ঢাকার দিয়াবাড়িতে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় হতাহতের সংখ্যা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া বিভিন্ন তথ্যের প্রতিবাদ জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষিকা পূর্ণিমা দাস। বুধবার,(২৩ জুলাই ২০২৫) সকালে নিজের ফেইসবুক অ্যাকাউন্টে তিনি এই মর্মান্তিক ঘটনা নিয়ে ভুল তথ্য না ছড়ানোর জন্য সবার প্রতি অনুরোধ করেন।
গত সোমবার দুপুরের এই দুর্ঘটনায় শতাধিক হতাহতের খবর ছড়িয়ে পড়লেও, পূর্ণিমা দাস নিজের অভিজ্ঞতা থেকে জানান, হতাহতের প্রচারিত সংখ্যাটি সঠিক নয়। তিনি নিজে হায়দার আলী ভবনের একজন শিক্ষিকা এবং দুর্ঘটনার সময় আগুনের মধ্যে আটকা পড়েছিলেন জানিয়ে ফেইসবুক পোস্টে তিনি লেখেন, ‘আপনাদেরকে দুইহাত জোর করে বলছি, ভুল তথ্য ছড়াবেন না। আমিও আগুনের মধ্যে আটকা পড়েছিলাম আমার চেয়ে বেশি আপনারা ফেইসবুকবাসী জানবেন না তাই না? তাই হাত জোর করে বলছি। ভুল তথ্য ছড়াবেন না। মানুষের ইমোশন নিয়ে খেলবেন না।’
ঘটনার দিনের বর্ণনা দিয়ে তিনি বলেন, ‘স্কুল ছুটি হয় দুপুর ১টায় এবং ছুটির সময় ঘনিয়ে এলে শিক্ষার্থীরা ৩ থেকে ৪ মিনিট আগে থেকেই বাড়ি যাওয়ার জন্য ব্যস্ত হয়ে পড়ে।’ তিনি জানান, ছুটির ঠিক পর পর ‘স্কাই’ সেকশনে মাত্র একজন শিক্ষার্থী ছিল, বাকিরা চলে গিয়েছিল। পরে অভিভাবক না আসায় যে ৫ থেকে ৬ জন শিক্ষার্থী ক্লাসে ফিরে এসেছিল, মূলত তারাই হতাহত হয়। এছাড়াও করিডোরে বা দোলনায় থাকা কিছু শিক্ষার্থীও এই দুর্ঘটনার শিকার হয়, যাদের সংখ্যাটি অনিশ্চিত।
ঘটনার বর্ণনায় পূর্ণিমা আরও বলেন, ক্লাউড ক্লাসরুমে ৮-১০ জন শিক্ষার্থী ছিল। শিক্ষিকা মাহরিন, মাসুকা ও মাহফুজা তাদের বের করার চেষ্টা করতে গিয়ে নিজেরা দগ্ধ হন। এই ঘটনায় মাহরিন ও মাসুকা নামের দুই শিক্ষিকাকে হারিয়েছেন তারা। শিক্ষিকা মাহফুজার অবস্থা গুরুতর এবং তিনি লাইফ সাপোর্টে আছেন বলে পোস্টে উল্লেখ করেন তিনি।
পূর্ণিমা তার পোস্টে জানান, ময়না ক্লাসরুমের শিক্ষার্থীরা আহত হলেও কেউ মারা যায়নি। দোয়েল ক্লাসের একজন শিক্ষার্থী মারা গেছে। টিউবরোজ ও ওয়াটারলিলি এই দুই ক্লাসের সবাই নিরাপদে ছিল।
তিনি আরও জানান, দ্বিতীয় তলায়
দুটি শ্রেণীকক্ষ ও একটি শিক্ষক লাউঞ্জ পুড়ে গেছে, যেখানে প্রায় ১৫ থেকে ২০ জনের মতো ছিল। তবে ভবনের সামনের চত্বর, দোলনা ও করিডোরে থাকা শিক্ষার্থীদের সঠিক সংখ্যা অনুমান করা কঠিন বলে তিনি উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, ‘আপনাদের কোনো ধারণা নেই এই শিক্ষক শিক্ষিকাগুলো কিভাবে বাচ্চাদেরকে সারাদিন আগলে রাখে।’ তিনি নিহত শিক্ষিকা মাহরিনের আত্মত্যাগের কথা স্মরণ করে জানান, প্রতিদিন শেষ পর্যন্ত গেটে দাঁড়িয়ে তিনি বাচ্চাদের অভিভাবকদের হাতে বুঝিয়ে দিতেন।
শিক্ষিকা পূর্ণিমা দাস জোর দিয়ে বলেন, হতাহতের যে সংখ্যা প্রচার করা হচ্ছে, তা কোনোভাবেই সম্ভব নয়। তিনি জানান, ভবনের দুই কোণায় থাকা শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা অক্ষত অবস্থায় ফিরে এসেছে।
প্রাঙ্গণের বর্ণনায় তিনি বলেছেন, ‘হায়দার আলী ভবনের মুখে, দোলনায় এবং করিডোরের হাঁটাহাঁটি করা বাচ্চার সংখ্যা এভাবে বলতে পারা যায় না। অনুমানও করা কঠিন। তারমধ্যে অনেকের শরীর পুড়ে ছাই হয়ে গেছে, লাশগুলো খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। এরমধ্যে আছে ওখানকার আয়ারাও। এখান থেকেই বেশিরভাগ আহত। আহতের সংখ্যাও ঠিকভাবে বলা যায় না। তাই ভুল তথ্য ছড়াবেন না। আপনারা যত মৃতের সংখ্যা বলছেন সেটা একেবারে সম্ভব না। তারমধ্য আমরা যারা দুই কর্ণারে ছিলাম তারা তো অক্ষত অবস্থায় ফিরে এসছি।’
বুধবার, ২৩ জুলাই ২০২৫
ঢাকার দিয়াবাড়িতে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় হতাহতের সংখ্যা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া বিভিন্ন তথ্যের প্রতিবাদ জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষিকা পূর্ণিমা দাস। বুধবার,(২৩ জুলাই ২০২৫) সকালে নিজের ফেইসবুক অ্যাকাউন্টে তিনি এই মর্মান্তিক ঘটনা নিয়ে ভুল তথ্য না ছড়ানোর জন্য সবার প্রতি অনুরোধ করেন।
গত সোমবার দুপুরের এই দুর্ঘটনায় শতাধিক হতাহতের খবর ছড়িয়ে পড়লেও, পূর্ণিমা দাস নিজের অভিজ্ঞতা থেকে জানান, হতাহতের প্রচারিত সংখ্যাটি সঠিক নয়। তিনি নিজে হায়দার আলী ভবনের একজন শিক্ষিকা এবং দুর্ঘটনার সময় আগুনের মধ্যে আটকা পড়েছিলেন জানিয়ে ফেইসবুক পোস্টে তিনি লেখেন, ‘আপনাদেরকে দুইহাত জোর করে বলছি, ভুল তথ্য ছড়াবেন না। আমিও আগুনের মধ্যে আটকা পড়েছিলাম আমার চেয়ে বেশি আপনারা ফেইসবুকবাসী জানবেন না তাই না? তাই হাত জোর করে বলছি। ভুল তথ্য ছড়াবেন না। মানুষের ইমোশন নিয়ে খেলবেন না।’
ঘটনার দিনের বর্ণনা দিয়ে তিনি বলেন, ‘স্কুল ছুটি হয় দুপুর ১টায় এবং ছুটির সময় ঘনিয়ে এলে শিক্ষার্থীরা ৩ থেকে ৪ মিনিট আগে থেকেই বাড়ি যাওয়ার জন্য ব্যস্ত হয়ে পড়ে।’ তিনি জানান, ছুটির ঠিক পর পর ‘স্কাই’ সেকশনে মাত্র একজন শিক্ষার্থী ছিল, বাকিরা চলে গিয়েছিল। পরে অভিভাবক না আসায় যে ৫ থেকে ৬ জন শিক্ষার্থী ক্লাসে ফিরে এসেছিল, মূলত তারাই হতাহত হয়। এছাড়াও করিডোরে বা দোলনায় থাকা কিছু শিক্ষার্থীও এই দুর্ঘটনার শিকার হয়, যাদের সংখ্যাটি অনিশ্চিত।
ঘটনার বর্ণনায় পূর্ণিমা আরও বলেন, ক্লাউড ক্লাসরুমে ৮-১০ জন শিক্ষার্থী ছিল। শিক্ষিকা মাহরিন, মাসুকা ও মাহফুজা তাদের বের করার চেষ্টা করতে গিয়ে নিজেরা দগ্ধ হন। এই ঘটনায় মাহরিন ও মাসুকা নামের দুই শিক্ষিকাকে হারিয়েছেন তারা। শিক্ষিকা মাহফুজার অবস্থা গুরুতর এবং তিনি লাইফ সাপোর্টে আছেন বলে পোস্টে উল্লেখ করেন তিনি।
পূর্ণিমা তার পোস্টে জানান, ময়না ক্লাসরুমের শিক্ষার্থীরা আহত হলেও কেউ মারা যায়নি। দোয়েল ক্লাসের একজন শিক্ষার্থী মারা গেছে। টিউবরোজ ও ওয়াটারলিলি এই দুই ক্লাসের সবাই নিরাপদে ছিল।
তিনি আরও জানান, দ্বিতীয় তলায়
দুটি শ্রেণীকক্ষ ও একটি শিক্ষক লাউঞ্জ পুড়ে গেছে, যেখানে প্রায় ১৫ থেকে ২০ জনের মতো ছিল। তবে ভবনের সামনের চত্বর, দোলনা ও করিডোরে থাকা শিক্ষার্থীদের সঠিক সংখ্যা অনুমান করা কঠিন বলে তিনি উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, ‘আপনাদের কোনো ধারণা নেই এই শিক্ষক শিক্ষিকাগুলো কিভাবে বাচ্চাদেরকে সারাদিন আগলে রাখে।’ তিনি নিহত শিক্ষিকা মাহরিনের আত্মত্যাগের কথা স্মরণ করে জানান, প্রতিদিন শেষ পর্যন্ত গেটে দাঁড়িয়ে তিনি বাচ্চাদের অভিভাবকদের হাতে বুঝিয়ে দিতেন।
শিক্ষিকা পূর্ণিমা দাস জোর দিয়ে বলেন, হতাহতের যে সংখ্যা প্রচার করা হচ্ছে, তা কোনোভাবেই সম্ভব নয়। তিনি জানান, ভবনের দুই কোণায় থাকা শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা অক্ষত অবস্থায় ফিরে এসেছে।
প্রাঙ্গণের বর্ণনায় তিনি বলেছেন, ‘হায়দার আলী ভবনের মুখে, দোলনায় এবং করিডোরের হাঁটাহাঁটি করা বাচ্চার সংখ্যা এভাবে বলতে পারা যায় না। অনুমানও করা কঠিন। তারমধ্যে অনেকের শরীর পুড়ে ছাই হয়ে গেছে, লাশগুলো খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। এরমধ্যে আছে ওখানকার আয়ারাও। এখান থেকেই বেশিরভাগ আহত। আহতের সংখ্যাও ঠিকভাবে বলা যায় না। তাই ভুল তথ্য ছড়াবেন না। আপনারা যত মৃতের সংখ্যা বলছেন সেটা একেবারে সম্ভব না। তারমধ্য আমরা যারা দুই কর্ণারে ছিলাম তারা তো অক্ষত অবস্থায় ফিরে এসছি।’