ধারণা পোষণ করছে বলে জানিয়েছেন আতাউর রহমান।
বুধবার, ২৩ জুলাই ২০২৫
মতপার্থক্য ও প্রতিদ্বন্দ্বিতা থাকলেও ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক দলগুলোর ঐক্যকে আরও দৃশ্যমান করা দরকার বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি দাবি করেছেন, পরাজিত শক্তির নানা ষড়যন্ত্রের লক্ষণ দেখা যাচ্ছে।
মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান দুর্ঘটনার পর ক্ষোভ-বিক্ষোভের মধ্যে চার দলের সঙ্গে বৈঠকের পরদিন বুধবার আরও ১২টি রাজনৈতিক দল এবং একটি জোটের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন প্রধান উপদেষ্টা। সরকারি বাসভবন যমুনায় বিকাল সোয়া ৪টায় শুরু হওয়া এ বৈঠকের তথ্য জানায় প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর।
বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “মতপার্থক্য, প্রতিদ্বন্দ্বিতা থাকলেও ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক দলগুলোর ঐক্যকে আরও দৃশ্যমান করা দরকার। তা না হলে তারা এটাকে সুযোগ মনে করছে।”
তিনি আরও বলেন, “জুলাই অভ্যুত্থানের এক বছরে আমাদের আয়োজন ছিল সব রাজনৈতিক দলকে একসঙ্গে নিয়ে অতীতকে স্মরণ করা। সেজন্য কর্মসূচি গ্রহণ করেছিলাম। এতে করে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে নিজেদের মধ্যে ঐক্যটা দৃশ্যমান হত। কিন্তু এক বছর যেতে না যেতেই পরাজিত শক্তির নানা ষড়যন্ত্রের লক্ষণ দেখা যাচ্ছে।”
বৈঠকে অংশ নেওয়া দলগুলোও ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক ও গণঐক্য বজায় রাখার বিষয়ে একমত প্রকাশ করে। দলগুলোর নেতারা আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় আরও কঠোর হওয়ার আহ্বান জানান এবং সংস্কার, বিচার ও নির্বাচন প্রক্রিয়ায় পূর্ণ সমর্থন জানিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আরও নিয়মিত সর্বদলীয় বৈঠক আয়োজনের অনুরোধ জানান।
বৈঠক বিকাল ৩টায় শুরু হয়েছিল বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আজাদ মজুমদার।
বৈঠকে অংশ নেন রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সৈয়দ হাসিবউদ্দিন হোসেন, গণসংহতি আন্দোলনের জোনায়েদ সাকি, এবি পার্টির মজিবুর রহমান মঞ্জু, নাগরিক ঐক্যের শহীদুল্লাহ কায়সার, গণ অধিকার পরিষদের নুরুল হক নুর, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) রেদোয়ান আহমেদ, খেলাফত মজলিসের আহমদ আবদুল কাদের, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাইফুল হক, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডির তানিয়া রব, ১২–দলীয় জোটের শাহাদাত হোসেন সেলিম, বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদের বজলুর রশীদ ফিরোজ, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি-সিপিবির রুহিন হোসেন প্রিন্স এবং গণফোরামের মিজানুর রহমান।
এর আগের দিন রাতে বিএনপি, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামি, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এবং জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধান উপদেষ্টা।
বৈঠক শেষে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেন, “দেশের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করতে প্রধান উপদেষ্টা চারটি রাজনৈতিক দলকে ডেকেছিলেন। বৈঠকে রাজনৈতিক দলগুলো বলেছে, ফ্যাসিবাদবিরোধী ঐক্যের প্রশ্নে তাদের মধ্যে কোনো মতভিন্নতা নেই।”
তিনি আরও বলেন, “প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, আপনাদের মধ্যে যে ঐক্য আছে, সেটা আরও দৃশ্যমান হলে ভালো হয়। গঠনমূলক কর্মসূচি বা যেকোনোভাবে যদি একসাথে থাকেন, তাহলে মানুষের মনে স্বস্তি আসবে।”
ঐক্যের প্রমাণ হিসেবে রাজনৈতিক দলগুলো জানিয়েছে, প্রধান উপদেষ্টা ডাকলে সবাই একসঙ্গে হাজির হন এবং জাতীয় ঐক্যমত কমিশনের মিটিংয়েও নিয়মিত অংশ নেন।
উল্লেখ্য, সোমবার দুপুরে বিমান বাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান ঢাকার দিয়াবাড়িতে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ক্যাম্পাসে বিধ্বস্ত হয়। এতে ২৮ জন নিহত হন এবং হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৬৮ জন।
হতাহতের ঘটনায় ক্ষতিপূরণসহ ছয় দাবিতে মঙ্গলবার শিক্ষার্থীরা দিনভর বিক্ষোভ করেন। তারা আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল ও শিক্ষা উপদেষ্টা সি আর আবরারকে অবরুদ্ধ করে রাখেন। এদিন দুপুরে পরীক্ষা পেছানোর ঘোষণা দিতে দেরি হওয়ায় শিক্ষার্থীরা সচিবালয়ে ঢুকে ভাঙচুর ও বিক্ষোভ চালান। পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে পুরো এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়।
এ নিয়ে জামায়াতে ইসলামী ও এনসিপি দাবি করেছে, এই আন্দোলনের পেছনে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের হাত রয়েছে। ইসলামী আন্দোলনও একই ধারণা পোষণ করছে বলে জানিয়েছেন আতাউর রহমান।