রংপুরের গংগাচড়া উপজেলার আলদাদপুর বালাপাড়া গ্রামের হিন্দু পরিবারের ঘরবাড়িতে হামলার ঘটনায় পুলিশের পাশাপাশি প্রশাসনের অবস্থান স্পষ্ট করে একটি বিবৃতি দিয়েছে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং।
মঙ্গলবার পাঠানো বিবৃতিতে জানানো হয়, ধর্ম অবমাননার অভিযোগে এই ঘটনা ঘটে। পরবর্তী সময়ে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রবিউল ফয়সাল সোমবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। তিনি জানান, হামলার শিকার ২২টি পরিবারের মধ্যে বর্তমানে ১৯টি পরিবার নিজ নিজ বাড়িতে অবস্থান করছেন। অভিযুক্ত ব্যক্তিসহ তার চাচা এবং তাদের পরিবারের সদস্যরা নিরাপত্তাজনিত কারণে পার্শ্ববর্তী গ্রামে আত্মীয়দের বাড়িতে রয়েছেন।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, আজ থেকেই জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের যৌথ উদ্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত ঘরবাড়ি মেরামতের কাজ শুরু হচ্ছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর সঙ্গে কথা বলা হয়েছে এবং পাশে থাকার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।
ঘটনাস্থলে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বর্তমানে স্বাভাবিক রয়েছে উল্লেখ করে বলা হয়, সেনাবাহিনী ও পুলিশ সদস্যরা সেখানে নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছেন।
এদিকে রংপুরের পুলিশ সুপার মো. আবু সাইমের বরাতে বিবৃতিতে জানানো হয়, হামলার ঘটনায় মোট ১২টি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যেখানে ২২টি পরিবার বসবাস করতেন। অভিযুক্ত আটক হওয়ার পর তার বাবা, দাদা ও চাচার পরিবার এলাকা ছেড়ে গেছেন। তবে অন্যান্য ১৯টি পরিবারের পুরুষ সদস্যরা বাড়িতেই অবস্থান করছেন।
পুলিশ সুপার আরও জানান, হামলার ঘটনায় কিছু নারী সদস্য বাড়িঘরের মালামাল নিয়ে অন্যত্র সরে গেছেন। তবে ঘরবাড়ি মেরামতের পর সবাই আবারও নিজ নিজ বাড়িতে ফিরে আসবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
বিবৃতিতে স্থানীয় নেতৃবৃন্দের সম্প্রীতি রক্ষায় প্রশাসন ও পুলিশের সঙ্গে কাজ করার বিষয়টি তুলে ধরা হয়। একই সঙ্গে জানানো হয়, ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের শনাক্ত করে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মঙ্গলবার, ২৯ জুলাই ২০২৫
রংপুরের গংগাচড়া উপজেলার আলদাদপুর বালাপাড়া গ্রামের হিন্দু পরিবারের ঘরবাড়িতে হামলার ঘটনায় পুলিশের পাশাপাশি প্রশাসনের অবস্থান স্পষ্ট করে একটি বিবৃতি দিয়েছে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং।
মঙ্গলবার পাঠানো বিবৃতিতে জানানো হয়, ধর্ম অবমাননার অভিযোগে এই ঘটনা ঘটে। পরবর্তী সময়ে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রবিউল ফয়সাল সোমবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। তিনি জানান, হামলার শিকার ২২টি পরিবারের মধ্যে বর্তমানে ১৯টি পরিবার নিজ নিজ বাড়িতে অবস্থান করছেন। অভিযুক্ত ব্যক্তিসহ তার চাচা এবং তাদের পরিবারের সদস্যরা নিরাপত্তাজনিত কারণে পার্শ্ববর্তী গ্রামে আত্মীয়দের বাড়িতে রয়েছেন।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, আজ থেকেই জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের যৌথ উদ্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত ঘরবাড়ি মেরামতের কাজ শুরু হচ্ছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর সঙ্গে কথা বলা হয়েছে এবং পাশে থাকার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।
ঘটনাস্থলে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বর্তমানে স্বাভাবিক রয়েছে উল্লেখ করে বলা হয়, সেনাবাহিনী ও পুলিশ সদস্যরা সেখানে নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছেন।
এদিকে রংপুরের পুলিশ সুপার মো. আবু সাইমের বরাতে বিবৃতিতে জানানো হয়, হামলার ঘটনায় মোট ১২টি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যেখানে ২২টি পরিবার বসবাস করতেন। অভিযুক্ত আটক হওয়ার পর তার বাবা, দাদা ও চাচার পরিবার এলাকা ছেড়ে গেছেন। তবে অন্যান্য ১৯টি পরিবারের পুরুষ সদস্যরা বাড়িতেই অবস্থান করছেন।
পুলিশ সুপার আরও জানান, হামলার ঘটনায় কিছু নারী সদস্য বাড়িঘরের মালামাল নিয়ে অন্যত্র সরে গেছেন। তবে ঘরবাড়ি মেরামতের পর সবাই আবারও নিজ নিজ বাড়িতে ফিরে আসবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
বিবৃতিতে স্থানীয় নেতৃবৃন্দের সম্প্রীতি রক্ষায় প্রশাসন ও পুলিশের সঙ্গে কাজ করার বিষয়টি তুলে ধরা হয়। একই সঙ্গে জানানো হয়, ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের শনাক্ত করে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।