সাবেক সংসদ সদস্যদের শুল্কমুক্ত সুবিধায় আনা গাড়িগুলো নিলামের পরিবর্তে বিক্রি করার নতুন পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবদুর রহমান খান। শুক্রবার দুপুরে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসে ব্যবহারকারীদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, “গাড়িগুলো আমরা নিলামে দিয়েছিলাম, তবে আশানুরূপ ফল আসেনি। এখন বিকল্প চিন্তা করছি। কিছু সরকারি সংস্থা প্রস্তাব দিয়েছে, তারা ৬০ শতাংশ দামে গাড়িগুলো নিতে চায়। তবে আমরা জলের দরে বিক্রি করতে চাই না। প্রতিটি গাড়ির দাম ৮ থেকে ৯ কোটি টাকা। উপযুক্ত দাম না পেলে আরও ভালো ব্যবহারের বিষয়ে সরকারের উচ্চপর্যায়ে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেব। বছরের পর বছর এগুলো পড়ে থেকে স্ক্র্যাপ করার পক্ষে আমরা নই। অচিরেই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে।”
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর তৎকালীন সংসদ সদস্যরা শুল্কমুক্ত সুবিধায় গাড়িগুলো আমদানি করেছিলেন। পরে গত ৬ আগস্ট সংসদ ভেঙে দিলে এনবিআর সেই সুবিধা বাতিল করে। এরপর সাবেক এমপিরা গাড়িগুলো ফেলে যান।
মোট ৪২টি গাড়ির মধ্যে ২৪টি গাড়ি গত ফেব্রুয়ারিতে নিলামে তোলে চট্টগ্রাম কাস্টমস। তবে গাড়িভেদে ১ লাখ থেকে সর্বোচ্চ ৩ কোটি ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত দর আসে, যা বাজারদরের তুলনায় ছিল অস্বাভাবিকভাবে কম। দর অপ্রতুল হওয়ায় কাস্টমস গাড়িগুলো ছাড়ে না।
বন্দরে জমে থাকা পণ্য নিয়েও বক্তব্য দেন এনবিআর চেয়ারম্যান। তিনি বলেন, “বন্দরে ৬ হাজার কনটেইনার দীর্ঘদিন ধরে পড়ে আছে। এগুলো নিলামে তুলে বন্দরের জট নিরসনে উদ্যোগ নিয়েছি। ইতিমধ্যে একটি নিলামের আয়োজন হয়েছে। প্রথম নিলামে সর্বোচ্চ দরদাতাকে পণ্য দেওয়া হবে। বারবার নিলামে সময় নষ্ট না করতেই এই সিদ্ধান্ত।”
এর আগে এনবিআর চেয়ারম্যান সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। এ সময় সংগঠনের সভাপতি এস এম সাইফুল আলমসহ অন্য নেতারা আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রমের বিভিন্ন সমস্যা তুলে ধরেন।
শুক্রবার, ২৫ জুলাই ২০২৫
সাবেক সংসদ সদস্যদের শুল্কমুক্ত সুবিধায় আনা গাড়িগুলো নিলামের পরিবর্তে বিক্রি করার নতুন পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবদুর রহমান খান। শুক্রবার দুপুরে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসে ব্যবহারকারীদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, “গাড়িগুলো আমরা নিলামে দিয়েছিলাম, তবে আশানুরূপ ফল আসেনি। এখন বিকল্প চিন্তা করছি। কিছু সরকারি সংস্থা প্রস্তাব দিয়েছে, তারা ৬০ শতাংশ দামে গাড়িগুলো নিতে চায়। তবে আমরা জলের দরে বিক্রি করতে চাই না। প্রতিটি গাড়ির দাম ৮ থেকে ৯ কোটি টাকা। উপযুক্ত দাম না পেলে আরও ভালো ব্যবহারের বিষয়ে সরকারের উচ্চপর্যায়ে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেব। বছরের পর বছর এগুলো পড়ে থেকে স্ক্র্যাপ করার পক্ষে আমরা নই। অচিরেই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে।”
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর তৎকালীন সংসদ সদস্যরা শুল্কমুক্ত সুবিধায় গাড়িগুলো আমদানি করেছিলেন। পরে গত ৬ আগস্ট সংসদ ভেঙে দিলে এনবিআর সেই সুবিধা বাতিল করে। এরপর সাবেক এমপিরা গাড়িগুলো ফেলে যান।
মোট ৪২টি গাড়ির মধ্যে ২৪টি গাড়ি গত ফেব্রুয়ারিতে নিলামে তোলে চট্টগ্রাম কাস্টমস। তবে গাড়িভেদে ১ লাখ থেকে সর্বোচ্চ ৩ কোটি ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত দর আসে, যা বাজারদরের তুলনায় ছিল অস্বাভাবিকভাবে কম। দর অপ্রতুল হওয়ায় কাস্টমস গাড়িগুলো ছাড়ে না।
বন্দরে জমে থাকা পণ্য নিয়েও বক্তব্য দেন এনবিআর চেয়ারম্যান। তিনি বলেন, “বন্দরে ৬ হাজার কনটেইনার দীর্ঘদিন ধরে পড়ে আছে। এগুলো নিলামে তুলে বন্দরের জট নিরসনে উদ্যোগ নিয়েছি। ইতিমধ্যে একটি নিলামের আয়োজন হয়েছে। প্রথম নিলামে সর্বোচ্চ দরদাতাকে পণ্য দেওয়া হবে। বারবার নিলামে সময় নষ্ট না করতেই এই সিদ্ধান্ত।”
এর আগে এনবিআর চেয়ারম্যান সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। এ সময় সংগঠনের সভাপতি এস এম সাইফুল আলমসহ অন্য নেতারা আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রমের বিভিন্ন সমস্যা তুলে ধরেন।