ব্যাংক পুনর্গঠনে ৩৫ বিলিয়ন ডলার লাগবে: অর্থ উপদেষ্টা
অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক
আগের সরকার ব্যাংক খাতের ৮০ শতাংশ অর্থ নিয়ে গেছে। আইএমএফ বলেছে বাংলাদেশের ব্যাংক খাতের পুনর্গঠনের জন্য ৩৫ বিলিয়ন ডলার লাগবে। যদিও আইএমএফ প্রাথমিক হিসেবে বলেছিলো ১৮ বিলিয়ন ডলার লাগবে।
শনিবার,(২৬ জুলাই ২০২৫) রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে হোসেন জিল্লুর রহমানের লেখা বই ‘অর্থনীতি, শাসন ও ক্ষমতা : যাপিত জীবনের আলেখ্য’- এর প্রকাশ ও আলোচনা সভায় অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন লেখক নিজেই। প্রধান অতিথি ছিলেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।
অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ‘গত বছরের আগস্টে যখন এই সরকার দায়িত্ব নেয়, তখন দেখা গেছে এরকম অবস্থা বিশ্বে কোথাও নেই। অর্থনৈতিক বিপর্যয় হয়েছে। ব্যাংক খাতের ৮০ শতাংশ অর্থ নিয়ে গেছে। ব্যাংকের আউটস্ট্যান্ডিং ২০ হাজার কোটি টাকা হলে ১৬ হাজার কোটি টাকা নিয়ে গেছে। ভালো প্রতিষ্ঠান নেই বললেই চলে। আইনের ব্যত্যয় তো হয়েছেই, প্রক্রিয়াগুলো ধ্বংস
করা হয়েছে। আর মানুষগুলো তো রয়েই গেছে। মানুষগুলোর কোনো চেঞ্জ হয় নাই। অনেকে বলে সব বাদ দিয়ে দাও। কিন্তু সেটা সম্ভব না। এজন্য মাথায় হাত বুলিয়ে, ধমক দিয়ে কাজ করাতে হচ্ছে।’
সালেহউদ্দিন আরও বলেন, ‘সুশাসন অনেক কঠিন। প্রধানমন্ত্রী, সংসদ সদস্য- এদের ক্ষমতার চেক অ্যান্ড ব্যালেন্স নেই। এখানে সংস্কার না হলে যত সংস্কারই করা হোক, কোনো লাভ হবে না। রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যেও সংস্কার দরকার।’
তিনি আরও বলেন, ‘রাজনৈতিক বন্দোবস্ত ছাড়া দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন করা সম্ভব নয়। বাংলাদেশের মত পৃথিবীর কোনও দেশে এত আর্থিক বিপর্যয় হয়নি। অন্তর্বর্তী সরকার কিছু সংস্কারের পদচিহ্ন রেখে যাবে। মধ্য ও দীর্ঘ মেয়াদী সংস্কার করবে রাজনৈতিক সরকার।’
শনিবার, ২৬ জুলাই ২০২৫
ব্যাংক পুনর্গঠনে ৩৫ বিলিয়ন ডলার লাগবে: অর্থ উপদেষ্টা
অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক
আগের সরকার ব্যাংক খাতের ৮০ শতাংশ অর্থ নিয়ে গেছে। আইএমএফ বলেছে বাংলাদেশের ব্যাংক খাতের পুনর্গঠনের জন্য ৩৫ বিলিয়ন ডলার লাগবে। যদিও আইএমএফ প্রাথমিক হিসেবে বলেছিলো ১৮ বিলিয়ন ডলার লাগবে।
শনিবার,(২৬ জুলাই ২০২৫) রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে হোসেন জিল্লুর রহমানের লেখা বই ‘অর্থনীতি, শাসন ও ক্ষমতা : যাপিত জীবনের আলেখ্য’- এর প্রকাশ ও আলোচনা সভায় অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন লেখক নিজেই। প্রধান অতিথি ছিলেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।
অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ‘গত বছরের আগস্টে যখন এই সরকার দায়িত্ব নেয়, তখন দেখা গেছে এরকম অবস্থা বিশ্বে কোথাও নেই। অর্থনৈতিক বিপর্যয় হয়েছে। ব্যাংক খাতের ৮০ শতাংশ অর্থ নিয়ে গেছে। ব্যাংকের আউটস্ট্যান্ডিং ২০ হাজার কোটি টাকা হলে ১৬ হাজার কোটি টাকা নিয়ে গেছে। ভালো প্রতিষ্ঠান নেই বললেই চলে। আইনের ব্যত্যয় তো হয়েছেই, প্রক্রিয়াগুলো ধ্বংস
করা হয়েছে। আর মানুষগুলো তো রয়েই গেছে। মানুষগুলোর কোনো চেঞ্জ হয় নাই। অনেকে বলে সব বাদ দিয়ে দাও। কিন্তু সেটা সম্ভব না। এজন্য মাথায় হাত বুলিয়ে, ধমক দিয়ে কাজ করাতে হচ্ছে।’
সালেহউদ্দিন আরও বলেন, ‘সুশাসন অনেক কঠিন। প্রধানমন্ত্রী, সংসদ সদস্য- এদের ক্ষমতার চেক অ্যান্ড ব্যালেন্স নেই। এখানে সংস্কার না হলে যত সংস্কারই করা হোক, কোনো লাভ হবে না। রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যেও সংস্কার দরকার।’
তিনি আরও বলেন, ‘রাজনৈতিক বন্দোবস্ত ছাড়া দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন করা সম্ভব নয়। বাংলাদেশের মত পৃথিবীর কোনও দেশে এত আর্থিক বিপর্যয় হয়নি। অন্তর্বর্তী সরকার কিছু সংস্কারের পদচিহ্ন রেখে যাবে। মধ্য ও দীর্ঘ মেয়াদী সংস্কার করবে রাজনৈতিক সরকার।’