গ্রিন ইয়ার্ডে রূপান্তর না হলে সংশ্লিষ্টদের জাহাজ ভাঙার ব্যবসা গুটিয়ে নিতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন নৌ পরিবহন উপদেষ্টা এম সাখাওয়াত হোসেন।
শনিবার চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে একটি শিপ ব্রেকিং ইয়ার্ড পরিদর্শনের পর তিনি বলেন, “যারা গ্রিন ইয়ার্ড হতে পারবেন না, দুঃখজনকভাবে তাদের ব্যবসা গুটিয়ে নিতে হবে। এখন পর্যন্ত মাত্র ১৬টি ইয়ার্ড গ্রিন সার্টিফিকেট পেয়েছে। বাকিগুলো এখনও পায়নি।”
তিনি জানান, জুন মাস ইতোমধ্যে শেষ হয়ে গেছে, জুলাই চলছে। নভেম্বরে আইএমও সম্মেলনে এ নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে। তাই বাকি ইয়ার্ডগুলোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। তবে সময় বাড়ানোর বিষয়ে আইএমও’র সঙ্গে দর-কষাকষির প্রয়োজন হতে পারে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
এই সময়ের মধ্যেই কারা গ্রিন ইয়ার্ডে রূপান্তর করতে পারবে, তাদের আর্থিক সক্ষমতা রয়েছে কিনা—তাও বিবেচনায় নিতে হবে বলে জানান উপদেষ্টা।
শিল্প মালিকরা আর্থিক সহায়তা চাইলে সরকার তা বিবেচনা করবে জানিয়ে তিনি বলেন, “অর্থায়নের বিষয়ে তাদের সমিতির পক্ষ থেকে প্রস্তাব এলে শিপিং ও শ্রম মন্ত্রণালয় থেকে সহায়তা করা হবে। আমি শিল্প মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যুক্ত নই, তবে প্রতিনিধিদল পাঠিয়ে আলোচনার ব্যবস্থা করবো।”
পরিবেশ সুরক্ষাকে অগ্রাধিকার দিয়ে তিনি বলেন, “পরিবেশ ও উন্নয়ন—দুটোই গুরুত্বপূর্ণ। আমরা ইতোমধ্যে পরিবেশবান্ধব ব্যবস্থায় চলছি। অচিরেই পরিবেশ নিয়ে আমরা আলোচনা করব।”
তিনি জানান, এত অল্প জায়গায় ১১৩টি ইয়ার্ড হওয়ায় এটি এখন বিপদসংকুল হয়ে উঠেছে। তাই বিকল্প স্থান খোঁজা হচ্ছে। চট্টগ্রামের বাইরেও অন্য কোথাও এই শিল্প গড়ে তোলা সম্ভব কিনা, তা যাচাই করা হবে।
বড় ও ছোট জাহাজের পার্থক্য তুলে ধরে তিনি বলেন, “বড় জাহাজ যেখানে ঢুকতে পারবে না, সেখানে ছোট জাহাজ ঢুকতে পারে। তবে উপকূলীয় জায়গারও প্রয়োজন আছে। অচিরেই বে টার্মিনাল হালিশহরে চালু হবে, সেখানে থেকে ভাটিয়ারির দূরত্বও বিবেচনায় আনতে হবে।”
তিনি আরও বলেন, “টার্মিনালের বিস্তৃতি অনেক বেশি হয়। চট্টগ্রাম বন্দরের পরিধি বেড়েছে। তাই এখানে হয়তো একশ-দেড়শ ইয়ার্ড রাখা সম্ভব হবে না। আমাদের বিকল্প জায়গা খুঁজতে হবে।”
শিপ ব্রেকিং শিল্পকে বিশ্বমানের উপযোগী উল্লেখ করে তিনি বলেন, “এই খাতে আগে খুব একটা নজর দেওয়া হয়নি। এখন দেওয়া হবে। নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে চাই, এই খাতের পরিসর আরও বাড়ুক।”
শিল্প হিসেবে গড়ে তুলতে গেলে এখনো অনেক কাজ বাকি রয়েছে বলে মনে করেন উপদেষ্টা। তার মতে, শিপ নির্মাতারাও এগিয়ে এলে আরও উন্নতি সম্ভব।
২০০৯ সালে আইএমও’র হংকং কনভেনশনে গৃহীত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, পুরনো জাহাজ ভাঙার সময় যেন তা মানুষ ও পরিবেশের জন্য ঝুঁকি তৈরি না করে—সেই লক্ষ্যেই ২৬ জুন পর্যন্ত সময়সীমা নির্ধারণ করা হয় গ্রিন ইয়ার্ডে রূপান্তরের জন্য।
পরিদর্শনে নৌ উপদেষ্টার সঙ্গে ছিলেন সীতাকুণ্ড উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ফখরুল ইসলাম, সীতাকুণ্ড সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার লাবিব আবদুল্লাহ, শিপ রিসাইক্লিং বোর্ডের ভারপ্রাপ্ত সচিব মো. নাজমুল ও কারখানাটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ করিম উদ্দিন।
শনিবার, ২৬ জুলাই ২০২৫
গ্রিন ইয়ার্ডে রূপান্তর না হলে সংশ্লিষ্টদের জাহাজ ভাঙার ব্যবসা গুটিয়ে নিতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন নৌ পরিবহন উপদেষ্টা এম সাখাওয়াত হোসেন।
শনিবার চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে একটি শিপ ব্রেকিং ইয়ার্ড পরিদর্শনের পর তিনি বলেন, “যারা গ্রিন ইয়ার্ড হতে পারবেন না, দুঃখজনকভাবে তাদের ব্যবসা গুটিয়ে নিতে হবে। এখন পর্যন্ত মাত্র ১৬টি ইয়ার্ড গ্রিন সার্টিফিকেট পেয়েছে। বাকিগুলো এখনও পায়নি।”
তিনি জানান, জুন মাস ইতোমধ্যে শেষ হয়ে গেছে, জুলাই চলছে। নভেম্বরে আইএমও সম্মেলনে এ নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে। তাই বাকি ইয়ার্ডগুলোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। তবে সময় বাড়ানোর বিষয়ে আইএমও’র সঙ্গে দর-কষাকষির প্রয়োজন হতে পারে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
এই সময়ের মধ্যেই কারা গ্রিন ইয়ার্ডে রূপান্তর করতে পারবে, তাদের আর্থিক সক্ষমতা রয়েছে কিনা—তাও বিবেচনায় নিতে হবে বলে জানান উপদেষ্টা।
শিল্প মালিকরা আর্থিক সহায়তা চাইলে সরকার তা বিবেচনা করবে জানিয়ে তিনি বলেন, “অর্থায়নের বিষয়ে তাদের সমিতির পক্ষ থেকে প্রস্তাব এলে শিপিং ও শ্রম মন্ত্রণালয় থেকে সহায়তা করা হবে। আমি শিল্প মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যুক্ত নই, তবে প্রতিনিধিদল পাঠিয়ে আলোচনার ব্যবস্থা করবো।”
পরিবেশ সুরক্ষাকে অগ্রাধিকার দিয়ে তিনি বলেন, “পরিবেশ ও উন্নয়ন—দুটোই গুরুত্বপূর্ণ। আমরা ইতোমধ্যে পরিবেশবান্ধব ব্যবস্থায় চলছি। অচিরেই পরিবেশ নিয়ে আমরা আলোচনা করব।”
তিনি জানান, এত অল্প জায়গায় ১১৩টি ইয়ার্ড হওয়ায় এটি এখন বিপদসংকুল হয়ে উঠেছে। তাই বিকল্প স্থান খোঁজা হচ্ছে। চট্টগ্রামের বাইরেও অন্য কোথাও এই শিল্প গড়ে তোলা সম্ভব কিনা, তা যাচাই করা হবে।
বড় ও ছোট জাহাজের পার্থক্য তুলে ধরে তিনি বলেন, “বড় জাহাজ যেখানে ঢুকতে পারবে না, সেখানে ছোট জাহাজ ঢুকতে পারে। তবে উপকূলীয় জায়গারও প্রয়োজন আছে। অচিরেই বে টার্মিনাল হালিশহরে চালু হবে, সেখানে থেকে ভাটিয়ারির দূরত্বও বিবেচনায় আনতে হবে।”
তিনি আরও বলেন, “টার্মিনালের বিস্তৃতি অনেক বেশি হয়। চট্টগ্রাম বন্দরের পরিধি বেড়েছে। তাই এখানে হয়তো একশ-দেড়শ ইয়ার্ড রাখা সম্ভব হবে না। আমাদের বিকল্প জায়গা খুঁজতে হবে।”
শিপ ব্রেকিং শিল্পকে বিশ্বমানের উপযোগী উল্লেখ করে তিনি বলেন, “এই খাতে আগে খুব একটা নজর দেওয়া হয়নি। এখন দেওয়া হবে। নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে চাই, এই খাতের পরিসর আরও বাড়ুক।”
শিল্প হিসেবে গড়ে তুলতে গেলে এখনো অনেক কাজ বাকি রয়েছে বলে মনে করেন উপদেষ্টা। তার মতে, শিপ নির্মাতারাও এগিয়ে এলে আরও উন্নতি সম্ভব।
২০০৯ সালে আইএমও’র হংকং কনভেনশনে গৃহীত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, পুরনো জাহাজ ভাঙার সময় যেন তা মানুষ ও পরিবেশের জন্য ঝুঁকি তৈরি না করে—সেই লক্ষ্যেই ২৬ জুন পর্যন্ত সময়সীমা নির্ধারণ করা হয় গ্রিন ইয়ার্ডে রূপান্তরের জন্য।
পরিদর্শনে নৌ উপদেষ্টার সঙ্গে ছিলেন সীতাকুণ্ড উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ফখরুল ইসলাম, সীতাকুণ্ড সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার লাবিব আবদুল্লাহ, শিপ রিসাইক্লিং বোর্ডের ভারপ্রাপ্ত সচিব মো. নাজমুল ও কারখানাটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ করিম উদ্দিন।