উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় সৃষ্ট লঘুচাপের প্রভাবে দেশের অভ্যন্তরে এবং উজানে ভারতের তিন রাজ্যে আগামী কয়েকদিন ভারি বৃষ্টিপাত হতে পারে।
চট্টগ্রাম বিভাগের কয়েকটি জেলার নিচু এলাকা প্লাবিত হতে পারে, বন্যা পূর্বাভাস কেন্দ্রের আভাস
সিলেট বিভাগের
মনু ও খোয়াই
নদীর পানি আগামী তিন দিনে বৃদ্ধি
পেতে পারে
এর ফলে ফেনী জেলায় ফের বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে বলে আভাস দিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র। সেই সঙ্গে চট্টগ্রাম বিভাগের কয়েকটি জেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হতে পারে বলেও আভাস দিয়েছে।
বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী সরদার উদয় রায়হান বৃহস্পতিবার,(২৪ জুলাই ২০২৫) বিকালে বলেন, “আগামী ছয় দিন চট্টগ্রাম বিভাগ সংলগ্ন ভারতের উজান ও উপকূলীয় অঞ্চলে ভারি থেকে অতিভারি বৃষ্টিপাত এবং এর প্রভাবে ফেনীসহ চট্টগ্রাম বিভাগের আরও কিছু জেলার নদীর পানির সতর্কসীমায় প্রবাহিত হওয়ার ঝুঁকি আছে। তাঁর ভাষায়, “এই ছয় দিনে ফেনীসহ অন্যান্য জেলার নিম্নঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতি বিরাজ করতে পারে বা প্লাবিত হতে পারে। পরে, বৃষ্টি কমে আসলে সম্ভাব্য উদ্ভূত পরিস্থিতির উন্নতি হতে পারে।”
সাধারণত ২৪ ঘণ্টায় ৪৪ থেকে ৮৮ মিলিমিটার বৃষ্টি হলে ভারি এবং ৮৮ মিলিমিটারের বেশি বৃষ্টি রেকর্ড হলে সেটিকে বলা হয়ে থাকে অতিভারি বৃষ্টিপাত।
চলতি জুলাই মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে ভারি বর্ষণে বন্যার কবলে পড়ে ফেনীর পাঁচ উপজেলা। আর নোয়াখালার ছয়টি উপজেলায় তীব্র জলাবদ্ধতা দেখা দেয়।
যদিও এই মুহূর্তে দেশের সকল প্রধান নদ-নদীর পানি বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে বলে কেন্দ্রের বৃহস্পতিবারের নিয়মিত বুলেটিনে জানানো হয়েছে।
বন্যা পূর্বাভাস কেন্দ্র বলছে, গেল ২৪ ঘণ্টায় দেশের অভ্যন্তরে চট্টগ্রাম বিভাগে ভারি থেকে অভিভারি বৃষ্টিপাত পরিলক্ষিত হয়েছে; তবে দেশের উজানে কোনো উল্লেখযোগ্য বৃষ্টিপাত হয়নি।
উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় একটি লঘুচাপ সৃষ্টির তথ্য দিয়ে বুলেটিনে বলা হয়েছে, এই লঘুচাপ ও সক্রিয় মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে আগামী তিন দিন (২৪ থেকে ২৭ জুলাই) দেশের উপকূলীয় অঞ্চল, সিলেট বিভাগ, চট্টগ্রাম বিভাগ ও তৎসংলগ্ন উজানে (ভারতের ত্রিপুরা, আসাম ও মেঘালয়) ভারি থেকে অতিভারি বৃষ্টি হতে পারে।
বর্তমানে চট্টগ্রাম বিভাগের ফেনী, মুহুরী, হালদা, সাঙ্গু, মাতামুহুরী, রহমতখালী খাল ও নোয়াখালী খালের পানি সমতল বৃদ্ধি পাচ্ছে; অপরদিকে গোমতী ও সেলোনিয়া নদীর পানি সমতল হ্রাস পাচ্ছে।
কিন্তু, আগামী তিন দিন এসব নদীর পানিও সমতল বৃদ্ধি পেতে পারে। এ সময়ে ফেনী জেলার মুহুরী ও সেলোনিয়া নদীর পানি সমতল বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমা অতিক্রম করতে পারে এবং ফেনী জেলায় বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে।
এ সময়ে চট্টগ্রাম, বান্দরবন, কক্সবাজার, লক্ষ্মীপুর ও নোয়াখালী জেলার ফেনী, হালদা, সাঙ্গু, মাতামুহুরী, রহমতখালী খাল ও নোয়াখালী খালের পানি সমতল বৃদ্ধি
পেয়ে সতর্কসীমায় প্রবাহিত হতে পারে এবং সংলগ্ন নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হতে পারে।
এদিকে, সিলেট বিভাগের মনু ও খোয়াই নদীর পানি সমতল স্থিতিশীল আছে, তবে আগামী তিন দিনে এসব নদীর পানি সমতল বৃদ্ধি পেতে পারে। আর, আগামী ২৪ ঘণ্টায় খোয়াই নদীর পানি সমতল বৃদ্ধি পেয়ে সতর্কসীমায় বইতে পারে।
অন্যদিকে, সিলেটের সুরমা-কুশিয়ারা নদীর পানি সমতল হ্রাস পাচ্ছে। এসব নদীর পানি সমতল আগামী ২৪ ঘণ্টা স্থিতিশীল থাকতে পারে ও পরবর্তী দুদিন বৃদ্ধি পেতে পারে। বন্যা পূর্বাভাস কেন্দ্রের তথ্য বলছে, গঙ্গা-পদ্মা নদীর পানি সমতল বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা আগামী চার দিন পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে ও পরবর্তী এক দিন স্থিতিশীল থাকতে পারে। তবে বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে।
আর, বরিশাল, খুলনা ও চট্টগ্রাম বিভাগের উপকূলীয় নদীসমূহে স্বাভাবিক জোয়ার বিরাজমান আছে, তবে আগামী তিন দিনে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি উচ্চতায় জোয়ার দেখা যেতে পারে বলেও জানিয়েছে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র।
বৃহস্পতিবার, ২৪ জুলাই ২০২৫
উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় সৃষ্ট লঘুচাপের প্রভাবে দেশের অভ্যন্তরে এবং উজানে ভারতের তিন রাজ্যে আগামী কয়েকদিন ভারি বৃষ্টিপাত হতে পারে।
চট্টগ্রাম বিভাগের কয়েকটি জেলার নিচু এলাকা প্লাবিত হতে পারে, বন্যা পূর্বাভাস কেন্দ্রের আভাস
সিলেট বিভাগের
মনু ও খোয়াই
নদীর পানি আগামী তিন দিনে বৃদ্ধি
পেতে পারে
এর ফলে ফেনী জেলায় ফের বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে বলে আভাস দিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র। সেই সঙ্গে চট্টগ্রাম বিভাগের কয়েকটি জেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হতে পারে বলেও আভাস দিয়েছে।
বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী সরদার উদয় রায়হান বৃহস্পতিবার,(২৪ জুলাই ২০২৫) বিকালে বলেন, “আগামী ছয় দিন চট্টগ্রাম বিভাগ সংলগ্ন ভারতের উজান ও উপকূলীয় অঞ্চলে ভারি থেকে অতিভারি বৃষ্টিপাত এবং এর প্রভাবে ফেনীসহ চট্টগ্রাম বিভাগের আরও কিছু জেলার নদীর পানির সতর্কসীমায় প্রবাহিত হওয়ার ঝুঁকি আছে। তাঁর ভাষায়, “এই ছয় দিনে ফেনীসহ অন্যান্য জেলার নিম্নঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতি বিরাজ করতে পারে বা প্লাবিত হতে পারে। পরে, বৃষ্টি কমে আসলে সম্ভাব্য উদ্ভূত পরিস্থিতির উন্নতি হতে পারে।”
সাধারণত ২৪ ঘণ্টায় ৪৪ থেকে ৮৮ মিলিমিটার বৃষ্টি হলে ভারি এবং ৮৮ মিলিমিটারের বেশি বৃষ্টি রেকর্ড হলে সেটিকে বলা হয়ে থাকে অতিভারি বৃষ্টিপাত।
চলতি জুলাই মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে ভারি বর্ষণে বন্যার কবলে পড়ে ফেনীর পাঁচ উপজেলা। আর নোয়াখালার ছয়টি উপজেলায় তীব্র জলাবদ্ধতা দেখা দেয়।
যদিও এই মুহূর্তে দেশের সকল প্রধান নদ-নদীর পানি বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে বলে কেন্দ্রের বৃহস্পতিবারের নিয়মিত বুলেটিনে জানানো হয়েছে।
বন্যা পূর্বাভাস কেন্দ্র বলছে, গেল ২৪ ঘণ্টায় দেশের অভ্যন্তরে চট্টগ্রাম বিভাগে ভারি থেকে অভিভারি বৃষ্টিপাত পরিলক্ষিত হয়েছে; তবে দেশের উজানে কোনো উল্লেখযোগ্য বৃষ্টিপাত হয়নি।
উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় একটি লঘুচাপ সৃষ্টির তথ্য দিয়ে বুলেটিনে বলা হয়েছে, এই লঘুচাপ ও সক্রিয় মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে আগামী তিন দিন (২৪ থেকে ২৭ জুলাই) দেশের উপকূলীয় অঞ্চল, সিলেট বিভাগ, চট্টগ্রাম বিভাগ ও তৎসংলগ্ন উজানে (ভারতের ত্রিপুরা, আসাম ও মেঘালয়) ভারি থেকে অতিভারি বৃষ্টি হতে পারে।
বর্তমানে চট্টগ্রাম বিভাগের ফেনী, মুহুরী, হালদা, সাঙ্গু, মাতামুহুরী, রহমতখালী খাল ও নোয়াখালী খালের পানি সমতল বৃদ্ধি পাচ্ছে; অপরদিকে গোমতী ও সেলোনিয়া নদীর পানি সমতল হ্রাস পাচ্ছে।
কিন্তু, আগামী তিন দিন এসব নদীর পানিও সমতল বৃদ্ধি পেতে পারে। এ সময়ে ফেনী জেলার মুহুরী ও সেলোনিয়া নদীর পানি সমতল বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমা অতিক্রম করতে পারে এবং ফেনী জেলায় বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে।
এ সময়ে চট্টগ্রাম, বান্দরবন, কক্সবাজার, লক্ষ্মীপুর ও নোয়াখালী জেলার ফেনী, হালদা, সাঙ্গু, মাতামুহুরী, রহমতখালী খাল ও নোয়াখালী খালের পানি সমতল বৃদ্ধি
পেয়ে সতর্কসীমায় প্রবাহিত হতে পারে এবং সংলগ্ন নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হতে পারে।
এদিকে, সিলেট বিভাগের মনু ও খোয়াই নদীর পানি সমতল স্থিতিশীল আছে, তবে আগামী তিন দিনে এসব নদীর পানি সমতল বৃদ্ধি পেতে পারে। আর, আগামী ২৪ ঘণ্টায় খোয়াই নদীর পানি সমতল বৃদ্ধি পেয়ে সতর্কসীমায় বইতে পারে।
অন্যদিকে, সিলেটের সুরমা-কুশিয়ারা নদীর পানি সমতল হ্রাস পাচ্ছে। এসব নদীর পানি সমতল আগামী ২৪ ঘণ্টা স্থিতিশীল থাকতে পারে ও পরবর্তী দুদিন বৃদ্ধি পেতে পারে। বন্যা পূর্বাভাস কেন্দ্রের তথ্য বলছে, গঙ্গা-পদ্মা নদীর পানি সমতল বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা আগামী চার দিন পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে ও পরবর্তী এক দিন স্থিতিশীল থাকতে পারে। তবে বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে।
আর, বরিশাল, খুলনা ও চট্টগ্রাম বিভাগের উপকূলীয় নদীসমূহে স্বাভাবিক জোয়ার বিরাজমান আছে, তবে আগামী তিন দিনে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি উচ্চতায় জোয়ার দেখা যেতে পারে বলেও জানিয়েছে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র।