জুলাই গণ–অভ্যুত্থানে পুলিশের গুলিতে নিহত বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ হত্যা মামলায় অভিযোগ গঠনের বিষয়ে দ্বিতীয় দিনের শুনানি অনুষ্ঠিত হয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে।
মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল-২ এ এই শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। এদিন ছয় আসামির মধ্যে তিনজনের পক্ষে অব্যাহতির আবেদন নিয়ে তাদের আইনজীবীরা শুনানি করেন।
অব্যাহতির শুনানিতে অংশ নেন—বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রক্টর শরিফুল ইসলাম, পুলিশ কনস্টেবল সুজন চন্দ্র রায় ও ছাত্রলীগ নেতা ইমরান চৌধুরী আকাশের আইনজীবীরা। এরপর বাকি তিন আসামির শুনানির জন্য আগামীকাল (বুধবার) দিন ধার্য করেন ট্রাইব্যুনাল।
শুনানির সময় ছয় আসামিকেই আদালতে হাজির করা হয়। তারা হলেন—সাবেক প্রক্টর শরিফুল ইসলাম, কনস্টেবল সুজন চন্দ্র রায়, ছাত্রলীগ নেতা ইমরান চৌধুরী আকাশ, এএসআই আমির হোসেন, রাফিউল হাসান রাসেল এবং আনোয়ার পারভেজ আপিল।
রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে উপস্থিত ছিলেন প্রসিকিউটর মো. মিজানুল ইসলাম ও বি. এম. সুলতান মাহমুদ। তিন আসামির পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট আমিনুল গণি টিটো।
প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম বলেন, “আজ তিন আসামির পক্ষ থেকে অব্যাহতির আবেদন শোনা হয়েছে। আগামীকাল বাকি তিন আসামির পক্ষে শুনানি হবে। এরপর রাষ্ট্রপক্ষের জবাব উপস্থাপন করা হবে।”
এর আগে সোমবার মামলায় অভিযোগ গঠনের পক্ষে শুনানি করেন প্রধান প্রসিকিউটর মো. তাজুল ইসলাম।
২০২৪ সালের ১৬ জুলাই রংপুরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ পুলিশের গুলিতে নিহত হন। এ ঘটনায় দায়ের করা মামলায় গত ৩০ জুন অভিযোগ আমলে নেয় ট্রাইব্যুনাল এবং পলাতক থাকা ২৬ আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে।
তদন্ত সংস্থা মামলার তদন্ত শেষে ৩০ জনের সম্পৃক্ততার অভিযোগ করে প্রতিবেদন দাখিল করে। এর মধ্যে ২৪ জন এখনও পলাতক রয়েছেন। তাদের বিরুদ্ধে গত ১৩ জুলাই পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে ট্রাইব্যুনালে হাজির হতে নির্দেশ দেওয়া হয়।
পলাতক ২৪ আসামির মধ্যে চারজনের পক্ষে রাষ্ট্রের খরচে আইনজীবী নিয়োগ দিয়েছে আদালত। অন্যদিকে, অন্য মামলায় কারাবন্দি রাফিউল হাসান রাসেল ও আনোয়ার পারভেজ আপিলকে এই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে হাজির করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার, ২৯ জুলাই ২০২৫
জুলাই গণ–অভ্যুত্থানে পুলিশের গুলিতে নিহত বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ হত্যা মামলায় অভিযোগ গঠনের বিষয়ে দ্বিতীয় দিনের শুনানি অনুষ্ঠিত হয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে।
মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল-২ এ এই শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। এদিন ছয় আসামির মধ্যে তিনজনের পক্ষে অব্যাহতির আবেদন নিয়ে তাদের আইনজীবীরা শুনানি করেন।
অব্যাহতির শুনানিতে অংশ নেন—বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রক্টর শরিফুল ইসলাম, পুলিশ কনস্টেবল সুজন চন্দ্র রায় ও ছাত্রলীগ নেতা ইমরান চৌধুরী আকাশের আইনজীবীরা। এরপর বাকি তিন আসামির শুনানির জন্য আগামীকাল (বুধবার) দিন ধার্য করেন ট্রাইব্যুনাল।
শুনানির সময় ছয় আসামিকেই আদালতে হাজির করা হয়। তারা হলেন—সাবেক প্রক্টর শরিফুল ইসলাম, কনস্টেবল সুজন চন্দ্র রায়, ছাত্রলীগ নেতা ইমরান চৌধুরী আকাশ, এএসআই আমির হোসেন, রাফিউল হাসান রাসেল এবং আনোয়ার পারভেজ আপিল।
রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে উপস্থিত ছিলেন প্রসিকিউটর মো. মিজানুল ইসলাম ও বি. এম. সুলতান মাহমুদ। তিন আসামির পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট আমিনুল গণি টিটো।
প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম বলেন, “আজ তিন আসামির পক্ষ থেকে অব্যাহতির আবেদন শোনা হয়েছে। আগামীকাল বাকি তিন আসামির পক্ষে শুনানি হবে। এরপর রাষ্ট্রপক্ষের জবাব উপস্থাপন করা হবে।”
এর আগে সোমবার মামলায় অভিযোগ গঠনের পক্ষে শুনানি করেন প্রধান প্রসিকিউটর মো. তাজুল ইসলাম।
২০২৪ সালের ১৬ জুলাই রংপুরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ পুলিশের গুলিতে নিহত হন। এ ঘটনায় দায়ের করা মামলায় গত ৩০ জুন অভিযোগ আমলে নেয় ট্রাইব্যুনাল এবং পলাতক থাকা ২৬ আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে।
তদন্ত সংস্থা মামলার তদন্ত শেষে ৩০ জনের সম্পৃক্ততার অভিযোগ করে প্রতিবেদন দাখিল করে। এর মধ্যে ২৪ জন এখনও পলাতক রয়েছেন। তাদের বিরুদ্ধে গত ১৩ জুলাই পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে ট্রাইব্যুনালে হাজির হতে নির্দেশ দেওয়া হয়।
পলাতক ২৪ আসামির মধ্যে চারজনের পক্ষে রাষ্ট্রের খরচে আইনজীবী নিয়োগ দিয়েছে আদালত। অন্যদিকে, অন্য মামলায় কারাবন্দি রাফিউল হাসান রাসেল ও আনোয়ার পারভেজ আপিলকে এই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে হাজির করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।