শরীয়তপুরের জাজিরা প্রান্তে মঙ্গল মাঝিরঘাট-সাত্তার মাদবর হাট সংলগ্ন এলাকায় ভাঙন দেখা দেয় -সংবাদ
পদ্মা সেতু প্রকল্প এলাকার রক্ষা বাঁধের শরীয়তপুরের জাজিরা প্রান্তে আরও একশ’ মিটার অংশ পদ্মা নদীতে বিলীন হয়েছে। গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় মঙ্গল মাঝিরঘাট-সাত্তার মাদবর হাট বাজার সংলগ্ন এলাকায় এই ভাঙন দেখা দেয়।
অন্তত ২৫০ দোকান ও ৬০০ পরিবার ভাঙনের হুমকিতে
‘নদীতে এখন পানি ও স্রোত বেশি। এ কারণে বিভিন্ন জায়গায় ভাঙন হচ্ছে। স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের জন্য প্রকল্প প্রস্তাব প্রস্তুত করা হয়েছে’
এসময় ঘাট এলাকার ১০টি দোকান ঘর সরিয়ে নেয়া হয়েছে।
এ নিয়ে গত ১৫ দিনে বাঁধের অন্তত ৬শ’ মিটার অংশ নদীতে ধসে পড়েছে। এর ফলে ৩৩টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও ১৫টি বসতবাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। ভাঙনের আতঙ্কে আরও ৫০টি বসতঘর সরিয়ে নেয়া হয়েছে। ঝুঁকিতে আছে সাত্তার মাদবর বাজার এলাকার আরও ২৪০টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। এছাড়াও আলম খারকান্দি, উকিল উদ্দিন মুন্সিকান্দি ও ওছিম উদ্দিন মাদবরকান্দি গ্রামের অন্তত ৬০০ পরিবার ভাঙনের হুমকিতে রয়েছে।
শরীয়তপুর পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্রে জানা যায়, জাজিরার নাওডোবা এলাকা থেকেই পদ্মা সেতুর দক্ষিণ প্রান্তের অংশ শুরু হয়েছে। পদ্মা সেতুর জাজিরা প্রান্তে ৫০০ মিটারের মধ্যে সার্ভিস এরিয়া-২, সেনানিবাস, পদ্মা সেতু দক্ষিণ থানা ও অন্যান্য অবকাঠামো নির্মাণ করা হয়েছে। এ জন্য জমি অধিগ্রহণের সময় ২০১২ সালে নাওডোবা এলাকায় ভাঙন শুরু হয়। সেতু এলাকা নদীভাঙন থেকে রক্ষার জন্য সেতু থেকে ভাটির দিকে ২ কিলোমিটার এলাকায় ১১০ কোটি টাকা ব্যয়ে তীররক্ষা বাঁধ নির্মাণ করে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ। পরে সেটির সঙ্গে নদী শাসনের বাঁধ যুক্ত করা হয়।
পাউবো’র তথ্য অনুযায়ী, গত বছরের নভেম্বর মাসে জাজিরার নাওডোবা জিরোপয়েন্ট এলাকায় প্রথম বাঁধে ভাঙন দেখা দেয়। এরপর এ বছরের ৭ জুন ১০০ মিটার, ৭ জুলাই ২০০ মিটার, ৯ জুলাই ১০০ মিটার এবং গতকাল বুধবার আরও ১০০ মিটার বাঁধ ভেঙে পদ্মায় বিলীন হয়েছে। ভাঙন রোধে অস্থায়ীভাবে ৫০০ মিটার এলাকায় বালুভর্তি জিও ব্যাগ ফেলা হচ্ছে। এখন পর্যন্ত ১ লাখ ৩২ হাজার জিও ব্যাগ ফেলা হলেও ভাঙন থামানো যাচ্ছে না।
মঙ্গল মাঝিঘাট-সাত্তার মাদবর বাজার এলাকার ব্যবসায়ী বাদশা
শেখ বলেন, গতকাল বুধবার আবার ভাঙন শুরু হওয়ায় ১০টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সরিয়ে নেয়া হয়েছে। এখন আরও দোকান সরানো হচ্ছে। বাঁধ থাকার কারণে আমরা ব্যবসায়ীরা এতদিন নির্বিঘ্নে ব্যবসা করেছি। এখন অন্তত ২৫০ দোকানের মালিক ও কর্মচারী আতঙ্কে আছেন।
জাজিরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কাবেরী রায় বলেন, বাঁধটি পুরোনো হয়ে যাওয়ায় বেশ কিছুদিন ধরে ভাঙন হচ্ছে। একদিকে ভাঙন রোধের কাজ চলছে, অন্যদিকে নতুন ভাঙন দেখা দিচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের তালিকা তৈরি করা হচ্ছে। তালিকা পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
শরীয়তপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী তারেক হাসান বলেন, ‘নদীতে এখন পানি ও স্রোত বেশি। এ কারনে বিভিন্ন জায়গায় ভাঙন হচ্ছে। আমরা জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙন ঠেকানোর চেষ্টা করছি। পাশাপাশি স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের জন্য প্রকল্প প্রস্তাব প্রস্তুত করা হয়েছে।’
শরীয়তপুরের জাজিরা প্রান্তে মঙ্গল মাঝিরঘাট-সাত্তার মাদবর হাট সংলগ্ন এলাকায় ভাঙন দেখা দেয় -সংবাদ
বৃহস্পতিবার, ২৪ জুলাই ২০২৫
পদ্মা সেতু প্রকল্প এলাকার রক্ষা বাঁধের শরীয়তপুরের জাজিরা প্রান্তে আরও একশ’ মিটার অংশ পদ্মা নদীতে বিলীন হয়েছে। গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় মঙ্গল মাঝিরঘাট-সাত্তার মাদবর হাট বাজার সংলগ্ন এলাকায় এই ভাঙন দেখা দেয়।
অন্তত ২৫০ দোকান ও ৬০০ পরিবার ভাঙনের হুমকিতে
‘নদীতে এখন পানি ও স্রোত বেশি। এ কারণে বিভিন্ন জায়গায় ভাঙন হচ্ছে। স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের জন্য প্রকল্প প্রস্তাব প্রস্তুত করা হয়েছে’
এসময় ঘাট এলাকার ১০টি দোকান ঘর সরিয়ে নেয়া হয়েছে।
এ নিয়ে গত ১৫ দিনে বাঁধের অন্তত ৬শ’ মিটার অংশ নদীতে ধসে পড়েছে। এর ফলে ৩৩টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও ১৫টি বসতবাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। ভাঙনের আতঙ্কে আরও ৫০টি বসতঘর সরিয়ে নেয়া হয়েছে। ঝুঁকিতে আছে সাত্তার মাদবর বাজার এলাকার আরও ২৪০টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। এছাড়াও আলম খারকান্দি, উকিল উদ্দিন মুন্সিকান্দি ও ওছিম উদ্দিন মাদবরকান্দি গ্রামের অন্তত ৬০০ পরিবার ভাঙনের হুমকিতে রয়েছে।
শরীয়তপুর পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্রে জানা যায়, জাজিরার নাওডোবা এলাকা থেকেই পদ্মা সেতুর দক্ষিণ প্রান্তের অংশ শুরু হয়েছে। পদ্মা সেতুর জাজিরা প্রান্তে ৫০০ মিটারের মধ্যে সার্ভিস এরিয়া-২, সেনানিবাস, পদ্মা সেতু দক্ষিণ থানা ও অন্যান্য অবকাঠামো নির্মাণ করা হয়েছে। এ জন্য জমি অধিগ্রহণের সময় ২০১২ সালে নাওডোবা এলাকায় ভাঙন শুরু হয়। সেতু এলাকা নদীভাঙন থেকে রক্ষার জন্য সেতু থেকে ভাটির দিকে ২ কিলোমিটার এলাকায় ১১০ কোটি টাকা ব্যয়ে তীররক্ষা বাঁধ নির্মাণ করে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ। পরে সেটির সঙ্গে নদী শাসনের বাঁধ যুক্ত করা হয়।
পাউবো’র তথ্য অনুযায়ী, গত বছরের নভেম্বর মাসে জাজিরার নাওডোবা জিরোপয়েন্ট এলাকায় প্রথম বাঁধে ভাঙন দেখা দেয়। এরপর এ বছরের ৭ জুন ১০০ মিটার, ৭ জুলাই ২০০ মিটার, ৯ জুলাই ১০০ মিটার এবং গতকাল বুধবার আরও ১০০ মিটার বাঁধ ভেঙে পদ্মায় বিলীন হয়েছে। ভাঙন রোধে অস্থায়ীভাবে ৫০০ মিটার এলাকায় বালুভর্তি জিও ব্যাগ ফেলা হচ্ছে। এখন পর্যন্ত ১ লাখ ৩২ হাজার জিও ব্যাগ ফেলা হলেও ভাঙন থামানো যাচ্ছে না।
মঙ্গল মাঝিঘাট-সাত্তার মাদবর বাজার এলাকার ব্যবসায়ী বাদশা
শেখ বলেন, গতকাল বুধবার আবার ভাঙন শুরু হওয়ায় ১০টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সরিয়ে নেয়া হয়েছে। এখন আরও দোকান সরানো হচ্ছে। বাঁধ থাকার কারণে আমরা ব্যবসায়ীরা এতদিন নির্বিঘ্নে ব্যবসা করেছি। এখন অন্তত ২৫০ দোকানের মালিক ও কর্মচারী আতঙ্কে আছেন।
জাজিরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কাবেরী রায় বলেন, বাঁধটি পুরোনো হয়ে যাওয়ায় বেশ কিছুদিন ধরে ভাঙন হচ্ছে। একদিকে ভাঙন রোধের কাজ চলছে, অন্যদিকে নতুন ভাঙন দেখা দিচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের তালিকা তৈরি করা হচ্ছে। তালিকা পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
শরীয়তপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী তারেক হাসান বলেন, ‘নদীতে এখন পানি ও স্রোত বেশি। এ কারনে বিভিন্ন জায়গায় ভাঙন হচ্ছে। আমরা জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙন ঠেকানোর চেষ্টা করছি। পাশাপাশি স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের জন্য প্রকল্প প্রস্তাব প্রস্তুত করা হয়েছে।’