চব্বিশের আন্দোলনের ফসল ‘দখল’ হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন গণতন্ত্র মঞ্চের অন্যতম নেতা ও রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ুম। তিনি বলেন, ‘দুর্ভাগ্য হচ্ছে কোনো আন্দোলনে বিজয়ের পর সবার আগে বিজয়ীরা দখল করে লাশ, ইতিহাস ও ইতিহাসের মালিকানা। এ দেশে যতবার মানুষ আন্দোলন করেছে, বিজয়ী হয়েছে, ততবার কোনো না কোনো গোষ্ঠী, কোনো দল আন্দোলনের ফলকে দখল করেছে। এবারও তারা শহীদদের মালিকানা নিয়েছে, জুলাইয়ের মালিকানা নিয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘গণ-অভ্যুত্থানের এক বছর পার হওয়ার পরও সাধারণ মানুষকে এখনও দাবি নিয়ে রাস্তায় নামতে হচ্ছে। এটা আশ্চর্যের ব্যাপার।’
শনিবার,(২৬ জুলাই ২০২৫) রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ভূমিহীন-কৃষক-জেলে-সাঁওতাল সমাবেশে এ কথাগুলো বলা হয়। বাংলাদেশ ভূমিহীন আন্দোলন, রাষ্ট্র সংস্কার কৃষক আন্দোলন ও সাহেবগঞ্জ-বাগদা ফার্ম ভূমি উদ্ধার সংগ্রাম কমিটি এই সমাবেশের আয়োজন করে।
সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে হাসনাত কাইয়ুম বলেন, ‘এ অভ্যুত্থানে সবচেয়ে বেশি মারা গেছেন শ্রমজীবী মানুষ। এরপরে আছেন শিক্ষার্থীরা। এই শিক্ষার্থীরাও সাধারণ পরিবারের সন্তান। অর্থাৎ এই শ্রমজীবী মানুষ ও সাধারণ মানুষের সন্তানের রক্তের ওপর দাঁড়ানো এ সরকার। তাদের প্রথম কাজ ছিল যাদের রক্তের বিনিয়ে এ সরকার, তাদের দাবিগুলো পূরণ করা। হাসনাত কাইয়ুম বলেন, রাষ্ট্রের পাচার ও লুট হওয়া ফেরত আসা অর্থ গরিবদের পুঁজি হিসেবে বিনা সুদে দেয়ার দাবি জানান তিনি।
২০১৬ সালে সাঁওতালদের বিরুদ্ধে করা মিথ্যা মামলা এখনও রয়ে গেছে উল্লেখ করে বলেন, সেখানে পুলিশের গুলিতে সাঁওতালরাই মারা যায়।
সমাবেশে বেশ কিছু দাবির কথা জানানো হয়। এগুলো হলো ভূমি ও কৃষি সংস্কার কমিশন গঠন, উন্নয়নের নামে তিন ফসলের জমিতে ইপিজেড না করা, বাগদা ফার্মের প্রকৃত মালিকদের জমি ফেরত দেয়া, খাসজমি ভূমিহীনদের এবং হাওর এবং চলনদী জেলেদের জন্য বরাদ্দ, রাষ্ট্রের সংস্কার ছাড়া কোনো প্রকার নির্বাচন না করা।
সমাবেশে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী জ্যোর্তিময় বড়ুয়া বলেন,
সাবেক ডিআইটি এবং বর্তমান রাজউক রাষ্ট্রীয় প্রয়োজনের কথা বলে গরিবদের জমি দখল করে নামকাওয়াস্তে কিছু ক্ষতিপূরণ দেয়। সেই জমি সচিবদের কাছে বিলি করে। উত্তরা, নারায়ণগঞ্জ, রূপগঞ্জে এভাবে জমি নেয়া হয়েছে। এটা কোন ধরনের রাষ্ট্রীয় নীতি সে প্রশ্ন তোলেন।
এই আইনজীবী ও মানবাধিকারকর্মী বলেন, এ দেশে কেউ ভূমিহীন হলে নাগরিক হয় কী করে। গাইবান্ধায় যেসব জমি কেড়ে নেয়া হয়েছে, তাদের মাথার ওপর প্লাস্টিক। এত বছর পার হলো, এই সরকারের ১০ মাস গেল কিন্তু সরকারের একবারও মনে হয়নি, প্লাস্টিক সরিয়ে টিন দিয়ে মাথা গোঁজার ঠাঁই করে দেয়ার কথা। সরকার বড়োলোকি চিন্তা নিয়ে সরকার চালাচ্ছে, গরিবদের নিয়ে চিন্তা নেই।
গাইবান্ধায় ইপিজেড তৈরির পরিকল্পনার সমালোচনার করে এই আইনজীবী বলেন, নতুন নাটক শুরু হয়েছে গাইবান্ধায়। ইপিজেড তৈরির নাম করে এমন একটি শ্রেণী, এমন একটি পরিচয়ের রাজনৈতিক পরিচয়ের ব্যক্তিরা এখন দালালি, ধান্দাবাজি শুরু করেছে, তা কল্পনাতে ছিল না। গত সরকারের আমলেও সুযোগসন্ধানীরা এমনটা করেছে। সেটা থামানো গিয়েছিল। কিন্তু আবারও এক শক্তি সেই ইপিজেডের গল্প শুরু করেছে।
বাংলাদেশ ভূমিহীন আন্দোলনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সামিউল আলমের সঞ্চালনা ও সাধারণ সম্পাদক শেখ নাসিরউদ্দিনের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য দেন রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের অর্থ সমন্বয়ক দিদারুল ভূঁইয়া, সাংগঠনিক সমন্বয়ক সোহেল শিকদার, লেখক-কলামিস্ট নাহিদ হাসান প্রমুখ।
শনিবার, ২৬ জুলাই ২০২৫
চব্বিশের আন্দোলনের ফসল ‘দখল’ হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন গণতন্ত্র মঞ্চের অন্যতম নেতা ও রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ুম। তিনি বলেন, ‘দুর্ভাগ্য হচ্ছে কোনো আন্দোলনে বিজয়ের পর সবার আগে বিজয়ীরা দখল করে লাশ, ইতিহাস ও ইতিহাসের মালিকানা। এ দেশে যতবার মানুষ আন্দোলন করেছে, বিজয়ী হয়েছে, ততবার কোনো না কোনো গোষ্ঠী, কোনো দল আন্দোলনের ফলকে দখল করেছে। এবারও তারা শহীদদের মালিকানা নিয়েছে, জুলাইয়ের মালিকানা নিয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘গণ-অভ্যুত্থানের এক বছর পার হওয়ার পরও সাধারণ মানুষকে এখনও দাবি নিয়ে রাস্তায় নামতে হচ্ছে। এটা আশ্চর্যের ব্যাপার।’
শনিবার,(২৬ জুলাই ২০২৫) রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ভূমিহীন-কৃষক-জেলে-সাঁওতাল সমাবেশে এ কথাগুলো বলা হয়। বাংলাদেশ ভূমিহীন আন্দোলন, রাষ্ট্র সংস্কার কৃষক আন্দোলন ও সাহেবগঞ্জ-বাগদা ফার্ম ভূমি উদ্ধার সংগ্রাম কমিটি এই সমাবেশের আয়োজন করে।
সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে হাসনাত কাইয়ুম বলেন, ‘এ অভ্যুত্থানে সবচেয়ে বেশি মারা গেছেন শ্রমজীবী মানুষ। এরপরে আছেন শিক্ষার্থীরা। এই শিক্ষার্থীরাও সাধারণ পরিবারের সন্তান। অর্থাৎ এই শ্রমজীবী মানুষ ও সাধারণ মানুষের সন্তানের রক্তের ওপর দাঁড়ানো এ সরকার। তাদের প্রথম কাজ ছিল যাদের রক্তের বিনিয়ে এ সরকার, তাদের দাবিগুলো পূরণ করা। হাসনাত কাইয়ুম বলেন, রাষ্ট্রের পাচার ও লুট হওয়া ফেরত আসা অর্থ গরিবদের পুঁজি হিসেবে বিনা সুদে দেয়ার দাবি জানান তিনি।
২০১৬ সালে সাঁওতালদের বিরুদ্ধে করা মিথ্যা মামলা এখনও রয়ে গেছে উল্লেখ করে বলেন, সেখানে পুলিশের গুলিতে সাঁওতালরাই মারা যায়।
সমাবেশে বেশ কিছু দাবির কথা জানানো হয়। এগুলো হলো ভূমি ও কৃষি সংস্কার কমিশন গঠন, উন্নয়নের নামে তিন ফসলের জমিতে ইপিজেড না করা, বাগদা ফার্মের প্রকৃত মালিকদের জমি ফেরত দেয়া, খাসজমি ভূমিহীনদের এবং হাওর এবং চলনদী জেলেদের জন্য বরাদ্দ, রাষ্ট্রের সংস্কার ছাড়া কোনো প্রকার নির্বাচন না করা।
সমাবেশে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী জ্যোর্তিময় বড়ুয়া বলেন,
সাবেক ডিআইটি এবং বর্তমান রাজউক রাষ্ট্রীয় প্রয়োজনের কথা বলে গরিবদের জমি দখল করে নামকাওয়াস্তে কিছু ক্ষতিপূরণ দেয়। সেই জমি সচিবদের কাছে বিলি করে। উত্তরা, নারায়ণগঞ্জ, রূপগঞ্জে এভাবে জমি নেয়া হয়েছে। এটা কোন ধরনের রাষ্ট্রীয় নীতি সে প্রশ্ন তোলেন।
এই আইনজীবী ও মানবাধিকারকর্মী বলেন, এ দেশে কেউ ভূমিহীন হলে নাগরিক হয় কী করে। গাইবান্ধায় যেসব জমি কেড়ে নেয়া হয়েছে, তাদের মাথার ওপর প্লাস্টিক। এত বছর পার হলো, এই সরকারের ১০ মাস গেল কিন্তু সরকারের একবারও মনে হয়নি, প্লাস্টিক সরিয়ে টিন দিয়ে মাথা গোঁজার ঠাঁই করে দেয়ার কথা। সরকার বড়োলোকি চিন্তা নিয়ে সরকার চালাচ্ছে, গরিবদের নিয়ে চিন্তা নেই।
গাইবান্ধায় ইপিজেড তৈরির পরিকল্পনার সমালোচনার করে এই আইনজীবী বলেন, নতুন নাটক শুরু হয়েছে গাইবান্ধায়। ইপিজেড তৈরির নাম করে এমন একটি শ্রেণী, এমন একটি পরিচয়ের রাজনৈতিক পরিচয়ের ব্যক্তিরা এখন দালালি, ধান্দাবাজি শুরু করেছে, তা কল্পনাতে ছিল না। গত সরকারের আমলেও সুযোগসন্ধানীরা এমনটা করেছে। সেটা থামানো গিয়েছিল। কিন্তু আবারও এক শক্তি সেই ইপিজেডের গল্প শুরু করেছে।
বাংলাদেশ ভূমিহীন আন্দোলনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সামিউল আলমের সঞ্চালনা ও সাধারণ সম্পাদক শেখ নাসিরউদ্দিনের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য দেন রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের অর্থ সমন্বয়ক দিদারুল ভূঁইয়া, সাংগঠনিক সমন্বয়ক সোহেল শিকদার, লেখক-কলামিস্ট নাহিদ হাসান প্রমুখ।