বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পোশাক পরার নির্দেশনা জারির তিন দিনের মাথায় সমালোচনার মুখে প্রত্যাহার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার,(২৪ জুলাই ২০২৫) বেলা ১২টার দিকে নির্দেশনাটি প্রত্যাহার করে গণমাধ্যমে বিবৃতি পাঠিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
ছোট হাতা ও স্বল্প দৈর্ঘ্যের পোশাক, লেগিংস পরা বাদ দেয়ার নির্দেশনার বিষয়ে কোনো নীতিগত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়নি এবং এ-সংক্রান্ত কোনো সার্কুলারও জারি করা হয়নি
বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশ ব্যাংকে কর্মরত সবস্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সামাজিক প্রেক্ষাপট বিবেচনায় অফিস সময়ে পেশাদার ও মার্জিত পোশাক পরিধানের পরামর্শ প্রদানের বিষয়ে স্ব-স্ব বিভাগীয় সভায় আলোচনায় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। তবে এ বিষয়ে কোনো নীতিগত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়নি এবং এ-সংক্রান্ত কোনো সার্কুলারও জারি করা হয়নি।
এর আগে গত ২১ জুলাই বাংলাদেশ ব্যাংক সবস্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কী পোশাক পরতে হবে, তা ঠিক করে দিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের মানবসম্পদ বিভাগ নির্দেশনা জারি করে। গত বুধবার রাতে তা সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশের পর ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়। ফেইসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন অনেকে।
নারী কর্মীদের ‘শালীন’ পোশাক পরার নির্দেশনা
বাংলাদেশ ব্যাংক সবস্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কী পোশাক পরতে হবে, তা ঠিক করে দিয়েছে। নারী কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য শাড়ি, সালোয়ার-কামিজ ও ওড়না এবং অন্যান্য পেশাদার শালীন পোশাক পরার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। শর্ট স্লিভ ও লেংথের ড্রেস অর্থাৎ ছোট হাতা ও ছোট দৈর্ঘ্যর পোশাক ও লেগিংস পরিহার করতে বলা হয়েছে।
গত ২১ জুলাই বাংলাদেশ ব্যাংকের মানবসম্পদ বিভাগ-২ এ নির্দেশনা দিয়েছে। ওই নির্দেশনায় ফরমাল স্যান্ডেল বা জুতা, সাদামাটা হেডস্কার্ফ বা হিজাব পরতে বলা হয়েছে। পুরুষদের পোশাকের ক্ষেত্রে লম্বা বা হাফ হাতার ফরমাল (আনুষ্ঠানিক) শার্ট ও ফরমাল প্যান্ট পরতে বলা হয়েছে। পরিহার করতে বলা হয়েছে জিন্স ও গ্যাবার্ডিন প্যান্ট। নির্দেশনা না মানলে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগ আনা হবে।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান সাংবাদিকদের বলেন, ‘বাংলাদেশ ব্যাংকে কর্মরত বিভিন্ন বয়সী কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে বয়সের পার্থক্যজনিত কারণে পুরুষ এবং নারী উভয় সহকর্মীদের মধ্যে পোশাকের বৈচিত্র্য পরিলক্ষিত হয়।... পোশাকের ধরনের নানা পার্থক্য নারী-নারী এবং পুরুষ-পুরুষ সহকর্মীদের মধ্যে মানসিক বৈষম্য দূর করে পারস্পরিক বুঝাপড়া (বন্ডিং) আরও দৃঢ় করার লক্ষ্যে অফিসে পোশাক পরিধানের ক্ষেত্রে সার্কুলারটি জারি করা হয়েছে।’
সার্কুলারটিকে পরামর্শকমূলক দাবি মুখপাত্র বলেন, নারী সহকর্মীদের বোরখা এবং হিজাব পরিধানের ক্ষেত্রে কোনো বাধ্যবাধকতা বা নির্দেশনা আরোপ করা হয়নি। এই সার্কুলারের মাধ্যমে বেশি কারুকার্যপূর্ণ পোশাককে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে এবং বোরখা ও হিজাব পরাকে বৈধতা দেয়া হয়েছে। ... আশা করি, এই সার্কুলারের মাধ্যমে অফিসে কারো পোশাক পরিধানের ক্ষেত্রে স্বাধীনতা খর্ব হবে না।’
নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ‘বাংলাদেশ ব্যাংকের সবস্তরেরর কর্মকর্তা/কর্মচারীদের সামাজিক প্রেক্ষাপট বিবেচনায় পেশাদার ও মার্জিত পোশাক পরতে হবে।’
আরও যা ছিল নির্দেশনায়
বাংলাদেশ ব্যাংকের সব অফিস, বিভাগ, প্রকল্প, সেল ও ইউনিট এর বিভাগী মাসিক সভার অ্যাজেন্ডা ও কার্যবিবরণীতে নিয়মিতভাবে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য সিদ্ধান্ত জানানো হয় সার্কুলারে। গৃহীত সিদ্ধান্তের ১১ এর ‘ঘ’ নম্বরে সবস্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের (‘সি’ ও ‘ডি’ শ্রেণীভুক্ত কর্মচারীদের নির্ধারিত পোশাক ব্যতীত) পোশাকের বিষয়ে বলা হয়েছে।
১২ নম্বর সিদ্ধান্তে পোশাক বিষয়ে এই নিদের্শনা অনুসরণ করা হচ্ছে কিনা তা তদারিকর জন্য একজন কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেয়ার কথা বলা হয়েছে। ব্যত্যয় হলে শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগ এনে তা মানবসম্পদ বিভাগ পাঠাবেন সেই কর্মকর্তা।
এই নির্দেশনা পাওয়ার পর বাংলাদেশ ব্যাংকের অনেক কর্মকর্তা-কর্মচারীও অবাক হয়েছেন বলে জানা গেছে। নাম না প্রকাশের শর্তে বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, ‘পোশাক পরিধান নিয়ে এমন নির্দেশনা পেয়েছি। তবে আমি অবাকই হয়েছি। কারণ এমন নির্দেশনা প্রত্যাশিত ছিল না।’
নিন্দা ও প্রতিবাদ
বাংলাদেশ ব্যাংকে কর্মরত সবস্তরের নারী কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কর্মস্থলে পরিধেয় পোষাক বিষয়ে জারিকৃত নির্দেশনার ও পরবর্তীতে তা প্রত্যাহারের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে বিভিন্ন সামাজিক, মানবাধিকার সংগঠন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নারী কর্মীদের পোশাক নির্ধারণী সংক্রান্ত লিঙ্গ বৈষম্যমূলক নির্দেশনা প্রণয়ন এবং পরে বাতিলের বিষয়ে সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানাচ্ছে বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট (ব্লাস্ট)।
একই ইস্যুতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ, নারীপক্ষসহ বেশ কয়েকটি সংগঠন।
বাংলাদেশ মানবাধিকার সাংবাদিক ফোরাম- বিএমএসএফ, হিউম্যান রাইটস ফোরাম বাংলাদেশ (এইচআরএফবি)সহ মানবাধিকার নিয়ে কাজ করা বেশ কয়েকটি সংগঠনও প্রতিবাদ জানিয়েছে।
সংগঠনগুলো মনে করে এই নির্দেশনাটি নারীদের প্রতি বৈষম্যমূলক এবং নারীদের ব্যক্তি, চিন্তা ও বিবেকের স্বাধীনতার প্রতি হুমকি। সর্বোপরি নির্দেশনাটি নারীদের প্রতি অবমাননাকর। এটি বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে নারীদের প্রতি বৈষম্যমূলক এবং তাদের ব্যক্তি স্বাধীনতার অধিকারের লঙ্ঘন, যা সংবিধানের ২৮ (১), ৩২ অনুচ্ছেদের পরিপন্থী।
বৃহস্পতিবার, ২৪ জুলাই ২০২৫
বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পোশাক পরার নির্দেশনা জারির তিন দিনের মাথায় সমালোচনার মুখে প্রত্যাহার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার,(২৪ জুলাই ২০২৫) বেলা ১২টার দিকে নির্দেশনাটি প্রত্যাহার করে গণমাধ্যমে বিবৃতি পাঠিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
ছোট হাতা ও স্বল্প দৈর্ঘ্যের পোশাক, লেগিংস পরা বাদ দেয়ার নির্দেশনার বিষয়ে কোনো নীতিগত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়নি এবং এ-সংক্রান্ত কোনো সার্কুলারও জারি করা হয়নি
বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশ ব্যাংকে কর্মরত সবস্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সামাজিক প্রেক্ষাপট বিবেচনায় অফিস সময়ে পেশাদার ও মার্জিত পোশাক পরিধানের পরামর্শ প্রদানের বিষয়ে স্ব-স্ব বিভাগীয় সভায় আলোচনায় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। তবে এ বিষয়ে কোনো নীতিগত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়নি এবং এ-সংক্রান্ত কোনো সার্কুলারও জারি করা হয়নি।
এর আগে গত ২১ জুলাই বাংলাদেশ ব্যাংক সবস্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কী পোশাক পরতে হবে, তা ঠিক করে দিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের মানবসম্পদ বিভাগ নির্দেশনা জারি করে। গত বুধবার রাতে তা সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশের পর ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়। ফেইসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন অনেকে।
নারী কর্মীদের ‘শালীন’ পোশাক পরার নির্দেশনা
বাংলাদেশ ব্যাংক সবস্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কী পোশাক পরতে হবে, তা ঠিক করে দিয়েছে। নারী কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য শাড়ি, সালোয়ার-কামিজ ও ওড়না এবং অন্যান্য পেশাদার শালীন পোশাক পরার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। শর্ট স্লিভ ও লেংথের ড্রেস অর্থাৎ ছোট হাতা ও ছোট দৈর্ঘ্যর পোশাক ও লেগিংস পরিহার করতে বলা হয়েছে।
গত ২১ জুলাই বাংলাদেশ ব্যাংকের মানবসম্পদ বিভাগ-২ এ নির্দেশনা দিয়েছে। ওই নির্দেশনায় ফরমাল স্যান্ডেল বা জুতা, সাদামাটা হেডস্কার্ফ বা হিজাব পরতে বলা হয়েছে। পুরুষদের পোশাকের ক্ষেত্রে লম্বা বা হাফ হাতার ফরমাল (আনুষ্ঠানিক) শার্ট ও ফরমাল প্যান্ট পরতে বলা হয়েছে। পরিহার করতে বলা হয়েছে জিন্স ও গ্যাবার্ডিন প্যান্ট। নির্দেশনা না মানলে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগ আনা হবে।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান সাংবাদিকদের বলেন, ‘বাংলাদেশ ব্যাংকে কর্মরত বিভিন্ন বয়সী কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে বয়সের পার্থক্যজনিত কারণে পুরুষ এবং নারী উভয় সহকর্মীদের মধ্যে পোশাকের বৈচিত্র্য পরিলক্ষিত হয়।... পোশাকের ধরনের নানা পার্থক্য নারী-নারী এবং পুরুষ-পুরুষ সহকর্মীদের মধ্যে মানসিক বৈষম্য দূর করে পারস্পরিক বুঝাপড়া (বন্ডিং) আরও দৃঢ় করার লক্ষ্যে অফিসে পোশাক পরিধানের ক্ষেত্রে সার্কুলারটি জারি করা হয়েছে।’
সার্কুলারটিকে পরামর্শকমূলক দাবি মুখপাত্র বলেন, নারী সহকর্মীদের বোরখা এবং হিজাব পরিধানের ক্ষেত্রে কোনো বাধ্যবাধকতা বা নির্দেশনা আরোপ করা হয়নি। এই সার্কুলারের মাধ্যমে বেশি কারুকার্যপূর্ণ পোশাককে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে এবং বোরখা ও হিজাব পরাকে বৈধতা দেয়া হয়েছে। ... আশা করি, এই সার্কুলারের মাধ্যমে অফিসে কারো পোশাক পরিধানের ক্ষেত্রে স্বাধীনতা খর্ব হবে না।’
নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ‘বাংলাদেশ ব্যাংকের সবস্তরেরর কর্মকর্তা/কর্মচারীদের সামাজিক প্রেক্ষাপট বিবেচনায় পেশাদার ও মার্জিত পোশাক পরতে হবে।’
আরও যা ছিল নির্দেশনায়
বাংলাদেশ ব্যাংকের সব অফিস, বিভাগ, প্রকল্প, সেল ও ইউনিট এর বিভাগী মাসিক সভার অ্যাজেন্ডা ও কার্যবিবরণীতে নিয়মিতভাবে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য সিদ্ধান্ত জানানো হয় সার্কুলারে। গৃহীত সিদ্ধান্তের ১১ এর ‘ঘ’ নম্বরে সবস্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের (‘সি’ ও ‘ডি’ শ্রেণীভুক্ত কর্মচারীদের নির্ধারিত পোশাক ব্যতীত) পোশাকের বিষয়ে বলা হয়েছে।
১২ নম্বর সিদ্ধান্তে পোশাক বিষয়ে এই নিদের্শনা অনুসরণ করা হচ্ছে কিনা তা তদারিকর জন্য একজন কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেয়ার কথা বলা হয়েছে। ব্যত্যয় হলে শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগ এনে তা মানবসম্পদ বিভাগ পাঠাবেন সেই কর্মকর্তা।
এই নির্দেশনা পাওয়ার পর বাংলাদেশ ব্যাংকের অনেক কর্মকর্তা-কর্মচারীও অবাক হয়েছেন বলে জানা গেছে। নাম না প্রকাশের শর্তে বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, ‘পোশাক পরিধান নিয়ে এমন নির্দেশনা পেয়েছি। তবে আমি অবাকই হয়েছি। কারণ এমন নির্দেশনা প্রত্যাশিত ছিল না।’
নিন্দা ও প্রতিবাদ
বাংলাদেশ ব্যাংকে কর্মরত সবস্তরের নারী কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কর্মস্থলে পরিধেয় পোষাক বিষয়ে জারিকৃত নির্দেশনার ও পরবর্তীতে তা প্রত্যাহারের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে বিভিন্ন সামাজিক, মানবাধিকার সংগঠন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নারী কর্মীদের পোশাক নির্ধারণী সংক্রান্ত লিঙ্গ বৈষম্যমূলক নির্দেশনা প্রণয়ন এবং পরে বাতিলের বিষয়ে সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানাচ্ছে বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট (ব্লাস্ট)।
একই ইস্যুতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ, নারীপক্ষসহ বেশ কয়েকটি সংগঠন।
বাংলাদেশ মানবাধিকার সাংবাদিক ফোরাম- বিএমএসএফ, হিউম্যান রাইটস ফোরাম বাংলাদেশ (এইচআরএফবি)সহ মানবাধিকার নিয়ে কাজ করা বেশ কয়েকটি সংগঠনও প্রতিবাদ জানিয়েছে।
সংগঠনগুলো মনে করে এই নির্দেশনাটি নারীদের প্রতি বৈষম্যমূলক এবং নারীদের ব্যক্তি, চিন্তা ও বিবেকের স্বাধীনতার প্রতি হুমকি। সর্বোপরি নির্দেশনাটি নারীদের প্রতি অবমাননাকর। এটি বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে নারীদের প্রতি বৈষম্যমূলক এবং তাদের ব্যক্তি স্বাধীনতার অধিকারের লঙ্ঘন, যা সংবিধানের ২৮ (১), ৩২ অনুচ্ছেদের পরিপন্থী।