গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ভিপি নুরুল হক নুর বলেছেন, সরকার একটি দলকে পৃষ্ঠপোষকতা করে পক্ষপাতদুষ্ট আচরণ স্পষ্ট করছে। সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় থেকে সরকারি সহযোগিতায় এদেশে বিগত সময়ে অনেক কিংস পার্টি গড়ে উঠেছিল, আবার সেগুলো মিশে গেছে। এই সরকার যে একটি দল বিশেষ করে এনসিপিকে (জাতীয় নাগরিক পার্টি) পৃষ্ঠপোষকতা করছে সেটি শুধুমাত্র গণঅধিকার পরিষদ নয়, দেশের অধিকাংশ রাজনৈতিক মহল এবং নাগরিকদের মতামত। তাই আমরা বারবার সরকারকে সতর্ক করছি, সরকার যদি নিরপেক্ষ আচরণ করতে ব্যর্থ হয়, তাহলে নির্বাচনের জন্য কিন্তু একটি নিরপেক্ষ সরকারের প্রয়োজন হতে পারে। শুক্রবার(২৫-০৭-২০২৫) সন্ধ্যায় কুমিল্লা টাউন হল মাঠের বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলাম মুক্তমঞ্চে ‘গণঅভ্যুত্থানের জনআকাঙ্খা ও রাষ্ট্র সংস্কার’ শীর্ষক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
নুরুল হক নুর আরও বলেন, মাইলস্টোনের ঘটনাকে পুঁজি করে পতিত স্বৈরাচারের দোসররা ঢাকার রাজপথে নানান ধরনের অস্থিরতা তৈরি করার অপচেষ্টা করেছে। তারই অংশ হিসেবে তারা কিছু ছাত্রকে উৎসাহিত করে সচিবালয়ের দিকে নিয়ে গিয়েছে এবং ছাত্রদের মধ্যে ঢুকে সচিবালয়ে ভাংচুর করেছে। এর মধ্য দিয়ে সরকারের ও প্রশাসনের একটি দুর্বল চিত্র পরিষ্কার হয়েছে। সচিবালয়ের মত সুরক্ষিত ও স্পর্শকাতর জায়গা যদি সরকার নিরাপত্তা দিতে না পারে, তাহলে এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কীভাবে ১৮ কোটি মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে, সেটি নিয়ে মানুষের মধ্যে উদ্বেগ তৈরি করবে।
এর আগে সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে নুরুল হক কুমিল্লার পাঁচটি আসন থেকে আগামী সংসদ নির্বাচনে গণঅধিকার পরিষদ থেকে মনোনীত প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করে তাদেরকে পরিচয় করিয়ে দেন। তিনি বলেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দেশের ৩০০ আসন থেকে প্রার্থী দেয়া হবে। তিনি বলেন, স্রোতের বিপরীতে ফ্যাসিবাদের জামানায় গণঅধিকার পরিষদের রাজনীতির হাল ধরেছিলাম। যাদেরকে নিয়ে উত্তাল সমুদ্রে ঝুঁকি নিয়ে আমরা পাড়ি দেয়ার জন্য নেমেছিলাম এবং এই বাংলাদেশের রাজনীতিতে পরিবর্তন করেই আমরা ঘরে ফিরব। হানাহানি, মারামারি, দখলবাজি, চাঁদাবাজি, পেশীশক্তির আধিপত্য বিস্তার জনগণের ওপর জুলম করে জিম্মি করে এই বাংলাদেশে গত ৫০ বছর যে রাজনীতি চলছে সে রাজনীতির কবর রচনা করতে হবে। তিনি আরও বলেন, ২০১৮ সালে সাত কলেজের কোটা সংস্কার আন্দোলনে নেতৃত্বে থেকে ধারাবাহিকভাবে এই গণঅভ্যুত্থানের পটভূমি তৈরীতে এই গণঅধিকার পরিষদ রক্ত দিয়েছে, মার খেয়েছে। দলমত নির্বিশেষে বিএনপি, জামায়াত, ইসলামী আন্দোলনসহ বাংলাদেশের সব ক্রিয়াশীল রাজনৈতিক দল ছাত্র-যুবক তরুণরা ফ্যাসিবাদের বন্দুকের নলের সামনে দাঁড়িয়ে জীবন দিয়ে হাসিনামুক্ত বাংলাদেশ আমাদেরকে উপহার দিয়েছে। আগামীতে যেন এই বাংলাদেশে হাসিনা এবং ফ্যাসিবাদ তৈরি না হয় সেজন্য ওই ছাত্র যুবক তরুণদেরকে আগামীর বাংলাদেশে নেতৃত্ব দিতে হবে।
কুমিল্লা জেলা গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি মো. ফয়জুল্লাহর সভাপতিত্বে ও জেলা সাধারণ সম্পাদক মো. গিয়াস উদ্দিনের সঞ্চালনায় অন্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সমাবেশে গণধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খাঁন, কেন্দ্রীয় মুখপাত্র ফারুক হাসান, কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাসান আল মামুন, বাংলাদেশ প্রবাসী অধিকার পরিষদের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাশেদুল হক রিয়াদ, বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় সংসদের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হাসানসহ বিভিন্ন জেলা, উপজেলার নেতৃবৃন্দ।
শুক্রবার, ২৫ জুলাই ২০২৫
গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ভিপি নুরুল হক নুর বলেছেন, সরকার একটি দলকে পৃষ্ঠপোষকতা করে পক্ষপাতদুষ্ট আচরণ স্পষ্ট করছে। সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় থেকে সরকারি সহযোগিতায় এদেশে বিগত সময়ে অনেক কিংস পার্টি গড়ে উঠেছিল, আবার সেগুলো মিশে গেছে। এই সরকার যে একটি দল বিশেষ করে এনসিপিকে (জাতীয় নাগরিক পার্টি) পৃষ্ঠপোষকতা করছে সেটি শুধুমাত্র গণঅধিকার পরিষদ নয়, দেশের অধিকাংশ রাজনৈতিক মহল এবং নাগরিকদের মতামত। তাই আমরা বারবার সরকারকে সতর্ক করছি, সরকার যদি নিরপেক্ষ আচরণ করতে ব্যর্থ হয়, তাহলে নির্বাচনের জন্য কিন্তু একটি নিরপেক্ষ সরকারের প্রয়োজন হতে পারে। শুক্রবার(২৫-০৭-২০২৫) সন্ধ্যায় কুমিল্লা টাউন হল মাঠের বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলাম মুক্তমঞ্চে ‘গণঅভ্যুত্থানের জনআকাঙ্খা ও রাষ্ট্র সংস্কার’ শীর্ষক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
নুরুল হক নুর আরও বলেন, মাইলস্টোনের ঘটনাকে পুঁজি করে পতিত স্বৈরাচারের দোসররা ঢাকার রাজপথে নানান ধরনের অস্থিরতা তৈরি করার অপচেষ্টা করেছে। তারই অংশ হিসেবে তারা কিছু ছাত্রকে উৎসাহিত করে সচিবালয়ের দিকে নিয়ে গিয়েছে এবং ছাত্রদের মধ্যে ঢুকে সচিবালয়ে ভাংচুর করেছে। এর মধ্য দিয়ে সরকারের ও প্রশাসনের একটি দুর্বল চিত্র পরিষ্কার হয়েছে। সচিবালয়ের মত সুরক্ষিত ও স্পর্শকাতর জায়গা যদি সরকার নিরাপত্তা দিতে না পারে, তাহলে এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কীভাবে ১৮ কোটি মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে, সেটি নিয়ে মানুষের মধ্যে উদ্বেগ তৈরি করবে।
এর আগে সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে নুরুল হক কুমিল্লার পাঁচটি আসন থেকে আগামী সংসদ নির্বাচনে গণঅধিকার পরিষদ থেকে মনোনীত প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করে তাদেরকে পরিচয় করিয়ে দেন। তিনি বলেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দেশের ৩০০ আসন থেকে প্রার্থী দেয়া হবে। তিনি বলেন, স্রোতের বিপরীতে ফ্যাসিবাদের জামানায় গণঅধিকার পরিষদের রাজনীতির হাল ধরেছিলাম। যাদেরকে নিয়ে উত্তাল সমুদ্রে ঝুঁকি নিয়ে আমরা পাড়ি দেয়ার জন্য নেমেছিলাম এবং এই বাংলাদেশের রাজনীতিতে পরিবর্তন করেই আমরা ঘরে ফিরব। হানাহানি, মারামারি, দখলবাজি, চাঁদাবাজি, পেশীশক্তির আধিপত্য বিস্তার জনগণের ওপর জুলম করে জিম্মি করে এই বাংলাদেশে গত ৫০ বছর যে রাজনীতি চলছে সে রাজনীতির কবর রচনা করতে হবে। তিনি আরও বলেন, ২০১৮ সালে সাত কলেজের কোটা সংস্কার আন্দোলনে নেতৃত্বে থেকে ধারাবাহিকভাবে এই গণঅভ্যুত্থানের পটভূমি তৈরীতে এই গণঅধিকার পরিষদ রক্ত দিয়েছে, মার খেয়েছে। দলমত নির্বিশেষে বিএনপি, জামায়াত, ইসলামী আন্দোলনসহ বাংলাদেশের সব ক্রিয়াশীল রাজনৈতিক দল ছাত্র-যুবক তরুণরা ফ্যাসিবাদের বন্দুকের নলের সামনে দাঁড়িয়ে জীবন দিয়ে হাসিনামুক্ত বাংলাদেশ আমাদেরকে উপহার দিয়েছে। আগামীতে যেন এই বাংলাদেশে হাসিনা এবং ফ্যাসিবাদ তৈরি না হয় সেজন্য ওই ছাত্র যুবক তরুণদেরকে আগামীর বাংলাদেশে নেতৃত্ব দিতে হবে।
কুমিল্লা জেলা গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি মো. ফয়জুল্লাহর সভাপতিত্বে ও জেলা সাধারণ সম্পাদক মো. গিয়াস উদ্দিনের সঞ্চালনায় অন্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সমাবেশে গণধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খাঁন, কেন্দ্রীয় মুখপাত্র ফারুক হাসান, কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাসান আল মামুন, বাংলাদেশ প্রবাসী অধিকার পরিষদের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাশেদুল হক রিয়াদ, বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় সংসদের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হাসানসহ বিভিন্ন জেলা, উপজেলার নেতৃবৃন্দ।