কেরানীগঞ্জের ঝিলমিল আবাসিক প্রকল্পে শেখ হাসিনার দপ্তরের ১৫ জন গাড়িচালককে প্লট বরাদ্দ দেওয়া হলেও তাদের ‘অসামান্য অবদান’ খুঁজে পায়নি দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
এই প্রকল্পে ‘রাষ্ট্রীয় ক্ষেত্রে অসামান্য অবদান’ থাকার কথা বলে শতাধিক প্লট বরাদ্দ দেওয়া হয়। সরকারি চাকরিজীবী, জনসেবা ও সংশ্লিষ্ট পেশাজীবীদের নামে এই বরাদ্দ হয়। শেখ হাসিনার দপ্তরে কর্মরত চালকদের নামেও প্লট বরাদ্দ দিতে রাজউককে নির্দেশনা দেয় গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়।
তবে ১৯৬৯ সালের ‘ভূমি বরাদ্দ বিধিমালার’ ১৩/এ ধারা অনুযায়ী, শুধু নির্ধারিত চার শ্রেণির ব্যক্তিকে ‘অসামান্য অবদানের’ ভিত্তিতে প্লট বরাদ্দের বিধান রয়েছে।
বুধবার দুদকের এনফোর্সমেন্ট টিম রাজউকের ওই প্রকল্পে অভিযান চালায়। দুদকের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন বৃহস্পতিবার জানান, নথিপত্রে চালকদের ‘অসামান্য অবদান’ সম্পর্কিত কোনো ব্যাখ্যা, যোগ্যতা বা সরকারি মূল্যায়নের দলিল পাওয়া যায়নি।
দুদক জানায়, রাজউকের নথি পর্যালোচনায় দেখা গেছে, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা, সহকারী একান্ত সচিব, প্রটোকল অফিসার ও চিফ ফটোগ্রাফারের গাড়িচালকসহ প্রায় ১৫ জনকে তিন ও পাঁচ কাঠার প্লট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের চিঠির ভিত্তিতে রাজউক বোর্ড এই সিদ্ধান্ত নেয়।
আইন অনুযায়ী, বর্তমানে বা অতীতে মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, সংসদ সদস্য অথবা রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে অসামান্য অবদান রাখা ব্যক্তি প্লটের জন্য যোগ্য। এর মধ্যে পেশাজীবী, মুক্তিযোদ্ধা, সমাজসেবকসহ অন্যান্যদের সরকারি মূল্যায়নের ভিত্তিতে মনোনয়ন দেওয়া যায়। আবেদন অবশ্যই সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির পক্ষ থেকে আসতে হয় এবং সরকারের সুপারিশ থাকতে হয়।
দুদকের ভাষ্য, চালকদের আবেদনে এ ধরনের যোগ্যতা বা সুপারিশের কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
২০২৪ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মো. মিজানুর রহমান স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে শেখ হাসিনার দপ্তরের ১৫ চালকের মধ্যে প্রতি দুইজনের অনুকূলে তিন কাঠা এবং তিনজনের অনুকূলে পাঁচ কাঠা প্লট বরাদ্দ দেওয়ার কথা বলা হয়।
প্লট পাওয়া চালকদের মধ্যে রয়েছেন ভিভিআইপি গাড়িচালক মো. সাইফুল ইসলাম, মো. সফিকুল ইসলাম, ভিভিআইপি অ্যাম্বুলেন্স চালক মো. নূরুল ইসলাম লিটন, মুখ্য সচিবের গাড়িচালক মো. রাজন মাদবর, সচিবের চালক মো. মাহবুব হোসেন, একান্ত সচিব-১ ও ২-এর চালক মো. শাহীন ও মো. মতিউর রহমান, সহকারী একান্ত সচিবদের চালক মো. নূর হোসেন বেপারী ও মো. বোরহান উদ্দিন, বিশেষ সহকারীর চালক মো. বেলাল হোসেন, চিফ ফটোগ্রাফারের চালক মো. মিজানুর রহমান, প্রটোকল অফিসার-১-এর চালক মো. বাচ্চু হাওলাদার, একান্ত সচিব-১-এর চালক মো. নুরুল আলম, বিশেষ সহকারীর চালক মো. নুরনবী (ইমন) এবং প্রটোকল অফিসার-২-এর গাড়িচালক মো. শাহীন।
দুদকের মহাপরিচালক বলেন, মন্ত্রণালয়ের মনোনয়নপত্রেও চালকদের কারো অসামান্য অবদান সংক্রান্ত কোনো তথ্য ছিল না। বরাদ্দের নির্দেশনাতেও তা উল্লেখ করা হয়নি।
বৃহস্পতিবার, ২৪ জুলাই ২০২৫
কেরানীগঞ্জের ঝিলমিল আবাসিক প্রকল্পে শেখ হাসিনার দপ্তরের ১৫ জন গাড়িচালককে প্লট বরাদ্দ দেওয়া হলেও তাদের ‘অসামান্য অবদান’ খুঁজে পায়নি দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
এই প্রকল্পে ‘রাষ্ট্রীয় ক্ষেত্রে অসামান্য অবদান’ থাকার কথা বলে শতাধিক প্লট বরাদ্দ দেওয়া হয়। সরকারি চাকরিজীবী, জনসেবা ও সংশ্লিষ্ট পেশাজীবীদের নামে এই বরাদ্দ হয়। শেখ হাসিনার দপ্তরে কর্মরত চালকদের নামেও প্লট বরাদ্দ দিতে রাজউককে নির্দেশনা দেয় গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়।
তবে ১৯৬৯ সালের ‘ভূমি বরাদ্দ বিধিমালার’ ১৩/এ ধারা অনুযায়ী, শুধু নির্ধারিত চার শ্রেণির ব্যক্তিকে ‘অসামান্য অবদানের’ ভিত্তিতে প্লট বরাদ্দের বিধান রয়েছে।
বুধবার দুদকের এনফোর্সমেন্ট টিম রাজউকের ওই প্রকল্পে অভিযান চালায়। দুদকের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন বৃহস্পতিবার জানান, নথিপত্রে চালকদের ‘অসামান্য অবদান’ সম্পর্কিত কোনো ব্যাখ্যা, যোগ্যতা বা সরকারি মূল্যায়নের দলিল পাওয়া যায়নি।
দুদক জানায়, রাজউকের নথি পর্যালোচনায় দেখা গেছে, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা, সহকারী একান্ত সচিব, প্রটোকল অফিসার ও চিফ ফটোগ্রাফারের গাড়িচালকসহ প্রায় ১৫ জনকে তিন ও পাঁচ কাঠার প্লট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের চিঠির ভিত্তিতে রাজউক বোর্ড এই সিদ্ধান্ত নেয়।
আইন অনুযায়ী, বর্তমানে বা অতীতে মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, সংসদ সদস্য অথবা রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে অসামান্য অবদান রাখা ব্যক্তি প্লটের জন্য যোগ্য। এর মধ্যে পেশাজীবী, মুক্তিযোদ্ধা, সমাজসেবকসহ অন্যান্যদের সরকারি মূল্যায়নের ভিত্তিতে মনোনয়ন দেওয়া যায়। আবেদন অবশ্যই সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির পক্ষ থেকে আসতে হয় এবং সরকারের সুপারিশ থাকতে হয়।
দুদকের ভাষ্য, চালকদের আবেদনে এ ধরনের যোগ্যতা বা সুপারিশের কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
২০২৪ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মো. মিজানুর রহমান স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে শেখ হাসিনার দপ্তরের ১৫ চালকের মধ্যে প্রতি দুইজনের অনুকূলে তিন কাঠা এবং তিনজনের অনুকূলে পাঁচ কাঠা প্লট বরাদ্দ দেওয়ার কথা বলা হয়।
প্লট পাওয়া চালকদের মধ্যে রয়েছেন ভিভিআইপি গাড়িচালক মো. সাইফুল ইসলাম, মো. সফিকুল ইসলাম, ভিভিআইপি অ্যাম্বুলেন্স চালক মো. নূরুল ইসলাম লিটন, মুখ্য সচিবের গাড়িচালক মো. রাজন মাদবর, সচিবের চালক মো. মাহবুব হোসেন, একান্ত সচিব-১ ও ২-এর চালক মো. শাহীন ও মো. মতিউর রহমান, সহকারী একান্ত সচিবদের চালক মো. নূর হোসেন বেপারী ও মো. বোরহান উদ্দিন, বিশেষ সহকারীর চালক মো. বেলাল হোসেন, চিফ ফটোগ্রাফারের চালক মো. মিজানুর রহমান, প্রটোকল অফিসার-১-এর চালক মো. বাচ্চু হাওলাদার, একান্ত সচিব-১-এর চালক মো. নুরুল আলম, বিশেষ সহকারীর চালক মো. নুরনবী (ইমন) এবং প্রটোকল অফিসার-২-এর গাড়িচালক মো. শাহীন।
দুদকের মহাপরিচালক বলেন, মন্ত্রণালয়ের মনোনয়নপত্রেও চালকদের কারো অসামান্য অবদান সংক্রান্ত কোনো তথ্য ছিল না। বরাদ্দের নির্দেশনাতেও তা উল্লেখ করা হয়নি।