সাবেক প্রধান বিচারপতি এবিএম খায়রুল হকের গ্রেপ্তারকে স্বাগত জানিয়ে তাকে ‘দেশের বড় শত্রু’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। একইসঙ্গে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিলের রায়কে ‘রাষ্ট্রবিরোধী’ উল্লেখ করে দেশের সব রাজনৈতিক সংকটের জন্যও তাকে (খায়রুল হক) দায়ী করেছেন তিনি। এজন্য এবিএম খায়রুল হকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন মির্জা ফখরুল। দেশের ১৯তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে ২০১০ সালের গত ২৭ সেপ্টেম্বর নিয়োগ পান খায়রুল হক। একই বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে তার নিয়োগ কার্যকর হয়। পরের বছরের ১৭ মে তিনি অবসরে যান। অর্থাৎ ২০১০ সালের ১ অক্টোবর থেকে ২০১১ সালের ১৭ মে পর্যন্ত তিনি প্রধান বিচারপতির দায়িত্বে ছিলেন। এই সময়ের মধ্যে তার নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চই ২০১১ সালের ১০ মে সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিল করে রায় দেয়া হয়। যার ফলে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বিলুপ্ত হয়।
বৃহস্পতিবার,(২৪ জুলাই ২০২৫) সকালে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) ধানমন্ডির বাসা থেকে এবিএম খায়রুল হককে গ্রেপ্তার করে। তার বিরুদ্ধে ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জে অন্তত তিনটি মামলা রয়েছে বলে জানা গেছে। খায়রুল হকের গ্রেপ্তারের প্রতিক্রিয়ায় বৃহস্পতিবার দুপুরে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বিলম্বে হলেও তার (এবিএম খায়রুল হক) বিরুদ্ধে যে ব্যবস্থা গ্রহণ করছে সরকার, সেজন্য সরকারকে আমি আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি।’ ফখরুলের আশা ঘটনার সঠিক তদন্ত ও বিচার নিশ্চিত করা হবে।
খায়রুল হক রাজনৈতিক সংকট তৈরির জন্য ‘শতকরা একশত ভাগ দায়ী’ মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘খায়রুল হকের রায়ের ফলেই আওয়ামী লীগ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করে এবং এরপর থেকেই দেশে সব রাজনৈতিক সংকট তৈরি হয়, যা জাতিকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে।’ বিএনপি মহাসচিব আরও বলেন, ‘খায়রুল হক বিচার বিভাগের প্রতি মানুষের আস্থার জায়গাটি ধ্বংস করেছেন।’ ভবিষ্যতে বিচার বিভাগকে ব্যবহার করে কেউ যেনো রাষ্ট্রের ক্ষতি করতে না পারে সেজন্য খায়রুল হককে আইনানুযায়ী দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান তিনি।
একই সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল শিশু অ্যাকাডেমি ভবন ভেঙে ফেলার পরিকল্পনার তীব্র বিরোধিতা করে বলেন, ‘শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান শিশুদের মেধা ও মনন বিকাশের উদ্দেশে এই প্রতিষ্ঠানটি গড়ে তুলেছিলেন। এই ভবনটি স্থানান্তর করা হলে তা জাতি গঠনে বাধা হয়ে দাঁড়াবে।’
এর আগে সকালে মির্জা ফখরুল উত্তরার দিয়াবাড়ির তারারটেকে বিমান দুর্ঘটনায় নিহত মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের তিন শিক্ষার্থী আরিয়ান, হুমায়ূরা ও বাপ্পির কবর জিয়ারত করেন এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করে সমবেদনা জানান। তিনি সেখানে নিহত আরও দুই শিক্ষার্থী জুনায়েদ ও শারিয়ারের কবরও জিয়ারত করেন। এ সময় ঢাকা উত্তরের সদস্য সচিব মোস্তফা জামান, যুগ্ম আহ্বায়ক এসএম জাহাঙ্গীর সদস্য সচিব কফিল উদ্দিন, আফাজ উদ্দিন ও বিএনপি মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান উপস্থিত ছিলেন।
বৃহস্পতিবার, ২৪ জুলাই ২০২৫
সাবেক প্রধান বিচারপতি এবিএম খায়রুল হকের গ্রেপ্তারকে স্বাগত জানিয়ে তাকে ‘দেশের বড় শত্রু’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। একইসঙ্গে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিলের রায়কে ‘রাষ্ট্রবিরোধী’ উল্লেখ করে দেশের সব রাজনৈতিক সংকটের জন্যও তাকে (খায়রুল হক) দায়ী করেছেন তিনি। এজন্য এবিএম খায়রুল হকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন মির্জা ফখরুল। দেশের ১৯তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে ২০১০ সালের গত ২৭ সেপ্টেম্বর নিয়োগ পান খায়রুল হক। একই বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে তার নিয়োগ কার্যকর হয়। পরের বছরের ১৭ মে তিনি অবসরে যান। অর্থাৎ ২০১০ সালের ১ অক্টোবর থেকে ২০১১ সালের ১৭ মে পর্যন্ত তিনি প্রধান বিচারপতির দায়িত্বে ছিলেন। এই সময়ের মধ্যে তার নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চই ২০১১ সালের ১০ মে সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিল করে রায় দেয়া হয়। যার ফলে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বিলুপ্ত হয়।
বৃহস্পতিবার,(২৪ জুলাই ২০২৫) সকালে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) ধানমন্ডির বাসা থেকে এবিএম খায়রুল হককে গ্রেপ্তার করে। তার বিরুদ্ধে ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জে অন্তত তিনটি মামলা রয়েছে বলে জানা গেছে। খায়রুল হকের গ্রেপ্তারের প্রতিক্রিয়ায় বৃহস্পতিবার দুপুরে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বিলম্বে হলেও তার (এবিএম খায়রুল হক) বিরুদ্ধে যে ব্যবস্থা গ্রহণ করছে সরকার, সেজন্য সরকারকে আমি আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি।’ ফখরুলের আশা ঘটনার সঠিক তদন্ত ও বিচার নিশ্চিত করা হবে।
খায়রুল হক রাজনৈতিক সংকট তৈরির জন্য ‘শতকরা একশত ভাগ দায়ী’ মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘খায়রুল হকের রায়ের ফলেই আওয়ামী লীগ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করে এবং এরপর থেকেই দেশে সব রাজনৈতিক সংকট তৈরি হয়, যা জাতিকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে।’ বিএনপি মহাসচিব আরও বলেন, ‘খায়রুল হক বিচার বিভাগের প্রতি মানুষের আস্থার জায়গাটি ধ্বংস করেছেন।’ ভবিষ্যতে বিচার বিভাগকে ব্যবহার করে কেউ যেনো রাষ্ট্রের ক্ষতি করতে না পারে সেজন্য খায়রুল হককে আইনানুযায়ী দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান তিনি।
একই সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল শিশু অ্যাকাডেমি ভবন ভেঙে ফেলার পরিকল্পনার তীব্র বিরোধিতা করে বলেন, ‘শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান শিশুদের মেধা ও মনন বিকাশের উদ্দেশে এই প্রতিষ্ঠানটি গড়ে তুলেছিলেন। এই ভবনটি স্থানান্তর করা হলে তা জাতি গঠনে বাধা হয়ে দাঁড়াবে।’
এর আগে সকালে মির্জা ফখরুল উত্তরার দিয়াবাড়ির তারারটেকে বিমান দুর্ঘটনায় নিহত মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের তিন শিক্ষার্থী আরিয়ান, হুমায়ূরা ও বাপ্পির কবর জিয়ারত করেন এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করে সমবেদনা জানান। তিনি সেখানে নিহত আরও দুই শিক্ষার্থী জুনায়েদ ও শারিয়ারের কবরও জিয়ারত করেন। এ সময় ঢাকা উত্তরের সদস্য সচিব মোস্তফা জামান, যুগ্ম আহ্বায়ক এসএম জাহাঙ্গীর সদস্য সচিব কফিল উদ্দিন, আফাজ উদ্দিন ও বিএনপি মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান উপস্থিত ছিলেন।