ইউনিয়ন ও উপজেলা পরিষদ এবং পৌরসভা ও সিটি করপোরেশন নির্বাচনে দলীয় প্রতীক থাকছে না। এ লক্ষ্যে আইন সংশোধনের উদ্যোগ নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। দশ বছর আগে আওয়ামী লীগ সরকার নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের পরিচয় ও প্রতীকে স্থানীয় সরকার নির্বাচনের যে নিয়ম চালু করেছিল; তা বাতিল করা হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার,(২৪ জুলাই ২০২৫) উপদেষ্টা পরিষদ বৈঠকে স্থানীয় সরকার বিভাগ কর্তৃক উত্থাপিত ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি), উপজেলা পরিষদ, পৌরসভা ও সিটি করপোরেশন আইন সংশোধনের প্রস্তাবে সম্মতি দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে এ বৈঠক হয়। পরে ঢাকার ফরেন সার্ভিস অ্যাকাডেমিতে সংবাদ সম্মেলনে স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
একই সংবাদ সম্মেলনে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকের এ সিদ্ধান্ত জানান আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল।
এ সময় প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলমও উপস্থিত ছিলেন।
দলীয় প্রতীক বাদ
স্থানীয় নির্বাচনে দলীয় প্রতীক বাদ দেয়া প্রসঙ্গে স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া সাংবাদিকদের বলেন, ‘সিটি করপোরেশন, পৌরসভা, ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে কোনো দলীয় প্রতীক থাকবে না। ফলে প্রার্থীদের নিজ যোগ্যতা ও জনপ্রিয়তায় ভর করেই নির্বাচিত হতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন, স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশনসহ দলগুলো স্থানীয় নির্বাচনে দলীয় প্রতীক বাতিলের দাবি করে আসছিল। এর পরিপ্রেক্ষিতেই এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এতে স্থানীয় সরকারে ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে। এ সময় রাজনৈতিক দলগুলো চাইলে জাতীয় নির্বাচনের আগেই স্থানীয় পর্যায়ে ভোট হতে পারে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বিগত সময়ে দলীয় প্রতীকে নির্বাচন হওয়ায় সরকারি দলের মার্কা বিশেষ সুবিধা পেয়েছে। অনেক জায়গায় মার্কার জোড়ে অনেকে জিতেছে। এছাড়া, নির্বাচনে এটিকে কেন্দ্র করে অনেকে হানাহানিও হয়েছে। এখন দলীয় প্রতীক না থাকায় যোগ্য প্রার্থীরা জয়ী হবে।’
একই প্রসঙ্গে একই স্থানে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল সাংবাদিকদের বলেন, ‘যুগ যুগ ধরে দলীয় প্রতীক ছাড়া দেশে স্থানীয় নির্বাচন হয়ে আসছিল। কিন্তু বিগত সরকারের আমলে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোকে দলীয়করণ করা হয়েছে। এখন আমরা আবার আগের সেই অবস্থানে ফিরে যাচ্ছি।’
এক দশক আগে দলীয় প্রতীক
দলীয় প্রতীকে স্থানীয় সরকার নির্বাচনের আইন ২০১৫ সালের ২২ নভেম্বর জাতীয় সংসদে পাস হয়।
ওই দিন জাতীয় সংসদে সরকারি দল আওয়ামী লীগের স্থানীয় সরকারমন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন এ সংক্রান্ত তিনটি পৃথক বিল পাসের প্রস্তাব করলে কণ্ঠভোটে তা পাস হয়। বিলগুলো হলো স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) (সংশোধন) বিল-২০১৫, স্থানীয় সরকার (উপজেলা) (সংশোধন) বিল-২০১৫ ও স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) বিল-২০১৫।
বিলগুলোতে বলা হয়, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও দুটি ভাইস চেয়ারম্যান এবং সিটি করপোরেশনের মেয়র পদের নির্বাচনের জন্য প্রার্থীকে রাজনৈতিক দল কর্তৃক মনোনীত অথবা স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে হবে।
বিলগুলোর উদ্দেশ্য ও কারণ সম্বলিত বিবৃতিতে মন্ত্রী বলেছিলেন, ‘সিটি করপোরেশন, পৌরসভা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পরিষদ সরাসরি ভোটে
নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে পরিচালিত হচ্ছে। প্রতিটি নির্বাচনই উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। এসব নির্বাচন নির্দলীয়ভাবে হলেও বাস্তবে প্রতিটি দলই প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে দলীয় ব্যক্তিকে প্রার্থী হিসেবে সমর্থন দিয়ে থাকে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এই প্রেক্ষাপটে দীর্ঘদিন থেকে জনগণ ও জনপ্রতিনিধিরা রাজনৈতিক পরিচয়ে স্থানীয় সরকার নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবি জানিয়ে আসছিলেন। জনগণের প্রত্যাশাকে গুরুত্ব দিয়ে এবং জনপ্রতিনিধিদের রাজনৈতিক অঙ্গীকার পালনের সুযোগ দিতে এই বিল আনা হয়েছে।’
একই বিধান রেখে এর আগে সংসদে স্থানীয় সরকারের পৌরসভা আইন সংশোধনের প্রস্তাব পাস হয়।
বৃহস্পতিবার, ২৪ জুলাই ২০২৫
ইউনিয়ন ও উপজেলা পরিষদ এবং পৌরসভা ও সিটি করপোরেশন নির্বাচনে দলীয় প্রতীক থাকছে না। এ লক্ষ্যে আইন সংশোধনের উদ্যোগ নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। দশ বছর আগে আওয়ামী লীগ সরকার নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের পরিচয় ও প্রতীকে স্থানীয় সরকার নির্বাচনের যে নিয়ম চালু করেছিল; তা বাতিল করা হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার,(২৪ জুলাই ২০২৫) উপদেষ্টা পরিষদ বৈঠকে স্থানীয় সরকার বিভাগ কর্তৃক উত্থাপিত ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি), উপজেলা পরিষদ, পৌরসভা ও সিটি করপোরেশন আইন সংশোধনের প্রস্তাবে সম্মতি দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে এ বৈঠক হয়। পরে ঢাকার ফরেন সার্ভিস অ্যাকাডেমিতে সংবাদ সম্মেলনে স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
একই সংবাদ সম্মেলনে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকের এ সিদ্ধান্ত জানান আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল।
এ সময় প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলমও উপস্থিত ছিলেন।
দলীয় প্রতীক বাদ
স্থানীয় নির্বাচনে দলীয় প্রতীক বাদ দেয়া প্রসঙ্গে স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া সাংবাদিকদের বলেন, ‘সিটি করপোরেশন, পৌরসভা, ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে কোনো দলীয় প্রতীক থাকবে না। ফলে প্রার্থীদের নিজ যোগ্যতা ও জনপ্রিয়তায় ভর করেই নির্বাচিত হতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন, স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশনসহ দলগুলো স্থানীয় নির্বাচনে দলীয় প্রতীক বাতিলের দাবি করে আসছিল। এর পরিপ্রেক্ষিতেই এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এতে স্থানীয় সরকারে ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে। এ সময় রাজনৈতিক দলগুলো চাইলে জাতীয় নির্বাচনের আগেই স্থানীয় পর্যায়ে ভোট হতে পারে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বিগত সময়ে দলীয় প্রতীকে নির্বাচন হওয়ায় সরকারি দলের মার্কা বিশেষ সুবিধা পেয়েছে। অনেক জায়গায় মার্কার জোড়ে অনেকে জিতেছে। এছাড়া, নির্বাচনে এটিকে কেন্দ্র করে অনেকে হানাহানিও হয়েছে। এখন দলীয় প্রতীক না থাকায় যোগ্য প্রার্থীরা জয়ী হবে।’
একই প্রসঙ্গে একই স্থানে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল সাংবাদিকদের বলেন, ‘যুগ যুগ ধরে দলীয় প্রতীক ছাড়া দেশে স্থানীয় নির্বাচন হয়ে আসছিল। কিন্তু বিগত সরকারের আমলে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোকে দলীয়করণ করা হয়েছে। এখন আমরা আবার আগের সেই অবস্থানে ফিরে যাচ্ছি।’
এক দশক আগে দলীয় প্রতীক
দলীয় প্রতীকে স্থানীয় সরকার নির্বাচনের আইন ২০১৫ সালের ২২ নভেম্বর জাতীয় সংসদে পাস হয়।
ওই দিন জাতীয় সংসদে সরকারি দল আওয়ামী লীগের স্থানীয় সরকারমন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন এ সংক্রান্ত তিনটি পৃথক বিল পাসের প্রস্তাব করলে কণ্ঠভোটে তা পাস হয়। বিলগুলো হলো স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) (সংশোধন) বিল-২০১৫, স্থানীয় সরকার (উপজেলা) (সংশোধন) বিল-২০১৫ ও স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) বিল-২০১৫।
বিলগুলোতে বলা হয়, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও দুটি ভাইস চেয়ারম্যান এবং সিটি করপোরেশনের মেয়র পদের নির্বাচনের জন্য প্রার্থীকে রাজনৈতিক দল কর্তৃক মনোনীত অথবা স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে হবে।
বিলগুলোর উদ্দেশ্য ও কারণ সম্বলিত বিবৃতিতে মন্ত্রী বলেছিলেন, ‘সিটি করপোরেশন, পৌরসভা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পরিষদ সরাসরি ভোটে
নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে পরিচালিত হচ্ছে। প্রতিটি নির্বাচনই উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। এসব নির্বাচন নির্দলীয়ভাবে হলেও বাস্তবে প্রতিটি দলই প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে দলীয় ব্যক্তিকে প্রার্থী হিসেবে সমর্থন দিয়ে থাকে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এই প্রেক্ষাপটে দীর্ঘদিন থেকে জনগণ ও জনপ্রতিনিধিরা রাজনৈতিক পরিচয়ে স্থানীয় সরকার নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবি জানিয়ে আসছিলেন। জনগণের প্রত্যাশাকে গুরুত্ব দিয়ে এবং জনপ্রতিনিধিদের রাজনৈতিক অঙ্গীকার পালনের সুযোগ দিতে এই বিল আনা হয়েছে।’
একই বিধান রেখে এর আগে সংসদে স্থানীয় সরকারের পৌরসভা আইন সংশোধনের প্রস্তাব পাস হয়।