নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) বছরের যেকোনো সময় ভোটার তালিকা প্রকাশ ও সংশোধন করার ক্ষমতা দিয়ে ‘ভোটার তালিকা (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ জারি করেছে সরকার। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগ থেকে এ অধ্যাদেশ জারি করা হয়।
এই অধ্যাদেশের ফলে ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের আগে নতুন ভোটারদের অন্তর্ভুক্ত করে খসড়া তালিকা প্রকাশের আইনি বাধা দূর হলো। এখন থেকে নির্বাচন কমিশন তফসিল ঘোষণার আগে যেকোনো সময় নতুন ভোটারদের অন্তর্ভুক্ত করে তালিকা প্রকাশ করতে পারবে।
আগের আইন ও নতুন সংশোধনী
আগেকার ভোটার তালিকা আইন, ২০০৯ অনুযায়ী, প্রতি বছর ২ জানুয়ারি খসড়া এবং ২ মার্চ চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশের বিধান ছিল। এই আইনের একটি ধারায় ‘যোগ্যতা অর্জনের তারিখ’ হিসেবে বছরের ১ জানুয়ারিকে নির্দিষ্ট করা ছিল। এর ফলে কোনো ব্যক্তির বয়স পহেলা জানুয়ারির পর ১৮ বছর পূর্ণ হলে, তাকে ভোটার তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্ত করার জন্য পরবর্তী বছরের জানুয়ারি পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হতো।
নতুন এই অধ্যাদেশে ভোটার তালিকা আইন, ২০০৯-এর ধারা ৩ (জ)-তে ‘জানুয়ারি মাসের পহেলা তারিখ’ শব্দগুলোর পর ‘কমিশন কর্তৃক ঘোষিত অন্য কোনো তারিখ’ শব্দগুলো সন্নিবেশিত হবে। এর ফলে এখন থেকে কমিশন বছরের যেকোনো সময় ভোটার হওয়ার যোগ্যতা অর্জনের তারিখ নির্ধারণ করতে পারবে, যা নতুন ভোটারদের জন্য বড় একটি সুযোগ তৈরি করলো। এছাড়া আইনের ১১ ধারায় নতুন উপ-ধারা যুক্ত করে বলা হয়েছে যে, কম্পিউটার ডেটাবেজে সংরক্ষিত ভোটার তালিকা প্রতি বছর ২ জানুয়ারি থেকে ২ মার্চ পর্যন্ত অথবা তফসিল ঘোষণার আগে কমিশন কর্তৃক নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে হালনাগাদ করা যাবে। এই হালনাগাদ প্রক্রিয়ার মধ্যে থাকবে যাদের বয়স ১৮ বছর পূর্ণ হয়েছে তাদের ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা। মৃত বা অযোগ্য ভোটারদের নাম তালিকা থেকে বাদ দেয়া। যারা বাসস্থান পরিবর্তন করেছেন, তাদের নাম পূর্বের তালিকা থেকে কেটে নতুন এলাকার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা।
অধ্যাদেশে একটি শর্ত যুক্ত করে বলা হয়েছে, নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে তালিকা হালনাগাদ না হলেও ভোটার তালিকার বৈধতা বা ধারাবাহিকতায় কোনো প্রভাব পড়বে না।
সংশোধনের প্রেক্ষাপট
ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে এএমএম নাসির উদ্দিনের নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশন চলতি বছরের ২০ জানুয়ারি থেকে ভোটার তালিকা হালনাগাদের কাজ শুরু করে। এই কার্যক্রমে গত জুনের মধ্যে প্রায় ৪৪ লাখ ৫০ হাজার নতুন ভোটারের তথ্য সংগ্রহ করা হয়। কিন্তু পুরনো আইনের কারণে এই নতুন তালিকা প্রকাশ করা নিয়ে বিপত্তি দেখা দেয়। কারণ সরকারকে আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন আয়োজনের প্রস্তুতির কথা বলা হচ্ছিল।
এই আইনি জটিলতা নিরসনের জন্য ইসি আইন সংশোধনের উদ্যোগ নেয়। গত ১৭ জুলাই উপদেষ্টা পরিষদ এই আইনের খসড়া অধ্যাদেশ আকারে জারির অনুমোদন দেয়। এর ধারাবাহিকতাতেই গতকাল বৃহস্পতিবার অধ্যাদেশটি জারি করা হলো।
ইসি কর্মকর্তারা মনে করছেন, তরুণ ভোটারদের একটি বড় অংশকে ভোটের বাইরে রেখে নির্বাচন আয়োজন করা হলে তা রাজনৈতিকভাবে চ্যালেঞ্জ তৈরি করতে পারতো। এ প্রসঙ্গে ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ জানান, কমিশন যৌক্তিক বিবেচনায় এবং নির্বাচনী তফসিলকে সামনে রেখে ভোটার অন্তর্ভুক্তির সময় নির্ধারণ করবে।
শুক্রবার, ২৫ জুলাই ২০২৫
নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) বছরের যেকোনো সময় ভোটার তালিকা প্রকাশ ও সংশোধন করার ক্ষমতা দিয়ে ‘ভোটার তালিকা (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ জারি করেছে সরকার। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগ থেকে এ অধ্যাদেশ জারি করা হয়।
এই অধ্যাদেশের ফলে ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের আগে নতুন ভোটারদের অন্তর্ভুক্ত করে খসড়া তালিকা প্রকাশের আইনি বাধা দূর হলো। এখন থেকে নির্বাচন কমিশন তফসিল ঘোষণার আগে যেকোনো সময় নতুন ভোটারদের অন্তর্ভুক্ত করে তালিকা প্রকাশ করতে পারবে।
আগের আইন ও নতুন সংশোধনী
আগেকার ভোটার তালিকা আইন, ২০০৯ অনুযায়ী, প্রতি বছর ২ জানুয়ারি খসড়া এবং ২ মার্চ চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশের বিধান ছিল। এই আইনের একটি ধারায় ‘যোগ্যতা অর্জনের তারিখ’ হিসেবে বছরের ১ জানুয়ারিকে নির্দিষ্ট করা ছিল। এর ফলে কোনো ব্যক্তির বয়স পহেলা জানুয়ারির পর ১৮ বছর পূর্ণ হলে, তাকে ভোটার তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্ত করার জন্য পরবর্তী বছরের জানুয়ারি পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হতো।
নতুন এই অধ্যাদেশে ভোটার তালিকা আইন, ২০০৯-এর ধারা ৩ (জ)-তে ‘জানুয়ারি মাসের পহেলা তারিখ’ শব্দগুলোর পর ‘কমিশন কর্তৃক ঘোষিত অন্য কোনো তারিখ’ শব্দগুলো সন্নিবেশিত হবে। এর ফলে এখন থেকে কমিশন বছরের যেকোনো সময় ভোটার হওয়ার যোগ্যতা অর্জনের তারিখ নির্ধারণ করতে পারবে, যা নতুন ভোটারদের জন্য বড় একটি সুযোগ তৈরি করলো। এছাড়া আইনের ১১ ধারায় নতুন উপ-ধারা যুক্ত করে বলা হয়েছে যে, কম্পিউটার ডেটাবেজে সংরক্ষিত ভোটার তালিকা প্রতি বছর ২ জানুয়ারি থেকে ২ মার্চ পর্যন্ত অথবা তফসিল ঘোষণার আগে কমিশন কর্তৃক নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে হালনাগাদ করা যাবে। এই হালনাগাদ প্রক্রিয়ার মধ্যে থাকবে যাদের বয়স ১৮ বছর পূর্ণ হয়েছে তাদের ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা। মৃত বা অযোগ্য ভোটারদের নাম তালিকা থেকে বাদ দেয়া। যারা বাসস্থান পরিবর্তন করেছেন, তাদের নাম পূর্বের তালিকা থেকে কেটে নতুন এলাকার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা।
অধ্যাদেশে একটি শর্ত যুক্ত করে বলা হয়েছে, নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে তালিকা হালনাগাদ না হলেও ভোটার তালিকার বৈধতা বা ধারাবাহিকতায় কোনো প্রভাব পড়বে না।
সংশোধনের প্রেক্ষাপট
ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে এএমএম নাসির উদ্দিনের নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশন চলতি বছরের ২০ জানুয়ারি থেকে ভোটার তালিকা হালনাগাদের কাজ শুরু করে। এই কার্যক্রমে গত জুনের মধ্যে প্রায় ৪৪ লাখ ৫০ হাজার নতুন ভোটারের তথ্য সংগ্রহ করা হয়। কিন্তু পুরনো আইনের কারণে এই নতুন তালিকা প্রকাশ করা নিয়ে বিপত্তি দেখা দেয়। কারণ সরকারকে আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন আয়োজনের প্রস্তুতির কথা বলা হচ্ছিল।
এই আইনি জটিলতা নিরসনের জন্য ইসি আইন সংশোধনের উদ্যোগ নেয়। গত ১৭ জুলাই উপদেষ্টা পরিষদ এই আইনের খসড়া অধ্যাদেশ আকারে জারির অনুমোদন দেয়। এর ধারাবাহিকতাতেই গতকাল বৃহস্পতিবার অধ্যাদেশটি জারি করা হলো।
ইসি কর্মকর্তারা মনে করছেন, তরুণ ভোটারদের একটি বড় অংশকে ভোটের বাইরে রেখে নির্বাচন আয়োজন করা হলে তা রাজনৈতিকভাবে চ্যালেঞ্জ তৈরি করতে পারতো। এ প্রসঙ্গে ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ জানান, কমিশন যৌক্তিক বিবেচনায় এবং নির্বাচনী তফসিলকে সামনে রেখে ভোটার অন্তর্ভুক্তির সময় নির্ধারণ করবে।