alt

জাতীয়

‘অগ্রহণযোগ্য অবহেলা’ তথ্য ও মানবাধিকার কমিশন নিয়ে, অবিলম্বে গঠনের আহ্বান টিআইবির

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট : বুধবার, ২৩ জুলাই ২০২৫

অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের পর আট থেকে দশ মাস ধরে অকার্যকর অবস্থায় থাকা তথ্য কমিশন ও মানবাধিকার কমিশন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।

টিআইবি বলেছে, “এই দুই প্রতিষ্ঠানের শূন্যতা রাষ্ট্রীয় দায়িত্বের প্রতি সরকারের অবহেলার একটি অগ্রহণযোগ্য উদাহরণ। সরকারের জন্য এটি বিব্রতকর রেকর্ড হয়েছে।”

বুধবার সংবাদমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বলেন, তথ্য কমিশন ও মানবাধিকার কমিশন গঠন সরকারের স্বচ্ছতা, জবাবদিহি ও মানবাধিকারের প্রতি রাষ্ট্রীয় প্রতিশ্রুতির গুরুত্বপূর্ণ প্রতীক।

তিনি বলেন, “অথচ দায়িত্ব গ্রহণের এক বছরের কাছাকাছি সময় পার হয়ে গেলেও কমিশন দুটি গঠনে কোনো কার্যকর উদ্যোগ দৃশ্যমান নয়। কেন দীর্ঘকাল যাবৎ তা গঠিত হচ্ছে না, তার কোনো সুনির্দিষ্ট ব্যাখ্যাও নেই।”

টিআইবির বিবৃতিতে বলা হয়, “কমিশন দুটি অতীতে যত অকার্যকরতারই পরিচয় দিক, প্রায় এক বছর নেতৃত্বশূন্য রাখার বিব্রতকর রেকর্ড স্থাপনের পাশাপাশি সরকার তার অবাধ তথ্যপ্রবাহ ও মানবাধিকার নিশ্চিতের প্রতিশ্রুতির প্রতি নির্বিকার অবহেলার দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। এত দীর্ঘ সময় ধরে তথ্য কমিশন ও মানবাধিকার কমিশন নেতৃত্বহীন রাখা শুধু দুঃখজনক নয়, রাষ্ট্র সংস্কারের দায়িত্বপ্রাপ্ত অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মুখ্য ম্যান্ডেটের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। এই শূন্যতার ফলে নাগরিকদের তথ্যে অভিগম্যতা ও মানবাধিকার নিশ্চিতের ন্যূনতম সুযোগও ভূলুণ্ঠিত হচ্ছে।”

২০২৪ সালের ৭ নভেম্বর রাষ্ট্র ক্ষমতার পালাবদলের মধ্যে মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন আহমেদসহ সব সদস্য পদত্যাগ করেন। এর আগে সেপ্টেম্বরে পদত্যাগ করেন প্রধান তথ্য কমিশনার ও এক কমিশনার। তখন থেকেই অকার্যকর অবস্থায় রয়েছে এ দুটি প্রতিষ্ঠান। এরপর আট থেকে দশ মাস পার হলেও মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান বা প্রধান তথ্য কমিশনার হিসেবে কেউ দায়িত্ব নেননি। ফলে ভুক্তভোগীরা সেবা নিতে এসে ফিরে যাচ্ছেন।

টিআইবির বিবৃতিতে আরও বলা হয়, “প্রায় এক বছর তথ্য কমিশন না থাকা শুধু প্রশাসনিক ব্যর্থতা নয়, বরং তথ্যপ্রাপ্তির সাংবিধানিক অধিকারকে উপেক্ষা করার শামিল। তথ্য কমিশন না থাকায় সরকারি তথ্য না পেলে তার সমাধানে সর্বোচ্চ কর্তৃপক্ষের কাছে প্রতিকার চাওয়ার সুযোগ বন্ধ হয়েছে। কর্তৃত্ববাদী সরকারের পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকার তথ্যের অবাধ প্রবাহ নিশ্চিতের যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, তা মূলত ফাঁকাবুলিতে পরিণত হয়েছে। বাংলাদেশে এ ধরনের নজির আগে কখনও দেখা যায়নি, এমনকি বিশ্বে অন্য কোথাও এ নজির নেই।”

অবিলম্বে কমিশন দুটি গঠনের দাবি জানিয়ে টিআইবির বিবৃতিতে বলা হয়, “পতিত কর্তৃত্ববাদী সরকারের সময়ে মানবাধিকার কমিশন শুধু কাগুজে প্রতিষ্ঠান হয়েছিল। সেই সরকার পতনের পর মানবাধিকার কমিশন শক্তিশালীভাবে তার ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করবে এমন প্রত্যাশা থাকলেও বাস্তবতা আরও হতাশাজনক হয়েছে। আইনগত বাধ্যবাধকতা সত্ত্বেও এত দীর্ঘ সময় কমিশন গঠন করতে ব্যর্থতা দেশে মানবাধিকার নিশ্চিতে সরকারের সদিচ্ছার ঘোষণার সঙ্গে সাংঘর্ষিক। এমন এক সময়ে যখন জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয় বাংলাদেশে স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, তখন দেশের নিজস্ব মানবাধিকার কমিশন শূন্য রাখা দ্বিচারিতার পরিচায়ক।”

টিআইবি গণতন্ত্র, সুশাসন, তথ্যপ্রকাশ ও মানবাধিকারের প্রতি রাষ্ট্রীয় প্রতিশ্রুতি পালনে অবিলম্বে তথ্য কমিশন ও মানবাধিকার কমিশন গঠনের পাশাপাশি উভয় প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রমকে স্বাধীন, দক্ষ ও জনগণের আস্থাযোগ্য করতে আইনি ও প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কারেরও দাবি জানিয়েছে।

বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় মৃত্যুর সংখ্যা নিয়ে গুজব ছড়ানো হচ্ছে: আইএসপিআরের পরিচালক

মাইলস্টোন ট্র্যাজেডি: হতাহতদের পরিবারকে ১০ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দিতে রিট

সংস্কার ছাড়া নির্বাচন নয় বিয়ানীবাজারে জামায়াতের আমির

রংপুরে চীনের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের রুদ্ধদ্বার বৈঠক

হতাহতের সংখ্যা গোপন করার ‘প্রয়োজন সরকারের নেই’: প্রেস সচিব

জনতা ব্যাংকে সর্বোচ্চ মুনাফা আমার সময়ে: আদালতকে বারকাত

ভোটকক্ষ থেকে সরাসরি সম্প্রচারে নিষেধাজ্ঞা, সাংবাদিকদের জন্য নীতিমালা

‘গুজব ছড়াবেন না, মানুষের আবেগ নিয়ে খেলবেন না’

বড়াইগ্রামে ট্রাক ও মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে ৮ জন নিহত

আরও দুই আসামি গ্রেপ্তার, তিন দিনের রিমান্ড

ছবি

গভীর সাগরে ভাসমান ট্রলারসহ ১৮ জেলে উদ্ধার

বেসরকারি চিকিৎসাকেন্দ্রে কিডনি অকেজোর রিপোর্ট আরেক হাসপাতালে ভুয়া প্রমাণিত

যুক্তরাষ্ট্র শুল্ক কমাবে, আশা অর্থ উপদেষ্টার

ছবি

ডেঙ্গুতে একদিনে মৃত্যু ৪ আক্রান্ত ৩১৯ জন

গবেষণা: শতভাগ পথশিশুই নির্যাতনের শিকার

ছবি

‘ফ্যাসিবাদের ষড়যন্ত্রের’ বিরুদ্ধে আরও দৃশ্যমান ঐক্য চান প্রধান উপদেষ্টা

সচিবালয়ে ভাঙচুর ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে ১২০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা

ইউনূসের স্বজনপ্রীতির সবচেয়ে বড় উদাহরণ স্বাস্থ্য উপদেষ্টা: হাসনাত

ইসি গঠনে ‘ঐকমত্য’, আলোচনায় ‘ঐতিহাসিক মোড়’ বললেন আলী রীয়াজ

মাইলস্টোনের প্রতিবাদে ‘হামলায় স্বৈরাচারের ছায়া’: ঐকমত্যের সংলাপ থেকে ওয়াকআউট

ছবি

মাইলস্টোনের ফটকে ঝোলানো হয়েছে তালা, সামনে এখনও ভিড়, বাতাসে পোড়া গন্ধ

ছবি

আরও এক শিশুর মৃত্যু

ছবি

জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে শিক্ষার্থী মাহতাব, বাইরে স্বজনদের অপেক্ষা

ছবি

সন্ত্রাস ও মাদক দমনে সহযোগিতা বৃদ্ধিতে একমত ঢাকা ও ইসলামাবাদ

ছবি

মাইলস্টোন দুর্ঘটনার পর রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বৈঠকে ইউনূসের ঐক্যের আহ্বান

ছবি

জুলাইয়ে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা সর্বাধিক

ছবি

পরীক্ষা স্থগিতের সিদ্ধান্তে দেরি ও ক্ষোভ নিয়ে মুখ খুললেন শিক্ষা উপদেষ্টা

ছবি

মাইলস্টোনে ঢুকতে বাধা, ফটকের বাইরে জনতার ভিড়

ছবি

হতাহতের সংখ্যা নিয়ে ভুল তথ্য না ছড়ানোর অনুরোধ মাইলস্টোন শিক্ষিকার

ছবি

মাইলস্টোনে নিহত-আহত-নিখোঁজের ‘সঠিক সংখ্যা’ নির্ধারণে তদন্ত কমিটি

ছবি

সরকারের পক্ষ থেকে হতাহতের সংখ্যা গোপন করার ‘প্রয়োজন নেই’: প্রেস সচিব

ছবি

উলফা নেতা রঞ্জন চৌধুরী ও সহযোগীর যাবজ্জীবনের পরিবর্তে ২০ বছরের সাজা

ছবি

চার দলের সঙ্গে বৈঠকে ‘ঐক্য’ চাইলেন ইউনূস

ছবি

উত্তরায় বিমান বিধ্বস্তে আহতদের চিকিৎসা দিতে আগ্রহী চীন, ভারত ও জাপান

ছবি

মাইলস্টোন স্কুলে যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তে মৃত্যু বেড়ে ৩২

চিকিৎসক হওয়ার স্বপ্ন ছাই হলো সায়মার

tab

জাতীয়

‘অগ্রহণযোগ্য অবহেলা’ তথ্য ও মানবাধিকার কমিশন নিয়ে, অবিলম্বে গঠনের আহ্বান টিআইবির

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট

বুধবার, ২৩ জুলাই ২০২৫

অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের পর আট থেকে দশ মাস ধরে অকার্যকর অবস্থায় থাকা তথ্য কমিশন ও মানবাধিকার কমিশন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।

টিআইবি বলেছে, “এই দুই প্রতিষ্ঠানের শূন্যতা রাষ্ট্রীয় দায়িত্বের প্রতি সরকারের অবহেলার একটি অগ্রহণযোগ্য উদাহরণ। সরকারের জন্য এটি বিব্রতকর রেকর্ড হয়েছে।”

বুধবার সংবাদমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বলেন, তথ্য কমিশন ও মানবাধিকার কমিশন গঠন সরকারের স্বচ্ছতা, জবাবদিহি ও মানবাধিকারের প্রতি রাষ্ট্রীয় প্রতিশ্রুতির গুরুত্বপূর্ণ প্রতীক।

তিনি বলেন, “অথচ দায়িত্ব গ্রহণের এক বছরের কাছাকাছি সময় পার হয়ে গেলেও কমিশন দুটি গঠনে কোনো কার্যকর উদ্যোগ দৃশ্যমান নয়। কেন দীর্ঘকাল যাবৎ তা গঠিত হচ্ছে না, তার কোনো সুনির্দিষ্ট ব্যাখ্যাও নেই।”

টিআইবির বিবৃতিতে বলা হয়, “কমিশন দুটি অতীতে যত অকার্যকরতারই পরিচয় দিক, প্রায় এক বছর নেতৃত্বশূন্য রাখার বিব্রতকর রেকর্ড স্থাপনের পাশাপাশি সরকার তার অবাধ তথ্যপ্রবাহ ও মানবাধিকার নিশ্চিতের প্রতিশ্রুতির প্রতি নির্বিকার অবহেলার দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। এত দীর্ঘ সময় ধরে তথ্য কমিশন ও মানবাধিকার কমিশন নেতৃত্বহীন রাখা শুধু দুঃখজনক নয়, রাষ্ট্র সংস্কারের দায়িত্বপ্রাপ্ত অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মুখ্য ম্যান্ডেটের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। এই শূন্যতার ফলে নাগরিকদের তথ্যে অভিগম্যতা ও মানবাধিকার নিশ্চিতের ন্যূনতম সুযোগও ভূলুণ্ঠিত হচ্ছে।”

২০২৪ সালের ৭ নভেম্বর রাষ্ট্র ক্ষমতার পালাবদলের মধ্যে মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন আহমেদসহ সব সদস্য পদত্যাগ করেন। এর আগে সেপ্টেম্বরে পদত্যাগ করেন প্রধান তথ্য কমিশনার ও এক কমিশনার। তখন থেকেই অকার্যকর অবস্থায় রয়েছে এ দুটি প্রতিষ্ঠান। এরপর আট থেকে দশ মাস পার হলেও মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান বা প্রধান তথ্য কমিশনার হিসেবে কেউ দায়িত্ব নেননি। ফলে ভুক্তভোগীরা সেবা নিতে এসে ফিরে যাচ্ছেন।

টিআইবির বিবৃতিতে আরও বলা হয়, “প্রায় এক বছর তথ্য কমিশন না থাকা শুধু প্রশাসনিক ব্যর্থতা নয়, বরং তথ্যপ্রাপ্তির সাংবিধানিক অধিকারকে উপেক্ষা করার শামিল। তথ্য কমিশন না থাকায় সরকারি তথ্য না পেলে তার সমাধানে সর্বোচ্চ কর্তৃপক্ষের কাছে প্রতিকার চাওয়ার সুযোগ বন্ধ হয়েছে। কর্তৃত্ববাদী সরকারের পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকার তথ্যের অবাধ প্রবাহ নিশ্চিতের যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, তা মূলত ফাঁকাবুলিতে পরিণত হয়েছে। বাংলাদেশে এ ধরনের নজির আগে কখনও দেখা যায়নি, এমনকি বিশ্বে অন্য কোথাও এ নজির নেই।”

অবিলম্বে কমিশন দুটি গঠনের দাবি জানিয়ে টিআইবির বিবৃতিতে বলা হয়, “পতিত কর্তৃত্ববাদী সরকারের সময়ে মানবাধিকার কমিশন শুধু কাগুজে প্রতিষ্ঠান হয়েছিল। সেই সরকার পতনের পর মানবাধিকার কমিশন শক্তিশালীভাবে তার ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করবে এমন প্রত্যাশা থাকলেও বাস্তবতা আরও হতাশাজনক হয়েছে। আইনগত বাধ্যবাধকতা সত্ত্বেও এত দীর্ঘ সময় কমিশন গঠন করতে ব্যর্থতা দেশে মানবাধিকার নিশ্চিতে সরকারের সদিচ্ছার ঘোষণার সঙ্গে সাংঘর্ষিক। এমন এক সময়ে যখন জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয় বাংলাদেশে স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, তখন দেশের নিজস্ব মানবাধিকার কমিশন শূন্য রাখা দ্বিচারিতার পরিচায়ক।”

টিআইবি গণতন্ত্র, সুশাসন, তথ্যপ্রকাশ ও মানবাধিকারের প্রতি রাষ্ট্রীয় প্রতিশ্রুতি পালনে অবিলম্বে তথ্য কমিশন ও মানবাধিকার কমিশন গঠনের পাশাপাশি উভয় প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রমকে স্বাধীন, দক্ষ ও জনগণের আস্থাযোগ্য করতে আইনি ও প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কারেরও দাবি জানিয়েছে।

back to top