ভারী বৃষ্টিতে নোয়াখালীতে হাতিয়ার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত -সংবাদ
নোয়াখালীতে গত দু’দিনের বৃষ্টিতে আবারও জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়ে জেলার নিম্নাঞ্চলসহ অধিকাংশ গ্রামীন সড়ক পানিতে ডুবে গেছে। এদিকে সারাদেশের সঙ্গে হাতিয়ার নৌ-যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে।
সাগর উত্তাল ও ঝড়ো বাতাসের কারণে সারাদেশের সঙ্গে হাতিয়ার
নৌ-যোগাযোগ বন্ধ
দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় সাগর উত্তাল থাকায় ও ঝড়ো বাতাসের কারণে শুক্রবার(২৫-০৭-২০২৫) সকাল থেকে বিচ্ছিন্ন দ্বীপ নোয়াখালীর হাতিয়ায় নৌযান চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এতে করে সারাদেশের সঙ্গে হাতিয়ার নৌ-যোগাযোগ সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। ঝড়ো বাতাসের কারণে শুক্রবার দিনের অধিকাংশ সময় বেগমগঞ্জসহ জেলায় বিদ্যুৎ ব্যবস্থা বন্ধ থাকায় জনগণ চরম ভোগান্তির শিকার হয়। এখনও জেলার কবিরহাট, সদর, কোম্পানীগঞ্জ, সেনবাগ, সুবর্ণচর, বেগমগঞ্জ ও হাতিয়া উপজেলার নিচু এলাকার রাস্তাঘাট ও বাড়িঘরে জলাবদ্ধতা রয়েছে। বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপের প্রভাবে গত ২৪ ঘণ্টায় নোয়াখালীতে ৪১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে শুরু হওয়া এই বৃষ্টিতে নোয়াখালী পৌরসভা, সদর, কবিরহাট, কোম্পানীগঞ্জ, বেগমগঞ্জ উপজেলাসহ বেশ কিছু এলাকায় আবারও নতুন করে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। সাগর বেশ উত্তাল থাকায় এবং দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে ঢাকা-হাতিয়া এবং চট্টগ্রাম-হাতিয়া রুটে চলাচলকারী সব যাত্রীবাহী ও সরকারি জাহাজ বন্ধ রাখা হয়েছে। অন্যদিকে, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়াসহ পুরো জেলায় শুরু হয়েছে থেমে থেমে ভারি বর্ষন এবং সারাদিন গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি ও দমকা হাওয়া। শুক্রবার সকাল থেকে স্বাভাবিকের চেয়ে কয়েক ফুট বেশি উচ্চতার জোয়ারের পানি প্রবেশ করায় নিঝুম দ্বীপসহ হাতিয়ার বিস্তীর্ণ নিম্নাঞ্চল পানিতে তলিয়ে গেছে। পানিতে অনেক ঘরবাড়ি, ফসলি জমি ও সড়ক প্লাবিত হয়েছে। এতে দুর্ভোগে পড়েছে হাজারো পরিবার। বিশেষ করে হাতিয়ার নিঝুম দ্বীপ জাতীয় উদ্যানে বসবাসরত হরিণসহ বন্য প্রাণীগুলোর জন্য সৃষ্ট হয়েছে হুমকি। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, শুক্রবার দুপুরের পর থেকে জোয়ারের পানি দ্রুতগতিতে বাড়তে থাকে। এতে ভেসে গেছে অনেক মাছের ঘের। অনেক এলাকায় ঘরের ভেতর পানি ঢুকেছে। কিছু পরিবার উঁচু স্থানে সরে যেতে বাধ্য হয়েছে।
হাতিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. আলাউদ্দিন জানিয়েছেন, নদী ও সাগর উত্তাল থাকায় দুর্ঘটনার ঝুঁকি এড়াতে নৌ-যোগাযোগ সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে। আবহাওয়া স্বাভাবিক হলে পুনরায় চলাচলের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। নিঝুমদ্বীপসহ অনেক নিম্নাঞ্চল এলাকা প্লাবিত হয়েছে। আমরা খোঁজ-খবর রাখছি। আরও কয়েকদিন এমন পরিস্থিতি বিরাজ করতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ভারী বৃষ্টিতে নোয়াখালীতে হাতিয়ার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত -সংবাদ
শুক্রবার, ২৫ জুলাই ২০২৫
নোয়াখালীতে গত দু’দিনের বৃষ্টিতে আবারও জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়ে জেলার নিম্নাঞ্চলসহ অধিকাংশ গ্রামীন সড়ক পানিতে ডুবে গেছে। এদিকে সারাদেশের সঙ্গে হাতিয়ার নৌ-যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে।
সাগর উত্তাল ও ঝড়ো বাতাসের কারণে সারাদেশের সঙ্গে হাতিয়ার
নৌ-যোগাযোগ বন্ধ
দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় সাগর উত্তাল থাকায় ও ঝড়ো বাতাসের কারণে শুক্রবার(২৫-০৭-২০২৫) সকাল থেকে বিচ্ছিন্ন দ্বীপ নোয়াখালীর হাতিয়ায় নৌযান চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এতে করে সারাদেশের সঙ্গে হাতিয়ার নৌ-যোগাযোগ সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। ঝড়ো বাতাসের কারণে শুক্রবার দিনের অধিকাংশ সময় বেগমগঞ্জসহ জেলায় বিদ্যুৎ ব্যবস্থা বন্ধ থাকায় জনগণ চরম ভোগান্তির শিকার হয়। এখনও জেলার কবিরহাট, সদর, কোম্পানীগঞ্জ, সেনবাগ, সুবর্ণচর, বেগমগঞ্জ ও হাতিয়া উপজেলার নিচু এলাকার রাস্তাঘাট ও বাড়িঘরে জলাবদ্ধতা রয়েছে। বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপের প্রভাবে গত ২৪ ঘণ্টায় নোয়াখালীতে ৪১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে শুরু হওয়া এই বৃষ্টিতে নোয়াখালী পৌরসভা, সদর, কবিরহাট, কোম্পানীগঞ্জ, বেগমগঞ্জ উপজেলাসহ বেশ কিছু এলাকায় আবারও নতুন করে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। সাগর বেশ উত্তাল থাকায় এবং দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে ঢাকা-হাতিয়া এবং চট্টগ্রাম-হাতিয়া রুটে চলাচলকারী সব যাত্রীবাহী ও সরকারি জাহাজ বন্ধ রাখা হয়েছে। অন্যদিকে, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়াসহ পুরো জেলায় শুরু হয়েছে থেমে থেমে ভারি বর্ষন এবং সারাদিন গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি ও দমকা হাওয়া। শুক্রবার সকাল থেকে স্বাভাবিকের চেয়ে কয়েক ফুট বেশি উচ্চতার জোয়ারের পানি প্রবেশ করায় নিঝুম দ্বীপসহ হাতিয়ার বিস্তীর্ণ নিম্নাঞ্চল পানিতে তলিয়ে গেছে। পানিতে অনেক ঘরবাড়ি, ফসলি জমি ও সড়ক প্লাবিত হয়েছে। এতে দুর্ভোগে পড়েছে হাজারো পরিবার। বিশেষ করে হাতিয়ার নিঝুম দ্বীপ জাতীয় উদ্যানে বসবাসরত হরিণসহ বন্য প্রাণীগুলোর জন্য সৃষ্ট হয়েছে হুমকি। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, শুক্রবার দুপুরের পর থেকে জোয়ারের পানি দ্রুতগতিতে বাড়তে থাকে। এতে ভেসে গেছে অনেক মাছের ঘের। অনেক এলাকায় ঘরের ভেতর পানি ঢুকেছে। কিছু পরিবার উঁচু স্থানে সরে যেতে বাধ্য হয়েছে।
হাতিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. আলাউদ্দিন জানিয়েছেন, নদী ও সাগর উত্তাল থাকায় দুর্ঘটনার ঝুঁকি এড়াতে নৌ-যোগাযোগ সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে। আবহাওয়া স্বাভাবিক হলে পুনরায় চলাচলের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। নিঝুমদ্বীপসহ অনেক নিম্নাঞ্চল এলাকা প্লাবিত হয়েছে। আমরা খোঁজ-খবর রাখছি। আরও কয়েকদিন এমন পরিস্থিতি বিরাজ করতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।