পাল্টা শুল্ক নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বৈঠক শুরু হবে আগামী ২৯ জুলাই। এই বৈঠক হবে মোট তিন দিন অর্থাৎ ২৯, ৩০, ৩১ জুলাই। দেশের স্বার্থবিরোধী কোনো চুক্তি সরকার করছে কিনা এমন বিষয়ে আলোচনা সমালোচনা হচ্ছে। তবে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ‘দেশের স্বার্থবিরোধী কোনো চুক্তি সরকার করবে না।’
তিন দিনে সরকার টু সরকার এবং ব্যবসায়ি টু ব্যবসায়ি আলোচনা হবে
বাণিজ্য ঘাটতি কমাতে আমদানিকারকদের গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে
ইতিবাচক ফলাফল আশা করছে সরকার
শনিবার,(২৬ জুলাই ২০২৫) কথা হয় বাণিজ্য সচিব মাহবুবুর রহমানের সঙ্গে। তিনি সংবাদকে বলেন, ‘বাইরে থেকে কিছু রিউমার ছড়ানো হয়েছে। অনেকে অনেক কথা বলছেন। এ ক্ষেত্রে সরকারের অবস্থান হচ্ছে, দেশের স্বার্থবিরোধী কোনো চুক্তি সরকার করবে না। অবাণিজ্য যেসব বাধা আছে সেগুলোর ক্ষেত্রে আমাদের অবস্থান তুলে ধরে খসড়া পাঠানো হয়েছে। তাতে দেশের স্বার্থবিরোধী কিছু নেই।’
তিন দিনের বৈঠকে আমদানিকারকদের সঙ্গে নেয়া হবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এই আলোচনা দুটি ভাগে হবে। আমরা সরকার টু সরকার আলোচনা করবো। আর আমাদের আমদানিকারকরা বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসায়ী টু ব্যবসায়ী আলোচনা করবেন। দুই দেশের দূতাবাসের মাধ্যমে ব্যবসায়ীদের কানেক্ট করিয়ে দেয়া হবে।’
যুক্তরাষ্ট্র মূলত বাণিজ্য ঘাটতি কমানোর জন্য তাগিদ দিয়েছে জানিয়ে বাণিজ্য সচিব সংবাদকে বলেন, ‘কোনো কোনো ব্যবসায়ী অভিযোগ করছেন, আমরা তাদেরকে পাশ কাটিয়ে আলোচনা করছি। তাদেরকে গুরুত্ব দিচ্ছি না। তাদের বোঝা উচিত, এই সংকটে আমাদের তাদেরকেই দরকার যারা যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানি বাড়াতে পারবে, যারা রপ্তানি করে তারা নয়। তাই যারা গম, সয়াবিন ইত্যাদি আমদানি করে আমরা তাদের সঙ্গে আলোচনা করছি কীভাবে আমদানি বাড়ানো যায়।’
গত এপ্রিলে বাংলাদেশসহ ৫৭টি দেশের পণ্যের ওপর বাড়তি শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প। বাংলাদেশের ক্ষেত্রে ঘোষিত শুল্কহার ছিল ৩৭। এর পরপরই শুল্ক কমানো
নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনা শুরু করে বাংলাদেশ। একপর্যায়ে তা ৯০ দিনের জন্য স্থগিত করে যুক্তরাষ্ট্র। গত ৯ জুলাই এই স্থগিতাদেশের মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা ছিল।
তবে এরই মধ্যে গত ৭ জুলাই বাংলাদেশসহ ১৪টি দেশের পণ্যের ওপর নতুন করে বাড়তি শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেন ট্রাম্প। বাংলাদেশের ক্ষেত্রে এ শুল্কহার ৩৫। বাড়তি শুল্কছাড় নিয়ে গত ৯ জুলাই দুই দেশের মধ্যে তিন দিনের আলোচনা হয়। এতেও কোনো সমাধানে আসতে পারেনি দুই দেশ। তারপর ফের তিন দিনের আলোচনার দিন নির্ধারণ করা হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনায় বাংলাদেশ অদক্ষতার পরিচয় দিয়েছে- এমন অভিযোগ করেছেন কয়েকজন ব্যবসায়ী ও অর্থনীতিবিদ। এ বিষয়ে সরকারের বক্তব্য জানতে চাইলে বাণিজ্য সচিব সংবাদকে বলেন, ‘আমরা আমাদের স্বাধ্যমতো চেষ্টা করে যাচ্ছি। অনেকে বলছেন, এটা আমাদের অযোগ্যতা। অনেকে লবিস্ট নিয়োগের কথা বলছেন। কিন্তু এখানে সরকার টু সরকার আলোচনা হচ্ছে, লবিস্টদের কাজ করার সুযোগ কম। তারপরও যারা এই বিষয়ে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন তাদেরকে আমরা বলেছি, যার যতটুকু সামর্থ্য আছে ততটুকু কাজ করার সুুুযোগ আছে।’
একই কথা বলেছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন। এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেছেন, ‘এটি ব্যবসায়ীদের এখতিয়ার। সরকার কোনো লবিস্ট নিয়োগ করেনি। আপনাদের একটা জিনিস বুঝতে হবে, যুক্তরাষ্ট্র ন্যাশনাল ইমার্জেন্সি ভিত্তিতে কাজটি করছে। এ কাঠামোতে লবিস্টদের করার কোনো কিছু আছে কিনা, আমি ঠিক জানি না। আমাদের বিভিন্ন বিষয়ে পরিবর্তন আনতে হবে। এ পরিবর্তনগুলো বাংলাদেশ ছাড়া অন্য কেউ বুঝতে পারবে না। পরিবর্তনগুলোতে আন্তমন্ত্রণালয়-সংশ্লিষ্ট অনেকগুলো আইনি প্রক্রিয়া আছে। এ আইনি প্রক্রিয়াগুলো একজন লবিস্টের পক্ষে বোঝা সম্ভব নয় বলে আমার ধারণা।’
বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্যের বড় বাজার যুক্তরাষ্ট্র। গত ২০২৪-২৫ অর্থবছরে দেশটিতে ৮৭৬ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছে বাংলাদেশ। এই রপ্তানি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের তুলনায় ১০৯ কোটি ডলার বা ১৪ শতাংশ বেশি। দেশটিতে গত অর্থবছরে যে পরিমাণ রপ্তানি বেড়েছে, তা একই সময়ে ১৫৪টি দেশে বাংলাদেশের মোট রপ্তানির সমান।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের পরিসংখ্যানে দেখা যায়, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে বাংলাদেশ থেকে ২০১টি দেশ ও অঞ্চলে মোট ৪ হাজার ৬৫৭ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছে। এই রপ্তানির প্রায় ১৯ শতাংশের গন্তব্য ছিল যুক্তরাষ্ট্র। এর মধ্যে তৈরি পোশাক রপ্তানি হয় ৭৫৮ কোটি ৫০ লাখ ডলারের। তৈরি পোশাক ছাড়া অন্যান্য পণ্য রপ্তানি হয়েছে ১১৭ কোটি ৪৭ লাখ ডলারের।
সংকটের শুরু থেকেই ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনা করে আসছে দাবি করে তিনি আরও বলেন, ‘যখন আমরা বাড়তি শুল্কের বিষয়টি জানতে পারি তখনই আমরা ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনায় বসেছি। একাধিকবার বসেছি তাদের সঙ্গে। নিয়মিত যোগাযোগও রাখছি। তারপরও কিছু ব্যবসায়ী এমন অভিযোগ করছেন সেটা দুঃখজনক।’
বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের কাতারে প্রবেশ করলে সয়ংক্রিয়ভাবে কিছু সুুবিধা কমে যাবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘২০২৬ সালে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের কাতারে প্রবেশ করবে। তখন অনেক সুবিধা আমরা পাবো না। তাই আগে থেকেই প্রস্তুতি নিতে হবে। যেসব তৈরি পোশাক রপ্তানিকারক সরকারের সমালোচনা করছেন তাদের অনেকেই ৩৫ থেকে ৪০টি গার্মেন্টস কারখানা তৈরি করেছন কিন্তু একটাও টেক্সটাইল মিল করেনি। যুক্তরাষ্ট্র বলছে, “মেড ইন বাংলাদেশ” কথাটা পোশাকের গায়ে লিখতে হলে র ম্যাটারিয়ালস নিজেদের তৈরি করতে হবে। এখন তারা কী করবে? এই ভুল তো সরকারের নয়। এটার দায় তাদের নিজেদের নিতে হবে।’
শনিবার, ২৬ জুলাই ২০২৫
পাল্টা শুল্ক নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বৈঠক শুরু হবে আগামী ২৯ জুলাই। এই বৈঠক হবে মোট তিন দিন অর্থাৎ ২৯, ৩০, ৩১ জুলাই। দেশের স্বার্থবিরোধী কোনো চুক্তি সরকার করছে কিনা এমন বিষয়ে আলোচনা সমালোচনা হচ্ছে। তবে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ‘দেশের স্বার্থবিরোধী কোনো চুক্তি সরকার করবে না।’
তিন দিনে সরকার টু সরকার এবং ব্যবসায়ি টু ব্যবসায়ি আলোচনা হবে
বাণিজ্য ঘাটতি কমাতে আমদানিকারকদের গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে
ইতিবাচক ফলাফল আশা করছে সরকার
শনিবার,(২৬ জুলাই ২০২৫) কথা হয় বাণিজ্য সচিব মাহবুবুর রহমানের সঙ্গে। তিনি সংবাদকে বলেন, ‘বাইরে থেকে কিছু রিউমার ছড়ানো হয়েছে। অনেকে অনেক কথা বলছেন। এ ক্ষেত্রে সরকারের অবস্থান হচ্ছে, দেশের স্বার্থবিরোধী কোনো চুক্তি সরকার করবে না। অবাণিজ্য যেসব বাধা আছে সেগুলোর ক্ষেত্রে আমাদের অবস্থান তুলে ধরে খসড়া পাঠানো হয়েছে। তাতে দেশের স্বার্থবিরোধী কিছু নেই।’
তিন দিনের বৈঠকে আমদানিকারকদের সঙ্গে নেয়া হবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এই আলোচনা দুটি ভাগে হবে। আমরা সরকার টু সরকার আলোচনা করবো। আর আমাদের আমদানিকারকরা বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসায়ী টু ব্যবসায়ী আলোচনা করবেন। দুই দেশের দূতাবাসের মাধ্যমে ব্যবসায়ীদের কানেক্ট করিয়ে দেয়া হবে।’
যুক্তরাষ্ট্র মূলত বাণিজ্য ঘাটতি কমানোর জন্য তাগিদ দিয়েছে জানিয়ে বাণিজ্য সচিব সংবাদকে বলেন, ‘কোনো কোনো ব্যবসায়ী অভিযোগ করছেন, আমরা তাদেরকে পাশ কাটিয়ে আলোচনা করছি। তাদেরকে গুরুত্ব দিচ্ছি না। তাদের বোঝা উচিত, এই সংকটে আমাদের তাদেরকেই দরকার যারা যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানি বাড়াতে পারবে, যারা রপ্তানি করে তারা নয়। তাই যারা গম, সয়াবিন ইত্যাদি আমদানি করে আমরা তাদের সঙ্গে আলোচনা করছি কীভাবে আমদানি বাড়ানো যায়।’
গত এপ্রিলে বাংলাদেশসহ ৫৭টি দেশের পণ্যের ওপর বাড়তি শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প। বাংলাদেশের ক্ষেত্রে ঘোষিত শুল্কহার ছিল ৩৭। এর পরপরই শুল্ক কমানো
নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনা শুরু করে বাংলাদেশ। একপর্যায়ে তা ৯০ দিনের জন্য স্থগিত করে যুক্তরাষ্ট্র। গত ৯ জুলাই এই স্থগিতাদেশের মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা ছিল।
তবে এরই মধ্যে গত ৭ জুলাই বাংলাদেশসহ ১৪টি দেশের পণ্যের ওপর নতুন করে বাড়তি শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেন ট্রাম্প। বাংলাদেশের ক্ষেত্রে এ শুল্কহার ৩৫। বাড়তি শুল্কছাড় নিয়ে গত ৯ জুলাই দুই দেশের মধ্যে তিন দিনের আলোচনা হয়। এতেও কোনো সমাধানে আসতে পারেনি দুই দেশ। তারপর ফের তিন দিনের আলোচনার দিন নির্ধারণ করা হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনায় বাংলাদেশ অদক্ষতার পরিচয় দিয়েছে- এমন অভিযোগ করেছেন কয়েকজন ব্যবসায়ী ও অর্থনীতিবিদ। এ বিষয়ে সরকারের বক্তব্য জানতে চাইলে বাণিজ্য সচিব সংবাদকে বলেন, ‘আমরা আমাদের স্বাধ্যমতো চেষ্টা করে যাচ্ছি। অনেকে বলছেন, এটা আমাদের অযোগ্যতা। অনেকে লবিস্ট নিয়োগের কথা বলছেন। কিন্তু এখানে সরকার টু সরকার আলোচনা হচ্ছে, লবিস্টদের কাজ করার সুযোগ কম। তারপরও যারা এই বিষয়ে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন তাদেরকে আমরা বলেছি, যার যতটুকু সামর্থ্য আছে ততটুকু কাজ করার সুুুযোগ আছে।’
একই কথা বলেছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন। এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেছেন, ‘এটি ব্যবসায়ীদের এখতিয়ার। সরকার কোনো লবিস্ট নিয়োগ করেনি। আপনাদের একটা জিনিস বুঝতে হবে, যুক্তরাষ্ট্র ন্যাশনাল ইমার্জেন্সি ভিত্তিতে কাজটি করছে। এ কাঠামোতে লবিস্টদের করার কোনো কিছু আছে কিনা, আমি ঠিক জানি না। আমাদের বিভিন্ন বিষয়ে পরিবর্তন আনতে হবে। এ পরিবর্তনগুলো বাংলাদেশ ছাড়া অন্য কেউ বুঝতে পারবে না। পরিবর্তনগুলোতে আন্তমন্ত্রণালয়-সংশ্লিষ্ট অনেকগুলো আইনি প্রক্রিয়া আছে। এ আইনি প্রক্রিয়াগুলো একজন লবিস্টের পক্ষে বোঝা সম্ভব নয় বলে আমার ধারণা।’
বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্যের বড় বাজার যুক্তরাষ্ট্র। গত ২০২৪-২৫ অর্থবছরে দেশটিতে ৮৭৬ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছে বাংলাদেশ। এই রপ্তানি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের তুলনায় ১০৯ কোটি ডলার বা ১৪ শতাংশ বেশি। দেশটিতে গত অর্থবছরে যে পরিমাণ রপ্তানি বেড়েছে, তা একই সময়ে ১৫৪টি দেশে বাংলাদেশের মোট রপ্তানির সমান।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের পরিসংখ্যানে দেখা যায়, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে বাংলাদেশ থেকে ২০১টি দেশ ও অঞ্চলে মোট ৪ হাজার ৬৫৭ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছে। এই রপ্তানির প্রায় ১৯ শতাংশের গন্তব্য ছিল যুক্তরাষ্ট্র। এর মধ্যে তৈরি পোশাক রপ্তানি হয় ৭৫৮ কোটি ৫০ লাখ ডলারের। তৈরি পোশাক ছাড়া অন্যান্য পণ্য রপ্তানি হয়েছে ১১৭ কোটি ৪৭ লাখ ডলারের।
সংকটের শুরু থেকেই ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনা করে আসছে দাবি করে তিনি আরও বলেন, ‘যখন আমরা বাড়তি শুল্কের বিষয়টি জানতে পারি তখনই আমরা ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনায় বসেছি। একাধিকবার বসেছি তাদের সঙ্গে। নিয়মিত যোগাযোগও রাখছি। তারপরও কিছু ব্যবসায়ী এমন অভিযোগ করছেন সেটা দুঃখজনক।’
বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের কাতারে প্রবেশ করলে সয়ংক্রিয়ভাবে কিছু সুুবিধা কমে যাবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘২০২৬ সালে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের কাতারে প্রবেশ করবে। তখন অনেক সুবিধা আমরা পাবো না। তাই আগে থেকেই প্রস্তুতি নিতে হবে। যেসব তৈরি পোশাক রপ্তানিকারক সরকারের সমালোচনা করছেন তাদের অনেকেই ৩৫ থেকে ৪০টি গার্মেন্টস কারখানা তৈরি করেছন কিন্তু একটাও টেক্সটাইল মিল করেনি। যুক্তরাষ্ট্র বলছে, “মেড ইন বাংলাদেশ” কথাটা পোশাকের গায়ে লিখতে হলে র ম্যাটারিয়ালস নিজেদের তৈরি করতে হবে। এখন তারা কী করবে? এই ভুল তো সরকারের নয়। এটার দায় তাদের নিজেদের নিতে হবে।’