রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় নিহতদের মধ্যে ছয়জনের পোড়া লাশ শনাক্ত করা সম্ভব না হওয়ায় ডিএনএ পরীক্ষার পাঠানো হয়। ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে পাঁচজনের পরিচয় শনাক্ত করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার,(২৪ জুলাই ২০২৫) পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) ফরেনসিক ডিএনএ ল্যাব তাদের পরিচয় নিশ্চিত করে।
সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার (এসএসপি) জসীম উদ্দিন খান জানান, গত সোমবার দিয়াবাড়িতে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ প্রাঙ্গণে বিমান বাহিনীর একটি যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়। দেশের অন্যতম ভয়াবহ এই সামরিক বিমান দুর্ঘটনায় নিহতদের মধ্যে কয়েকজনের লাশ পুড়ে বিকৃত হয়ে যাওয়ায় তাদের শনাক্ত করা সম্ভব হচ্ছিল না। পরিচয় শনাক্ত করতে সিএমএইচে রাখা মরদেহ ও দেহাংশ থেকে মোট ১১টি ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হয় এবং নিখোঁজ ব্যক্তিদের পরিবারের সদস্যদের ডিএনএ নমুনার সঙ্গে তা মিলিয়ে দেখা হয়।
ডিএনএ পরীক্ষা শেষে যে পাঁচজনের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে তারা হলেন মো. ফারুক হোসেন ও সালমা আক্তার দম্পতির মেয়ে ওকিয়া ফেরদৌস নিধি, মো. শাহাবুল শেখ ও মিসেস মিম দম্পতির মেয়ে রাইসা মনি, আব্দুল কাদির ও উম্মে তামিমা আক্তার দম্পতির মেয়ে মারিয়াম উম্মে আফিয়া, মো. বাবুল ও মাজেদা দম্পতির মেয়ে লামিয়া আক্তার সোনিয়া এবং মো. আব্বাস উদ্দিন ও মোসা. মিনু আক্তারের মেয়ে আফসানা আক্তার প্রিয়া। শনাক্তকৃতদের মধ্যে লামিয়া ও প্রিয়া শিক্ষার্থীদের অভিভাবক। তাদের সন্তান ওই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা করছে। তারা নিজেদের সন্তানের জন্য প্রতিষ্ঠানে এসেছিলেন। এই দুর্ঘটনায়
দগ্ধ আরও দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। মো. মাহতাব রহমান (১৩) বৃহস্পতিবার দুপুর ১টা ৫০ মিনিটের দিকে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। আর বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে মাহিয়া (১৫) নামের এক তরুণীর মৃত্যু হয় বলে জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. শাওন বিন রহমান জানিয়েছেন। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত এ দুর্ঘটনায় মোট ৩৪ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় এই সামরিক বিমান দুর্ঘটনায় হতাহতদের বেশিরভাগই শিশু।
দগ্ধ ও আহত ৫৫ জন এখনও জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউট, সিএমএইচসহ বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাদের মধ্যে সাতজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।
২২ নিহত ও ৫ নিখোঁজের তথ্য জানালো মাইলস্টোন কর্তৃপক্ষ
রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমানবাহিনীর যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় ২২ জন নিহত ও ৫ জন নিখোঁজ আছেন বলে জানিয়েছে মাইলস্টোন কর্তৃপক্ষ। যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের তিন দিন পর বৃহস্পতিবার এই তালিকা প্রকাশ করলো প্রতিষ্ঠানটি। প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ মোহাম্মদ জিয়াউল আলম স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়। আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে প্রতিষ্ঠানটি এই মর্মান্তিক ঘটনায় নিহত, আহত ও নিখোঁজদের তথ্য তুলে ধরে এবং উদ্ধারকাজে সহায়তাকারী সবার প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় আমাদের স্কুল শাখার ১৮ জন শিক্ষার্থী, ২ জন শিক্ষক, ২ জন অভিভাবক মারা গেছেন। এ দুর্ঘটনায় গুরুতরভাবে আহত হন ৫১ জন। এদের মধ্যে ৪০ শিক্ষার্থী, ৭ জন শিক্ষক, ১ জন অভিভাবক, ১ জন আয়া ও ১ জন পিয়ন আছেন। এখনও পর্যন্ত নিখোঁজ রয়েছে ৫ জন, যাদের মধ্যে ৩ জন শিক্ষার্থী ও ২ জন অভিভাবক।
বিবৃতিতে জানানো হয়, ২১ জুলাই দুপুর ১টা ১২ থেকে ১টা ১৪ মিনিটের মধ্যে বিমানবাহিনীর একটি এফটি-৭ বিজিআই প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান ক্যাম্পাসের একটি দোতলা ভবনে বিধ্বস্ত হয়। দুপুর ১টায় স্কুল ছুটি হওয়ায় সেসময় স্বল্প সংখ্যক শিক্ষার্থী অভিভাবকদের জন্য অপেক্ষা করছিল।
ঘটনার আকস্মিকতায় হতবিহ্বল হয়ে পড়লেও তাৎক্ষণিকভাবে কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী উদ্ধারকাজে ঝাঁপিয়ে পড়েন। পরবর্তীতে সেনাবাহিনী, বিমানবাহিনী, নৌবাহিনী, পুলিশ, র্যাব ও ফায়ার সার্ভিসের প্রশিক্ষিত দল উদ্ধারকাজে অংশ নেয়।
মাইলস্টোন কর্তৃপক্ষ এই চরম শোকের মুহূর্তে পাশে দাঁড়ানোর জন্য তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, গণমাধ্যম এবং উদ্ধারকাজে মানবিকতার হাত বাড়িয়ে দেয়া সব ব্যক্তি ও সংস্থাকে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানিয়েছে। আহতদের সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও বিমানবাহিনীর প্রতিও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা হয়। এ ঘটনায় গত ২২ জুলাই মাইলস্টোন কর্তৃপক্ষ একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।
বৃহস্পতিবার, ২৪ জুলাই ২০২৫
রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় নিহতদের মধ্যে ছয়জনের পোড়া লাশ শনাক্ত করা সম্ভব না হওয়ায় ডিএনএ পরীক্ষার পাঠানো হয়। ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে পাঁচজনের পরিচয় শনাক্ত করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার,(২৪ জুলাই ২০২৫) পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) ফরেনসিক ডিএনএ ল্যাব তাদের পরিচয় নিশ্চিত করে।
সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার (এসএসপি) জসীম উদ্দিন খান জানান, গত সোমবার দিয়াবাড়িতে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ প্রাঙ্গণে বিমান বাহিনীর একটি যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়। দেশের অন্যতম ভয়াবহ এই সামরিক বিমান দুর্ঘটনায় নিহতদের মধ্যে কয়েকজনের লাশ পুড়ে বিকৃত হয়ে যাওয়ায় তাদের শনাক্ত করা সম্ভব হচ্ছিল না। পরিচয় শনাক্ত করতে সিএমএইচে রাখা মরদেহ ও দেহাংশ থেকে মোট ১১টি ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হয় এবং নিখোঁজ ব্যক্তিদের পরিবারের সদস্যদের ডিএনএ নমুনার সঙ্গে তা মিলিয়ে দেখা হয়।
ডিএনএ পরীক্ষা শেষে যে পাঁচজনের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে তারা হলেন মো. ফারুক হোসেন ও সালমা আক্তার দম্পতির মেয়ে ওকিয়া ফেরদৌস নিধি, মো. শাহাবুল শেখ ও মিসেস মিম দম্পতির মেয়ে রাইসা মনি, আব্দুল কাদির ও উম্মে তামিমা আক্তার দম্পতির মেয়ে মারিয়াম উম্মে আফিয়া, মো. বাবুল ও মাজেদা দম্পতির মেয়ে লামিয়া আক্তার সোনিয়া এবং মো. আব্বাস উদ্দিন ও মোসা. মিনু আক্তারের মেয়ে আফসানা আক্তার প্রিয়া। শনাক্তকৃতদের মধ্যে লামিয়া ও প্রিয়া শিক্ষার্থীদের অভিভাবক। তাদের সন্তান ওই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা করছে। তারা নিজেদের সন্তানের জন্য প্রতিষ্ঠানে এসেছিলেন। এই দুর্ঘটনায়
দগ্ধ আরও দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। মো. মাহতাব রহমান (১৩) বৃহস্পতিবার দুপুর ১টা ৫০ মিনিটের দিকে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। আর বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে মাহিয়া (১৫) নামের এক তরুণীর মৃত্যু হয় বলে জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. শাওন বিন রহমান জানিয়েছেন। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত এ দুর্ঘটনায় মোট ৩৪ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় এই সামরিক বিমান দুর্ঘটনায় হতাহতদের বেশিরভাগই শিশু।
দগ্ধ ও আহত ৫৫ জন এখনও জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউট, সিএমএইচসহ বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাদের মধ্যে সাতজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।
২২ নিহত ও ৫ নিখোঁজের তথ্য জানালো মাইলস্টোন কর্তৃপক্ষ
রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমানবাহিনীর যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় ২২ জন নিহত ও ৫ জন নিখোঁজ আছেন বলে জানিয়েছে মাইলস্টোন কর্তৃপক্ষ। যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের তিন দিন পর বৃহস্পতিবার এই তালিকা প্রকাশ করলো প্রতিষ্ঠানটি। প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ মোহাম্মদ জিয়াউল আলম স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়। আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে প্রতিষ্ঠানটি এই মর্মান্তিক ঘটনায় নিহত, আহত ও নিখোঁজদের তথ্য তুলে ধরে এবং উদ্ধারকাজে সহায়তাকারী সবার প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় আমাদের স্কুল শাখার ১৮ জন শিক্ষার্থী, ২ জন শিক্ষক, ২ জন অভিভাবক মারা গেছেন। এ দুর্ঘটনায় গুরুতরভাবে আহত হন ৫১ জন। এদের মধ্যে ৪০ শিক্ষার্থী, ৭ জন শিক্ষক, ১ জন অভিভাবক, ১ জন আয়া ও ১ জন পিয়ন আছেন। এখনও পর্যন্ত নিখোঁজ রয়েছে ৫ জন, যাদের মধ্যে ৩ জন শিক্ষার্থী ও ২ জন অভিভাবক।
বিবৃতিতে জানানো হয়, ২১ জুলাই দুপুর ১টা ১২ থেকে ১টা ১৪ মিনিটের মধ্যে বিমানবাহিনীর একটি এফটি-৭ বিজিআই প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান ক্যাম্পাসের একটি দোতলা ভবনে বিধ্বস্ত হয়। দুপুর ১টায় স্কুল ছুটি হওয়ায় সেসময় স্বল্প সংখ্যক শিক্ষার্থী অভিভাবকদের জন্য অপেক্ষা করছিল।
ঘটনার আকস্মিকতায় হতবিহ্বল হয়ে পড়লেও তাৎক্ষণিকভাবে কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী উদ্ধারকাজে ঝাঁপিয়ে পড়েন। পরবর্তীতে সেনাবাহিনী, বিমানবাহিনী, নৌবাহিনী, পুলিশ, র্যাব ও ফায়ার সার্ভিসের প্রশিক্ষিত দল উদ্ধারকাজে অংশ নেয়।
মাইলস্টোন কর্তৃপক্ষ এই চরম শোকের মুহূর্তে পাশে দাঁড়ানোর জন্য তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, গণমাধ্যম এবং উদ্ধারকাজে মানবিকতার হাত বাড়িয়ে দেয়া সব ব্যক্তি ও সংস্থাকে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানিয়েছে। আহতদের সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও বিমানবাহিনীর প্রতিও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা হয়। এ ঘটনায় গত ২২ জুলাই মাইলস্টোন কর্তৃপক্ষ একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।