ঢাকার গুলশানে আওয়ামী লীগ নেত্রী ও সাবেক সংসদ সদস্য শাম্মী আহমেদের বাসায় চাঁদাবাজি করার অভিযোগে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের (বৈছাআ) নেতাসহ পাঁচজন আটক হওয়ার ঘটনা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেইসবুকে পোস্ট দিয়েছেন সম্প্রতি সংগঠনটি ত্যাগ করা উমামা ফাতেমা।
পোস্টে তিনি লেখেন, এই চাঁদাবাজির খবর দেখে আশপাশের সবাই এত অবাক হওয়ার ভান করছেন, বিষয়টা কিছুটা হাস্যকর বটে। বলতে হবে, এই প্রথম কোনো চাঁদাবাজি করতে গিয়ে তারা পুলিশের হাতে ধরা খেল। ঠিকমতো খোঁজ নিলে বুঝবেন, এদের শিকড় অনেক গভীরে।
গত শনিবার রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেইসবুক পেইজে আটক পাঁচজনের ছবিসহ পোস্টটি দেন উমামা ফাতেমা। ছাত্র ফেডারেশনের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সদস্য সচিবের দায়িত্ব পালন করা ফাতেমা জুলাইয়ে গণঅভ্যুত্থানে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক ছিলেন। পরবর্তীতে সংগঠনের মুখপাত্র হন তিনি। গত মাসে উমামা বৈছাআ’র পদ ছাড়েন।
ফেইসবুক পোস্টে উমামা বলেন, ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সঙ্গে সম্পৃক্ত পাঁচজনের চাঁদাবাজির খবর শুনে আমার পরিচিত ব্যক্তিবর্গ এতটাই আশ্বর্যান্বিত হওয়ার অভিনয় করছেন যে আমার মনে হচ্ছে, আমিই সব থেকে কম আশ্চর্য হয়েছি। এই ছেলেগুলাকে তো নেতাদের পেছনে প্রটোকল দিতে দেখা গেছে এতদিন যাবৎ। সচিবালয় থেকে শুরু করে মিছিল-মিটিং, মারামারি সব
জায়গাতেই সমন্বয়কদের ডান হাত, বাম হাত হিসেবে নির্বিঘ্নে প্রটোকল দিয়ে গেছে।’
গুলশান-বনানী ‘গ্যাং কালচারের অজ্রর অভিযোগ অভ্যন্তরীণভাবে’ ওই পাঁচজনের বিরুদ্ধে ছিল অভিযোগ করে উমামা ফাতেমা বলেন, ‘এই ছবির রিয়াদ নামের ছেলেটা গত ডিসেম্বর মাসে রূপায়ণ টাওয়ারে আমার সামনে অত্যন্ত উচ্ছৃঙ্খল আচরণ করেছিল। আমরা মেয়েরা তাকে থামানোর চেষ্টা করলে আমাদের ওপর পাল্টা চড়াও হয়। ঐ ঘটনার পর ছেলেটার ব্যাপারে খোঁজ নিয়ে জানতে পারি ইতোমধ্যে তার বিরুদ্ধে হুমকি, মারামারি ও চাঁদাবাজির অভিযোগ আছে। আমি জেনে তখন মোটেও অবাক হইনি, কারণ ততদিনে বৈষম্যবিরোধীতে এই ধরনের মানুষজনের আনাগোনা সর্বত্র টের পাওয়া যেত। ঠিকই তারা রূপায়ণ টাওয়ারে অবাধে আসা-যাওয়া করত। কারও দুর্নীতি বা অসততার ব্যাপারে অভিযোগ জানালে উত্তরে পিনড্রপ সাইলেন্স উপহার পেতে হবে। আর আমি চোখের সামনে দেখতাম এসব লোকজনই কীভাবে দিন শেষে অ্যাক্সেস করে নেয়। আজকে এত মাস পর এই প্ল্যাটফর্মের দিকে তাকালে বলার ভাষা পাই না কোনো?!’
যে যেভাবে পারছে এই ‘প্ল্যাটফর্মকে নষ্ট’ করেছে মন্তব্য করে উমামা বলেন, ‘আজকের এই চাঁদাবাজির খবর দেখে আশপাশের সবাই এত অবাক হওয়ার ভান করছেন বিষয়টা কিছুটা হাস্যকর বটে। ইশ! মানুষ কত নিষ্পাপ! সদ্য ভূমিষ্ঠ শিশুর মতো তারা আবিষ্কার করেছেন এই ছেলেগুলো আজ কীভাবে চাঁদাবাজি করল?! অত্যন্ত দুঃখিত বন্ধুরা, বলতে হবে এই প্রথম কোনো চাঁদাবাজি করতে গিয়ে তারা পুলিশের হাতে ধরা খেল। ঠিকমতো খোঁজ নিলে বুঝবেন, এদের শিকড় অনেক গভীরে।’
চাঁদাবাজির অভিযোগে গত শনিবার সন্ধ্যার পর গুলশান-২ নম্বরে সংরক্ষিত মহিলা আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শাম্মী আক্তারের বাসার সামনে থেকে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
গ্রেপ্তাররা হলেন সাকাদাউন সিয়াম, সাদমান সাদার, মো. ইব্রাহিম হোসেন ও আব্দুর রাজ্জাক রিয়াদ। অন্যজন শিশু হওয়ায় তার নাম, পরিচয় ও ছবি দেয়নি পুলিশ। গ্রেপ্তারদের মধ্যে প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রিয়াদ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সম্মিলিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের যুগ্ম আহ্বায়কদের একজন।
গুলশানে ওই আওয়ামী লীগ নেত্রীর বাসায় চাঁদাবাজির অভিযোগে পুলিশের হাতে আটক তিন নেতাকে সংগঠন থেকে স্থায়ী বহিষ্কার করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। একই ঘটনায় আটক হওয়া আরও দুজনকে স্থায়ী বহিষ্কার করেছে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ।
গত শনিবার রাতে দুই সংগঠনের পৃথক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মীরা গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদে অন্তর্ভুক্ত। বর্তমানে সংগঠনটির আহ্বায়ক আবু বাকের মজুমদার এবং সদস্য সচিব জাহিদ আহসান।
সোমবার, ২৮ জুলাই ২০২৫
ঢাকার গুলশানে আওয়ামী লীগ নেত্রী ও সাবেক সংসদ সদস্য শাম্মী আহমেদের বাসায় চাঁদাবাজি করার অভিযোগে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের (বৈছাআ) নেতাসহ পাঁচজন আটক হওয়ার ঘটনা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেইসবুকে পোস্ট দিয়েছেন সম্প্রতি সংগঠনটি ত্যাগ করা উমামা ফাতেমা।
পোস্টে তিনি লেখেন, এই চাঁদাবাজির খবর দেখে আশপাশের সবাই এত অবাক হওয়ার ভান করছেন, বিষয়টা কিছুটা হাস্যকর বটে। বলতে হবে, এই প্রথম কোনো চাঁদাবাজি করতে গিয়ে তারা পুলিশের হাতে ধরা খেল। ঠিকমতো খোঁজ নিলে বুঝবেন, এদের শিকড় অনেক গভীরে।
গত শনিবার রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেইসবুক পেইজে আটক পাঁচজনের ছবিসহ পোস্টটি দেন উমামা ফাতেমা। ছাত্র ফেডারেশনের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সদস্য সচিবের দায়িত্ব পালন করা ফাতেমা জুলাইয়ে গণঅভ্যুত্থানে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক ছিলেন। পরবর্তীতে সংগঠনের মুখপাত্র হন তিনি। গত মাসে উমামা বৈছাআ’র পদ ছাড়েন।
ফেইসবুক পোস্টে উমামা বলেন, ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সঙ্গে সম্পৃক্ত পাঁচজনের চাঁদাবাজির খবর শুনে আমার পরিচিত ব্যক্তিবর্গ এতটাই আশ্বর্যান্বিত হওয়ার অভিনয় করছেন যে আমার মনে হচ্ছে, আমিই সব থেকে কম আশ্চর্য হয়েছি। এই ছেলেগুলাকে তো নেতাদের পেছনে প্রটোকল দিতে দেখা গেছে এতদিন যাবৎ। সচিবালয় থেকে শুরু করে মিছিল-মিটিং, মারামারি সব
জায়গাতেই সমন্বয়কদের ডান হাত, বাম হাত হিসেবে নির্বিঘ্নে প্রটোকল দিয়ে গেছে।’
গুলশান-বনানী ‘গ্যাং কালচারের অজ্রর অভিযোগ অভ্যন্তরীণভাবে’ ওই পাঁচজনের বিরুদ্ধে ছিল অভিযোগ করে উমামা ফাতেমা বলেন, ‘এই ছবির রিয়াদ নামের ছেলেটা গত ডিসেম্বর মাসে রূপায়ণ টাওয়ারে আমার সামনে অত্যন্ত উচ্ছৃঙ্খল আচরণ করেছিল। আমরা মেয়েরা তাকে থামানোর চেষ্টা করলে আমাদের ওপর পাল্টা চড়াও হয়। ঐ ঘটনার পর ছেলেটার ব্যাপারে খোঁজ নিয়ে জানতে পারি ইতোমধ্যে তার বিরুদ্ধে হুমকি, মারামারি ও চাঁদাবাজির অভিযোগ আছে। আমি জেনে তখন মোটেও অবাক হইনি, কারণ ততদিনে বৈষম্যবিরোধীতে এই ধরনের মানুষজনের আনাগোনা সর্বত্র টের পাওয়া যেত। ঠিকই তারা রূপায়ণ টাওয়ারে অবাধে আসা-যাওয়া করত। কারও দুর্নীতি বা অসততার ব্যাপারে অভিযোগ জানালে উত্তরে পিনড্রপ সাইলেন্স উপহার পেতে হবে। আর আমি চোখের সামনে দেখতাম এসব লোকজনই কীভাবে দিন শেষে অ্যাক্সেস করে নেয়। আজকে এত মাস পর এই প্ল্যাটফর্মের দিকে তাকালে বলার ভাষা পাই না কোনো?!’
যে যেভাবে পারছে এই ‘প্ল্যাটফর্মকে নষ্ট’ করেছে মন্তব্য করে উমামা বলেন, ‘আজকের এই চাঁদাবাজির খবর দেখে আশপাশের সবাই এত অবাক হওয়ার ভান করছেন বিষয়টা কিছুটা হাস্যকর বটে। ইশ! মানুষ কত নিষ্পাপ! সদ্য ভূমিষ্ঠ শিশুর মতো তারা আবিষ্কার করেছেন এই ছেলেগুলো আজ কীভাবে চাঁদাবাজি করল?! অত্যন্ত দুঃখিত বন্ধুরা, বলতে হবে এই প্রথম কোনো চাঁদাবাজি করতে গিয়ে তারা পুলিশের হাতে ধরা খেল। ঠিকমতো খোঁজ নিলে বুঝবেন, এদের শিকড় অনেক গভীরে।’
চাঁদাবাজির অভিযোগে গত শনিবার সন্ধ্যার পর গুলশান-২ নম্বরে সংরক্ষিত মহিলা আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শাম্মী আক্তারের বাসার সামনে থেকে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
গ্রেপ্তাররা হলেন সাকাদাউন সিয়াম, সাদমান সাদার, মো. ইব্রাহিম হোসেন ও আব্দুর রাজ্জাক রিয়াদ। অন্যজন শিশু হওয়ায় তার নাম, পরিচয় ও ছবি দেয়নি পুলিশ। গ্রেপ্তারদের মধ্যে প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রিয়াদ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সম্মিলিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের যুগ্ম আহ্বায়কদের একজন।
গুলশানে ওই আওয়ামী লীগ নেত্রীর বাসায় চাঁদাবাজির অভিযোগে পুলিশের হাতে আটক তিন নেতাকে সংগঠন থেকে স্থায়ী বহিষ্কার করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। একই ঘটনায় আটক হওয়া আরও দুজনকে স্থায়ী বহিষ্কার করেছে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ।
গত শনিবার রাতে দুই সংগঠনের পৃথক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মীরা গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদে অন্তর্ভুক্ত। বর্তমানে সংগঠনটির আহ্বায়ক আবু বাকের মজুমদার এবং সদস্য সচিব জাহিদ আহসান।