পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদের পরিবারের সদস্যদের নামে গুলশানের র্যাংকন আইকন টাওয়ারে যে চারটি বিলাসবহুল ফ্ল্যাট রয়েছে, সেগুলোর জিনিসপত্র নিলামে তোলা হচ্ছে। এরই মধ্যে একটি নিলাম কমিটি করে দিয়েছেন ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ জাকির হোসেন গালিব। কমিটিতে সভাপতি করা হয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সম্পদ ব্যবস্থাপনা ইউনিটের পরিচালককে।
মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতের একজন হাকিম, বস্ত্র অধিদপ্তরের মহা-পরিচালকের একজন প্রতিনিধি এবং ইস্পাত প্রকৌশল অধিদপ্তরের চেয়ারম্যানের একজন প্রতিনিধি থাকছেন সদস্য হিসেবে। কমিটিতে সদস্য সচিবের দায়িত্ব পালন করবেন দুদকের উপ-পরিচালক (সম্পদ ব্যবস্থাপনা)। ফ্ল্যাটগুলোয় ব্যবহৃত সম্পদের তালিকাও প্রস্তুত করা হয়েছে, যেখানে ২৪৬ ধরনের জিনিসপত্র রয়েছে।
দুদক প্রসিকিউটর মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর শুক্রবার(২৫-০৭-২০২৫) বলেন, জব্দ করা সম্পদের মধ্যে কিছু জিনিসপত্র নষ্ট হয়ে যেতে পারে। এজন্য সেগুলো নিলামে তোলার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। আদালত একটি কমিটিও করে দিয়েছে। গত ২১ জুলাই এ কমিটির এক বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, কয়েক দিনের মধ্যে সংবাদপত্রে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে বেনজীর ও তার পরিবারের সদস্যদের ব্যবহৃত জিনিসপত্র নিলামে তোলার ব্যবস্থা করবে।
২৪৬ ধরনের সামগ্রীর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- ১৯টি ফ্রিজ, ১০০ টন এসি, ১২২টি শার্ট, ২৬৬টি প্যান্ট, ৩০টি ব্লেজার, ৮টি স্যুট, ৭২২টি টি-শার্ট, ২২৪টি পাঞ্জাবি, পায়জামা ৪৭টি, স্যান্ডেল ৮৮ জোড়া, কেডস ৩৫ জোড়া, জুতা ৩৮ জোড়া, শাড়ি ৪৯৪টি, থ্রিপিস ২৫০ সেট, সালোয়ার-কামিজ ৪৯৬টি, ব্লাউজ ৬৫টি, জামা ২১২টি, জ্যাকেট ৫৬টি, বেডশিট ১০৯টি, লেডিস ভ্যানিটি ব্যাগ ৭৫টি, লেডিস টপস ৬২২টি, পুরুষের সোয়েটার ১১টি, লেডিস সোয়েটার ৩৪টি, লেডিস প্যান্ট ৩৫৫টি, লেডিস টি-শার্ট ২৮টি, নাইট ড্রেস ৫৮টি, ওড়না ৩৪৭টি, শাল-চাদর ৮৯টি, শীতের জামা ১৩২টি, লেহেঙ্গা ১৬টি, সানগ্লাস ৩৪টি ও ট্রাউজার ৬৭টি।
বিভিন্ন ধরনের সুগন্ধির পাশাপাশি ড্রয়িংরুম, বৈঠকখানা, থিয়েটার রুম, করিডোর বৈঠকখানা, কিচেন রুম, মাস্টার বেডসহ অন্য কক্ষের ব্যবহৃত জিনিসপত্র তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। ডুপ্লেক্স ফ্ল্যাটে সুইমিংপুল, মিনি থিয়েটার রুম, অতিথিদের বিনোদনের বৈঠকখানাসহ আধুনিক সুযোগ-সুবিধা ছিল। পুরো ফ্ল্যাটে ১৯টি ফ্রিজ রয়েছে। এসি রয়েছে সবমিলিয়ে ১০০ টন। ফ্ল্যাটের খাট, ড্রেসিং টেবিল, ডাইনিং টেবিল, সোফা, চেয়ার, আলমারি, ওয়্যারড্রোবসহ মূল্যবান সামগ্রী নিলামের বাইরে রাখা হয়েছে। এগুলোর ব্যাপারে পরে আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে নিলাম কমিটি।
৭৪ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন ও সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে বেনজীর আহমেদ, তার স্ত্রী ও দুই মেয়ের বিরুদ্ধে গত ১৫ ডিসেম্বর চারটি মামলা করে দুদক।
বেনজীর আহমেদ ও তার স্ত্রী-সন্তানদের বিরুদ্ধে করা মামলায় বলা হয়, বেনজীর ৯ কোটি ৪৪ লাখ টাকা জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেছেন। তথ্য গোপন করেছেন ২ কোটি ৬২ লাখ টাকার সমপরিমাণ সম্পদের। তার স্ত্রী জীশান মীর্জার বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি ৩১ কোটি ৬৯ লাখ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন এবং ১৬ কোটি ১ লাখ টাকার তথ্য গোপন করেছেন। তাদের বড় মেয়ে ফারহীন রিশতা বিনতে বেনজীর ৮ কোটি ৭৫ লাখ টাকার এবং মেজ মেয়ে তাহসীন রাইসা বিনতে বেনজীর ৫ কোটি ৫৯ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন। বেনজীর আহমেদ গত ২০২০ সালের ১৫ এপ্রিল থেকে ২০২২ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আইজিপি ছিলেন। এর আগে তিনি ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার ও র্যাবের মহা-পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
শুক্রবার, ২৫ জুলাই ২০২৫
পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদের পরিবারের সদস্যদের নামে গুলশানের র্যাংকন আইকন টাওয়ারে যে চারটি বিলাসবহুল ফ্ল্যাট রয়েছে, সেগুলোর জিনিসপত্র নিলামে তোলা হচ্ছে। এরই মধ্যে একটি নিলাম কমিটি করে দিয়েছেন ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ জাকির হোসেন গালিব। কমিটিতে সভাপতি করা হয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সম্পদ ব্যবস্থাপনা ইউনিটের পরিচালককে।
মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতের একজন হাকিম, বস্ত্র অধিদপ্তরের মহা-পরিচালকের একজন প্রতিনিধি এবং ইস্পাত প্রকৌশল অধিদপ্তরের চেয়ারম্যানের একজন প্রতিনিধি থাকছেন সদস্য হিসেবে। কমিটিতে সদস্য সচিবের দায়িত্ব পালন করবেন দুদকের উপ-পরিচালক (সম্পদ ব্যবস্থাপনা)। ফ্ল্যাটগুলোয় ব্যবহৃত সম্পদের তালিকাও প্রস্তুত করা হয়েছে, যেখানে ২৪৬ ধরনের জিনিসপত্র রয়েছে।
দুদক প্রসিকিউটর মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর শুক্রবার(২৫-০৭-২০২৫) বলেন, জব্দ করা সম্পদের মধ্যে কিছু জিনিসপত্র নষ্ট হয়ে যেতে পারে। এজন্য সেগুলো নিলামে তোলার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। আদালত একটি কমিটিও করে দিয়েছে। গত ২১ জুলাই এ কমিটির এক বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, কয়েক দিনের মধ্যে সংবাদপত্রে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে বেনজীর ও তার পরিবারের সদস্যদের ব্যবহৃত জিনিসপত্র নিলামে তোলার ব্যবস্থা করবে।
২৪৬ ধরনের সামগ্রীর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- ১৯টি ফ্রিজ, ১০০ টন এসি, ১২২টি শার্ট, ২৬৬টি প্যান্ট, ৩০টি ব্লেজার, ৮টি স্যুট, ৭২২টি টি-শার্ট, ২২৪টি পাঞ্জাবি, পায়জামা ৪৭টি, স্যান্ডেল ৮৮ জোড়া, কেডস ৩৫ জোড়া, জুতা ৩৮ জোড়া, শাড়ি ৪৯৪টি, থ্রিপিস ২৫০ সেট, সালোয়ার-কামিজ ৪৯৬টি, ব্লাউজ ৬৫টি, জামা ২১২টি, জ্যাকেট ৫৬টি, বেডশিট ১০৯টি, লেডিস ভ্যানিটি ব্যাগ ৭৫টি, লেডিস টপস ৬২২টি, পুরুষের সোয়েটার ১১টি, লেডিস সোয়েটার ৩৪টি, লেডিস প্যান্ট ৩৫৫টি, লেডিস টি-শার্ট ২৮টি, নাইট ড্রেস ৫৮টি, ওড়না ৩৪৭টি, শাল-চাদর ৮৯টি, শীতের জামা ১৩২টি, লেহেঙ্গা ১৬টি, সানগ্লাস ৩৪টি ও ট্রাউজার ৬৭টি।
বিভিন্ন ধরনের সুগন্ধির পাশাপাশি ড্রয়িংরুম, বৈঠকখানা, থিয়েটার রুম, করিডোর বৈঠকখানা, কিচেন রুম, মাস্টার বেডসহ অন্য কক্ষের ব্যবহৃত জিনিসপত্র তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। ডুপ্লেক্স ফ্ল্যাটে সুইমিংপুল, মিনি থিয়েটার রুম, অতিথিদের বিনোদনের বৈঠকখানাসহ আধুনিক সুযোগ-সুবিধা ছিল। পুরো ফ্ল্যাটে ১৯টি ফ্রিজ রয়েছে। এসি রয়েছে সবমিলিয়ে ১০০ টন। ফ্ল্যাটের খাট, ড্রেসিং টেবিল, ডাইনিং টেবিল, সোফা, চেয়ার, আলমারি, ওয়্যারড্রোবসহ মূল্যবান সামগ্রী নিলামের বাইরে রাখা হয়েছে। এগুলোর ব্যাপারে পরে আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে নিলাম কমিটি।
৭৪ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন ও সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে বেনজীর আহমেদ, তার স্ত্রী ও দুই মেয়ের বিরুদ্ধে গত ১৫ ডিসেম্বর চারটি মামলা করে দুদক।
বেনজীর আহমেদ ও তার স্ত্রী-সন্তানদের বিরুদ্ধে করা মামলায় বলা হয়, বেনজীর ৯ কোটি ৪৪ লাখ টাকা জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেছেন। তথ্য গোপন করেছেন ২ কোটি ৬২ লাখ টাকার সমপরিমাণ সম্পদের। তার স্ত্রী জীশান মীর্জার বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি ৩১ কোটি ৬৯ লাখ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন এবং ১৬ কোটি ১ লাখ টাকার তথ্য গোপন করেছেন। তাদের বড় মেয়ে ফারহীন রিশতা বিনতে বেনজীর ৮ কোটি ৭৫ লাখ টাকার এবং মেজ মেয়ে তাহসীন রাইসা বিনতে বেনজীর ৫ কোটি ৫৯ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন। বেনজীর আহমেদ গত ২০২০ সালের ১৫ এপ্রিল থেকে ২০২২ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আইজিপি ছিলেন। এর আগে তিনি ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার ও র্যাবের মহা-পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।