রাজধানীর মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমানবাহিনীর জঙ্গি বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার পর অগ্নিকুণ্ড থেকে শিশুদের বাঁচাতে গিয়ে প্রাণ দেয়া দুই শিক্ষক মাহেরিন চৌধুরী ও মাসুকা বেগমকে রাষ্ট্রীয় সম্মাননা দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। বৃহস্পতিবার,(২৪ জুলাই ২০২৫) প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে উপদেষ্টা পরিষদের নিয়মিত বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়।
প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর থেকে জানানো হয়, বৈঠকের শুরুতে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান দুর্ঘটনায় নিহতদের স্মরণে শোক প্রস্তাব গৃহীত হয়। তাদের আত্মার প্রতি সম্মান জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। নিহতদের রুহের মাগফিরাত কামনা করে মোনাজাতও করা হয় বৈঠকে।
প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর জানিয়েছে ‘উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে মর্মান্তিক এ দুর্ঘটনায় নিহতদের পরিবার এবং আহতদের চিকিৎসা সেবায় সরকারের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় সব সহায়তা দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এ লক্ষ্যে শিক্ষা মন্ত্রণালয় স্কুল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে পরবর্তী পদক্ষেপ নির্ধারণ করবে।’
প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর বলেছে, ‘উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে স্কুলের নিহত দুজন শিক্ষককে রাষ্ট্রীয় সম্মাননা প্রদানের সিদ্ধান্ত হয়েছে। এই সম্মাননার বিস্তারিত অতিদ্রুত নির্ধারণ করা হবে।’
নিহতদের আত্মার মাগফিরাত এবং আহতদের সুস্থতা কামনা করে আজ সব ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে বিশেষ প্রার্থনা করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। ধর্ম মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় সমন্বয় করবে বলে প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর জানিয়েছে।
গত সোমবার বিমানবাহিনীর একটি ‘এফ-৭ বিজিআই’ ফাইটার জেট উত্তরার দিয়াবাড়ি এলাকায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের একটি ভবনের ওপর বিধ্বস্ত হয়। নরককুণ্ডে পরিণত হওয়া ক্লাসরুম থেকে শিক্ষার্থীদের বের করে আনতে মাহেরিন ও মাসুকার সাহসিকতার
গল্প সেদিনই ফেইসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। সেখানে বলা হয়, তারা চাইলে সেখান থেকে আগে বের হতে পারতেন। কিন্তু তার বদলে তারা আটকা পড়া শিশুগুলোকে নিরাপদে বের করে দেয়ার চেষ্টা করেন। এভাবে অনেক মায়ের কোল তারা বাঁচিয়ে গেলেও নিজেরা বাঁচতে পারেননি।
বৃহস্পতিবার, ২৪ জুলাই ২০২৫
রাজধানীর মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমানবাহিনীর জঙ্গি বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার পর অগ্নিকুণ্ড থেকে শিশুদের বাঁচাতে গিয়ে প্রাণ দেয়া দুই শিক্ষক মাহেরিন চৌধুরী ও মাসুকা বেগমকে রাষ্ট্রীয় সম্মাননা দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। বৃহস্পতিবার,(২৪ জুলাই ২০২৫) প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে উপদেষ্টা পরিষদের নিয়মিত বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়।
প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর থেকে জানানো হয়, বৈঠকের শুরুতে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান দুর্ঘটনায় নিহতদের স্মরণে শোক প্রস্তাব গৃহীত হয়। তাদের আত্মার প্রতি সম্মান জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। নিহতদের রুহের মাগফিরাত কামনা করে মোনাজাতও করা হয় বৈঠকে।
প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর জানিয়েছে ‘উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে মর্মান্তিক এ দুর্ঘটনায় নিহতদের পরিবার এবং আহতদের চিকিৎসা সেবায় সরকারের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় সব সহায়তা দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এ লক্ষ্যে শিক্ষা মন্ত্রণালয় স্কুল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে পরবর্তী পদক্ষেপ নির্ধারণ করবে।’
প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর বলেছে, ‘উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে স্কুলের নিহত দুজন শিক্ষককে রাষ্ট্রীয় সম্মাননা প্রদানের সিদ্ধান্ত হয়েছে। এই সম্মাননার বিস্তারিত অতিদ্রুত নির্ধারণ করা হবে।’
নিহতদের আত্মার মাগফিরাত এবং আহতদের সুস্থতা কামনা করে আজ সব ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে বিশেষ প্রার্থনা করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। ধর্ম মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় সমন্বয় করবে বলে প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর জানিয়েছে।
গত সোমবার বিমানবাহিনীর একটি ‘এফ-৭ বিজিআই’ ফাইটার জেট উত্তরার দিয়াবাড়ি এলাকায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের একটি ভবনের ওপর বিধ্বস্ত হয়। নরককুণ্ডে পরিণত হওয়া ক্লাসরুম থেকে শিক্ষার্থীদের বের করে আনতে মাহেরিন ও মাসুকার সাহসিকতার
গল্প সেদিনই ফেইসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। সেখানে বলা হয়, তারা চাইলে সেখান থেকে আগে বের হতে পারতেন। কিন্তু তার বদলে তারা আটকা পড়া শিশুগুলোকে নিরাপদে বের করে দেয়ার চেষ্টা করেন। এভাবে অনেক মায়ের কোল তারা বাঁচিয়ে গেলেও নিজেরা বাঁচতে পারেননি।