ছাত্র-জনতার বুকে গুলি চালানোর নির্দেশনা দিতে দেখা যাওয়া আলোচিত পুলিশ কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইকবাল হোসাইনকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে সরকার।
বুধবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ থেকে জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে তাঁর বরখাস্তের আদেশ দেওয়া হয়।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) ওয়ারী বিভাগের সাবেক উপপুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ ইকবাল হোসাইন বর্তমানে খুলনা রেঞ্জ ডিআইজি কার্যালয়ে সংযুক্ত। তবে তিনি কর্তৃপক্ষের বিনা অনুমতিতে গত বছরের ২৮ আগস্ট থেকে কর্মস্থলে অনুপস্থিত রয়েছেন, যা সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা অনুযায়ী পলায়নের শামিল এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
এ কারণে যেদিন থেকে তিনি অনুপস্থিত, সেদিন থেকেই তাঁকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। বরখাস্তকালীন তিনি বিধি অনুযায়ী খোরপোষ ভাতা পাবেন বলে জানানো হয়েছে।
২০২৪ সালের জুলাইয়ে চলমান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের কাছে সরাসরি রিপোর্ট দিতে গিয়ে ইকবাল হোসাইন বলেন, “গুলি করে করে লাশ নামানো লাগছে স্যার। গুলি করি, মরে একটা, আহত হয় একটা। একটাই যায় স্যার, বাকিডি যায় না। এইটা হলো স্যার সবচেয়ে বড় আতঙ্কের এবং দুশ্চিন্তার বিষয়।”
এই বক্তব্যের একটি ভিডিও ক্লিপ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়, যা দেশজুড়ে তীব্র প্রতিক্রিয়ার জন্ম দেয়। ওই ভিডিওতে দেখা যায়, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে ঘিরে দাঁড়িয়ে রয়েছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন ও স্বরাষ্ট্রসচিব জাহাঙ্গীর আলম। তাঁদের সামনেই ভিডিও দেখিয়ে ইকবাল এসব কথা বলছিলেন।
উল্লেখ্য, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় আন্দোলনকারীদের ওপর গুলি চালানো ও সহিংস দমন-পীড়নের ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়ে। আন্দোলনের সময় ও পরবর্তী সময়ে অন্তত ২৫ জন পুলিশ কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট সূত্র।
বৃহস্পতিবার, ২৪ জুলাই ২০২৫
ছাত্র-জনতার বুকে গুলি চালানোর নির্দেশনা দিতে দেখা যাওয়া আলোচিত পুলিশ কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইকবাল হোসাইনকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে সরকার।
বুধবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ থেকে জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে তাঁর বরখাস্তের আদেশ দেওয়া হয়।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) ওয়ারী বিভাগের সাবেক উপপুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ ইকবাল হোসাইন বর্তমানে খুলনা রেঞ্জ ডিআইজি কার্যালয়ে সংযুক্ত। তবে তিনি কর্তৃপক্ষের বিনা অনুমতিতে গত বছরের ২৮ আগস্ট থেকে কর্মস্থলে অনুপস্থিত রয়েছেন, যা সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা অনুযায়ী পলায়নের শামিল এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
এ কারণে যেদিন থেকে তিনি অনুপস্থিত, সেদিন থেকেই তাঁকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। বরখাস্তকালীন তিনি বিধি অনুযায়ী খোরপোষ ভাতা পাবেন বলে জানানো হয়েছে।
২০২৪ সালের জুলাইয়ে চলমান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের কাছে সরাসরি রিপোর্ট দিতে গিয়ে ইকবাল হোসাইন বলেন, “গুলি করে করে লাশ নামানো লাগছে স্যার। গুলি করি, মরে একটা, আহত হয় একটা। একটাই যায় স্যার, বাকিডি যায় না। এইটা হলো স্যার সবচেয়ে বড় আতঙ্কের এবং দুশ্চিন্তার বিষয়।”
এই বক্তব্যের একটি ভিডিও ক্লিপ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়, যা দেশজুড়ে তীব্র প্রতিক্রিয়ার জন্ম দেয়। ওই ভিডিওতে দেখা যায়, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে ঘিরে দাঁড়িয়ে রয়েছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন ও স্বরাষ্ট্রসচিব জাহাঙ্গীর আলম। তাঁদের সামনেই ভিডিও দেখিয়ে ইকবাল এসব কথা বলছিলেন।
উল্লেখ্য, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় আন্দোলনকারীদের ওপর গুলি চালানো ও সহিংস দমন-পীড়নের ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়ে। আন্দোলনের সময় ও পরবর্তী সময়ে অন্তত ২৫ জন পুলিশ কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট সূত্র।