নিত্যপণ্যের বাজারে বেড়েছে দেশি মুসুর ডালের দাম। সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১৪০ থেকে ১৪৫ টাকায়।
ঈদ-উল-আজহার পর থেকেই বাড়ছে চালের দাম। শুক্রবার(২৫-০৭-২০২৫) রাজধানীর খোলা বাজারগুলোতে খুচরায় ব্র্যান্ডভেদে সুরু চাল বিক্রি হচ্ছিল কেজি ৮০ থেকে ৯০ টাকায়। এছাড়া মাঝারি মানের চাল ৬৫ থেকে ৭০ টাকা আর মোটা চাল ৫৫ থেকে ৬০ টাকায়।
সরকারের সর্বশেষ নির্ধারিত দামেই বিক্রি হচ্ছে ভোজ্যতেল, যা আগের তুলনায় বেশি।
পণ্যের দামের বিষয়ে কথা হয় রাজধানী কারওয়ান বাজারে মায়ের দোয়া স্টোরের বিক্রেতা বাবলু মিয়ার সঙ্গে। শুক্রবার তিনি সংবাদকে বলেন, ‘এতদিন ৫ লিটার সয়াবিন তেলের বোতলের গায়ের রেট থেকে ২০ টাকা কম নিতাম। এখন বোতলের গায়ের রেটই নিচ্ছি। কারণ এক সপ্তাহ ধরে কোম্পানি আমাদের কমিশন কমায় দিছে।
কোম্পানি হাত দিয়া খাচ্ছে না চামুচ দিয়া খাইতাছে। কোম্পানি দাম বাড়ার পায়তারা করতাছে। তবে, সয়াবিন তেলের সরবরাহ ঠিক রাখছে।’
ডাল নিয়ে তিনি বলেন, ‘দেশি মুসুরের ডালের দাম বাড়ছে। কেজিতে ১০ টাকা।’
হঠাৎ দাম বাড়ার কারণ কী? এ প্রশ্নের জবাবের জন্য তিনি তার মহাজনকে ফোন দেন। তার কাছ থেকে শুনে জানান, ‘ইন্ডিয়ান মুসুরের ভ্যাট বাড়াইছে ৬ টাকা। এর লাইগা কেজিতে দাম বাড়ছে ১০ টাকা।’
বৃষ্টির পর সবজির যে দাম উঠেছিল, দুয়েকটি ব্যতিক্রম বাদে তা আর নামেনি। ঝিঙ্গা-চিঁচিঙ্গা-কাঁকরোল-বেগুন-করলা-বরবটিসহ বেশিরভাগ সবজি কেজি বাজারভেদে ৭০ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে কাঁচা পেঁপে, কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩৫ থেকে ৪০ টাকায়। এছাড়া টমেটো ও গাজর বিক্রি হচ্ছে কেজি ১৪০ থেকে ১৬০ টাকায়। তবে আলু, পেঁয়াজ, সহনীয় মূল্যে স্থিতিশীল রয়েছে। বাজারে এক কেজি আলু পাওয়া যাচ্ছে ২৫ থেকে ৩০ টাকায় আর দেশি পেয়াজ ৬০ থেকে ৬৫ টাকায়।
এখনও চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে কাঁচামরিচ। চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে রাজধানীর বাজারগুলোতে মানভেদে কাঁচামরিচ বিক্রি হয়েছিল কেজি ৮০ থেকে ১২০ টাকায়। দ্বিতীয় সপ্তাহে পণ্যটির দাম কয়েকগুণ বেড়ে বিক্রি হয় ৩২০ থেকে ৪০০ টাকায়। তৃতীয় সপ্তাহে কেজিতে দেড়শো’ টাকা কমে শুক্রবার কাঁচামরিচ বিক্রি হয়েছে কেজি ২৪০ থেকে ২৬০ টাকায়। রান্নায় ব্যবহৃত অতি প্রয়োজনীয় এই পণ্যটি শুক্রবার বিক্রি হয়েছে গত সপ্তাহের দামেই।
রাজধানীর বাজারগুলোতে আগের বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে গরু, খাসি ও ছাগলের মাংস। বাজারভেদে গরুর মাংসের কেজি ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকা, ছাগলের মাংস ১১০০ টাকা আর খাসির মাংস ১২০০ টাকায়।
এ সপ্তাহে সোনালি মুরগির দাম বেড়েছে। কেজিতে ২০ টাকা বেড়ে শুক্রবার বিক্রি হয়েছে ৩১০ থেকে ৩২০ টাকায়। যা গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছিল ২৯০ থেকে ৩০০ টাকায়। তবে, ফার্মের মুরগির ডিমের দাম আগের মতোই স্থিতিশীল রয়েছে। বাজারে এক ডজন ডিম বিক্রি হচ্ছে
১২৫ থেকে ১৩০ টাকা।
ইলিশ মাছের দামের বিষয়ে কথা হয় রাজধানী কারওয়ান বাজারের মাছ বিক্রেতা রিদয়ের সঙ্গে। তিনি সংবাদকে বলেন, ৮শ’ গ্রাম ওজনের ইলিশ মাছ কেজি ২০০০ টাকা আর দেড় কেজি ওজনের দাম ৩০০০ টাকা।’ দাম নাকি কমেছে – এ কথা শোনার পর তিনি বলেন, ‘মোবাইলে দাম কমছে।’
গত এক বছরে অন্তত ১০ শতাংশ দামস্ফীতি চাল ও তেলের
টিসিবির মূল্য তালিকা থেকে হিসাব করে দেখা যাচ্ছে, সব ধরনের চাল ও তেলের দাম গত এক বছরে অন্তত ১০ শতাংশ বেড়েছে। ক্ষেত্র বিশেষে তা ২০ শতাংশেরও ওপরে।
গত এক বছরে মোটা চালের দাম বেড়েছে ১০ দশমিক ৫৮ শতাংশ। মাঝারি চালের ক্ষেত্রে দামবৃদ্ধির হার ১৬ দশমিক ০৭ শতাংশ। সরু চালের দাম বেড়েছে ১৫ শতাংশের ওপরে।
একই সময়ে খোলা সয়াবিন তেলের দাম বেড়েছে ১০ দশমিক ৬৭ শতাংশ। ২ লিটারের বোতলজাত সয়াবিন তেলে দামবৃদ্ধি হয়েছে ১৫ শতাংশের ওপরে।
খোলা পামওয়েলের দাম বেড়েছে ১৭ শতাংশ। গত এক বছরে ২০ শতাংশের বেশি বেড়েছে রাইসব্রান তেলের ৫ লিটারের বোতলের দাম।
শুক্রবার, ২৫ জুলাই ২০২৫
নিত্যপণ্যের বাজারে বেড়েছে দেশি মুসুর ডালের দাম। সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১৪০ থেকে ১৪৫ টাকায়।
ঈদ-উল-আজহার পর থেকেই বাড়ছে চালের দাম। শুক্রবার(২৫-০৭-২০২৫) রাজধানীর খোলা বাজারগুলোতে খুচরায় ব্র্যান্ডভেদে সুরু চাল বিক্রি হচ্ছিল কেজি ৮০ থেকে ৯০ টাকায়। এছাড়া মাঝারি মানের চাল ৬৫ থেকে ৭০ টাকা আর মোটা চাল ৫৫ থেকে ৬০ টাকায়।
সরকারের সর্বশেষ নির্ধারিত দামেই বিক্রি হচ্ছে ভোজ্যতেল, যা আগের তুলনায় বেশি।
পণ্যের দামের বিষয়ে কথা হয় রাজধানী কারওয়ান বাজারে মায়ের দোয়া স্টোরের বিক্রেতা বাবলু মিয়ার সঙ্গে। শুক্রবার তিনি সংবাদকে বলেন, ‘এতদিন ৫ লিটার সয়াবিন তেলের বোতলের গায়ের রেট থেকে ২০ টাকা কম নিতাম। এখন বোতলের গায়ের রেটই নিচ্ছি। কারণ এক সপ্তাহ ধরে কোম্পানি আমাদের কমিশন কমায় দিছে।
কোম্পানি হাত দিয়া খাচ্ছে না চামুচ দিয়া খাইতাছে। কোম্পানি দাম বাড়ার পায়তারা করতাছে। তবে, সয়াবিন তেলের সরবরাহ ঠিক রাখছে।’
ডাল নিয়ে তিনি বলেন, ‘দেশি মুসুরের ডালের দাম বাড়ছে। কেজিতে ১০ টাকা।’
হঠাৎ দাম বাড়ার কারণ কী? এ প্রশ্নের জবাবের জন্য তিনি তার মহাজনকে ফোন দেন। তার কাছ থেকে শুনে জানান, ‘ইন্ডিয়ান মুসুরের ভ্যাট বাড়াইছে ৬ টাকা। এর লাইগা কেজিতে দাম বাড়ছে ১০ টাকা।’
বৃষ্টির পর সবজির যে দাম উঠেছিল, দুয়েকটি ব্যতিক্রম বাদে তা আর নামেনি। ঝিঙ্গা-চিঁচিঙ্গা-কাঁকরোল-বেগুন-করলা-বরবটিসহ বেশিরভাগ সবজি কেজি বাজারভেদে ৭০ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে কাঁচা পেঁপে, কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩৫ থেকে ৪০ টাকায়। এছাড়া টমেটো ও গাজর বিক্রি হচ্ছে কেজি ১৪০ থেকে ১৬০ টাকায়। তবে আলু, পেঁয়াজ, সহনীয় মূল্যে স্থিতিশীল রয়েছে। বাজারে এক কেজি আলু পাওয়া যাচ্ছে ২৫ থেকে ৩০ টাকায় আর দেশি পেয়াজ ৬০ থেকে ৬৫ টাকায়।
এখনও চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে কাঁচামরিচ। চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে রাজধানীর বাজারগুলোতে মানভেদে কাঁচামরিচ বিক্রি হয়েছিল কেজি ৮০ থেকে ১২০ টাকায়। দ্বিতীয় সপ্তাহে পণ্যটির দাম কয়েকগুণ বেড়ে বিক্রি হয় ৩২০ থেকে ৪০০ টাকায়। তৃতীয় সপ্তাহে কেজিতে দেড়শো’ টাকা কমে শুক্রবার কাঁচামরিচ বিক্রি হয়েছে কেজি ২৪০ থেকে ২৬০ টাকায়। রান্নায় ব্যবহৃত অতি প্রয়োজনীয় এই পণ্যটি শুক্রবার বিক্রি হয়েছে গত সপ্তাহের দামেই।
রাজধানীর বাজারগুলোতে আগের বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে গরু, খাসি ও ছাগলের মাংস। বাজারভেদে গরুর মাংসের কেজি ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকা, ছাগলের মাংস ১১০০ টাকা আর খাসির মাংস ১২০০ টাকায়।
এ সপ্তাহে সোনালি মুরগির দাম বেড়েছে। কেজিতে ২০ টাকা বেড়ে শুক্রবার বিক্রি হয়েছে ৩১০ থেকে ৩২০ টাকায়। যা গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছিল ২৯০ থেকে ৩০০ টাকায়। তবে, ফার্মের মুরগির ডিমের দাম আগের মতোই স্থিতিশীল রয়েছে। বাজারে এক ডজন ডিম বিক্রি হচ্ছে
১২৫ থেকে ১৩০ টাকা।
ইলিশ মাছের দামের বিষয়ে কথা হয় রাজধানী কারওয়ান বাজারের মাছ বিক্রেতা রিদয়ের সঙ্গে। তিনি সংবাদকে বলেন, ৮শ’ গ্রাম ওজনের ইলিশ মাছ কেজি ২০০০ টাকা আর দেড় কেজি ওজনের দাম ৩০০০ টাকা।’ দাম নাকি কমেছে – এ কথা শোনার পর তিনি বলেন, ‘মোবাইলে দাম কমছে।’
গত এক বছরে অন্তত ১০ শতাংশ দামস্ফীতি চাল ও তেলের
টিসিবির মূল্য তালিকা থেকে হিসাব করে দেখা যাচ্ছে, সব ধরনের চাল ও তেলের দাম গত এক বছরে অন্তত ১০ শতাংশ বেড়েছে। ক্ষেত্র বিশেষে তা ২০ শতাংশেরও ওপরে।
গত এক বছরে মোটা চালের দাম বেড়েছে ১০ দশমিক ৫৮ শতাংশ। মাঝারি চালের ক্ষেত্রে দামবৃদ্ধির হার ১৬ দশমিক ০৭ শতাংশ। সরু চালের দাম বেড়েছে ১৫ শতাংশের ওপরে।
একই সময়ে খোলা সয়াবিন তেলের দাম বেড়েছে ১০ দশমিক ৬৭ শতাংশ। ২ লিটারের বোতলজাত সয়াবিন তেলে দামবৃদ্ধি হয়েছে ১৫ শতাংশের ওপরে।
খোলা পামওয়েলের দাম বেড়েছে ১৭ শতাংশ। গত এক বছরে ২০ শতাংশের বেশি বেড়েছে রাইসব্রান তেলের ৫ লিটারের বোতলের দাম।